অনুকবিতা
১
=
হরিৎ বাসনা উড়িয়েছে শরৎবালা
আমি তার নয়নবিন্দু ছুঁয়ে
প্রাণ নিয়েছি প্রাণ এ আমার নিখিলজীবন;
তার ঠোঁটের শিরীন নিয়ে
চলে যাব উদ্ভাসী নবান্নের দিকে
২
=
অরণ্য থেকে মশগুল নৈঃশব্দ্য
এনে ফেলে রেখেছিলাম অন্দরে
মিডনাইট ব্ল্যাক প্রচ্ছদে
একটা বিমূর্ত পেইন্টিং বেডরুমের দেয়ালে,
তার দিকে চেয়ে চেয়ে শোনা
অজস্র সোনালী ঘোড়ার চিঁহি
আবার তাড়াচ্ছে এই দেখ
শব্দের যুদ্ধবাগান।
৩
=
সন্ধ্যের ওপাড়ে বসে আছ ঘুম জড়ানো পাখি
করতল থেকে ছড়িয়ে দিচ্ছি সোনামুগ ঝিরিজল
এই দেখ;
পাখনায় ভোর ঢালো,
শঙ্খবুকে ভরে তোল সা-নি-ধা’র শ্বাস।
হাত বাড়িয়ে আছি
আর চোখ মেলে বাঁচি পাখি
আর কত নির্জনা জানালায় !
৪
=
নিশার মত জুড়ে আছে গহনের গান।
হে মৌনময়,
পুষ্পখেলা ভুল ছিল তবু
অতুল গন্ধ ছিল চারপাশে,
দহনের দানে ছিল নতমুখী বেলা।
৫
=
এখন জানি অপেক্ষার কারণ...
এক লতার কারুকাজ বিকেল
আজ তারই মত নম্র; জ্বলে ওঠা
রোদ নিভিয়ে আসে নতমুখ
লালইট বাড়ির কিনার।
এখন জানি কোন্ আগের সকালে
শিউলিরা ফোটে নাই কেন ...
৬
=
অসুখ করেছে বলেছে নীল ফুল
রাত্রি রেখেছে ধরে মুখে গাঢ় রাত
তারে দেখব বলে ভোর করেছি চোখ
তার অসুখ করেছে বলে মন ভাল নেই
৭
=
নদী আর ঝড় এই বুকে
নাচ ও বিনাশ
৮
=
এ সন্ধ্যা জানা,-
নির্জনা, নির্জনা !
৯
=
যাযাবরের ডায়েরিতে
রাত্রির জ্বরে
‘ঘর’ আসে ঘুরেফিরে
১০
=
ডোরের আরেক নাম নামডাকা পাখি
মন বরষায় নামে বিমনা আকাশ তার বাড়ি
নামে মোহন পাখায়
আকাশটা রূপকুমারী
১১
=
হিরণবন্দর থেকে দূরে সরে গেছে
পৌঁছানোর সময়
এই ভ্রমণ তবু ক্লান্তির কানে কবিতা
১২
=
তুমিওতো কাজলার বিল ছিলে ঘুম
স্বপ্ন ভাসিয়েছিলে তালের ডিঙায়
১৩
=
এই হাত থেকে সে ময়ূর উড়েছে হে শিশুনদ
স্নান থেকে উঠে এলে
তোর নাম দেব আমি
আনন্দ
১৪
=
সূর্যমুখী
.........
বিহনের রোদেরা লেগেছে তার গায়
স্থিরআঁখি তবু আলোর নামতায়
১৫
=
পুষ্পের মুখ থেকে অজস্র রূপ-কণা নিয়ে
আলোময় প্রজাপতি
উড়ে গেল তার দেশে বন্ধুর কাছে,
আজও
পেখমের গানে তার রূপকথা আছে।
১৬
=
দিন-
আলোর ভ্রমর হয়ে গুনগুন রাত
মৃত্যু কখনও এমন সঙ্গীতময় !
১৭
=
অর্ঘ্য আমার নদীজল, প্রসূনমন যদি এক অসমাপ্ত মন্দির
১৮
=
ভাবনার বিহঙ্গ ডানায় বিজলী খেলে মেঘ বিহীন, হে মেঘা
১৯
=
সাঁঝ সুহানা
যেন ঘুম থেকে জাগা চোখে কালকের এলোমেলো
কাজল টানা
এই সাঁঝ সুহানা
২০
=
হোটেল সোনাম ডেলেকের জানালা থেকে
কৈশর দেখা যায়
পাহাড়ের ছায়া কাঁপে শাদার শরৎ
হোটেল সোনাম ডেলেকে ভাসে শারদ হাওয়ায়
কাচপালক পাখির টুইট
২১
=
কবিতাটেবিলে
..................
আলো আর ঘ্রাণ দিয়ে দিয়ে মরে গেল
একটি পুষ্প ও মোম
২২
=
রঙ ছাড়িয়ে রঙ,
অন্ধ কোকিলও জানে স্বাগত সারগাম
প্রজ্ঞা রাখে প্রকৃতি, তুমি চোখের সীমানা খুলে ফেল শময়িতা
২৩
=
বন্ধু ভাবি, মৃত্যু ভাবি না মৃত্যুকে
বন্ধুর সাথে যোগাযোগ ক্ষীণ হয় জানি
২৪
=
অতিথি জেনে যে আড়াল
হাওয়ায় পর্দা দোলে, মনও
কে কাকে ভেবেছে কত জানা
অথচ পর্দা টানানো!
২৫
=
গুমটিঘর
............
নিদ্রা নয় তবু সে নিজস্ব ভারি,
এরকম ঘুম বাসনা বহু বহু ধুলোদিনের শেষে দুই সময় প্রহরী।
২৬
=
আকাশ অন্ধ হলে ভাল
ওখানে যেমন আঁকি দিলহারা মেঘের আদল
ওখানে যেমন খুশি মণিতারা কালোর জমিন
ওরকমই ভাল তুই আমার আকাশ, চন্দ্র নিশানা ভুলে যা
২৭
=
আনন্দা,
হাত ধরে চলে যেতে পারি
গহন শোকের বাড়ি
২৮
=
হরিদ্রাদুপুর তারি তন্দ্রাছিন্ন আলোকথার মন্ত্র ইথারে প্রোজ্জ্বল। অথচ তুমি আর শীত মিলে যমজ কুঁড়ি। তবে কেন মধ্যমার অঙ্গুরীয় ছুঁইয়ে ছিলে চৈত্রী? যেই চৈত্রপূর্ণিমা আকাশে ভাস্বর তার জন্য এক একলা দর্শক কত বড় অপচয়!
২৯
=
ঢেউ লেগে লেগে ফিরে এলো আদরের নৌকো
নির্জন চারুবন্দরে
৩০
=
নিশি
......
রঙ ধরেছে সে যাদুর লাটিম
ঝিম ধরেছে সে
স্থির
৩১
=
খোঁজ
.........
যার কাছে তীর একটি পুষ্প নাম
যার কাছে দহন এই শহরের বড়লেখা দীঘি
৩২
=
অন্ত্যাক্ষরি
............
একটা অচেনা গানের সঞ্চারী তোমার ঠোঁটে।
চোখ মুছে ছিলে
আর তক্ষুণি হাতে লেগে গেল সায়নআঁধার,
বললে- এবার তুমি।
৩৩
=
যে কৃষ্ণনামে প্লাবনবিশুদ্ধি,
রুদ্রাক্ষ পরিধান-
সেখানেও নীলবাঁশি
নাই কিছু নাই, মীরাবাঈ
৩৪
=
আমরা কেঁদেছি এমন, ঝর্না পেয়েছে শ্রাবণ যেন হায়।
৩৫
=
যার নাচবাহার দেখে রাঙিয়েছ মন
সে অপেক্ষার রঙ্গন
ফুটে আছে খুব রক্ত আভায়
বিনোদনেও তোমার
৩৬
=
নদীতে তাকাও তুমি বিরহের গান
দেখ বয়ে চলেছি কেমন
৩৭
=
এই নিরুত্তাপ হিম মাটি বুক, মেঘেরা ফেলো না ছায়া আর- কান্না ফেলো না শরৎ তুমি
প্রিয়তম শাওনের মত।
৩৮
=
তুমিওতো ছেড়েছো ছবিবাজী
কবিতা লেখনা
৩৯
=
তারাদের রঙ বল কৃষ্ণবতী
অনিদ্রা ডাকি তবু কোল পাত তুমি,
বল কেন ছড়িয়েছ ঘুমের কারণ!
তারাদের রঙ বল কাজলপাতা,
অন্ধ আমাকে তুমি নিয়েছ যখন।
৪০
=
ডাস্কি
.......
লংড্রাইভ, পিছিয়ে যাচ্ছে পথ
এগিয়ে আসছে অচিন
এই পরিযান বাঁক নিচ্ছে ক্রমশ সমুদ্রে
অথবা কিছু উশখুশে
আর ক্রমশ পিছিয়ে যাচ্ছে দহনের মধ্যাহ্ন
খুব এগিয়ে আসছে বীচ,
একদল হিপ্পি মেয়ে।
=
হরিৎ বাসনা উড়িয়েছে শরৎবালা
আমি তার নয়নবিন্দু ছুঁয়ে
প্রাণ নিয়েছি প্রাণ এ আমার নিখিলজীবন;
তার ঠোঁটের শিরীন নিয়ে
চলে যাব উদ্ভাসী নবান্নের দিকে
২
=
অরণ্য থেকে মশগুল নৈঃশব্দ্য
এনে ফেলে রেখেছিলাম অন্দরে
মিডনাইট ব্ল্যাক প্রচ্ছদে
একটা বিমূর্ত পেইন্টিং বেডরুমের দেয়ালে,
তার দিকে চেয়ে চেয়ে শোনা
অজস্র সোনালী ঘোড়ার চিঁহি
আবার তাড়াচ্ছে এই দেখ
শব্দের যুদ্ধবাগান।
৩
=
সন্ধ্যের ওপাড়ে বসে আছ ঘুম জড়ানো পাখি
করতল থেকে ছড়িয়ে দিচ্ছি সোনামুগ ঝিরিজল
এই দেখ;
পাখনায় ভোর ঢালো,
শঙ্খবুকে ভরে তোল সা-নি-ধা’র শ্বাস।
হাত বাড়িয়ে আছি
আর চোখ মেলে বাঁচি পাখি
আর কত নির্জনা জানালায় !
৪
=
নিশার মত জুড়ে আছে গহনের গান।
হে মৌনময়,
পুষ্পখেলা ভুল ছিল তবু
অতুল গন্ধ ছিল চারপাশে,
দহনের দানে ছিল নতমুখী বেলা।
৫
=
এখন জানি অপেক্ষার কারণ...
এক লতার কারুকাজ বিকেল
আজ তারই মত নম্র; জ্বলে ওঠা
রোদ নিভিয়ে আসে নতমুখ
লালইট বাড়ির কিনার।
এখন জানি কোন্ আগের সকালে
শিউলিরা ফোটে নাই কেন ...
৬
=
অসুখ করেছে বলেছে নীল ফুল
রাত্রি রেখেছে ধরে মুখে গাঢ় রাত
তারে দেখব বলে ভোর করেছি চোখ
তার অসুখ করেছে বলে মন ভাল নেই
৭
=
নদী আর ঝড় এই বুকে
নাচ ও বিনাশ
৮
=
এ সন্ধ্যা জানা,-
নির্জনা, নির্জনা !
৯
=
যাযাবরের ডায়েরিতে
রাত্রির জ্বরে
‘ঘর’ আসে ঘুরেফিরে
১০
=
ডোরের আরেক নাম নামডাকা পাখি
মন বরষায় নামে বিমনা আকাশ তার বাড়ি
নামে মোহন পাখায়
আকাশটা রূপকুমারী
১১
=
হিরণবন্দর থেকে দূরে সরে গেছে
পৌঁছানোর সময়
এই ভ্রমণ তবু ক্লান্তির কানে কবিতা
১২
=
তুমিওতো কাজলার বিল ছিলে ঘুম
স্বপ্ন ভাসিয়েছিলে তালের ডিঙায়
১৩
=
এই হাত থেকে সে ময়ূর উড়েছে হে শিশুনদ
স্নান থেকে উঠে এলে
তোর নাম দেব আমি
আনন্দ
১৪
=
সূর্যমুখী
.........
বিহনের রোদেরা লেগেছে তার গায়
স্থিরআঁখি তবু আলোর নামতায়
১৫
=
পুষ্পের মুখ থেকে অজস্র রূপ-কণা নিয়ে
আলোময় প্রজাপতি
উড়ে গেল তার দেশে বন্ধুর কাছে,
আজও
পেখমের গানে তার রূপকথা আছে।
১৬
=
দিন-
আলোর ভ্রমর হয়ে গুনগুন রাত
মৃত্যু কখনও এমন সঙ্গীতময় !
১৭
=
অর্ঘ্য আমার নদীজল, প্রসূনমন যদি এক অসমাপ্ত মন্দির
১৮
=
ভাবনার বিহঙ্গ ডানায় বিজলী খেলে মেঘ বিহীন, হে মেঘা
১৯
=
সাঁঝ সুহানা
যেন ঘুম থেকে জাগা চোখে কালকের এলোমেলো
কাজল টানা
এই সাঁঝ সুহানা
২০
=
হোটেল সোনাম ডেলেকের জানালা থেকে
কৈশর দেখা যায়
পাহাড়ের ছায়া কাঁপে শাদার শরৎ
হোটেল সোনাম ডেলেকে ভাসে শারদ হাওয়ায়
কাচপালক পাখির টুইট
২১
=
কবিতাটেবিলে
..................
আলো আর ঘ্রাণ দিয়ে দিয়ে মরে গেল
একটি পুষ্প ও মোম
২২
=
রঙ ছাড়িয়ে রঙ,
অন্ধ কোকিলও জানে স্বাগত সারগাম
প্রজ্ঞা রাখে প্রকৃতি, তুমি চোখের সীমানা খুলে ফেল শময়িতা
২৩
=
বন্ধু ভাবি, মৃত্যু ভাবি না মৃত্যুকে
বন্ধুর সাথে যোগাযোগ ক্ষীণ হয় জানি
২৪
=
অতিথি জেনে যে আড়াল
হাওয়ায় পর্দা দোলে, মনও
কে কাকে ভেবেছে কত জানা
অথচ পর্দা টানানো!
২৫
=
গুমটিঘর
............
নিদ্রা নয় তবু সে নিজস্ব ভারি,
এরকম ঘুম বাসনা বহু বহু ধুলোদিনের শেষে দুই সময় প্রহরী।
২৬
=
আকাশ অন্ধ হলে ভাল
ওখানে যেমন আঁকি দিলহারা মেঘের আদল
ওখানে যেমন খুশি মণিতারা কালোর জমিন
ওরকমই ভাল তুই আমার আকাশ, চন্দ্র নিশানা ভুলে যা
২৭
=
আনন্দা,
হাত ধরে চলে যেতে পারি
গহন শোকের বাড়ি
২৮
=
হরিদ্রাদুপুর তারি তন্দ্রাছিন্ন আলোকথার মন্ত্র ইথারে প্রোজ্জ্বল। অথচ তুমি আর শীত মিলে যমজ কুঁড়ি। তবে কেন মধ্যমার অঙ্গুরীয় ছুঁইয়ে ছিলে চৈত্রী? যেই চৈত্রপূর্ণিমা আকাশে ভাস্বর তার জন্য এক একলা দর্শক কত বড় অপচয়!
২৯
=
ঢেউ লেগে লেগে ফিরে এলো আদরের নৌকো
নির্জন চারুবন্দরে
৩০
=
নিশি
......
রঙ ধরেছে সে যাদুর লাটিম
ঝিম ধরেছে সে
স্থির
৩১
=
খোঁজ
.........
যার কাছে তীর একটি পুষ্প নাম
যার কাছে দহন এই শহরের বড়লেখা দীঘি
৩২
=
অন্ত্যাক্ষরি
............
একটা অচেনা গানের সঞ্চারী তোমার ঠোঁটে।
চোখ মুছে ছিলে
আর তক্ষুণি হাতে লেগে গেল সায়নআঁধার,
বললে- এবার তুমি।
৩৩
=
যে কৃষ্ণনামে প্লাবনবিশুদ্ধি,
রুদ্রাক্ষ পরিধান-
সেখানেও নীলবাঁশি
নাই কিছু নাই, মীরাবাঈ
৩৪
=
আমরা কেঁদেছি এমন, ঝর্না পেয়েছে শ্রাবণ যেন হায়।
৩৫
=
যার নাচবাহার দেখে রাঙিয়েছ মন
সে অপেক্ষার রঙ্গন
ফুটে আছে খুব রক্ত আভায়
বিনোদনেও তোমার
৩৬
=
নদীতে তাকাও তুমি বিরহের গান
দেখ বয়ে চলেছি কেমন
৩৭
=
এই নিরুত্তাপ হিম মাটি বুক, মেঘেরা ফেলো না ছায়া আর- কান্না ফেলো না শরৎ তুমি
প্রিয়তম শাওনের মত।
৩৮
=
তুমিওতো ছেড়েছো ছবিবাজী
কবিতা লেখনা
৩৯
=
তারাদের রঙ বল কৃষ্ণবতী
অনিদ্রা ডাকি তবু কোল পাত তুমি,
বল কেন ছড়িয়েছ ঘুমের কারণ!
তারাদের রঙ বল কাজলপাতা,
অন্ধ আমাকে তুমি নিয়েছ যখন।
৪০
=
ডাস্কি
.......
লংড্রাইভ, পিছিয়ে যাচ্ছে পথ
এগিয়ে আসছে অচিন
এই পরিযান বাঁক নিচ্ছে ক্রমশ সমুদ্রে
অথবা কিছু উশখুশে
আর ক্রমশ পিছিয়ে যাচ্ছে দহনের মধ্যাহ্ন
খুব এগিয়ে আসছে বীচ,
একদল হিপ্পি মেয়ে।