কবর খনন করে পেয়েছি
শুধু তমালের বনে দূরে আরো বহুদূরে
একটি দিঘীর বুক
শেষ রাত বুকে নিয়ে নিবিড় ঘুমে ছিলো
তুমি কেনো ডাকো অই ঢাকেশ্বরীর সন্ধ্যা ঘন্টা?
তুমি আজ এই লেখা নাও,
এই লেখা মৃদু ভোর, ধীরে ধীরে সূর্যদীপ্ত হবে
মরমিয়া আজানের একটি মোহোন সুর ভাসে
দিন আসে, আর এই ঋতু
এই ঋতু সংকেতময়, রিক্সার পেছনের আলপনার মতো সহজ নিপাট
বাসি বিছানার ঝারপোছ সেরে
ক্ষীণকটি মোহের যাত্রাপথ আমাকেই চিরে চলে যায়
ঝালকাঠি নদী নালা খাল বিল ধরে
তারপরে, তারও পরে
আরোহীবিহীন নৌকো মেঘনার বুকে ভেসে যায়
হাড় সহ ভিজে যায় এমন বৃষ্টি
মনেপড়ে নক্ষত্র ও নুলিয়ার মাঝে শান্তিনিকেতন
স্মৃতি বায় মায়ামোহ
মেয়েরঙ স্বপ্নরা প্রতিরাত।
তন্বী তুমি রূপের আখর
নাহয় পর্দা কেনো,
কেনো আধোলাল শাড়ি?
কবর খনন করে পেয়েছি ঘুমের ঘর
অবিমিশ্র কালো এক মাছ ধরা জাল
সেইখানে রাত্তিরে বাজে মাঝ রাত্রির কিন্নর
জরিপঘর থেকে সামান্য ছাড়া পেয়ে বেরিয়ে এসে দেখি
রোদবাহী দুপুর
শুনি তৃণ পিয়ানোর সুরে পল্লীর ধুন
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন