১ = হরিৎ বাসনা উড়িয়েছে শরৎবালা আমি তার নয়নবিন্দু ছুঁয়ে প্রাণ নিয়েছি প্রাণ এ আমার নিখিলজীবন; তার ঠোঁটের শিরীন নিয়ে চলে যাব উদ্ভাসী নবান্নের দিকে ২ = অরণ্য থেকে মশগুল নৈঃশব্দ্য এনে ফেলে রেখেছিলাম অন্দরে মিডনাইট ব্ল্যাক প্রচ্ছদে একটা বিমূর্ত পেইন্টিং বেডরুমের দেয়ালে, তার দিকে চেয়ে চেয়ে শোনা অজস্র সোনালী ঘোড়ার চিঁহি আবার তাড়াচ্ছে এই দেখ শব্দের যুদ্ধবাগান। ৩ = সন্ধ্যের ওপাড়ে বসে আছ ঘুম জড়ানো পাখি করতল থেকে ছড়িয়ে দিচ্ছি সোনামুগ ঝিরিজল এই দেখ; পাখনায় ভোর ঢালো, শঙ্খবুকে ভরে তোল সা-নি-ধা’র শ্বাস। হাত বাড়িয়ে আছি আর চোখ মেলে বাঁচি পাখি আর কত নির্জনা জানালায় ! ৪ = নিশার মত জুড়ে আছে গহনের গান। হে মৌনময়, পুষ্পখেলা ভুল ছিল তবু অতুল গন্ধ ছিল চারপাশে, দহনের দানে ছিল নতমুখী বেলা। ৫ = এখন জানি অপেক্ষার কারণ... এক লতার কারুকাজ বিকেল আজ তারই মত নম্র; জ্বলে ওঠা রোদ নিভিয়ে আসে নতমুখ লালইট বাড়ির কিনার। এখন জানি কোন্ আগের সকালে শিউলিরা ফোটে নাই কেন ... ৬ = অসুখ করেছে বলেছে নীল ফুল রাত্রি রেখেছে ধরে মুখে গাঢ় রাত তারে দেখব বলে ভোর করেছি চোখ তার অসুখ করেছ...
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন