বিত্রস্ত আঁধারে
শীতের জানালার মতো হিম সরবতে রোদকণা.........
ভিঞ্চির মোনালিসার প্রতিচিত্র এই রজনিচর ভোর।
প্রত্যক্ষবাদ বজায় রাখি, আদরমুহ্যমান শিথিল শরীর তোমার,
নেশা কাটা চোখ দেখে আলোধারা, তমাল শালের বনে
পিকতান। শুখা বনে বাঘ আর হরিণ, মাথা প্রায় এক করে
জল পান করে দুপুরের রোদে। তারপর কান্নার মত তুমি
মিলিয়ে গিয়েছো অন্ধকারে। এ আমার প্রলপিত কথা নয়
এ আমার রজোগুন। শিশুকে আদর করার মন করে
পর্দার আড়ালে যেও না, শোনো, হিমরেখায় দেখা যায়
রক্তস্মিত মুখ। পাশুপাত শাদা ফুল হাতে, স্নেহ ঝরে পড়ে
না হয় চুমু চেয়ে না পাওয়ার কষ্টে ঐ ঠোঁট প্রপঞ্চ মায়া করে
আর আমি রজতদ্যুতি সইতে না পেরে হৃৎপিন্ডে
জ্যোৎস্নার গান নিয়ে হর্ম্যতল ঘুম। দেববিগ্রহে শ্যামাপাখি
হয়ে ঘুরি..... জহুরি সময় দেখে তারপর, তারপর নেত্রপাত
তারপর খরিফ ক্ষেতে প্রতিঘাতী হাওয়া। অশুমার শ্যামলতা
পেরিয়ে আমি উপগুপ্তের কাছে ছুটে যাই। তাঁকে বলি -
স্মৃতির পরেও যে অব্যর্থ স্মরণে সে বেঁচে আছে এই চোখে
তার মৃত্যু নাই, সে ত্রিমূর্তি হয়ে দাঁড়িয়ে থাকে
প্রতি ভোর হিমরেখা ধরে। এই বিত্রস্ত আঁধারে, সে আমার
দেখাশোনা করে।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন