দূরসম্পর্কের ঈশ্বর
আলতা দিয়ে লিখেছে সে প্রেম সারা পা’য়,
তারপর পোড়া মধ্য দুপুরে সে
রবিগৃহে------
শান্তিনিকেতনে, ধান পাতা উঠোনে নেচেছে বিহুনাচ
স্বচ্ছ রাত্রি মেয়ে
নগ্ন বাহুতে তার, পুরুষের স্থির-মুগ্ধ চোখ
স্তনের ভাঁজে স্বেদ তার গড়িয়ে যায়
কাচ জানালার গায় ফোঁটাফোঁটা বৃষ্টিদানা সুখ
সে আসে আর আঙ্গিনায় খেলে যায়
চাপা-শ্বেত মুক্তা মণি
শিশুশাদা দ্যুতি ছড়িয়ে পড়ে চারপাশ
হাসি তার রৌদ্র ঝিলিক
মাঝদুপুরে প্রাচীন গ্রামের ঘুঘু ডাক কান্না তার
যেন তার অতীত যুবকের ক্ষুরকৃষ্ণ চোখের আঘাত
চুল তার রাত্রির গহন সুন্দরবন
বৃক্ষ আর সোনা হরিণের নীরবতা তার সিঁথি
ব্লুবার্ড চোখ
শিশুসরল এ সকাল
নীলগিরির হাওয়া এসে বলে যায় –
শীত
সবুজ শনের দেশ ভালোবেসে
হাওয়া এসে শীত আরো শীত
ক্ষুরকৃষ্ণতা আমি জানি না পরমা
স্মৃতিহীন চাঁদ ওঠে নীল নীলিমায়
আকাশের তারারা দেখে আলো
আমি দেখি কালো – বাকী কালো আকাশ
যেইখানে তুমি বাস কর
সেখানে কি রণজিৎ দাশের এক দূরসম্পর্কের ঈশ্বর বাস করেন?
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন