সুর সুফিয়ানা
শব্দের মেলায় তুমি যেও চিলমারী
তোমার ঐ বেআব্রু নাব্যতা ছেড়ে তুমি যেও দেখতে
এ পৃথিবীর তাবত নির্মাণ এই বুকে কী মোহন খেলা করে ।
করতল বন্ধ করেছিলে, এখন জোর করে খুলে দেখি
– দু’ফোঁটা অশ্রু রয়েছে তাতে
তোমার দুইটি হৃদয় মতো আছে –
একটিতে নির্বিকারত্ব
আর অন্যটিতে খুন আর মায়া...
মায়া আর জাগ্রত ঘুম ।
আমি সে দৃশ্যে খেলা করি
তুমি কে – এই প্রশ্নে দ্বিধান্বিত হয়েছিলাম একদিন
কবিতার টেরাকোটা,বেআব্রু বুক ......
হৃদয়ে থাকলে চেনা যায়
কিন্তু তুমি যদি তোমারি অন্তরে থাকো তাহলে তো অচিন !
অতীতের শব্দরা, গতকালের গানেরা বলছে – কৈশোর
নুনের মুগ্ধতা পবিত্র, কারণ
আমাদের চোখের জলে সমুদ্রের হস্তাক্ষর
বালু বেদনা জমে জমে মুক্তো,
হাস্যোজ্জ্বল তুমি যখনি তাকে বের করে আনো, ঝিনুক তনয়া
তখনি শাদা ভোর, তখনি খিলখিল আলো, সূর্যশিশুর হাসি ।
আমি সারাটা জীবন চুপ, শুনছি রবিনাথ, শুনছি তাঁর প্রেম ও প্রকৃতি
একতারা ছিঁড়ে গেছে কিন্তু আমি গাই সুর সুফিয়ানা
আলোর হাতে অঞ্জলি দেয়া দেখি
সীতাকুন্ডের পোড়ামাটি কপালে আমার
দেখি তুমি বীজ – তুমি অপেক্ষা
রাত্রি স্খলিত হয়ে যুবতীরা নিয়ে আসে প্রাচীন কথক নাচ
তরুণীদের এত হাসিমুখ আর তাদের তীর্যক চোখ
মুখোশের মত বসে আছে মুখে......
হঠাৎ দেখি, কী আশ্চর্য নারী,
তোমার চোখে সন্তান স্থির ছবি হয়ে বসে আছে!
এই ধ্যান বরষার,
ঐ চোখ অন্ধের ।
অন্ধের আমাদের প্রতি কোনো ঈর্ষা নেই,
আছে শুধু এই চাওয়া – ‘কেমন তোমরা দেখো সন্তানের মুখ ?’
চন্দ্র কাতরতায় তুমি বলে ওঠো,- ‘কোথায় ?’
আঁধারের মন্দ্রধবণিতে কেঁপে ওঠে এই পুরোনো ঢাকার রাত্রি আকাশ
কোথা থেকে ভেসে আসে বেগম আক্তার–এর গান
জোছনা করেছে আড়ি
আসে না আমার বাড়ি
গলি দিয়ে চলে যায়, পরনে রুপোলি শাড়ি
ঢাকা
১৯/৭/২৪
১৯/৭/২৪
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন