হারানো বিজ্ঞপ্তি
বিষ চাইবো না কেন?
যখন বাতাসে বারুদ গন্ধ, কার্বনমনোক্সাইড
নিঃশ্বাসে-প্রশ্বাসে প্রতিদিন অনুক্ষণ
অজান্তে কালো মৃত্যুর সাথে ওঠা বসা।
আমাদের মত যুবকের আজকাল
দিবাস্বপ্নে ড্রাকুলা;
- সুখ আর শ্যামলী প্রহর
- আমার স্বপ্নলীনা
- আপনার চৈতী চাঁদের রাত, আর
তোর মত বন্ধুর স্বচ্ছ উচ্ছাস
বড় বেশি পর হয়ে গেছে এই ধূসর সময়ে।
বড় বেশি মমতায় সাজানো হরিৎ অরণ্যে
অন্য শব্দ নেই;
গাছের সাথে পাতার
পাতার সাথে ফুলের
এবং ফুলে আর ফলে কোন সদ্ভাব নেই - আজকাল।
আজকাল 'সুন্দর' বড্ড চপলা
ওকে আদর করি না বলে স্পষ্টই বলেছিলো-
আজ নয় কাল, তোদের কান্না হব আমি
চলে যাব
এই বিষাক্ত নগর থেকে শাল তমালের বনে
ধূসর ধূসর ক্ষণ, সুনীল সভ্যতা
ভালো লাগে না যে !
চলি, দেখা হবে তমালের বনে।
তাই রুপোলী আলোর চাঁদে
পৃথিবী সাজে না আর
চাঁদের আলোয় আজ
জীবন আর সুন্দরের মিতালী খুঁজি না
কারণ ইদানিং শিল্পায়ন আর তার তীব্র হলাহলে
জন্ডিস ধরে গেছে তাজমহলে;
- সাঁতার জানি না বলে নদীতে নামি না
- হঠাৎ বৃষ্টি এলে জ্বর ভয়ে মাতাল ভিজি না
যদিও কাল কেউটের সাথে নিত্য বসবাস
তবু সংসারী মন বলে,-
বনে যাবো?
হায় সুন্দর!
সত্যিই চলে গেলে!
সুন্দর হারিয়েছে, খোঁজ নেই তার
আর তাই - বিষ চাই
যখন অসহায় দেখতে পাই,-
মৃত হয়ে পড়ে আছে সভ্যতার অমৃত পুত্র
আমার বদ্রী জোড়া
তোর প্রেমিকার লম্বা কালো চুলে
কালকেই দেখেছিস স্মার্ট বয়কাট
উদ্দাম পার্টিতে শাড়িহীনা স্বপ্নলীনার মিনিস্কার্ট
ক'দিনের কাঠফাঁটা রোদে
বেঁচে নেই গলির মোড়ের শিশু কামরাঙা গাছ--
যাক, নিখোঁজ সংবাদ দীর্ঘ না করে
এক পাগলের কথা বলে শেষ করি।
ওকে পুতুল নাচের বাধ্য পুতুলরা বলতো - পাগল
এমনি হয়
সংসারে অচল মুদ্রারা প্রথম প্রথম হয় আত্মভোলা,
এরপর মাথায় ছিট্
তারপর ওরা হয় সুন্দর সমাজের কুখ্যাত কীট-
সুসংবাদ! মরে গিয়ে বেঁচে গেছে পাগলা ভোলা;
সকলেই দেখতে পেতাম
খুব ভোরে স্নান সেরে দেবালয়ে মাথা নুয়ে
সেই পাগলের দীর্ঘ প্রণাম,
সন্ধ্যা পূজোয় তার কাসীর ট্যাং ট্যাং শব্দ
যেন পৃ্থিবীর প্রতি তার ভালোবাসা জানান দিতো প্রতি সন্ধ্যায়
জীবনের বহুবিধ বিচিত্র অধ্যায়
তুমি জানতে, ভোলা?
জানি, জানতো না। তবু শত সন্ধ্যাকে সুন্দরে সুন্দরে
দারুন সাজাতো; প্রাসাদোপম দেবালয়ে প্রসাদে পয়সায়
পূজো শেষে প্রাচুর্যের ছড়াছড়ি
যখন একটু সুখের তরে অনেকের এতো বাড়াবাড়ি
তখন পাগলা ভোলাও বিখ্যাত শিকারির মত,-
"দুপুরেও খাই নি
দু' মুঠো ভাত দিবি, মা !" - বলে বলে
প্রতিটি রাতের সৌন্দর্যকে চিবিয়ে খেয়েছে
আমরা এভাবেই বুঝে গেছি
মেনেও নিয়েছি অসহায়
হায়! 'সুন্দর' হারিয়ে গেছে
কোত্থাও খোঁজ় নেই তার।
যখন বাতাসে বারুদ গন্ধ, কার্বনমনোক্সাইড
নিঃশ্বাসে-প্রশ্বাসে প্রতিদিন অনুক্ষণ
অজান্তে কালো মৃত্যুর সাথে ওঠা বসা।
আমাদের মত যুবকের আজকাল
দিবাস্বপ্নে ড্রাকুলা;
- সুখ আর শ্যামলী প্রহর
- আমার স্বপ্নলীনা
- আপনার চৈতী চাঁদের রাত, আর
তোর মত বন্ধুর স্বচ্ছ উচ্ছাস
বড় বেশি পর হয়ে গেছে এই ধূসর সময়ে।
বড় বেশি মমতায় সাজানো হরিৎ অরণ্যে
অন্য শব্দ নেই;
গাছের সাথে পাতার
পাতার সাথে ফুলের
এবং ফুলে আর ফলে কোন সদ্ভাব নেই - আজকাল।
আজকাল 'সুন্দর' বড্ড চপলা
ওকে আদর করি না বলে স্পষ্টই বলেছিলো-
আজ নয় কাল, তোদের কান্না হব আমি
চলে যাব
এই বিষাক্ত নগর থেকে শাল তমালের বনে
ধূসর ধূসর ক্ষণ, সুনীল সভ্যতা
ভালো লাগে না যে !
চলি, দেখা হবে তমালের বনে।
তাই রুপোলী আলোর চাঁদে
পৃথিবী সাজে না আর
চাঁদের আলোয় আজ
জীবন আর সুন্দরের মিতালী খুঁজি না
কারণ ইদানিং শিল্পায়ন আর তার তীব্র হলাহলে
জন্ডিস ধরে গেছে তাজমহলে;
- সাঁতার জানি না বলে নদীতে নামি না
- হঠাৎ বৃষ্টি এলে জ্বর ভয়ে মাতাল ভিজি না
যদিও কাল কেউটের সাথে নিত্য বসবাস
তবু সংসারী মন বলে,-
বনে যাবো?
হায় সুন্দর!
সত্যিই চলে গেলে!
সুন্দর হারিয়েছে, খোঁজ নেই তার
আর তাই - বিষ চাই
যখন অসহায় দেখতে পাই,-
মৃত হয়ে পড়ে আছে সভ্যতার অমৃত পুত্র
আমার বদ্রী জোড়া
তোর প্রেমিকার লম্বা কালো চুলে
কালকেই দেখেছিস স্মার্ট বয়কাট
উদ্দাম পার্টিতে শাড়িহীনা স্বপ্নলীনার মিনিস্কার্ট
ক'দিনের কাঠফাঁটা রোদে
বেঁচে নেই গলির মোড়ের শিশু কামরাঙা গাছ--
যাক, নিখোঁজ সংবাদ দীর্ঘ না করে
এক পাগলের কথা বলে শেষ করি।
ওকে পুতুল নাচের বাধ্য পুতুলরা বলতো - পাগল
এমনি হয়
সংসারে অচল মুদ্রারা প্রথম প্রথম হয় আত্মভোলা,
এরপর মাথায় ছিট্
তারপর ওরা হয় সুন্দর সমাজের কুখ্যাত কীট-
সুসংবাদ! মরে গিয়ে বেঁচে গেছে পাগলা ভোলা;
সকলেই দেখতে পেতাম
খুব ভোরে স্নান সেরে দেবালয়ে মাথা নুয়ে
সেই পাগলের দীর্ঘ প্রণাম,
সন্ধ্যা পূজোয় তার কাসীর ট্যাং ট্যাং শব্দ
যেন পৃ্থিবীর প্রতি তার ভালোবাসা জানান দিতো প্রতি সন্ধ্যায়
জীবনের বহুবিধ বিচিত্র অধ্যায়
তুমি জানতে, ভোলা?
জানি, জানতো না। তবু শত সন্ধ্যাকে সুন্দরে সুন্দরে
দারুন সাজাতো; প্রাসাদোপম দেবালয়ে প্রসাদে পয়সায়
পূজো শেষে প্রাচুর্যের ছড়াছড়ি
যখন একটু সুখের তরে অনেকের এতো বাড়াবাড়ি
তখন পাগলা ভোলাও বিখ্যাত শিকারির মত,-
"দুপুরেও খাই নি
দু' মুঠো ভাত দিবি, মা !" - বলে বলে
প্রতিটি রাতের সৌন্দর্যকে চিবিয়ে খেয়েছে
আমরা এভাবেই বুঝে গেছি
মেনেও নিয়েছি অসহায়
হায়! 'সুন্দর' হারিয়ে গেছে
কোত্থাও খোঁজ় নেই তার।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন