হরিণআলো
এই যে কুয়াশার বিষণ্ণ ধারা--- ইচ্ছে ছিল হৃদয়ে ফেরার কিন্তু কুয়াশার দিন, রাত্রির মতো লাগে, আর তোমার শিশুহীন এ উঠোনে ঝড় শেষে খেলা পড়ে আছে । গোধূলিরও বিষণ্ণতা আছে, কিন্তু তার মুখময় সফলতা লেখা। দেখো, আমিও ভাতের মতো নষ্ট হয়ে যেতে পারি। আমি অব্যর্থ কবিতা... আমার উঠোনে এই সন্ধ্যায় একটি নীল হ্যাজাক ঘুমিয়ে পড়েছে---
এই সন্ধ্যার ঘ্রাণ নাও তুমি আর তার কৃষ্ণকালো রং ধরে রাখো-- সুইট স্পট সন্ধ্যা, তুমি কথা দিও না, প্রতিজ্ঞা কর। প্রতিজ্ঞা হচ্ছে মেঘ, আর তা ফলে যাওয়া মানে বৃষ্টি। প্রতিজ্ঞা হোল উন্মন হাওয়ায় প্রদীপ, সে প্রদীপের জ্বলাটা আমার
আর আলোটা তোমার---
তোমার সময় হলে তুমি দেখো সুন্দর সর্বত্র আছে। তুমি তাকে স্বীকৃতি দাও, তাকে সম্মতি দাও, সে তোমাকে আশীর্বাদ করবে। যখন তোমার অনিদ্রাযামিনী তখন ঈশ্বর বলেন, এসো কথা বলো আমার সাথে। একাকিত্ব সূর্যকে তার অস্ত যাওয়ার সময় জ্বালিয়ে দেয় আর রাতের অবসরে সেই সূর্যঘ্রাণ - তোমার। আর স্নেহ? স্নেহতো সূর্যোদয়ের মতো, একটু দেরী করলেই সে আলো মরে যাবে…
এসো
ভোরে তোমার সত্তার দিকে তাকাও আর এই ভেবে প্রদীপ্ত হও যে, তুমি- দীপন। তবু মাঝে মাঝে আমারও মনে হয়- রাত্রিরা স্পন্দনশীল
রাত দিনের চেয়েও হরিণআলো
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন