পোস্টগুলি

জুন, ২০২৪ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

নীলগিরি মেঘ করে যাবো

চুল বাঁধা দেখে, বিকেল নরম আলো -- রাতে চোখ নেই - দিনে ঘুম নেই, ভালো? শরীরে শ্রাবণ নামাবে শ্রাবণী মেয়ে গালের বেলিতে চুম্বন ছোঁয়া পেয়ে। নৌকো আমার, তুই তার শাদা পাল জল-কোলাহলে নাচমহুয়ার ডাল। চুল বাঁধ আর দুটি হাতে তোল্ নাচ, উনিশতো তুই, স্তন গন্ধী আঁচ। কবিতা তো গড়ি গান যার পরিচয় তুই তো শিশির, না তুই বৃষ্টি নয়। নাহয় বৃষ্টি, ভেসে গেছে চরাচর ঘনমেঘ ডাক- মাঝি আমি তারপর। আমার চাই না শীতরোদ ভালোবাসা অনিতা বাতাস হলদে ফড়িং আশা রূপশালী ধান প্রাণের দেউটি ভোর সূর্যের শিখা জোর আনে প্রাণে জোর নীলগিরি মেঘ করে যাবো মেয়ে শোন্ চোখের আষাঢ় দেখবে না কোনোজন

স্নান গান

ধ্যান কখনো আলো, সবিস্তার পাঠের কবিতা স্নেহ কোরো না আমাকে লেখকের মানস-শস্যের সংগ্রহ দেখো দেখো, একটি জবা তবু বেঁচে আছে তার রক্ত রঙে সূর্য প্রয়াণে গরুর গলার ঘন্টার মত বেজে চলেছে পুরোনো স্মৃতি, ......... দূরে আরো দূরে আমি দুটি চোখে বহন করেছি আমৃত্যু অন্ধত্ব এদিকে প্রতিটি ভোরময় শাদা পাখিটির আনাগোনা অথচ পাখিরা দূরে থেকে থেকে মানুষ কে অবিশ্বাস করতে শিখে গেছে অথচ প্রতিটি ভোরময় গান, ওড়াউড়ি ............ তাই শাদা পাখিটির কাছে আশার পাখনা আছে হৃদয়ের কাছে উড়ে বসে আর কথাহীন সুর গায় প্রতি ভোর প্রতিটি সূর্যসকাল সময়ের যূঁথী থেকে রক্তে ফিরে আসছে শাশ্বত প্রবাহ গহন হৃদয় দেশে একটি পংগু শিশু সূর্যের দিকে হেঁটে চলে যায় ..... ডেকে যাচ্ছে স্নান গান এ তীব্র দাবদাহে

রিতিমা

এ কবিতা প্রণামি, রূপ দেখে রিতিমা এপিক লিখছি আজ কোনো বিস্মৃতি না রিতিমা কিশোরী তুমি, তুমি রূপমেয়ে ঐ চোখে ঘর করে আলো ছায়া পেয়ে মানুষ বিরহ লেখে আষাঢ় ভাষায় হতে পারে পূরবী সে, নদীজল গায় তারার শারিকা খোঁজে কাজরীর রাত তার সুরে নেমে আসে শেষ বর্ষাত রিতিমা এ কুহুডাক ভোর নিঃঝুম তোমার দু’চোখ খোলো - যাও যাও ঘুম বিউনি অধীর প্রেমে ওড়ে যে শিমুল শরত সকাল এই রিতিমার চুল সূর্যের লাল চোখ নেভে তারপর সন্ধ্যার নীল রঙে মোছে চরাচর নদীপাড় গ্রাম গায় গোধূলীর গান রিতিমা তুমিতো মেয়ে মাগরীব আজান আর নীল সাইকেল কালো দরিয়া ফেলে আসি তোর বুকে কাঁপেনি হিয়া মন ভার রিতিমার যায় নি আষাঢ় জাতসাপ কামড়ায় ঠোঁট রিতিমার

মায়াপুর

তৃণ কেন চাঁদকে দেখে সারাক্ষণ?  ঐ চোখ হচ্ছে মিউজিয়াম -  জাফরিকাটা জানালার পাশে বসে সে কেন চালায় তারার জরিপ?  এই হিম রাত্রিতে রবার্ট ফ্রস্ট আমার বেদুঈন উষ্ণতা অদেখা এক ঘোমটার চোখ সুখ এলেই তোমার কথা মনে পড়ে, তোমার গানে দুনিয়া বাউল ......  কাশ্মীর থেকে আনা পাহাড়ী ঘন্টাগুলো  এই চন্দ্রিমা রাত্রিতে বাজছে অবিশ্রাম। গোলাপঝাড়ের কাছে বসে আছি বারো মাস,  কিন্তু আমার সাধ্য কী আর ঐ রক্তরঙ বুকে মাখি!  বৃথা চেষ্টা করেছি তারার বর্ণমালা দিয়ে এ জন্ম লিখতে - আকাশের যত তারা, চেয়ে রয় নিমেষহারা......  সিমলায় সাজো ওগো অন্ধকার,  শীতের রোদের মতো স্নেহ দিয়ে দিয়ে সাজিয়ে দাও সিমলার সবুজ  তারপর প্রশ্ন কর, -  কেন মাতৃদেহ মমতা পায় যুক্তির বাইরে?  জীবন শুধু একটি গানের কথা  - মৃত্যু সে গানের সুর  শিশুর ছদ্মবেশে এইমাত্র ঈশ্বর চলে গেলেন তুমি বুঝি তাকিয়ে দেখবে না, মায়াপুরের গীতা তোমার বুকে লীন!

ড্রিমার

আমি সময়কে আর শিখতে চাই না কারণ যেখানে তোমার গান শেষ হয় সেখান থেকেই বৃষ্টির শুরু আর বৃষ্টির শব্দ কী মিউজিক্যাল! পৃথিবীর গোপন গন্ধ উঠে আসে সাত ঘন্টা বৃষ্টির পরে আসলে মনে রাখা দিয়ে অর্চনা হয় না এই যে, ইন্দোনেশিয়ান বাটিকে আঁকা আকাশ আর্টিস্টের অ্যা হার্টব্রেক অ্যাা ব্রাশস্ট্রোক এই ট্রপিক্যাল বৃষ্টিবন এই বিভোরবিভাময় বৃষ্টিবনে কিছু বলার জায়গা নেই আর এ স্থানটি শুধু কান্নার। সময় চলে যাক এবং সে একটি মিথের মত কাটিয়ে যাক নিজেকে ......... তোমার চোখকে আমি আমার ভবিষ্যত সন্তানের মুখ মনে করছিলাম, আমাকে ক্ষমা কোরো

সিরাজের কবরের প্রদীপ

তোমার চোখ জুড়ে বর্ষাকাল, আমি তাতে ঘুমিয়ে পড়ি কিন্তু দেখো কেরোসিনের আগুনের মাঝে একটি প্রজাপতি তুমি বসে আছো নিশ্চুপ একটা কুকুর ছানা, তোমার ভ্যানেটি ব্যাগ নিয়ে ছুটে আসছে আমার দিকে ..... শিশুর স্পন্দন চাই তোমার হৃদয়ে তুমি এখনো আমার চোখ এ্যাস্প্ল্যানেডের আলোর মত উজ্জ্বল অজস্র শাপলা ফুল নিয়ে এই রাতাঁধারে নৌকো চলছে তার পালে স্মৃতিবাহী শাদাকালো ছবি মনে পড়ে নৈনিতাল – পাহাড় আর পাহাড়, অজস্র পাইন আর একট মিষ্টি হ্রদের দিন মনে পড়ে তোমার? আমাজনের গহীন অরণ্যে আদিবাসীরা ঘোর অমাবস্যার রাতে আমাদের নিয়ে গোল হয়ে নাচছে বকুল বিছানো পথ থেকে তুমি কত উঁচুতে দাঁড়িয়ে আছো হে অন্তরীপ? সমুদ্র হয়েও জীবনের সাজ আমি চাই নি অথচ এই কালো ঘন রাতে আজ সিরাজের কবরের প্রদীপ............... কেরোসিন দাহ

বনবাস

কিছু পাখিকে খাঁচায় মানায় না, তাদের পাখা এতো উজ্জ্বল, তাদের গান এতো বন্য এবং সুন্দর। তুমি সেই পাখি, আর রাত্রি এসো না আর দিন - বলে বলে তুমি দুই চোখ ভিজিয়েছিলে। সূর্য প্রণামে তুমি বলেছিলে- হিম পাহাড় হাওয়া তোমাকে কবিতা লিখিয়েছিলো। বলেছিলে তুমি, দিন-রাত্রিবাস শুধু তোমার সাথে আমার। দক্ষিণমেঘ নামলো যখন, নীল সুনীল কবিতা চাই আমি। এই মনকেমন সন্ধ্যা আর এই চন্দনঘন্টায় আষাঢ়ের গান হোক আজ। অন্য পুরুষকে তুমি আর ভাবতে পারবে না, কারণ তোমার যত কল্পনা, ততটি অক্ষরে প্রণয়স্বপ্ন শুধু আমার। সোনাঝুরি হাট থেকে কেনা দুল তোমার কানে আর তোমার মুখরিত শ্বাস কোটবাড়ির সবুজ সেগুনে মাতোয়ারা। তুমি এই সন্ধ্যায় মহুয়া খেয়ে হিরামন ...... কালের ক্রীতদাস না হয়ে তুমি এই কোটবাড়ি সবুজ বনে চকিতচোখ এক পাখি... তোমার মত কেউ এই পৃথিবীটাকে দেখে না তাই তোমার গল্প অন্য কেউ বলতে অক্ষম। ভোর অন্ধকার করে থাকলেও, বিশ্বাস হচ্ছে পাখির মত যে কিনা আলোর ছোঁয়া পায় মনের মাঝে। গতকাল যেমনই যাক, আজ ভোরের পাখি কিন্তু আজকের দিনকে স্বাগত জানাতে নতুন সুরই ধরবে। আমিও পাখির মতোই নির্লিপ্ত, কেউ শুনুক না শুনুক- আমি গাইবো। আমি জানি, পাখি দেখতে হলে নীরব হতে হয়, ত...

হিজল বনে অলিখিত কবিতা

একটি হিজল বন খুঁজে পেয়েছে জীবন-মৃত্যুর সংজ্ঞা। আমার প্রশংসার প্রয়োজন কি ফুরিয়েছে তোমার? এই বয়সে এসে এরকম স্তুতিদান আমারও কি ভালো লাগে আর? একটি বসন্তের কবিতা লিখে ফেলে রেখেছিলাম। কোনো বসন্ত বেলায় তুমি পোড়ো একরাতে। তোমার মনে আছে? খুলনায় রূপসার পারে সেগুনের ঝলকানি আর তার মাঝে একটা ডাকবাংলো, তার চারদিকে কচি লেবুঘ্রাণ - অচেনা সে ঘ্রাণ, অথচ কত চেনা সেই পাখি হারানোর ব্যথা! সেই ঘরটিতে নদীর হাওয়ার তাজা গন্ধ আর গোধূলির ডাক...... কিছু দূরে ছোট ছোট সব ডিঙ্গি নৌকো বৃষ্টির হাওয়ায় উন্মন। সেই ডাকবাংলোর খোলা জানালা দিয়ে আসা জল মিশ্রিত বাতাস আর সূর্যাস্তের আলোয় ভরা সে ঘর, নীল বেডশীট আর বেলি দিয়ে সাজানো। সাথে আছে ভারী শাল কাঠের বার্নিশ করা সব আসবাব। সেখানে কবিতা নিয়ে গল্প করবো দুজন, সাথে মিহি করে কাটা ক্যানাবিসের সাথে ঝিম গন্ধের টার্কিশ টোব্যাকোর স্মোকিং পাইপ , আর সাথে JBL 800 Watt 9.1 সারাউন্ড সাউন্ড। সেই ঘরের ছাদে শাদা চড়ুইদের খুনসুটি আর ধীর পিয়ানো... তারই সাথে একটু পর যখন রাত্রি হয়ে আসে তখন ক্যানী রজার্স... লেডী জীবন-মৃত্যুর সংজ্ঞা পেরিয়ে আমি সবসময় তোমাকে দেখেছি ঘোর বর্ষায় মালিনীছড়া চা বাগানে রাতে, যে...

মনে আছে

আকাশের প্রিয় নীল, দারুচিনির প্রেম মিষ্টি জ্বালা খাঁচার অন্তরায় মুক্তি, বৃষ্টির বন্ধু প্রেম কাল রাতে ঘুমের আগে ভাবা ছেলেবেলার পুকুরে সাঁতার শান্তিনিকেতন থেকে দেদীপ্যমান প্রকৃতি আর প্রেম, প্রেম আর কবিতা গ্রামের নিজের ঘরে শীতকাল কাঁথা মুড়ি দিয়ে - ভোরে শ্মশান পারের গাছ থেকে স্পষ্ট শোনা বারবার শোনা, অজানা পাখির ক্রমাগত ডাক নামটা জানি না পাখির, এখনো জানি না সে নাম তবে ডাকের সুর স্পষ্ট মনে আছে

নিষেধ

লীন করেছি আমি বুকে এই বুক বন্দীশালা যে শ্বাস ইন্দ্রিয়ে এলো না সে শ্বাস বুকে চিহ্ন রেখে বসে খুশি তার রূপ পালটায় তাই ভয় পাই খুব কিন্তু দীর্ঘ দুঃখরাতকে কীসের এতো ভয়? হৃদয় দিয়েছ তবে আর কান্না কেনো? বুকে যদি আর হৃদয় না থাকে, মুখে তবে আর কথা রয়ে গেলো কেনো? আমার ইচ্ছে করে মৃত্যুর জন্য আর একটু বেঁচে থাকি আর একটু বেঁচে থাকতে চাই নীলঘুম দিয়া তুমি প্রাণ নিতে চাও কেনো? কেনো মন নিতে চাও বাতাস মিহিন ওড়ে তোমার ছন্দ নিয়ে মেঘাতুর বন হলুদিয়া পাখি সোনারই বরণ গায়, কালো পাঞ্জাবী পরা আব্দুল আলীম নয়া চর, যমুনার বুকে দেখে সবুজ ঘাসের বীজ- তার বুকে লীন তুমি প্রাণ নিতে চাও আর মন নিতে চাও, সুর তোল সন্ধ্যায়, শ্রোতা হয়ে রই ভাঙ্গা জমিদার বাড়ি সন্ধ্যা ছায়া ভাঙ্গার শব্দ শুনি আমি গান নই

ভাবে মাধবী সুরভী তার বিলায়ে

দেখো এই খন দুটি প্রাণ কুহু কুজনের এই গান দুজনের তোমার দেহেতে লীন হয়েছি এমন রূপসায় ডুবে যায় জ্যোৎস্না যেমন পিঠে সেগুন ঘষা দাগ হায় হরিণী তোমাকে তো আর আমি কিছু বলি নি পলকে হারাতে হয় জয় সাগরী জানালার ফাঁকে মেঘ আমরা ধরি ভাবে মাধবী সুরভী তার বিলায়ে যাবে গন্ধের কানে ঝিলমিলায়ে ... আরো আকাশ আরো বাতাস একটি মাতৃ গ্রাম বিমনা তিতাস যাবে খুব তৃষ্ণায় নীল নীরবে আমার মায়ের গ্রাম আর কী হবে? অষ্টমী রাত তনা রূপকিশোরী ভাবে রাত যেন আর আমি না মরি কথা না রাখার এই নিরালা দুপুর সাগরী ফেরত যাও দূর আরো দূর

তারাপাখি

দিগন্তে দূরবর্তী জাহাজের ধোঁয়া রাতকে আটকে দাও, তারাদের ডাকো নাম ধরে ডাকো চিবুকে চাঁদের আলো স্থির তবে এই রাত বিক্রম সিং খাঙ্গুরার রবিগানের মতো শোকার্ত, কিন্তু কি প্রাণময়! তুমি চায়ের কাপেই ডাকতে নাহয় রাতের মতো মৌন তুমি ডাকলে না মাধবকুণ্ডের ঝর্ণার মতো সুশান্ত তুমি স্নানেতো ডাকলে না? শুধু জানতে চাও আমি ফিরে এসেছি কিনা – ধ্রুবতারা কেন এত দূরে? তুমি হীন ঠোঁটে, গুনগুন গানগুলো আঁকো এই চোখে বর্ষা তবু শুধু এই মন বলে, জল দাও জল বেলির বন্ধু তুমি দেখো, সুজানা- আমাদের মন, নদীর মধ্যিখানে যেখানে নিঃসঙ্গ একটি ছইহীন শাদা নৌকো ক্রমাগত দুলছে ...... তবু দেখ হাজার পাখির মতো তারাগুলো আজ রাতের আকাশে তারাগুলো স্থির, পাখির মতো ওদের উড়ে চলবার কথা নয় কিন্তু তারা দীপ্র জ্বলছে।

বলছি, শোনো

কবিতার ডায়েরিকে ঝেড়ে-মুছে একটা দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বলতে পারি - সাতটা বছর কোথায় ছিলে তুমি? এই বসবাসের ঢাকাকে বলি- বিশুদ্ধ বাতাস চাই, দিতে পারো? গোমতীর পারে গিয়ে দুচোখ চলে যায় কুমিল্লার দিকে, কুমিল্লাকে ডাকতে পারি - তাজমহল। ইউনিভার্সিটির দিন গুলোকে বলি আমার কচি কলাপাতা শাড়ী পড়া সরস্বতীর দিন ...... আমার কাজকে বলতে পারি- আজ এই সুবৃষ্টি দিনে গুলশান লেকের হাওয়া, আজ নেক্সট সিকস মান্থস প্ল্যান। আমার কুকুর ছানা লুনা-কে আদর- ইউ আর ওয়ান ইন অ্যা মিলিয়ন--- বন্ধুরা- আমরা নিতান্ত সঙখ্যায় কম, চল্ গ্যাংটক ঘুরে আসি, চল্। পুরনো প্রেমিকাকে হঠাৎ হোয়াটসঅ্যাপ - ডানা মেলে ফিরে কেন আসা তার কাছে সে যেন আমার পাশে আজো বসে আছে... তারপর হঠাৎ আমার ফসলহীন মাঠে ঢুকে পড়তে ইচ্ছে করে, যেন আমি মাটির বুকে শুয়ে পড়ে বলতে পারি - দেখো না, পৃথিবীর সব শিশুরা স্বপ্ন

১৬ মেয়েটা

  ও-প্রান্তে, নীল জোছনায়, মিঠা রোদ্দুর আজ মরে যায়। এ মিহিসুর, গানে গানে, চাঁদ গরিমা, হেসে কুটে যায়। কী বিভ্রম, এই রাত্রি, ঝিঁঝি শব্দের, তানে সুরে--- মরা গাছটার, শাদা ডালে, এক কালো কাক,. এসুদূরে। বনসবুজে - নীল ছইটা, বায় ভ্রুহীন, ১৬ মেয়েটা। মেয়ে আবেশে, তালসারি বায়, জাগে রাতভর, সে পাখিটা। রংঝিকমিক, আজ দিনটা, খুশি চারদিক, এ প্রহরে ও মেয়েটা, মিশে ধানগাছ, আর নেচে যায়, কী সুদূরে চেনা হরিতে, সে মেয়েটা, খুব ডাকছে, আজ গাইছে আমি চলেছি, বয়ে চলেছি, জয়ী মাধুরী, সে নাইছে। এই শব্দ, আর শ্লোগানে, সে চেয়ে রয়, আলো দেয়ালে সে এইতো, দেখো চলে যায়, রাঙা সূর্যের, নেশাচোয়ালে। সেই নেশাটা, বড় নেশারু, গড়ে অর্জুন-ছবি হৃদয়ে, যেন পাখিটা, খুব আদরে, মরে নির্ঘুম, আলো সুজয়ে।

মিষ্টিসিজম

রূপনের মাঝে ভয়, ছোট কথার মিষ্টিসিজমে সুজনি চাদর ঘিরে নীল নীল প্রজাপতি ওড়ে ভ্রমর মগ্না ফুল, অধীরা তো সে অনুরাধা রোহিণী সে আলোক আলোক কুণালের মতো উড়ে যায়, আদিত্যবর্ণা হিমালয় চূড়ায় ওগো আনমিতা ভোর তোমার কপালে সূর্যসিঁদুর এই দীপাধার, গুহালীন মনে আলো জ্বালে সে দেখে, পশতু আখরোট বাগানে পূর্ণা সময় ভেসে আসে তেলাওয়াত - এই ভোর-অ্যাসেটিলিন, তিলকমাটির প্রাবীণ্য আর এই উন্মন ওড়নার খেল চিড়িতনের টেক্কা নিয়ে বসে আছে কাবলিওয়ালা তার স্মার্ট প্লিডার আজ জিতে নিচ্ছে সমস্ত অভিযোগ অভিযোগ,- এক গাংচিল সে কেন সুফিয়া তার নখরে কেন নিগুড় প্রাণায়াম মন তার তিতাস তিতাস কেন সে ঋভু দেবতার প্রসারিত হাত এইসব অভিযোগই আজ জিতেছে প্লিডার

ম্লান মেয়ে, শোনো

আড়ালে যেও না তুমি সন্ধ্যা হলে বাগানে গন্ধের ঘ্রাণ ম্লান মেয়ে, শোনো সূর্য ডোবে আর পাখির মিহিসুর করতালি দশটি আঙুলে হীনা রঙ আর তুমি তোমার ছাদে এখন হেমা চাঁদ রাত যশোমতী মাকে বলে শ্যাম রাধা কিউ গোরি মে কিউ কালা আড়ালে যেও না তুমি আমার অন্য ঘুম যেখানে মাঝ বনে একা হ্রদ খামার বাগান আর তিব্বতের রাজপুত্রের একা জেগে থাকা সূর্য চিত্র প্রচেতনায় তার চোখ সহজে নাচে না তবু এই ভূপালী ভোরে শাদা শাদা বাছুরের সবুজ মাঠ যেখানে মাঝ বনে একা হ্রদ আর তার বুকে রক্তলাল মরাল, তার মর্মরে মৃন্ময় কাজ; --- কুঁড়ির কানে মিহির ঝিলমিল তিব্বতের রাজপুত্র ধীরে বলে --- ম্লান মেয়ে, শোনো তুমি কেন করনি সূর্য প্রণাম?

হোল্ড দা ইভনিং ইন ইওর লাংস

ঋষিরা প্রণম্য কিন্তু বন্ধুবৎসল নয় বেদমাতা মন্ত্রে তারা শুধু গাছেদের মতো দৃশ্যে বিভোর। গাছেদের তো সেরকম কোনো কাজ নেই তাই তারা দেখছিল তোমাকে তাদের দৃষ্টিপথে খেলে যাচ্ছিলো ক্রসওয়ার্ডস এই করে করে গাছেরা যখন ক্লান্ত তখন তুমি পড়তে ভালোবাসো পিরামিডের ইতিহাস মোনালিসার চিত্রকর্ম আর ভাবো, কে বিক্রি করে দিলো তোমার তারুণ্য? কোথায় হারিয়ে গেল পিলক পাখির ডাক! বয়স নিয়ে অ্যান্সারিং মেশিনের কথা শুনতে শুনতে দেখ আরব সাগরের বিষণ্ণতা আর্বান গার্ল, সমুদ্রে পা রাখো, আমি জল হয়ে ছুঁয়ে যাই তোমার পা তোমার নূপুরের ঝিনঝিনিতে শ্রাবণী আলোয় নেচে যাক আলোকতনু সাইয়ারা, অ্যাবস্ট্র্যাক্ট ছবির গ্র্যান্ড গ্যালারিতে এই দুপুরে হঠাৎ এক লিলি ফুল; তার পুষ্পরেখায় মার্মা মেয়ের চোখ আজ পাতার শব্দে আলোর মত উজ্জ্বল দিন— তারুণ্য বয়সের ওপর নির্ভরশীল কিছু নয় আজ এই প্রবারণা পূর্ণিমায় - "Inhale and hold the evening in your lungs."

হরিণআলো

এই যে কুয়াশার বিষণ্ণ ধারা--- ইচ্ছে ছিল হৃদয়ে ফেরার কিন্তু কুয়াশার দিন, রাত্রির মতো লাগে, আর তোমার শিশুহীন এ উঠোনে ঝড় শেষে খেলা পড়ে আছে । গোধূলিরও বিষণ্ণতা আছে, কিন্তু তার মুখময় সফলতা লেখা। দেখো, আমিও ভাতের মতো নষ্ট হয়ে যেতে পারি। আমি অব্যর্থ কবিতা... আমার উঠোনে এই সন্ধ্যায় একটি নীল হ্যাজাক ঘুমিয়ে পড়েছে--- এই সন্ধ্যার ঘ্রাণ নাও তুমি আর তার কৃষ্ণকালো রং ধরে রাখো-- সুইট স্পট সন্ধ্যা, তুমি কথা দিও না, প্রতিজ্ঞা কর। প্রতিজ্ঞা হচ্ছে মেঘ, আর তা ফলে যাওয়া মানে বৃষ্টি। প্রতিজ্ঞা হোল উন্মন হাওয়ায় প্রদীপ, সে প্রদীপের জ্বলাটা আমার আর আলোটা তোমার--- তোমার সময় হলে তুমি দেখো সুন্দর সর্বত্র আছে। তুমি তাকে স্বীকৃতি দাও, তাকে সম্মতি দাও, সে তোমাকে আশীর্বাদ করবে। যখন তোমার অনিদ্রাযামিনী তখন ঈশ্বর বলেন, এসো কথা বলো আমার সাথে। একাকিত্ব সূর্যকে তার অস্ত যাওয়ার সময় জ্বালিয়ে দেয় আর রাতের অবসরে সেই সূর্যঘ্রাণ - তোমার। আর স্নেহ? স্নেহতো সূর্যোদয়ের মতো, একটু দেরী করলেই সে আলো মরে যাবে… এসো ভোরে তোমার সত্তার দিকে তাকাও আর এই ভেবে প্রদীপ্ত হও যে, তুমি- দীপন। তবু মাঝে মাঝে আমারও মনে হয়- রাত্রিরা স্পন্দনশীল রাত দিনে...

ক্ষণিক

চাঁদপুর মেঘনা আমার, জলের দুঃসাহসিকতা ছাড়া তোমার আর কী আছে? এই করুণানির্ভর ঘাট, তোমার কালোমেঘ দেয়ালচিত্র দেখে দেখে অন্ধ। তবুও প্রাণের জন্য তোমার এই দীপ্ত প্রহার শস্যবীজকে ধীরে মাথা উঁচু করে এ পৃথিবীকে দেখার প্রদীপ্তি দিয়েছে। ঠোঁট থেকে হাসি উড়ে উড়ে যাচ্ছে স্থির চাঁদের দিকে, সাঁওতালি ফুলের নীল ঘ্রাণ এঁকে যাচ্ছে নেশাগ্রস্থ শিবের ছায়া ... দুদণ্ড স্বপ্ন থেকে এই চোখ খোলা – তারপর সারারাত স্বপ্নের বিস্তার এরপর ধীরে সূর্য তার হীরক চূর্ণ ছড়িয়ে দিয়েছে সর্ষে ক্ষেতে এই সূর্যপূর্ণিমায় দাঁড়িয়ে আছো তুমি রংধনু আঁকা পাখি রক্তমাখা মিষ্টি হাসির দেখা পেলেই তুমি উড়ে যাবে অস্তসূর্য নদীর ঠিকানায়, - এ নশ্বরতা চিরকালের চেয়েও বড়।

আইরিন

প্রাচী থেকে উড়ে এসো ভোরে দিয়ে যেও আলোর যিনাত; সেমন্তির মতো শাদা তারার ঝিলিক দেখ আজ এই গুমশুম রাত--- দেশলাই ফেলে গেছি ইচ্ছে করেই খাটের ওপর একা দেশলাই পড়ে আছে আর একআকাশ মুশতারি তারা। এখানে আগুন নিজের ঘরে আছে, অ্যাডোনিস নিজের ঘরেই আছে শুধু বাইরে আছে মালিহা গালিবের সেবারত মালিহা মিনার্ভা চাঁদ নয়, তার তোমার মতো চোখ তোমার অন্তরা পাহাড়ের ঢালেঢালে চুপ মে লো ডি ... ঘন কুয়াশার বন আর তার মতন মেয়ে তারামণি তুমিই কি সেই আইরিন, গ্রিক পুরানের শান্তিদেবী তুমি?

সে কেনো ঘুম পারাবার সাধ করে

এক আকাশ অন্তর যার, নৌকোর মতো চোখ আর নক্ষত্র দৃষ্টি তুমি আমাকেই অন্ধ করে দিও না, দেখো তুমি,- পৃথিবীর দৃষ্টিপথ প্রতারিত হতে থাকবে। আমি অমর হতে চাই আর সেই অমরতায় পড়ে যেতে চাই আমার অলিখিত কবিতা -- হাতের মুঠো খুলে দেখি শিশির রয়েছে। আমার জাগ্রত রাত্রি বোঝেনা তো! সে কেনো ঘুম পারাবার সাধ করে-- রাত্রিকে স্খলিত করে দিতে চাই আমি -- ব্যথায় এ বুকে রাখি হেমলক যাতে আর কাউকে তোমার মতো স্নেহ না দেই যে চোখের বুকে লেখা ঘৃণা, আর পিঠে সে লিখেছে স্নেহপ্রেম, সে চোখের টানে যখন আমার প্রেম শূন্য হয়ে যায়, আমি তখন সে শূন্যতাকে মেনে নেই কিন্তু যখন সে ঘুমোয়, আমি তার থেকে স্নেহদূর — জীবন কখনো নবীন অথবা বৃদ্ধ বয়সীদের কাছের ব্যাপার নয়, মৃত্যুও নয়

রাত্রিদিবা

আমার কুয়াশা ঘেরা সেগুন বৃক্ষদের একা লাগে আর নিজেরও একা, তাই এই এক মৃত্যুবিশ্রাম— আজ সারা আঙ্গিনা জুড়ে ফুটে উঠেছে গন্ধরাজ-- কবিতার ক্লান্তি শেষের কবিতা এই ঘনঘোর রাতে জোনাকির সিনটিলা— এই পাখিহৃদয়ের কোনো ঘর নেই আর, এই অন্ধকার আপন, হারানো গানের হার্বিঞ্জার—অনেক অনেক শোনা রাত,- মুঝকো দাফনা কার ও যাব ওয়াপাস যায়েংগে— আজ এই আর্জিপত্র দিয়ে যাই আমি, হৃদয়ের ব্যথা পেলে আমি আরো লীন তোমার বুকের কাছে-- নন্দিত করো নন্দিত করো, দেখো এই রাত্তিরে ছোট্ট কুকুর ছানা শুয়ে আছে হারমোনিয়ামের ওপর, আমার বিষণ্ণ বারান্দায় চাঁদের সুঘ্রাণ, নীলপাখা প্রজাপতি তোমার মেদুর চোখের মাতাল প্যারাফিন-আলো নিয়ে জ্বলে জ্বলে ঘুম-- রাত্রিদিবা তুমি

তিতাস একটি নদীর নাম

আমিও তার দিকে চেয়ে রই - প্রমিত বিদ্যারা উজ্জ্বল, জানি না এ কেমন দাহজ্বর উত্তুরে হাওয়া চোখ ছলছল। ঝমঝমে আজানের মিহিভোর লেপের গন্ধে ঘুম জমে যায়, হাসির মতো কিছু মুছে নেই তিতাস স্নানের নদী ডাকে আয়। সে এক নদীর নাম জেলেদের আরো সে নদী, যার ক্ষুধা নেই; আর সে জলধারা মাঝিদের যেন বা সজল চোখ হাসিতেই। সুচারু হেসে যাবে নাইটকুইন লীন হয়ে আসে গোধূলি - আঁজলা ভরে তোলে এ আঁধার বিদায়ী গান তোল, - না তুলি? উত্তল ঢেউ কেন তিতাসে! মায়াব্যথা ভরে ওঠে করপুট, মায়ের মমতা শাদা বাছুরে - সে মায়া করেছে আজ সব লুট। প্রজায়িনী মা তোর নদী যে নদীরে বলি না তুমি কার মন, এই নদী সব চোখে ভাস্বর অদ্বৈত মল্লবর্মন।

অনন্তনেশার রাত তিনটে

তুমি রাত্রি করেছো যার চোখে আঁকা আছে জীবনের যা প্রয়োজন-- স্নেহ মৃদু পায়ে নীরবে তোমার কাছে যাবে, অতো জলদি নয় স্নেহের কোনো সুখী পরিণতি নেই, স্নেহ চলমান দিনলিপি স্নেহ দাও, তাই ভুলে যাওয়া হবে না তোমার আর তোমার এই নির্ভুল মন কখনোই তাকে দেখতে পাবে না যাকে তুমি দেখোনি কোনোদিন অনন্তনেশার রাত তিনটে বর্ষায় বদলে গেছো রাত এই রাত নম্র কাঠবিড়ালী, এই মহামুহূর্তের অন্য নাম সন্ধান জীবন বোনা তার চুলে খেলে যাচ্ছে এই অন্ধকার কৈলাস পথে ওম্ ওম্ ধ্বনি তীব্র শীত আর রাত্রি তীব্র শীত আর রাত দেবীর মুখের পাথরছবি এই নীলগিরি বনে এই বরফ শাদা উপত্যকায় হিম রাত্রি অন্ধকার বসন্ত বয়সী, কবিতা আমার প্রতীক সে তোমাকে জুড়ে দিয়েছে এই বিমনা রাতির বুকে পাখির বাসার মতো বুকে স্নেহ তৃতীয় নয়ন এক রাত আমরা দুজন

কান্তা

এ কবিতা আকাশলীন হতে অসীম নীলে তোর বিকেল গোধূলি আর কান্তা’র নীল পর্দায় সেই সন্ধ্যাআলো আমার স্বপ্ন অন্ন জল। উত্তরের আশা নেই সন্ধ্যার সংশয়ে তোর ব্যবহার এক, আশাদান আর এক। তুই চিরকাল, মুক্ত তুই যমুনাপ্রেমিকা। আয়না যেমন দর্শনীয় - তুইও রূপময় কান্তা, নক্ষত্রও তুই তুই স্রোতধারা এক, হৃৎপিন্ডে প্রবিষ্ট হয়ে থেমে যাস তোর বুক থেকে ভেসে আসে মাঝিদের গান মাঝি নাও ছাইরা দে ও মাঝি পাল উড়াইয়া দে গা-রে মাঝি গা কোনো গান তখন মগ্ন গভীররাত তখন হিমঅন্ধকার তখন শান্তি ঐখানে প্রতিজ্ঞা চির রক্ত নিয়ে জেগে থাকে হারানো স্মৃতিরা আসর জমায় আঁখিজল শীতের কুঁড়ি সে সূর্যের অপেক্ষায়, কত যত্ন জানে! কান্তা, সন্ধ্যা নদীর এ সকল প্রশ্নের জবাবে শুধু রক্ত পলাশ ফোটা তুই। দেখ, সাগর পারে অনুপম পাথরের ভিড় তুই না অশ্রু না শিশির

লাভ বার্ডস

আতিয়া শাহানা, মৌনের বন্ধু হও পাখি হতে গেলে মানুষেরা পাখি নয়, মানুষের মনে তবু আকাশ আকাশ তন্বী পাখির কাছে গৈরি সময় দাও, ও সূর্যোদয়, তারপরই সে গাইবে আভিরি রাগ সে পাবে দাদুর আদর যে দাদুরা আদর দিতে পারে না তারা মরে যায় চিতল হরিণ খেলা করে দাদুর স্তোত্রের মত - ‘সকালে গোবিন্দ নাম, পূর্ণ হবে মনস্কাম গো’ এরপরই ভোর হয় পাখি আসে আমাদের নিবিড় বাগানে দাদু বলে, মৌন থাকো পাখি দেখতে গেলে নীরব হতে হয় আর শোন, পাখিরাই সবকিছুর খতিয়ান রাখে তারা শুধু আকাশের মণি নয় তারা স্বর্গের চোখ দাদুর মত স্বর্গদীপ্ত শরীর হচ্ছে অদৃশ্য পাখিদের নীড় হাত পেতেছি হাত, যে হাতে প্রীতি লেখা আছে; শিশিরে ধুয়েছি মুখ তিতলির পাখায় ঝিমলি বৃষ্টি যোজনগন্ধার সৌরভে আর সেঁউতির কোমলে বাবুনা পাখির ডাক। রাকামণি ভোর দেখবে বলে ঘুমায়নি সারা রাত হাত পেতেছি হাত ... আর বন্য পাখিরা ওড়ে আর ওড়ে, শুধু পালিত পাখিরা গায় মুক্তির গান এ সকল গানই আমাকে নিয়ে চলে পাখিটির দিকে - আর দেখি তুমি আমি নাকি বাজি আজো, কেন ওদের অপবাদ কংকনে? বিষণ্ণ কুয়াশায় অক্ষর ভিজবে না, ঘাতক না হলে হত হতে হবে

নীল পাখি ভোরে

আমরা তো জানি কাকে চাই তা দুজন জানি সবকিছু ছেড়ে দিয়ে পাখিদের গান শোনো জীবন কে শেখো পাখি গান দিয়ে তোমাকে শেখাবে আর যদি উড়তে চাও তবে জীবনের যা কিছু ভারী সব নির্বাসিত কর আরো তো আকাশ আছে ওড়ো তুমি নির্ভিক পাখি কিন্তু আকাঙ্ক্ষা? পাখিদের থেকেও উঁচুতে ওড়ে আমাদের স্বপ্ন কুড়ুলের ধার নিয়ে বেঁচে আছি তবুও সে এই স্যাঁতস্যাতে গরমে ভ্রু সন্ধির কোমল থেকে ডেকে আনে জাজ্বল্যমান ভোর বাঁশির মোহন সে এনেছে যে এই চরাচরে আমাদের এই নিত্য পথচলা হোক কবিতামিহিন নিভে যাক সমস্ত দহন আর তখনই আশারা জাগবে দেখো দীপ্ত আকাশে শিশুদের করতালি শস্যের উচ্ছ্বাস ভাসে কানে আর এত কিছু সম্ভাবনার পর ঈশ্বরকে মনে পড়ে ধানসিঁড়ি বনে ... । ভাতঘুম থেকে মারাত্মক সুষুপ্তির দিকে আর এই কন্ঠার মাঝে বার বার কেঁপে ওঠে গিলে ফেলা পেরেক শেকড়সুদ্ধ বৃক্ষ না হলে মঞ্জরি ঝরে যায় - মন ছুঁয়ে বলো, অনভ্যস্ত প্রণয় দেখে মুখচাপা উন্মন হাসো আর আমি দেখি কাঞ্চনজংঘার সাতরঙ ভোর আর অমনি সবকিছু পেরে যাও তুমি পাতাদের সাথে কথা হোক, আজ ছুটির দিন কিছু বোকামি জমিয়ে রাখি জীবনে আবারো যে ফিরে আসি মৃন্ময় পাখিটির কাছে হে আমার মুহূর্ত সুন্দর, যখন দেখি সে আমার আদর টুইটি রক্ত ঠোঁটে খ...

আনত চোখ এক শিরীষের ছায়া

শীতের রোদের মতো বেঁচেছি আমি এরকম, লাওয়ারিশ দিন গুজরান স্বপ্ন তবু কন্যা আমার এই আদুরে কন্যার বোধশক্তির ওপর জয় নিশ্চিত অনিশ্চয়তাই তোমার আদরের ডাক তুমি বেঁচে আছো আমার শেষ পর্যন্ত তোমার পিঙ্গল চোখে জলবিজুলির আলো ... প্রেম তার স্নেহস্ফুট স্বপ্ন নিয়ে বাঁচে, মরে না কনোদিন। এই চেতনা তাই করুণ কথা কিছু নয়। আর সৃজনই তো সেরা সুন্দর আজ তুমি কবিতা হয়ে ওঠো, কবি নয় বৃক্ষদের সাথে কথা বল, আজ শুক্রবার আমার সকল পথে ছায়ারা তোমার। প্রথম দিনের মত আবার পুড়িয়ে ছাই কর আনত আঁখির নিচে আমাকে রেখো তারপর কেঁদো ; সেই অশ্রুকণার মাঝে আমি পুলক অক্ষর। তারারা ডাকবে তোমাকে, আমি বাধা দেব লতিয়ে থাকবে বুকে চির আলিঙ্গন। স্পর্শআলোয় জন্মান্তরও আলো হয়ে উঠবে আমি এক উন্মন প্রদীপ, আমাকে জ্বালিয়ে রেখো - লিখো না কিছুই