পোস্টগুলি

জানুয়ারী, ২০১০ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

শঙ্খিনী সুখ

সুগন্ধী ল্যাভেন্ডার বুকের নিবিড়ে বাস করে, পরিলেখ মুছে দেয় তোমার – আমার বিয়োগবিধুর বেদনার, দিনপঞ্জী মুছে ফেলে কোন এক গায়েবী শৃঙ্গার রৌদ্রপক্ক আমলকি বনে শ্যামসুন্দর আছে কেউ বিঁধে ফেলে আসমুদ্রহিমাচল নিরল সবুজ, মধুমাসে হয়ে যায় ব্যথার কাতিল। সাতরঙ সীবনে বুনে যায় চুপচাপ জীবন চাদর চোখঝিলে ডাকে এক সুখি গাঙচিল। কার করচিহ্নে বাজে বুকের এস্রাজ? প্রদোষকালের মায়ার মত কার আছে এরকম সুরূপ গড়ন? কার আছে রোহিনীর সাজ মুখছায়া ধরে রাখা আয়নার সাহসী সে লাজ? মহানীল জোনাকির রঙ জ্বলে জ্বলে মায়া দেয় কোথায় কখন? সাজো ভোরের বাতাসে জাগরূক রাত্রির শেষমেশ ভেসে আসে কোন এক বিস্মৃত মুখ ডেকে আনে বিরলতা - আততায়ী শঙ্খিনী সুখ !

রাত্রিপ্রবণ মন

ছবি
বুকের পিরামিডে, পদ্যমমি রাত ঘুমিয়ে থাকে। খুন-খারাবের আভাষ জানে মনের টেলিপ্যাথি ঝাউবাগানে আমিই তারার সাথী; তারার কোরাস জলের রঙে চিহ্ন এঁকে রাখি আমিই জানি তোমার স্বপ্নলিপি আবডালে যার নীড় বেঁধেছে একটি পদ্যপাখি রাতমৌনে তারার জরিপ পদ্যে লিখে রাখি। সহজ কথাই ভালো, চোখেরতারায় আসক্তি যার নাব্যবুকে বয়ে যে তার ভ্রমণ শুরু হোল – ঐ চলনে শঙ্খশাদা হাত ছুঁলোযে কাকচক্ষু জল - তিনসত্যি প্রেমের ফলাফল। কাকচক্ষু জল ছুঁয়েছে রূপজ্বলজ্বল পরী শীতলপাটি চন্দ্রালোকে পদ্য প্রভাতফেরী- প্রভাতফেরীর গান গেয়েছে রাত্রিপ্রবণ মন গানের লিরিক – জারক হাসি, রাত্রি আলাপন।

মৌনসুগন্ধে

মৌনতাও এখন ঐ ছলচ্ছল যমুনার বুক প্রতিসারী সময়কে ধরে ফেলে তাই চতুর দোয়াড়ি রঙের ঝনাৎকারে - সুখের আঘাত, অনভ্যস্ত হাত প্রজাপতি ধরে ফেলে এসময়। অন্তরালও হয়ে যায় সস্নেহঘুম ছায়াঘর আলো করা নিবাত প্রদীপ, বিহ্বল মুখশ্রীর মত বহুদূর আলোকবর্ষ অন্তরীপ। মৃন্ময় পেঙ্গুইন এক রাতের আলোয় বসে থাকে অরুন্ধতী চোখ ইশারায়, আবারও যে দেবদারু শিস্ দিয়ে ডেকে ওঠে দমকা হাওয়ায় হিম ভোরে সূর্যছায়ায়।

রথীর আবৃত্তি

আমি অনেক কিছুই পারি সযত্ন চোখ রাখি ঐ সেই সবুজ কেয়ারী, কারো বায়নায় বৃষ্টিও হয়ে যেতে পারি। হতে পারি ধনেশ পাখির ঠোঁট, ভোরের বাগানে কারু ধুচনিও হতে পারি অগোছালো হাতে। দ্বৈরথে পৃথিবীর সাথে জীবনের পরগনা বাড়িয়েছি আমি, এ প্রত্নদর্শন শেষে রাজসাক্ষী হতে পারি তাই। মল্লিকা ঘ্রাণেও হতে পারি রিপুর বিমুখ- আমি এক শতাব্দীর তৃষিত পূজক দক্ষিণান্তে দেখেছিতো,- তুমি সেই ঐশ্বর্য এক সুখের অসুখ রঙধনু প্রচ্ছদে অনুপুঙ্খ পড়েছি যে মুখ ! রমিত স্বপ্নের বীজ বুনেছি যে আজ চরাচরে - একলা রথীও ঘরে ফেরে ছড়িয়েছি ইথারে ইথারে

সহস্র তারা জ্বলেছে

ছবি
সতীর্থ কষ্টেও উত্তরফাল্গুনী রাত প্রচ্ছদে নেমেছে। অথবা সে যেন এক বৃষ্টি এসেছে - নূপুরশব্দ যত অপ্সরী বিন্দুর ধারা তৃষ্ণার চোখে নেমেছে । বা কোন ভ্রমর দাহীর ইশারায় বসন্ত আহ্লাদে অগ্নিশিখার মত পলাশের বনে জেগেছে ; মুদ্রাশংখ কিছু অবাধ সাঁতার শেষে শূন্য শিথানে রেখেছে। প্রসন্ন হতে জানে, দীর্ণ করতে জানে আমার শরণ সেতো প্রকৃতির মত, চন্দন-ঘাসফুল করতলে নিয়ে হয়তো সে আজ ফিরেছে - মসলিন প্রহরের চিকন চোখের কাজ হয়তোবা হেসে গিয়েছে, নেমেছে আমার চোখে নেমেছে তোমার মুখ সহস্র তারা জ্বলেছে।

-আব্রাহাম লিংকন এর সেই বিখ্যাত চিঠি-

এই সেই বিখ্যাত চিঠি যা আব্রাহাম লিংকন তাঁর পুত্রের শিক্ষককে পাঠিয়েছিলেন। দেখুন না, আপনার সন্তানকে আপনি বা তার শিক্ষক এই শিক্ষা দিতে পারেন কিনা? Lincoln’s Letter to his Son’s Teacher - He will have to learn, I know, that all men are not just, all men are not true. But teach him also that for every scoundrel there is a hero; that for every selfish Politician, there is a dedicated leader… Teach him for every enemy there is a friend. Steer him away from envy, if you can, teach him the secret of quiet laughter. Let him learn early that the bullies are the easiest to lick… Teach him, if you can, the wonder of books… But also give him quiet time to ponder the eternal mystery of birds in the sky, bees in the sun, and the flowers on a green hillside. In the school teach him it is far honourable to fail than to cheat… Teach him to have faith in his own ideas, even if everyone tells him they are wrong… Teach him to be gentle with gentle people, and tough with the tough. Try to give my son the str...

'ভাল থেকো' বলে অকারণে

ছবি
দিয়ে গেছে হৃদয়ে সন্ন্যাস ঘরজোড়া অগোছালো দিয়ে গেছে সেই এক বাতাবির ঘ্রাণ। খঞ্জরী কিছু আছে স্পর্শচিহ্ন দিতে জানে খুব তিথিকৃ্ত্য শেষে খিলখিল হেসে ওঠে; আমিওতো পান করি বিজলীর চোখ - জলরূপ পান করি বন্যায় ভাসানো বিনাশ। আমিও যে ধ্রুবলোক চিনি ! দীপ্র সূর্য থেকে কৃষ্ণপক্ষ অবশেষ, দৃষ্টির মিহিজাল বুনি; আজ চাঁদক্ষয়ে বেড়েছে যে ধ্যানীর নিশীথ - প্রেমযোগ্য অবোধ বিষাদ বিবাগী সান্ধ্যপথ ভরে গেছে বাতাবির ঘ্রাণে -- সাঁঝবাতি হাতে কারো শ্যামনীল ঠোঁট কাঁপে- 'ভাল থেকো' বলে অকারণে।

old is gold

Go ahead and rain on me hum tumhein chahete hai aise o mere dil ke chain Get this widget | Track details | eSnips Social DNA chanda O chanda Get this widget | Track details | eSnips Social DNA said i loved you but i lied Get this widget | Track details | eSnips Social DNA karvate badalte rehe sari raat hum - aap ki kasam Pyaar Deewana Hota Hai Get this widget | Track details | eSnips Social DNA o mere sona re এই রাত তোমার আমার Get this widget | Track details | eSnips Social DNA Dil Kyea kare jab kisise kisiko pyar ho jaye Get this widget | Track details | eSnips Social DNA mere naina sawan bhado Get this widget | Track details | eSnips Social DNA চেনা চেনা লাগে তবু অচেনা Turn Back The Clock Get this widget | Track details | eSnips Social DNA i just wanna be close to you phir wohi raat hai Get this w...

নস্টালজিক কৈশোর

innocence (ignorance) is kind...

হলিনাতো তাথৈ তিতির

ছবি
দ্রোহী হৃৎপিন্ডের ঝিল্লিভেদী শায়ক খুঁজে ফিরি, ওরকম রক্তক্ষরণ খুঁজি কারুণিক। সাপিনী নাচাতে চায় ঠোঁট, চেপে ধরে বিনোদিয়া বীণ অন্ধ ডুবুরী আমি, নেমে যাই বিষনদী বুকে - ক্ষত্রোচিত লড়ে যাই - আমি এক প্রবুদ্ধ সুন্দর শামিয়ানা হয়ে রই ঠায় - রোদ ঝড় বৃষ্টিতে অমলিন করে রাখি কবিতার প্যাস্টেল পেইন্ট। কুয়াশার সূচিভেদ্য মুখে আছে সূর্যশিশুর কারুকাজ শুনে রাখ্,- ম্লান চোখতারা কোন আমার জ্যোতির্ময়ী দ্বীপ,- একলা পানসি আমি ভাসিয়েছি আজ এই ভোর শুধু সময় হোল না তোর, মাখলিনা পৃথিবী আবির বৃষ্টিতে ঘরে বসে ছিলি, হলিনাতো তাথৈ তিতির।

এক রাত, যতিচিহ্নহীন

খুশীর নদীর বুকে স্নাত হাসিমুখ তারা ভরা রাতে পালয়িতা মুখ অবনত চিত্রলেখার ধারাপাতে তুমিও এসেছো বর্ষণ ধ্রুপদী আঁধার সাঁঝবাতি নগ্ন নিলীন নন্দন তোমাকে জড়িয়ে ধরে রাখি এসেছো অচেনা নির্জণ ছুঁয়ে চোখ শীর্ণ মলিন মদির মুখর আলোড়ন এক রাত, যতিচিহ্নহীন যেয়ো না যেয়ো না পালয়িতা জল চায় আজ তৃণভূমি চন্দন কাঠে সেজে চিতা অফুরান ভেজা মৌসুমী

আকাশ শ্রবণা

চোখের পাতার মত কাছাকাছি ছিলো সে যে আকাশ শ্রবণা, লাল চোখে ঘুম দিয়ে অচেতন মিলেমিশে যায় -- তবু কেউ কি তা জানে, কোথায় কখন কবে আঁধারের রঙ লাগে ঝিলমিলে ঝুলন মেলায়? কেউ কি তা মানে, পিচ গলা পথটারে ছায়াহীন করেছে যে এক ছায়াকরী? কোথায় কখন ঘটে হৃদয়ের বেদনা জারণ; দোলনার বেঁধে রাখা ঝুম্‌ঝুমি থেকে - রাংতারা খসে যায় কেউতো জানে না ! নৈর্ঋতে মেঘ জমে তখনো কি নেচে ওঠে স্মৃতির ময়ূর? আনমনা হয়ে যায় পলাতকা পাখি? সজাগঘুমেও দেখি আলোর আকাশ, খসে পড়ে ঝিকিমিকি তারা -- অলিন্দ-নিলয় রোধী আকাশ শ্রবণা

একটি অসাধারণ গান

Bee Gees এর এই গানটি আগ্রহীরা শুনে দেখুন। যেমন পাগল করা লিরিক্স, তেমনি সুর। Singing trio of Brothers Barry, Robin এবং Maurice Gibb এর অসামান্য সৃষ্টি এটি। গানটি শুনুন এবং দেখুন লিরিক্স দিয়ে দিলাম। One I feel my heartbeat, when you run your fingers through my hair. (Yeah) I can tell you, I can feel you by my side when you're not there. (Yeah) Just as my life fades to darkness you make me see the light. Show me that my search is over I pay the price, I pay the price. Tell you someday baby you and I should be one, one. Do it always, brighter than the eye can see, we hide the sun. The taste of love is sweeter like honey on the vine, like the wind that feeds the fire, two souls become entwined. Someday baby you and I should be one, one. VERSE 2: So I'm standing 'round this corner Tall enough to touch the New York sky, oh yes My love is so blind I just cannot hear or see the world go by, oh yes Someone can love so completely One kiss should break the sea. Truth can be stranger th...

হারানো বিজ্ঞপ্তি

বিষ চাইবো না কেন? যখন বাতাসে বারুদ গন্ধ, কার্বনমনোক্সাইড নিঃশ্বাসে-প্রশ্বাসে প্রতিদিন অনুক্ষণ অজান্তে কালো মৃত্যুর সাথে ওঠা বসা। আমাদের মত যুবকের আজকাল দিবাস্বপ্নে ড্রাকুলা; - সুখ আর শ্যামলী প্রহর - আমার স্বপ্নলীনা - আপনার চৈতী চাঁদের রাত, আর তোর মত বন্ধুর স্বচ্ছ উচ্ছাস বড় বেশি পর হয়ে গেছে এই ধূসর সময়ে। বড় বেশি মমতায় সাজানো হরিৎ অরণ্যে অন্য শব্দ নেই; গাছের সাথে পাতার পাতার সাথে ফুলের এবং ফুলে আর ফলে কোন সদ্ভাব নেই - আজকাল। আজকাল 'সুন্দর' বড্ড চপলা ওকে আদর করি না বলে স্পষ্টই বলেছিলো- আজ নয় কাল, তোদের কান্না হব আমি চলে যাব এই বিষাক্ত নগর থেকে শাল তমালের বনে ধূসর ধূসর ক্ষণ, সুনীল সভ্যতা ভালো লাগে না যে ! চলি, দেখা হবে তমালের বনে। তাই রুপোলী আলোর চাঁদে পৃথিবী সাজে না আর চাঁদের আলোয় আজ জীবন আর সুন্দরের মিতালী খুঁজি না কারণ ইদানিং শিল্পায়ন আর তার তীব্র হলাহলে জন্ডিস ধরে গেছে তাজমহলে; - সাঁতার জানি না বলে নদীতে নামি না - হঠাৎ বৃষ্টি এলে জ্বর ভয়ে মাতাল ভিজি না যদিও কাল কেউটের সাথে নিত্য বসবাস তবু সংসারী মন বলে,- বনে যাবো? হায় সুন্দর! সত্যিই চলে গেলে! সুন্দর হারিয়েছে, খোঁজ নেই তার আর তা...

আবাহনী

মগ্ন সত্তার দিন ফুরায় না বলা কথাগুলো পৌঁছে যায় স্বপ্নকথা বল রাত্রি-দিন শীর্ণ সাদা চোখ হোক রঙিন রৌদ্র স্নানে চলা যাত্রী সব শুদ্ধ করে রাখো, আজ পরব মৃত্যু ক্ষুধা ভরা যন্ত্রণা শোকেরা দূরে থাক, কাঁদবো না প্রাণেতে প্রাণ বাজে ছন্দময় মেঘেরা উড়ে গেছে, আজ সময় আলোরা নেচে গেছে দিগ্বিদিক স্বজন প্রাণে ভোর পৌঁছে দিক আকাশ কালো ঝড় উৎসারে ক্লান্ত নাবিকেরা আজ পাড়ে তুমিও কাছে থেকো এই মেলায় ছন্দ কাঠিনাচ এই খেলায় টুকরো মৃত্যুরই দিন জ্বলা বৃক্ষ ছায়া হই এই বেলা।

বর্ষ বিদায় ক্ষণে

ঘন কুয়াশার জাল ছিন্ন করেছিলো কাল চাঁদ। শুদ্ধ করে দিয়েছিলো পৃথিবীর সকল প্রমাদ। মহাসড়কের এপারে দাঁড়িয়ে, আমিও দেখেছি কাল বহুদূর দিঘী'র বুকে নীল শাপলা এক, শুকনো শীতের গাছে গৈ্রিক পাহাড়ী প্রলেপ। শীত শীত কিছু মুখ পূর্ণেন্দুর বুক থেকে শুষে নিলো যাবতীয় ওম ঘাসের শিশির থেকে মুখ ঘষে নিয়ে নিলো জীবনের ঘ্রাণ। দিগন্তে নীলাভ্র ছুঁয়ে নিলো নিবুনিবু গত'র ধূসর ক্ষণিকারে-- তুলে নিলো নিজ হাতে যা কিছু পুণ্যসঞ্চয় কণিক সত্য যা-ই ছিলো। বিমুগ্ধ বিমূঢ় এক রাত ছিলো কাল সব শেষ হয়ে যায় নাই যার কিছু সুর, কিছু ক্ষন কিছু কিছু যার মাঝে বাকি রয়েছিলো নিহত শুদ্ধ মন প্রেত হয়ে ঘোরে আজ নষ্ট সময়ে অনন্ত জিজ্ঞাসা নিয়ে ক্ষয়ে যাওয়া দু'চোখ তবু আদিগন্ত গৈরেয় হরিৎ দেখেছে পূর্ণিমায়; আগুনতো দেখে নাই কাল !

মেরুন মেরুন স্কার্ট

ইঞ্জিন নৌকোর মুখোমুখি ছুটে আসে এ্যারাবিয়ান সী সুবিশাল - নীল তারও চেয়ে অসহ্য সুন্দর বাঁ দিকে বসা মেরুন মিষ্টি স্কার্ট আমার জানা ছিলো না পর্যটকের দৃষ্টিও এত শূন্য হতে পারে অসংকোচ হাওয়ার স্নানে কাল্লাই নদী-- দলবাঁধা চোখের ল্যান্সে লোনা লোনা জল - ঐ নিঃসঙ্গার আড়চোখে দেখে নেয়া আরব সাগর আকাশে ঘুমের মত মেঘ অজস্র নারকেল-সুপুরির ক্যালিগ্র্যাফি'র মাঝে সন্ধ্যার বিবশ আলোয় বসে ছিলো মেরুন মেরুন স্কার্ট হলদে পুঁথির পাতার মত বসে ছিলো একলা সিন্যাগগ্

দাহিকার সজ্জায়

ঐখানে তোমার চোখের পলক পড়েছিলো চেনা সময়ের ম্যুরাল গড়েছি তাই পানাম নগরে সাতরঙা ঝুঁটি বেঁধে এসেছিলো ঐখানে পলাতকা পাখি বিয়োজিত টানের রেখা ধরে মিলিয়েছি কপালের চিত্রল টিপ্ এই ছুটকো বসত ভেংগে বানিয়েছি তোমার জমিন আমি অথবা তার-ই মত কষ্ট করতলে নিয়েছি আমার -- উড়িয়েছি উড়ন্ত খৈ-এর মত একটা জীবন দুই মানুষের অনুভব হেঁটেছে অগুনতি দিন গেছে অরণ্যে হিমশীতল রাতে ক্যাম্প ফায়ার ঘুরে ঘুরে জীবনের কাহারবা কত -- আর কোন চৈতী রাতেই চাতকের কাছ ছুটে এসে বৃষ্টির ফোঁটাগুলো উল্কাপাত করে গেছে

স্বর্গেরো মুখ

অধরাই সুন্দর বেহাল বেহুলা কাঁদে, অতৃপ্ত শিল্পী আঁকে ক্যানভাসে অপার্থিব মুখ -নিটোল দুঃস্বপ্ন আঁকে -শূন্য দৃষ্টি আঁকে প্রিয়নাম ধরে ডেকে ডেকে ক্লান্ত হলে শেষে বেদনাই হয়ে যায় প্রিয়নাম কারো- নিরুত্তর অন্তর সন্তর্পণে অন্তরীণ করে রাখে বুকে, স্বর্গেরো মুখ। হঠাৎ দেখতে পাই- মৃত্যুই কতখানি জীবন্ত হতে পারে ক্রুশবিদ্ধ যিশুর মৃত্যুর মতো অকালেই মরে যায় কবিতার ভ্রূণ, সোনার জলে লেখা কবিতার মোহময় কৃষ্ণ শরীর অনাঘ্রাত পড়ে থাকে যুবতী অঘ্রানে।

মৌন রাতের টেলিফোন

জানতাম ক্ষনিকের তাই বিশ্বাসে ভালোবেসে এক চুমুকেই সাবড়ে দিতাম বিরহের বিষ। হঠাৎ খেয়াল বশে হুইস্কি খাওয়ার লোভে অথবা গোপনে লুকনো কোন আদরের আগে করা মিথ্যে প্রমিস একবার নয় - বহুবার করেছি, তা বলেই প্রতারক আমি? জীবনের জ্যোৎস্না স্নানেই আছি আমি সময়কে ভেবেছি নিরাপদ দূরত্বে বাঁধা সেগুন স্লিপার দেখ কত স্বচ্ছন্দে পেরিয়ে এলাম সেই সেতুর মধ্যিখান ঠিক যেইখানে কথা হয়েছিলো দেখা হবে অনন্তকাল জানা হবে অন্তহীন ভালোবাসাবাসি হবে সময়ের শব্দার্থ যতদিন ঠিক থাকে একেবারে ঠিক ততদিন- সব মৌনতার হিসেব রেখেছে মন বেডরুমে মৌন রাতের টেলিফোন

সমর্পন

তোমাতে নিমগ্ন হব আমি পৃথিবীর মত অপরূপা গ্রহে তোমার জীবন, আমার জীবন এক জীবনেই লীন হয়ে যাক। তোমাতে পূর্ণ হব আমি ধীরে অথচ সুস্পষ্ট ষোলকলায় আমি মূর্ত হব এমনি ভাবেই সৃষ্টি করে যাব অলিখিত প্রেয়সী কবিতা অনাবাদী জমি চষে ঘরে তুলে নেব সোনালী ফসল ঘন কুয়াশায় ঠিক চিনে নেব ঠিকানার সোজা পথ। তুমি কাছে থাক, তুমি পাশে থেকো দেখো, তোমাতে স্পষ্ট হব আমি এই উদ্ধত উদাসীনতা তোমাতে বিলীন হোক। তুমি দূরে চলে যেও তুমি চলে যাও দূরে - তবু তোমাতে নিমগ্ন হব আমি তোমাতে পূর্ণ হব আমি তুমিহীনা আমার স্পষ্টতা বেড়ে যাক শতগুনে।

দাগ দিয়ে যাও

পর্দা সরাও উঁকি মার আমায় তুমি দেখ চালচুলোহীন রাত্রি যাপন হিসেব লিখে রাখ এই আঙিনায় দাগ দিয়ে যাও তোমার পায়ের ছাপে প্রিয়তম গান হয়ে যাও অর্থহীন আলাপে লাভ কি বল পিছু হেঁটে জীবন থেকে দূরে সামনে বা পেছনে চল আমার বৃত্ত জুড়ে আড়াল থেকে আড়াল রেখে অগ্নি দহন হবে ? সূর্য জ্বলা বুকে আগুন কতটা পোড়াবে !

এলে

তোমার নম্রতা, প্রসুপ্ত সুন্দর যেন ফিরে পাওয়া অর্কিড দাহক সময়ে। হৃৎপিন্ডে তোমার অরূপ আঁচড় জীবনের দিগন্তরে নক্ষত্রের ঐহিক ইশারা আমার। দীপিতা তুমি আলোয় আলোয় আঁধার থেকে দু'চোখ ফেরালে অতল নদীতে ফেলে তোমার আঁচল সাঁতার শেখালে; ফেনিল কষ্টে দিলে বৃত্য নম্রতা তোমার-

তুমি কি আমার বন্ধু? (শচীন স্মরণে)

গোমতীর পাড়ে তুমি গাও এক সুরে গেঁথে দিয়ে বন্ধুর মন সুরের সমর্পনে অনুভবের নিটোল পায়ে পায়েল তোমার কত সহজ অথচ অনুভব মুচড়ে নিয়ে অমূল্য হয়ে যাও শুক্তির বুকে মুক্তার মত পৃথিবীর চাতুরীতে বুকে পোষা বিরহপ্রেমিক আছেইতো কেউ কেউ - তুমি কি আমার বন্ধু? ভালবাসা ভালবেসে দখিনো হাওয়াকে কিছু বলেছিলে তুমি...

?

তুমি শেষ বেলাকার শান্তি তুমি মানেই সূর্যাস্তের বিধুর প্রণাম তুমি এক আশ্রয় তুমি একটা শরীর-মনে দীর্ঘকালীন ব্যথা তুমি এই পুণ্যতীর্থের একমাত্র আশ্রম তুমি আমার নিশাচর ভাবনা গুলোর সমন্বয় তুমি মানেই জীবনের শরীর ঘেঁষে থাকা তুমি একটা সময় চোর, ক্ষতিকর মায়া তুমি মানেই প্রকৃতির গন্ধ ছুঁয়ে থাকা তুমি মানেই কষ্টভোগী আরো একটি কি দু'টি প্রাণের জন্ম তুমি এক বেপরোয়া জীবন স্বপ্ন তুমি মানেই সাবধানতা, ডানে বাঁয়ে দেখে চলা তুমি জীবনের সুরকার, এক অদ্ভুত নিরাপত্তা তুমি মানেই বাউল এ মনটাকে বেঁধে ফেলা তুমি তাই এক জটিল কূটিল প্রশ্নবোধক চিহ্ন তুমি যদি হবে ছন্দের নাম তবে তুমিই কেন দ্বন্দ্ব?

প্রতিদিন বিজয়ের

বিজয় আমার আঙিনার খোলা গীতি- হাসি মুখ প্রাণ তিরিশ লাখের স্মৃতি বিজয়ে পৌঁছি যোজন দূরের যমুনা বাড়ির ঘাট মুক্তির রঙে এই ব-দ্বীপ নকশী কাঁথার মাঠ। বিজয় আজকে ঘের তুলে নাও ঘের স্বপ্নকে ধরে শপথ করেছি প্রতিদিন বিজয়ের।।

স্লোগানে স্লোগানে

বিজয় আমার বুকে ষোল আমার বিশ্বাস। জেগে আছে চোখে চোখে বিজয়েরই মাস।। -রাজপথ গর্জে উঠুক- ১] বার-বার প্রতিবার জাগুক ষোলর অহংকার ২] চেতনারই ঝড় তোল ষোলই ডিসেম্বর ৩] জানুক প্রতি জন ষোল বাংলার অর্জন ৪] শহীদের স্বপ্ন ছুঁয়েছি বলবো কথা রেখেছি ৫] ষোল ষোল ষোল পতাকা ওড়াতে এলো

নৈনীতাল ভ্রমণ - ঘোড়া আতংক !

ছবি
বেশ কয়েক বছর আগের কথা। কয়েক বন্ধু মিলে সিদ্ধান্ত হল শীতে কোথাও বেরিয়ে পরার। আচ্ছা নৈনীতাল হলে কেমন হয়? শুনেছি নৈনী হ্রদটা নাকি দেখার মত। যেই ভাবা সেই কাজ। ৬-৭ জন বন্ধু মিলে বেরিয়ে পরলাম। কলকাতার হাওড়া থেকে ট্রেনে লাকনৌ। ওখান থেকে কাঠগুদাম। লাকনৌ্তে ৭ ঘন্টার মত যাত্রা বিরতি ছিলো। ঐ ফাঁকে শহরটা ঘুরে দেখলাম ঘোড়ার গাড়ি চড়ে। ইয়া বড় বড় সব নবাবদের প্রাসাদ। সব ওয়েল মেইনটেইনড। দেখলাম ‘ভুলভুলাইয়া’। বিশেষত্ব হচ্ছে, প্রাসাদটির যে প্রান্তেই আপনি ঢুকুন, গাইডের হেল্প ছাড়া ঐ প্রাসাদ থেকে আর বের হতে পারবেন না। হয় আপনি এর ছাদে চলে যাবেন, নয়তো ভূ-গর্ভস্থ কোন ফ্লোরে। আমরা চ্যালেঞ্জ নিলাম। গাইডকে বললাম, তুমি আমাদের সাথেই চল কিন্তু কোন কিছু বলবে না। ৩০-৪০ মিনিট নাকানী চুবানী খেয়ে আবার গাইড বেটার স্মরণাপন্ন হলাম। অবাক হলাম এর নির্মাণ চাতুর্যে! গাইড বললো শত্রুরা একবার ঢুকলে যেন আর বেরুতে না পারে তার জন্যেই নাকি এমন স্ট্রাকচার! বোঝ এবার। ঢুকেছো কি মরেছো। যাক লাকনৌ থেকে ট্রেন পাল্টে কাঠগুদাম। ছবির মত একটা স্টেশন। পাহাড়ের কোল ঘেঁষে। ওখান থেকে ট্যুরিস্ট বাসে চলে এলাম নৈনীতাল। তখন রাত ৮টা পেরিয়ে গেছে। হোটেল থেকে জ...

নিরক্ষে

নাচদুয়ার বন্ধ করে মেলাও এ জীবনের হিসেব নিকেশ, পৃথিবীর পথে আবার দেখে নিও দেখা হয়ে যাবে। অন্ধকারও শেষে দেখো পথ ছেড়ে দেবে চাতুরীও সবশেষে করে যাবে হৃদয় এর শুদ্ধ অনুবাদ, নিরক্ষে মিলে যাবে বেদনাবিহীন। মৌ্নী ঠোঁটের কাছে উড়ে যাবে একদিন মহুয়ার মদ নিয়ে মৌটুসী পাখি; বলে যাবে চন্দ্রিমায় অন্য গ্রহের রূপকথা। চতুর এ পৃথিবীতে আবারও ফুঁটবে দেখো আদিগন্ত সূর্যমুখী- একমুখী, একাগ্র প্রেমে প্রেমে। নয়তো বাধার পাঁচিলে কেন কান পাতলেই শুনি,- জীবনের পাখোয়াজ, পায়ের ঘুঙুর, তোমার চকিত চোখ, নদীর মতন চোখ - তীরহারা খুশিতে যেখানে আমার দিন-রাত ডুব সাঁতার।

মন জুয়াড়ির বাড়ি

ত্রস্ত পায়ে এগিয়ে এসো পথ এগিয়ে দিতে, সোনার কাঠি রুপোর কাঠি বদল করে নিতে। আমার চোখেই তোমার চোখের উজল আলো জ্বলে, নিবিড় অন্ধকারে ডাকে ভুল পথে তাকালে। কেউবা খোঁজে আতর গোলাপ কেউবা স্বপ্নচারী‌, অনাঘ্রাত পরে থাকে হৃদয় ব্রহ্মচারী। স্বপ্ন লতা ঠোঁটে ওড়ে ধূসর ডানার চিল, পথ ভুলে, নীড় খুঁজেই তুমি বিস্মরণে নীল। মন জানালায় আগল দিলাম অলঙ্ঘ্য প্রাচীর; তাকিয়ে দেখি দুয়ার খোলা হাজারদুয়ারীর,- মন জুয়াড়ির বাড়ী সেটা দরজা খোলা আছে - অন্ধ খেলে শেষ বাজীতে তোমাকে চেয়েছে।

পুরাঙ্গনা তুমি

পলে পলে অনুভবে এই নীলাংগ জড়িয়ে তুমি থাক শীতভোরে ক্লীষ্ট হাতের নীচে তুষ আগুন ওম, অমাবস্যায় কোজাগরী চাঁদ; শুভ রাত - সুপ্রভাতের যোগাযোগ ছেড়ে চেতনায় অহর্নিশ মিশেছো আমার। কখনো আকাশে তুমি নীলিমার নীল, জলভার মেঘের মত কখনো সূর্য দহিত ক্ষণে জুড়ানো শীতল তোমার নিয়ত বিস্তারে জীবন জুড়ে মৌহারী বাঁশি - পুরাঙ্গনা তুমি, অন্তরে আমার ঐন্দ্রজালিক মেদুরতা গভীর অন্তঃপুরে বেদাংগ পরিশেষ।

আমি

যে চোখে দৃষ্টি নেই বেকার সে চোখ -এমন ভেবো না। বুকের নদীতে জমা বেদনার পলি স্রোতস্বিনী করতে জানে বেকার দু'চোখ -সেও কি জানোনি? ফাগুনের সাত রঙে মাতাল নাচিনি বিশেষ বিশেষ দিনে, তোমার গুনগানে ষোলপাতা পত্র লিখিনি নীল সুগন্ধী খামে, -তাই আমায় ভাবোনি। ডাকলেই হুকুমের স্বরে কোন চৈত্র দুপুরে বাধ্য বয়-এর মত বৃষ্টি আসে না; ডাকলেই পেয়ে যাবে শত স্তাবকের দল -তাই আমায় ডাকোনি। শোন! অজান্তে আমাকেই বানিয়েছো শতের মধ্যে এক। আর আমি সেই এক,- অন্ধ দু'চোখ যার উল্টো নিয়ম যার ফাগুন আমার নয় আমি বরষার।

আত্মা আমার ঈশ্বর

বুকের গভীরে আঁকা শতজনমের প্রিয়তম মুখ। আমিতো দেখেছি কত বর্ণিল প্রজাপতি কত সহস্র রেণু দিয়ে যত্নে এঁকেছে এ আরাধ্য অবয়ব। আমিতো জেনেছি কত শত বছরের প্রেম বৃষ্টি ধারায় পবিত্র হয়েছো তুমি - প্রনম্য হয়েছো। তোমার ধ্যানে আমার পরম প্রাপ্তি তোমার কল্পনায় আমার প্লাবন বিশুদ্ধি। বুকের গভীরে আঁকা অনেক যত্নে সেই প্রিয়তম মুখ - আমারি আত্মার।

পঞ্চালিকার কান্না

ক্লান্ত শরীরে ঘুরি পিয়াইনের চারপাশ নদী বলে কর স্নান আমাতে মেশাও জ্যোৎস্না আমি বলি, প্রয়োজন নেই কোন -না। বোশেখ সান্ধ্য ঝড় নীয়মান - চরাচর রূপিত খিলানে কোন ঘরের ইশারা - তবু বিপন্ন আমি বলি, না। অয়স চোখের চর নীড়হারা নিষ্প্রাণ; ধূসর অন্তরীপে শীতের পাখির পাখনা... তবু অন্ধকারের চোখ শিকারির হয় - হয় পঞ্চালিকার কান্না।

কৈ প্রদীপ জ্বালো!

জীবনের কাছাকাছি এসো আলো জ্বেলে - আলো জ্বেলে চোখের সীমানা খুলে ফেল রাত্রি নামছে তুমি প্রদীপ জ্বালো। অনুক্ষন বারে বারে দখল দখল খেলা দিনে দিনে কত বেড়ে গেল; একা বসে এতকাল শুধুশুধু খুব বেশি হৃদয়ের দেনা জমে গেল। কাজলের টানে টানে তুমি আর কত ভোর ব্যথানীল চোখ ঢেকে যাবে? চুপসুন্দরী ঠোঁট, স্বপ্নের খুনী হয়ে রবে। আমার শূন্য চোখে তোমার চোখের রং একটুও মাখা হোলনা যে... জানিনাতো কবে আর হঠাৎ পৃ্থিবী পথে এরকম দেখা হয়ে যাবে। সময় তো বয়ে যায় জীবনের বার্তায় কবে আর সুর জুড়ে দেবে? হাসি থেকে চোখ জ্বলা সাদাসিধে কথা বলা মুখোমুখি কবে শুরু হবে?

ভিন্ দেশী পাখি

কেটেইতো যায় দিন কেটে যায় ব্যথানীল রাত সবুজ প্রহর সব ঠোঁটে নিয়ে উড়ে যায় ভিন্ দেশী পাখি--- নীলের অন্তরালে স্বপ্নলীন চোখ- বিনষ্ট জীবন ভাবনায় একমুখী নারীর সাথে ঘৃ্ন্য সহবাস; আমার এ অশ্লেষ সমর্পন মুহূর্তে চুষে খায় অশরীরি ভ্যাম্প। আমি কি শুনিনা আর বৃষ্টিহীন মাটির কান্না? আজো কেন চোখে ভাসে একা অ্যালেনের পাইন বনে ঘোরা!!

ব্যবধান

দিন আর রাত মাঝখানে দু'টি ক্ষন সন্ধ্যা প্রভাত তখন আকাশে লাগে রক্তের রং রক্ত ক্ষরন শুধু রক্ত ক্ষরন।

এসো স্মৃতির পাহারায়

আজো জেগে আছি স্মৃতির পাহারায় আজ খুব বলতে ইচ্ছে করে, শময়িতা আমার জীবন জুড়ে বেজে গেল অনুক্ষন উদাসী সাঁঝের সেই ঘন্টা শব্দে শব্দে যার মৌ্নতা ছেয়ে যেত মনের উঠোনে। রাত নিশুতি অমন করুন শব্দে স্মৃতির পাহারাতে আমি আজো অতন্দ্র প্রহরী রয়ে গেছি। চলে গেছ তবু কেন হারিয়ে গিয়েছো মনে হয়? মনে হয় তুমিও খুঁজেছো খুঁজেই চলেছো সেই রংধনু প্রচ্ছদে লুকনো কবিতা যে কবিতা কবির আজো হয়নি যে লেখা তুমি আজো খুঁজে ফের তার মত শ্রেষ্ঠ সুন্দর - আমারি মতন। টুং টাং শব্দ শুনছো কোন সবুজ়িনী গ্রামের বুকে চোখে নিয়ে জোনাকির মিঠে নীল রং আঁধারের সহোদরার মতন তুমিও মুগ্ধ শ্রোতা এক। তোমকে আজ খুব বেশি জানান দিতে ইচ্ছে করে - আমি আছি শময়িতা, আমিও! আজ খুব মনে পড়ে মিছে মান ভাঙ্গনিয়া প্রতিটি প্রহরের সুখ ইচ্ছে করে এই জলহীন দু'চোখের চরে আজ শুধু একবার ধরা দিক ঐ স্বপ্নলীন মুখ সোহাগিনী ঠোঁট দিয়ে ছুঁয়ে দিক একবার চোখের পালক। তারপর-- চলে যাক সাঁঝের আঁধারে সেই সবুজিনী গ্রামের বুকে মন মন্দিরে বেজে যাক টুং টাং, টুং টাং আর চোখে নিয়ে জোনাকির মিঠে নীল রং আঁধারের সহোদরার মতন দাঁড়াক সে স্মৃতির পাহারায়।

কালোত্তীর্ণ সুর

এক জীবনের স্থাপত্য শিল্পের ব্যস্ত স্থপতি যত একটাই দিক্ আছে, সেখানেই সকলের ব্যস্ত পদযাত্রা সে এক দারুন রহস্যময় আচ্ছন্ন প্রহর তার অনিবার্য আমন্ত্রনে চলেছে সব সম্মোহিতের দল এ পথেই অনুক্ষন আত্মবিস্মরণ আর সস্তা আত্মাহুতি এ যেন যূথবদ্ধ পশুর উন্মক্ততা আমরন অকারণ ব্যস্ত দাপাদাপি হায় আজন্ম তৃষিত নর-নারী! আঁধার করো্টি থেকে হঠাৎ উদয় হবে সেই ক্রান্তিকাল গ্রীন হাউসে বেড়ে ওঠা আদুরে বৃক্ষ যত আজীবন ধার করা সস্তা সুখের শীতলপাটিতে তখন ঘুমিয়ে যেও মিথ্যে জীবন বুকে নিয়ে। তবে এভাবেও নেয়া যায় এক মিছেমিছি জীবনের শোধ এসো করি স্পষ্ট উচ্চারন - হে চির জাগ্রত পার্থিব দীপিত সুন্দর আমাকে স্পর্শ কর - নিবিড় স্পর্শ কর যাও তুমি উড়ে যাও স্বর্গের নীলকন্ঠ পাখি এ পবিত্র শরীরের রন্ধ্রে রন্ধ্রে প্রবিষ্ট হও সূর্যের সবকটি রঙ মাতাল হাওয়ায় নাচো আমার জীবন। অলিন্দ-নিলয়ে ঘোরে এই কালোত্তীর্ণ সুর অসম সাহসী এক আপাত বেসুরো সঙ্গীত।

প্রতিদান

আমার তূনের শায়কগুলো অব্যর্থ শুধু ব্যর্থতায় তোমার মত নিশ্চিত নয় আমার ছোঁড়া দৃষ্টি তীর । তোমার আছে রক্ত গোলাপ তোমার দু'চোখ আরতির আমার কিছু শপথ ছিল চোখে ছবি চিতাগ্নির । দিয়েছিলাম তোমায় আমি রঙবাহারি স্বপ্নাবীর তার বদলে গান শোনালে ফসলহীনা পৃথিবীর ।

বদলে গেছ

তুমিতো আগের মতো চৈত্রের হাওয়া বুকে নাও না তুমিতো আগের মতো চোখের চিকন কোনে টলমল জল হয়ে যাও না তুমি কি এখন আর যখন তখন মা এর নজর এড়াও না? তুমি কি নিজেকে আর আগের মতন ইচ্ছে করেই হারাও না? কেন তুমি ঠিক্ আগের মতন পদ্যের প্রেম হয়ে যাও না?

শেষে

এমন হলে কেমন হোত? এমনতর প্রশ্ন আছে বলেই না নীল কষ্ট আছে অনেক রকম ভাবনা আছে উৎস কোথায় কারণ টা কী - উত্তর নেই । মস্তিষ্কে লক্ষ স্নায়ুর সূক্ষ্ম জটিল প্রশ্ন আছে । সূর্য স্নাতা বাদাম রঙা রমনীরও হরেক রকম কষ্ট আছে সুদর্শন বৈমানিক সুজয় সেনের মনের কোনে ডানা ভাঙ্গার কান্না আছে খুব ব্রিলিয়্যান্ট অভীরূপের জীবন নামের পরীক্ষাতে গোল্লা পাওয়ার ঝুঁকি আছে আই, আর, এস বাবলী সেনের পরাজ়য়ের গ্লানি আছে প্রকৃতিরও এমনতর অনেকরকম বিধান আছে সবমিলিয়ে শীতের শেষে একটু একটু হাসি আছে বসন্তটা না পেরোতেই কষ্ট আছে, কান্না আছে -তাই ভাবনা আছে । যোগ্যতম খুঁজছে সবাই, সমাপ্তিটা সুখের হবে বলেই না বেশ যোগ্য হওয়ার ধুম লেগেছে । শেষের দিকের রাস্তা দিয়েই দুঃখ গেছে - অমিত আর লাবন্যও সমাপ্তিতে খোঁজ পেয়েছে শেষের দিকের রাস্তাটাতেই আঁধার আছে ।

ধ্বংস ট্রয়ের ইতিহাস

কবিতার মত সব দিন ছিল লিখেছি তো এভাবেই জীবনের শ্রেষ্ঠ উপাখ্যান গড়েছি মনের মতো আমার নগর করেছি সত্য উচ্চারন - এখানে মৃত্যু নেই এখানে ধ্বংস নেই । আজ অবাক দু'চোখে দেখি তোর চোখে মৃত্যুর রঙ । তুই বলেছিলি মেয়ে তোর পায়ের শব্দ শুনে মান ভুলে গান গায় উদাসী মুনিয়া তোর সুখের সুরেলা সুরে কতো প্রেমিক পুরুষ নেয় হৃদয়ে সন্ন্যাস তোর বিষ ধোয়া চোখে চেয়ে বশ্যতা মেনে নেয় পাতাল পুরীর নাগরাজ । আর আজ ! অবাক দু' চোখে দেখি তোর চোখে মৃত্যুর রঙ বুকে নিয়ে নিষ্পাপ গোলাপের লাশ বলে গেলি কেঁদে কেঁদে ধ্বংস ট্রয়ের ইতিহাস ।

ভাংতি কবিতা

১] এক পথ যদি নয় তোমার আমার 'বিচ্ছেদী ভালবাসা' হাসবে আবার । ২] তুমি কাছে নেই, নেই কোন যোগাযোগ তাই জীবনে প্রাপ্তি মানে এক থেকে একের বিয়োগ । ৩] আমি ভালবাসি আমাকে তাই ভালবাসি তোমাকে দেখে বলি এ মনের আয়না । ধূপ ওকে ভালবাসে না পুড়ে গিয়ে সুখ দিয়ে যায় আমি ধূপ হতে চাই না । ৪] ইচ্ছেগুলো তাড়িয়ে দিয়ে বাস্তবতা দেখি দেখতে পেয়ে বলেই ফেলি বিরোধ এত না কি! শেষে স্বপ্নগুলো বাস্তবতায় দিলাম জলাঞ্জলি মুচকি হেসে জীবন বলে এবার তবে চলি ।

এখন

একদিন যেন কিচ্ছু জ়ানিনা তুমি চলে এলে; এরকম অতীতের মত তুমিও আসনা খুশীর হাসিরা আর হাসে না এখন । কত দিন তোমায় দেখিনা ঐ চোখের চলনে চলিনা কত সন্ধ্যে মিছেমিছি স্বপ্নের পথে চলিনা এখন । তাই বহুদিন কবিতা লিখিনি হারিয়ে যাইনি কতকাল ছন্দে অহেতুক শব্দ চয়ন দ্বন্দ্বে পরি না এখন । প্রতিদিন আগেকার মত কবিতা ভাবিনা, ভাবতে দেয় না এই অসময় আজকাল শুধু শুধু রোজ রাতঘুমের পূর্ব অবসরে কবিতারা আসে না এখন । ভাবি তোমারও তো ছিলো কবিতার মত খেয়ালিপনা আচমকা কোন দিন আমাকে হারিয়ে দিতে বহুদিন পরে এই কবিতার মত কৈ তুমিতো আসনা ভালবাসোনা এখন ।

শাস্তি ভয়ংকর

পাঁচটা বেজে পয়ত্রিশ কৃষ্ণচূড়ায় কাকের শীস ত্রি সীমানায় নেই যে দেখা রাত্রি জেগে পদ্য লেখা যার স্মরনে; সে-ই ছোঁড়ে তীর প্রতীক্ষার ! জানি পদ্য রোগের প্রতীকার স্বপ্নলীনা জানেই না এইটুকুও বোঝেনা, খুব ছোঁয়াচে এই রোগটা - সর্বনাশী - সর্বগ্রাসী । বাচ্চা মেয়ে মানেই না, রোগটা ওকে বাঁধিয়ে দিয়ে আমিও যে বলতে পারি খা ! মেয়ে, দুঃশ্চিন্তা খা !!

লোডশেডিং

আড্ডাটা জমতেই দুম করে প্রশ্নটা করি- হান্ড্রেড পার্সেন্ট চাইতে পেরেই যদি থাকি, -পাবো? ইয়ে মানে, কেউ যদি পারে -পাবে? 'আবে দার্শনিক! জিলিপি ছেড়ে মসৃ্ন সন্দেশ দে...' বন্ধুরা সস্তা খোঁচা মারে । ধুত্তর, যত্তোসব থার্ডক্লাস ক্যাটাগরী বলে ছাই বাড়ী চলে আসি। বাড়ীটাই নিরাপদ আশ্রয় তবু ছাই ভাল্লাগে না । টি ভি'র রঙীন স্ক্রিনে মন্ত্রমুগ্ধ দিন-রাত ছোট ভাই-বোন । রুমে ঢুকতেই বলে, 'দ্যাখ দাদা! ম্যাডোনা!!' - টি ভি টা বন্ধ করি অঞ্জনের মতো করে বলতে পারি না 'টি ভি দেখো না ।' রুমে এসে সিডি-টা হাতের কাছেই পাই আড্ডার প্রশ্নটা গানেই শুনতে চাই ফ্যাভারিট সুমনের - 'তোমাকে চাই' । উফ, দারুন গরম পরেছে কাল থেকে ফ্যান ছেড়ে দিয়ে সিগারেটে মার সুখটান... মাত্রতো আর ক'টা দিন এরপর দু'আঙ্গুলে বেনসন কিং 'চাইনিজ বারে চাউমিন'... ধ্যাৎ ! লোডশেডিং !!

অনুসরণ

যত দূরে তুমি চলে যাবে ঠিক ততদূরে কবিতার চোখ চলে যাবে । যদি ঘুমচোখ জেগে রয় নিরাপদ অন্তর কোনে, তবে এমনি করেই একটা একটা করে কবিতা জন্মাবে, অনুক্ত কথা গুলো একদিন বলা হয়ে যাবে । শত অনুভব পিছু নেবে এমনি করেই যত দূরে তুমি চলে যাবে, এই প্রতীক্ষা পাশে পাশে ছায়া হবে । ভালবাসা ততদূরে পাখনা ওড়াবে ।

শাস্তি ভয়ংকর

পাঁচটা বেজে পয়ত্রিশ কৃষ্ণচূড়ায় কাকের শীস ত্রি সীমানায় নেই যে দেখা রাত্রি জেগে পদ্য লেখা যার স্মরনে; সে-ই ছোঁড়ে তীর প্রতীক্ষার ! জানি পদ্য রোগের প্রতীকার স্বপ্নলীনা জানেই না এইটুকুও বোঝেনা, খুব ছোঁয়াচে এই রোগটা - সর্বনাশী - সর্বগ্রাসী । বাচ্চা মেয়ে মানেই না, রোগটা ওকে বাঁধিয়ে দিয়ে আমিও যে বলতে পারি খা ! মেয়ে, দুঃশ্চিন্তা খা !!

খোঁজ

স্বপ্নেরা সুন্দর আকাশের নীল তোমায় আমায় মিলে জীবন অমিল স্বপ্ন তো স্বপ্নই কাছে আসে কৈ জীবনের গুন টানি হাল ধরে রই - দখিনা হাওয়ায় আর প্রাণ নাচে না জীবনের ক্যানভাসে রঙ জমে না স্বপ্নেরা ঘুমে আসে আর চলে যায় টের পাই - পিছু নেয় আমার ছায়ায় ।।

দেখা হলে বলে দিও

সে যে আমার দারুন আশা রাঙা হৃদয় ভালবাসা নগ্ন জীবন উত্তরীয় । সে যে আমার মনে মনে মাঝ দুপুরে নীপবনে ছায়া সবুজ শান্ত প্রিয় । সে যে ভীষন কোমল সকাল হাল ছাড়া এক উচ্ছাসী পাল এ বিষ ঠোঁটে প্রাণ অমিয় ।