পোস্টগুলি

2011 থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

জল পড়ে পাতা নড়ে

পদ্যহরফ জোনাক পথে তৃষ্ণা বাড়ে রাতদুপুরে ছন্দমেয়ের নূপুরটারে ধরতে ঘুরি দেবদারু বন নূপুর কোথায়? হাওয়ার পাতায় বলছে যে খুব কানেকানে - "মেঘ করলেই আর লিখো না, জল পড়ে পাতা নড়ে"... পদ্যহরফ অংকুরে তোর মেঘ-তারা পট নিত্যদিনের রাংতাকুচি রাত তারা তুই পাইন ছায়া হ্রদ নৌভ্রমণের রাত্রি পলির বুকের ভেতর বীজ ছড়ালি প্রজাপতি পোড়োবাড়ি ধুপছায়া তুই চিনলি কেমন ভগ্ন মাটি! চোখের ভেতর নিয়ে হাঁটি চন্দ্রাহত তোর অভিমান পদ্যহরফ, তোর ধারাস্নান ঘুমপাড়ানি ছড়াকাটি বিজন বাড়ি জল পেলো না কেন সে কি বলতে পারে? মনোজ এক দেউলে বাতাস মেঘ উড়িয়ে বৃষ্টি কাড়ে। ঝিনুক মাঝে সুপ্তির ধীর মুক্তা অধীর ঘুম কিনারে বালিয়াড়ির পায়ের ছাপে বহুদূরের তৃষ্ণা বাড়ে ...

যাপন

চোখে সিঁদুর ছেটানো জ্বালা; একটা জাল বুনতে গিয়ে হারিয়ে ফেলেছি রাতসুতোর রিল। পরিধি ছোট হয়ে এলে রাত্রি আমার শয্যার মত বড় – তার চেনাজানা জমিনে ঘুমানুষঙ্গের এপাশ-ওপাশ। এপাশে চুপদুপুর তো ওপাশে হৈহুল্লোড়ের মাঝে মাঝে পূর্ণচ্ছেদ দৃষ্টি; যেমনি দীর্ঘ শব্দমালার পর পর ফুলস্টপ দেয়া থাকে। ওপরে রাত্রি থাকে না, শূন্যতা থাকে, থাকে অন্ধত্বের অনুভূতি আর অসীম দর্শন। চোখের মণিতে অর্ধেক কালো আর অর্ধেক নীল নিয়ে বেঁচে আছি। এ রহস্য কনীনিকায় তাই তোমার ভয়। তুমি জানোনি সে অভিশপ্ত। তুমি জানো না। তাই একটা চৈত্রের চুপদুপুর পশমী চাদর এই শীতরাতে জড়িয়ে আছি। এই শেষ রাতে স্ট্রিটল্যাম্প সারি জুড়ে দেখ কত নিঃসঙ্গ আলো ---- নিউরণে জীবনের দাহ থেকে জন্মানো অগ্নিকান্ড তারও চেয়ে একা! উড়ে যাচ্ছে পতঙ্গপাখা আর আত্মখুনের নোটে শিশুঠোঁট গান।

মুক্তি

মেঘ জমেছে বিশোক আকাশে বিরহ তুমুল ঘুমচোখে স্বপ্নের শাদা নিয়ে কালোতে আঁচড় হঠাৎ আকাশ ফুঁড়ে রঙধনু বিনম্র ছুঁয়ে দিলো দিগন্তরেখা আমি তার বাঁকে ঢলে পড়ি...... শুধু ঘুমিয়ে পড়ি... ও আমার অভিমান ক্রমাগত বেড়ে বেড়ে সন্ধ্যেবেলার ফুল দুই চোখে ঝরে গেল মৃত্যুসুন্দর। এই সমুদ্রউড়ান তাই উড়ে যাব, বন্দী পাখায় আমি জমিয়েছি লক্ষ উড়ান মায়ালোক দূরে থাক দেহ-মন সন্ধির গান ইথারবিলীন... নীরবতা জমে গেছে, জেনেছি কেমন তুমি পৃথিবী কেমন সময়ফসিল থেকে চিনে গেছি হৃদয়বিন্যাস রাত্রিশান্ত জলে নিভে যাক কাঙ্খার তীব্র আগুন তুমি আর তোমাদের ক্রীড়া থাক হাজারো দর্শক। ঘুম জমেছে জন্মাবধি প্রতারক দিন থেকে যতটুকু বাঁচিয়েছিলাম। ঘুমুতে দাও চতুরচক্র এবার বেরুনো যাক সকাল রাত্রি জন্ম মৃত্যু ছুঁড়ে ফেলে ছন্নছাড়ার পথে ইরাবতী নদীনিশানায়

এবার নিশানা ভোল একলব্য তীর

ছেড়েছি - ফেরত এলে কবিতার পাখি আমি নয় আরেকটু অগোছালো থাকি শোন তুমি উদাত্ত মেঘডাক, আত্মহত্যাপ্রিয় তীরবাজ ! স্থির প্রহরের ভ্রূভঙ্গিতে তোমার কেঁপে উঠেছিল রক্তটিপ বুকে দাগা চা-বাগান ত্রিমাত্রিক ছাপ নিয়ে মুদ্রিকা বলো নাই বৃষ্টির নাচ আকাশের কান্নাসোহাগ -- এই ঘুম ঘুম অঘ্রান তীর্থ প্রদক্ষিণ প্রজ্ঞার নম্রতা ভোরহারা চোখ, শুনি উদাত্ত মেঘডাক, জানি তুমি আত্মহত্যাপ্রিয় ব্যাধ। ভোর তো তোমার গান; সেই সুর, নদীর দীঘল বাঁকে পাতিহাঁস উড়ালের সুকান্তরেখা থেকে বিলয় ভাসিয়ে আনে, শুনি... এই তিলচিহ্ন বন্দীযাপন নীলগিরি-নিঃসীম নীলা তুমি চোখভরা ফুল বরফ পাহাড় তার রুপালি গ্রহণ তুখোড় তুলির টান তুষধিকি গহীন দহন চোখভরা ফুল তুমি শাদাশীত ভোরের কুহক বিনত দেখতে পাও খুন; মৃত কবিতার ক্যারাভান ছাড়িনি তোমাকে ছেড়েছি আমি আত্মহত্যাপ্রিয় নাম, তবে এবার ফিরিয়ে নাও চোখ এবার নিশানা ভোল একলব্য তীর, কত আর পান কর পাখির রুধির !

লিরিক - ৩

খুব দেবে শীত কুয়াশা তোমার নাম ঘ্রাণ দেবে ওম গন্ধ বকুল ভুল পরিণাম পথ দেবে পথ পথ হারাবার ধুমকি নেশা তোমার নামে শীতের দহন ঘুম কুয়াশা রাত পড়েছে ভীষণ কালো অন্ধকারে তারার বুকে মেঘের আঁচড় রাত্রি বাড়ে পথ যখনই ঘরের কিনার বকুল হাওয়া ভোরের কাছে যেতেই অসুখ নিশি পাওয়া ..................... ০৮/১২/২০১১

লিরিক - ২

তুমি এমন ঘুমিয়ে গেলে জাগল আকাশ পলাশপুরের ছোট্ট স্টেশন দিল দরিয়ার চরের সাথে জাগলো সকাল রাত্রি দুপুর তুমিই কেবল ঘুম জাগালে ঘুমিয়ে গেলে আর এলে না সকল জাগা আনন্দরা খুঁজলো তোমায় ফিরলো তারা সঙ্গী বিহীন জানলেও না তুমিই কেবল ঘুম জাগালে ঘুমিয়ে গেলে আর এলে না ......... ০৮/১২/২০১১

অনুবাদঃ Dance Me To The End Of Love by Leonard Cohen

তুমি সুন্দর নেচে এসো নিয়ে জ্বলন্ত ভায়োলিন যত ভয় থেকে নেচে এসো, দিও নির্ভাবনার দিন জলপাই শাখা আমি যেন এক, নীড়ে নিয়ে চল পাখি ভালোবাসাবাসি শেষ দেখে নিতে, পরাতে তোমার রাখী চলে গেলে সবে দেখবে তোমায় মন তোমার ভঙ্গি অনুভবে ঘোরে চলনে ব্যাবিলন ধীরে ধীরে তুমি দেখিও আমাকে সীমানার শেষ বাতি নেচে এসো তুমি অনন্ত প্রেমে, নেচে এসো সুখ রাতি মিলনেও নাচো, নেচে নেচে যা্‌ও, কোমল মুদ্রা দীর্ঘ ছড়াও ভিতরে বাহিরে ভালোবেসে বেসে আমরা দুজন সাথী প্রেমের অন্তে নেচে এসো তুমি নীড়ে ফিরে চলা পাখি নেচে এসো তুমি, সাথে করে যত অনাগত শিশু মুখ নেচে এসো ছিঁড়ে আদরে পুরনো কালো পর্দার বুক গড়ে তোল ঘর মুছে ফেলে সব শোক... এই সুন্দরে নেচে এসো নিয়ে জ্বলন্ত ভায়োলিন যত ভয় থেকে নেচে এসো, দিও নির্ভাবনার দিন নগ্ন ওহাতে ছুঁয়ে দিও তুমি অথবা ছুঁয়ো না ছুঁয়ো না নেচে এসো ভালোবেসে তুমি মেয়ে, আমাকে হারাতে দিও না

শর্ত সাপেক্ষে

এইসব পরাধীনতা খুঁজে নেওয়ার আগে আমি জোনাকজ্বলা অন্ধকারে শিতিকণ্ঠ বেঁচেছিলাম ফানা’র আর্তি নিয়ে প্ল্যানচেটে নামিয়ে এনেছিলাম বিগত বাৎসল্যের পরী এই আনন্দশীত ব্রজপুর... সারেঙ্গির সুরে সুরে কবিতাহারার শ্যামাগান বর্ষাবিলীন রাতে ধারামুখর আরশিনগর জুড়ে ছিলাম তবে ছলবাজ ঘরামির কাছ থেকে ঘরের চাবিটি নিয়েছি এখন আমার ফেরার চোখে কড়িকাঠ কালো কৃষ্ণতারার চোখে নিবিড়তা এমন কোরো না চাহনি এমন গভীর রূপলোকে অধোমুখ বসে আছি হুশিয়ার কবিতার সুরে তান রেখো হাওয়ার রিমঝিম শীতের সকালে রেখো রোদের পিরান ফেরার আমি স্বপ্নঘরামির কাছ থেকে ভালোবাসার শর্তে পরাধীনতা খুঁজে নিয়েছি স্বেচ্ছায় খুঁজে নিয়েছি দরজার চাবি এক অলিভের ডাল

অনুবাদঃ Beautiful Dreamer by Stephen Foster

আমায় দেখে জাগো তুমি স্বপ্ন দেখা চোখ তারা-শিশির অপেক্ষাতে অপেক্ষা শেষ হোক রুক্ষ যত শব্দ ছিল দিনে শোনা যেত ঘুমপাড়ালো জ্যোৎস্না তাদের সবাই নিদ্রারত অপরূপা স্বপ্নবাসী গান তোমাকে ঘিরে শান্ত সুরে একটু ফেরো প্রার্থনারই মুখ এই জীবনের সব কোলাহল এখন গেছে ফিরে আমায় দেখে জাগো তুমি স্বপ্ন দেখা চোখ স্বপ্নমুখী তুমি যখন এই সাগরের বুকে জলপরীদের মাতাল গান জলপরীদের ঠোঁটে জলকণারা ছোট্ট নদী হাওয়ায় জেগে রয় মিশে যেতে চায় সকালে উজল আলোকময় মোহন স্বপ্নচারী জ্বালো এই হৃদয়ে আলো ছোট্ট নদী আর সাগরে যেন ভোরের মুখ চলে যাবে তখন দেখো শোক মেঘেদের কালো আমায় দেখে জাগো তুমি স্বপ্ন দেখা চোখ ====================== "Beautiful dreamer, wake unto me, Starlight and dewdrops are waiting for thee; Sounds of the rude world heard in the day, Lull'd by the moonlight have all pass'd away! Beautiful dreamer, queen of my song, List while I woo thee with soft melody; Gone are the cares of life's busy throng, -- Beautiful dreamer, awake unto me! Beautiful dreamer, out on the sea Mermaids are chaunting the wild lorelie; Ov...

খবর

তার অশ্বখুরের নালের স্ফূলিঙ্গ - সেই আগুনরেখা চলে গেছে সীমানার ঐ পাড় গন্ধমৃগের বনে সূর্যবিগ্রহ হাতে নিয়ে মন্দিরে চলে গেছে রাত্রি তাড়িত পুরুষ এই শ্যামভূমির বেথুয়া শিশির বিন্দু বিন্দু সরে গেছে চিরপ্রবসন নূপুর মুখর নীলকুঠি পড়ে আছে এইখানে হায় ইউফোনিয়াস কুহু ! ফাগুনে ফিরে যাও এবার – একা নামগন্ধ মুছে ফেল তিলে তিলে প্রসারিত নাম অনন্তশীতের কথা মনে রেখো না সীমান্ত ডিঙিয়ে চলে গেছে যে তার দৃষ্টিসিক্ত মুখ নিয়ে বসে আছে এই পাড় টেরাকোটার চিহ্নগুলি তুলে তুলে নিয়ে গেছে গন্ধমৃগের বন সহবন্দী করে নিয়ে গেছে কাঠশিল্পীর পেন্সিল রঙের বণিক তুমি নিয়ে গেছ কৃষ্ণচূড়ার অক্ষর, মাতোয়ালা টেলেফোনি ধৃতিমান! ফেলে গেছ প্রতারিত সংসার আর কৃষ্ণকোকিল পাখি তুমি বসন্তে ফিরে যাও, কারণ অশ্বারোহী বলে গেছে 'একঝাঁক পাখি স্বর্গচুরি রঙে উড়ে আসতেই হঠাৎ বৃষ্টি বৃষ্টি শ্যামল মুখের ওপর পড়ে মুক্তার মত দানা, তার ছড়িয়ে যাওয়ার শব্দে নেমে এসেছিল গহন বনের ঘুম একটা দিনকে নিয়ে মশালের মুখে ধরতে পারি চৈত্র ঝিলিক দিন আর সব মৌসুমে ছুড়ে দিতে পারি বহুবর্ণের ধাঁধা; বৃক্ষের সাথে কথা আছে, বৃক্ষ তুমি ঋষি আর আমি নদীকে ছুঁয়ে দিয়েছিল...

পৌনঃপুনিক

আজ ভোরের পাঠশালায় হঠাৎ ছুটে এলো এক শব্দভেদী পাখির শিস রূপের মানুষ তুমি পোষাপাখির ঠোঁটে বুনে দিয়েছিলে একদিন বুনোফুলের ব্যালাড সে তবু আজীবন বেহাল বৈরাগী সে তবু লেবু ঝাড়ে হিম হয়ে থাকা লুপ্তগন্ধ জাতিস্মর পাখি, তার মনে আছে হাবেলির গুপ্ত কুঠুরির যাপন দেরাজের আড়ালে থাকা গুপ্তির ক্রিড়া তার মনে আছে মায়াবীর কাছে বেশুমার পড়ে ছিল কত কাতর প্রসাধনী আর মণিকারের হাহুতাশ তার মনে আছে অভিসার কোচোয়ানের খুনের বৃত্তান্ত তার বর্ষা পাওয়া কান্না পাওয়া অবাধ অরণ্যে আজো বনমালী রূপবাঁশির ঝিলিক আদিম সুরের অ্যালেগ্রি পুরনো ইতিহাস ফিরে ফিরে আসে ট্রোজান ঘোড়ায় চাপে আরো আরো রক্তের দিন

সন্ধ্যাদশমী

আজ শুধু যাই যাই সন্ধ্যাদশমী পথভোলার উড়োচিঠি শেষ আলো মেখে উড়ে আসে রক্তসিঁদুর লাল তিতাসের পাড়ে ধুলোঝড়ে রোজকার খবরাখবর, বৃত্তান্তে শেষের প্রচ্ছায় আজ শুধু যাই যাই বিরানার চর চলাচলে নিঃসঙ্গ লণ্ঠনের একটি আলো জ্বলে শান্তিপুরবাসী ও আমার পরিখার ঘুম তুমি কত জখমেও দুর্বিনীত এলে কোন্ মন্দিরায় বেজেছিলে নিদ্রাকুসুম সঙ্গোপনে মূর্ত মায়ার পর্দা দিলে খুলে এ সফর রাতের সফর ফন্দি-ফিকির আমি ভুলেছি সকল কেউ জানেনি ফুল কাটা মন্দির উঠোনে কার পায়ের রক্তচিহ্ন ছাপ চলে গেল বিরানার চর কেউ তো জানেনি আড়াল কোথায় কোন্ বিজনের মুখ ধূপ থেকে ছাই নিলো শোকপুষ্পের নির্যাস নিয়ে বিসর্জিত হলো এই সন্ধ্যাকাল বিমনা তিতাসে

সাপে কাটা

লছমির মৌ-পলাশ ঠোঁটের দিকে তিরতিরিয়ে উঠে এসেছিল যখন গুপ্ত গর্ত থেকে অবিশ্বাসী খড়িশ হায়, ভাবুনে কিশোরী ! মিথিলায় তখন ছিল না কোন গারুদার ভ্রুক্ষেপ এমনই এক সুপ্তিদায়ী সময়ে দুর্নিবার বিষ নিয়ে - হানিচেস্ট; একটা দুধরাজ তার চেড়া জিভ বার করে সন্তর্পণে এগিয়ে যায় ফু্লেশ্বরী নদীর মোচড়ে মোচড়ে দুলে ওঠা পানশি মনে রাখে রাত্রিডোর শিরশিরে অনাঘ্রাতা বুকে পুষে রাখে আজীবন তীব্র দহন মাঘ

অনুকাব্য

১। জেব্রা ক্রসিং এর শাদা ডোরা লাল আর এইসব হত্যাপ্রবণ প্রগতি ২। সেদিন ভূমিকম্পে নাড়িবদ্ধ মা আর শিশুকে আগলে রাখল এক মমতাময়ী নার্স -- আমরা আবার বাঁচতে শুরু করলাম ৩। একদিন বোয়িং জিরো জিরো সেভেন-এর পিঠে চড়ে উড়ে আসুক বিলুপ্ত সব পাখি ৪। একটা শহর মানে বহু হৃদরোগী ৫। এল,ই,ডি - প্লাজমায় গেরুয়া বড় অনুজ্জ্বল

এখন তো নিতে পারো

মেলো না তো আদি জাল আমাকে দিও না বরাভয় এখন আর সবকিছু ঈশ্বরাধীন নয় এখন সবকিছু দুষ্প্রমেয় ফরমালিন হ্যাংওভার...শনি রবি সোম – সাতদিন যখন আমি অন্ধকার - অন্ধকার আমার শহর তখন তুমিও অহল্যা রূপমতি আমাকে দেখিও না মুঠোখুলে চুমকি রাতের কম্পাস কবিতা গাঁথার মত মুঠো মুঠো খুশি শুধু এই সায়াহ্ন সুন্দরে বিলীন হতে দাও দেখ এই অন্ধকার ঘনঘোর নেমেছে পাতাল আমার মুঠোতে দুলে উঠেছে এখন একবন পাতাভরা কৃষ্ণচূড়া তাও তুমি দেবে না পরিচয়? তুমি আধখানা সন্ধ্যার আলো নেবে না আমায়? আমাকে নেবে না কোনো আব্দুল আলীম, সতীনাথ জড়াবে না কুয়াশা রেশম কোনো ফুল্লকুসুম ভোর কে আছে আর বন্ধু আমার, হলুদিয়া পাখি... কোল পাতো আমাকে নিয়ে নাও সায়াহ্ন নিরাময় করে দাও এই শহরের যত মাথা-বালিসের সিজোফ্রেনিয়া এখন অন্ধকার সেরিমোনিয়াল নাচের ভিড়ে ফুর্তিবাজ শহর এখন তো নিতে পারো দিতে পারো এক ছোবল শঙ্খচূড় বিষ রক্তমুখী ছারখার

এইসব সময়েরা

এইসব সময়েরা মনের মাঝে রূপশাদা পাল উজানে ভাসানো সকাল। অন্তরে তন্তুশালা; শাদা-কালো বয়নের দিন হলদে সুখের মত জিভের সুড়ং বেয়ে এক ঝুম নীল এখন নাটক শেষে ঘুমিয়েছে অপেরা পাড়া নাটকের গোপনতা ছড়িয়েছে ছুকরিবাতাস আহ, অপেরা হাউজ – সব চোখ মোম, গলনপ্রবণ... কালো পর্দা নেমেছে নীরব আড়ালখানা আড়াল কোরো না তবু ...... দুই চোখ মেলে ধর দৃষ্টি বিজনে দূর সুদূরের পথ রক্তডোরে লেগে আছে ভোর তোর রশ্মির চুম্বন স্নেহডোরে প্রত্নতৈজস রঙ সান্ধ্য সীমান্তে রাত্রিমতো চোখতারা তোর... স্থির তারওপরে বৃষ্টিটুপুরে ছায়া তোর অন্ধকার করে আসে তন্বীতুফান ! অন্ধকার করে আসে অতি দীর্ঘকাল ...... ................... সোম, অগাস্ট ২৯, ২০১১

সে দুপুরে উড়ে যাওয়া চিল

এই উড়ানের কাছে খেলা আছে সাপ-মই-সাপ বিকেলের দীর্ঘ ছায়ায় আছে ফকীরির গান সে আমারে বলেছে তালাশ সে আমার মোহের কাতিল বিজোড় চক্রান্ত আদি-অন্ত দুপুর সে দুপুরে উড়ে যাওয়া চিল উড়ে যাও এরকম সুনিপুণ গুপ্তি উড়ান ছায়াছাপ রেখে যাও সৌখিন নক্সানবীশ ডানায় রৌদ্র চিহ্ন বিনীত আকাশ ডানাকাটা বাতাসের শিস তুমি যত উড়ে যাও দলছুট ক্রীড়ার উড়াল আমি ততো তিনসত্য বৃক্ষে বসে থাকি ততো খুঁজি বৃক্ষ আশিস মৃত্তিকার কাছে পিরামিড সুপ্তি চিহ্ন-ছাপ প্রদোষের ধী্রে আছে শিকারের রক্তকাহন সে আমারে বলে মুসাফির সে আমারে দেয় অভিশাপ ঋষিমুখ করি করজোড় আমি কোন্ ডাহুক ডুবে বাঁচি ! বলি নাই তারে আমি কোন্ মায়া ধ্যানযোগে পরাজিত আছি ভরে দাও এরকম ত্রিসন্ধ্যা পাণ্ডুলিপি শতরঞ্জ ঘোড়াদের চাল নগরীর থিয়েটারে দহন নাটক ছায়াময় কবিতা সকাল আকাশটা থিতু হলে জলভারনত হলে দগ্ধ ডানায় পাবে দোলরঙা কাল

মনসংহিতা

আকুল দেখেছে আলোকসাঁই গীতি জাগা পঞ্চমে মেঘরুপালি তান সুরলেখায় ছবি কার তড়িৎলতা ! জাতিকার বিন্দু-বিসর্গ নিয়ে রূপকবিতার শিষ এ যে কোনো শ্রীভোরের টান, বালি-কথকের অভিমান যখন সে গেয়েছিল মায়াতানে - সুবলং পাহাড়ে যখন রঙ তারার আড়ং সে তখন জুঁইজোছ্নায় পিয়াইনের বুকে সচল আলোর পানকৌড়ি যার উধাও হেমন্তদিন; অ্যাসফ্যাল্ট জঙ্গলে সেও আকাশে জাগে বর্ষা মদির এইদিকে দোহারের পাড়ে ঘোর পদ্মার বিস্তার তার বুকে মাটি আর মানুষের লুপ্তিবিষাদ সে তবু এক জলটুঙি হয়ে থাকে যার দিকে হৃদয়েরা হেঁটে গিয়ে এই রাতে আলো হয়ে আছে মনসংহিতার কোকুনে নাচ মুদ্রা ঘুম, নীল ভেইন্, শার্পনেল... পদ্যখোর ঝিম লেগে আছে অনন্ত রাত্রি সময় কথক, কন্যাকথার মত একটি অভিমান ধুলির ডাকবাক্সে পড়ে আছে কিংখাবে লেগে আছে রক্তপুরাণ...

এইতো সন্ধ্যে

এইতো সন্ধ্যে - একটা নিজের সুর নীল স্প্যানিশে ঘুমগান ফিরে ফিরে কানে। লালাবাই, এই তো নিরুদ্দেশ। চকোর শিউরেছিল দ্রাক্ষার স্বাদ; সে এখন কী বলেছে ধীর আঁধারের সাখে জানা নাই এইতো মাছরাঙা জল যেইখানে জীবনবিস্তার আমার মুখর সন্ন্যাস; তালের ডিঙার মত ধানের শরীর ঘেঁষে মিহিন বয়ে যাই আর রাত্রি এসো না আর দিন

সেই থেকে আমরা...

বৃন্দগানে খুলে যাচ্ছে বাঁধন, আমাদের সপ্তম আকাশ মেঘবালিকার চুল চেরা আলো ভিজিয়ে দিচ্ছে নেত্রকোণ আমাদের চোখ আজ ভ্রমর কপোত; দূর দূর গন্ধরাজের বন থেকে ভেসে আসছে ঘুমপনা – মায়াশোক... ত্রিপুর পাহাড়ে থির জমে ছিল যে পাথর সন্ধ্যা এক অসিতামেঘ তাকে ভুলিয়ে এনেছে এই অশরীরীর দেশে সে আরো চুপধ্যানে হয়ে যেতে পারত একটি প্রত্নরাত, প্রাগজ্যোতিষপুরের ভোরদুলারি দোয়েল কিন্তু সে হয়ে উঠলো বহ্নির রক্তবাহার একটি মৌন মোম থেকে সে হয়ে উঠলো দাবানল তার তাপে আচমকা জ্বলে উঠলো সার সার কমলার বন স্বপ্নজেব্রাদের খুরে টগবগ উঠে এলো যাবতীয় নিঃসঙ্গ দুপুরের ধুলো সে রোদ-বৃষ্টি জলের মত দ্যুতিময় কিন্তু আশ্চর্য শান্ত হতে পারত কিন্তু সে হয়ে উঠলো নাচ তার নৃত্যপরতায় ঘটে যেতে থাকল একের পর এক দৃশ্যবিস্তার অন্ধ্র শ্যামল থেকে চোখের কাজল বন্যবৃত্তি থেকে কান্ট্রি সং, ব্লুজ, রবিগান... যাবতীয় সুখ – সুখের অসুখ জ্যোতির শব্দমালা থেকে প্রতারিত খরগোশের চোট দানপত্রে ‘জীবন’ লিখে দেয়া শিমূলের উদ্ভ্রান্ত হাওয়ায় লুট..... নক্ষত্র লগ্ন আমরা সেই থেকে তার দীপ্র আলোয় অন্ধ তুমুল

লিরিক - ১

এখন আকাশ মন ভাল নেই সমুদ্র পাড় ঢেউ জেগে নেই ছুটির সাথে সমুদ্রেরও নেই পরিচয় ঘুম জেগে নেই রাত জেগে নেই দিন জেগে নেই---- ঘুম তাতো নয়; মৃত্যু অথৈ সহজ কথার সহজ হাসার কাছে আসার মুহূর্ত নেই চোখ বুজলেই মিরেরসরাই রুমানারা--- জীবন বিয়োগ স্বপ্ন বিয়োগ; ভিড় কিলবিল উপচে নগর, মৃত্যু খবর পড়তে বসি সকাল হলেই ! সকাল হলেই মৃত্যু দিবস চায়ের কাপে বড্ড তেতো অ্যাস্ট্রে ঠাসা রাত্রির কস বৃষ্টির জল শুষতে বুকে ইট পাথরের নেই রুচি নেই ইট পাথরের বুক আমাদের জল ফিরে যায় তার অভিমান, ফিরে যাওয়ায় এই বাতাসের মন ভাল নেই এখন আকাশ তীব্র কালো মেঘ নাকি তা পাপ আমদের জানলে ভাল, না জেনে মন পুড়বি কত? বুঝলে ভাল বুঝলে ভাল চোখের আলো জীবন প্রদীপ জ্বালিয়ে নিয়ে ছড়িয়ে দেবার ভাবনা ভাল নদীর মত জাগা ভাল হাতের কাছেই কোন্ সেই জন হাত বাড়াল? বুঝলে ভাল হাত ধরলেই ভালবাসা মানলে ভাল =========== July 18, 2011 at 5:01pm Dhaka

তুমি দেখোনি ঋত্বিক

মহুয়া-রক্ত গন্ধ, অজান্তে গন্ধ ভরে বুকে পাপবিদ্ধ চক্ষু মেলে তাকিওনা ঋত্বিক তোমাকে মানায় না পুষ্পশোক-প্রেম হাতে রাখা মাঙ্গলিক ডালি নামিয়ে রাখ এইবার শিশুত্ব এখনো বর্তমান কবিতা শিশির টুপুরে নীরব অবোধ্যতায় নড়ে নড়ে বেলিবন এখনো শুভ্র হয়ে ওঠে তুমি কার কোরক ছিঁড়ে দেখেছিলে অন্তর মধুর-মধুর? ছায়ামুখে আলো ফেলে দেখেছিলে সেইখানে রঙের ক্রোটন ঠোঁট থেকে শুষে নিয়েছিলে প্রাণ শোন, তারার পতন রুখে দেয়া যায় একটি অবাক সৈকতে নেচে যেতে পারে দূর দ্বীপের সোনাটা সাত পাহাড়ে প্রতিধ্বনিত হয়ে ফিরে আসতে পারে অনিঃশেষ... একটি আধো নীল ভায়োলিন বেজে উঠলে কোন লুপ্ত নগরের মন্দিরের মৌর্য খিলানে ভেসে উঠতে পারে সাজকথা সূর্যতম বিচ্ছুরণে জেগে উঠতে পারে সাহারার চোখ বাতাসলীন হয়ে আছে লণ্ঠনের পুড়ে যাওয়া সলতের ঘ্রাণ একটি স্টিপটিক কৃষ্ণনীল রিবন পড়ে আছে শুধু তুমি দেখোনি ঋত্বিক !

পরিচয়

বন্ধু তুই মনে বিষাদ অন্তরে অক্ষয় অনাদির নদী বয়ে যাস শরীরে আমার তার ছলাৎছলে দ্রবিণ দেশের জল একপাড়ে হীরামন বাসা বেঁধে রয়। বন্ধু তালাশে নাই নূপুর জোছনা শুধু তোর জলের প্লাবন আনন্দ দুলছে দেখ্,- হুহুবুকে আছে পরিচয় তুই সুবর্ণময়, তারা তুই জ্বলজ্বলে জয়। ঘুমুনে জগৎ চারিপাশে রাতের শব্দ ছুটি চায় চিকন রেখার মত পাখির গলার সুন্দরে তাড়ালি আমায় সজলবয়ন মেঘ বেদনশীতল ধনুক ছিলায় লাগে খুন-তীর মোহিনীনিষাদ বিজন বিন্দু তুই রাতবরষার - বৃষ্টির ভীষণ বিষাদ দৃষ্টিরেখায় তোর অন্ধপ্লাবন, নয় রশ্মিধারায় জাগা তারার মতন সন্ধায়ী নই বন্ধু অমৃতারও নই বিষেরও নই আমি তোর; যাপনের সাথে আছি হৃদয়ে হৃদয়

মিথি তুমি নউমির রাত নেমে কালো

দিব্যদোয়েল ঝাঁক ঝাঁক পাখি আলোর পাখিরা ভালো মিথি হয়ে আছো নউমির রাত - রাত নেমে এলে কালো নিরিখ জানো না প্রাণের স্রবনের খুশি জানোনি নিশীথি নদী, মেঘলীন আছে সূর্যের ঘোড়া বৃক্ষবিরলে তুমি কার প্রতিমান? নিরুপম অই তোমার ছায়াকা ছায়ার কপালে পলাশ তিলক প্রাণের বউলে মেঘমায়াজল আলোর আসরে পরাগের আফসানি বর্ণে বর্ণে সুবর্ণা এ রাতে অখিলবিহারী সুর বাজে, মিথি ! ভিয়োলার সুরে নেচে নেমে আসে জলের ময়ূর দুরবগাহ নদীতে সুমন্ত্র ঢেউয়ে ভেসে আসে নিগমের গান মিথি তুমি জেনো শূন্য শিসের হার্পুনে আছে বারিষের বিষ অহং তোমার রুমালী পায়রা এই হাত থেকে শষ্যের গান ঠোঁটে নিয়ে উড়ে যেতে দিলে তবে মিথি ভ্রুকৃষ্ণে স্নেহ রেখো কিছু...

বোধিবৃক্ষে হয়ে আছি সবুজ পুণ্য

দেখেছি পৃথিবী এক পলক পড়ার মত সুধীর চলন তারাতোলা আকাশ শরীরে যার বিজলী ধনুক আষাঢ় অধীর রাতে বুক পাতি জল নির্জন... এখন আমরা যেন পৃথিবীর নই বোধিবৃক্ষে হয়ে আছি সবুজ পুণ্য, এই বজ্রগর্ভ রাতে ইথারে ছড়িয়ে তার শ্লোক বুকে লই হৃদি জাগো হৃদি জাগো রাত্রিশ্মশানে দোলে থৈ থৈ কৃষ্ণবাতাস সুপ্ত পয়ার প্রেমে প্রতীকহীনারে তুলে আনো, ঘুমলি তেপান্তর ছেয়ে যেন নারীর স্বভাব ছুঁড়ে দাও, মুদ্রা যত জানো আহা পলক পড়ার মত সুধীর চলন তার রূপরাশি প্রাণের মোহন তারাতোলা আকাশ শরীরে ছিল চুপ গজলের সুর জেগে ছিল মহেন্দ্রক্ষণ মাভৈ মাভৈ যাও বুক পাতো নীল নির্জনে চোখ জাগো ভোর দেখ রূপরাশি দিন বর্ষায় অন্ধ অন্ধ হোক চিতাচোখ হরিণ মায়ায় =========***========= 17/06/2011

লিরিকানুবাদঃ Mere Nainaa Saavan Bhaadon

চোখে আমার আষাঢ় শ্রাবণ তবু মনে পিপাসা তবু মনে পিপাসা উদাসী এই মনে, কী খেলা কে জানে ব্যথা ভরা গান, কোথা থেকে যে কণ্ঠে ভেসে আসে, সুদূরের আভাসে ভুলেছ তুমি, ভুলে ভুলেও মনে রেখেছি আশা, তবু মনে পিপাসা পুরনো সব কথা, জীবনের কথা এখন মনে হয় ভুলে গেছ তুমি নয় কিছু ভোলনি, বৃষ্টিনাচের কাহিনী মৌসুম ফেরে, দেয় ফিরিয়ে মিছে মনের আশা, তবু মনে পিপাসা দিন তো চলে গেছে, মনে সে আজ পড়েছে বিজলী হয়ে যেন আকাশের গায় ভেসেছে অতীতরেখা, পেয়েছি তোমার দেখা মন আর চোখের অবোধ খেলায় খেলছে আশা-নিরাশা, তবু মনে পিপাসা ======================== Get this widget | Track details | eSnips Social DNA (hmm hmm, haa haa haa) -2 (mere nainaa saavan bhaadon (phir bhi meraa man pyaasaa..) -2 ) -2 ai dil deevaane, khel hai kyaa jaane dard bharaa ye, geet kahaaN se in honThon pe aaye-ey-ey, door kahin le jaaye bhool gayaa kyaa, bhool ke bhi hai mujhko yaad zaraa saa.., phir bhi meraa man pyaasaa baat puraani hai, ek kahaani hai ab sochooN tumhen, yaad nahin hai ab sochooN nahin bhoole-ey-ey, vo saavan ke jhoole rut aaye rut j...

অনুবাদঃ I Am Not Alone

মুলঃ I Am Not Alone by Gabriela Mistral আমি তো একলা নই আসমুদ্রহিমাচল একাকিনী রাত এই তোমাকে যে দোলা দেয় সে আমি তো একা নই ! আকাশও একলা খুব সাগরে ভেসেছে চাঁদ তোমাকে যে ধরে আছি আমি তো তোমারি হই ! ধু ধু এই পৃথিবীর শরীরে লেগেছে শোক তোমাকে জড়িয়ে তবু আত্মায় মিশে রই ! ========= I Am Not Alone The night, it is deserted from the mountains to the sea. But I, the one who rocks you, I am not alone! The sky, it is deserted for the moon falls to the sea. But I, the one who holds you, I am not alone! The world, it is deserted. All flesh is sad you see. But I, the one who hugs you, I am not alone! ============== June 13, 2011

অতন্দ্রিতা, একদিন তুমিও ঘুমিয়ে ছিলে

সুচারু আলোয় লেন্সের কুয়াশা মুছে ফেলেছিল সেইদিন সমুদ্রমুসাফীর লোনা হাওয়ায় উডস্পাইস - নীলাঙ্গ আকাশের তলে ডাবসবুজের দেশে কঙ্গোর তালে তালে গুরিয়া রানী’র নাচ তার সাথে নেচে নেচে সহস্র সোনালী হীরের মত রাজফড়িং মুছে দিচ্ছিল নৈঃশব্দ্যের পরিচয়... কিছু কিছু চিহ্নাবলী আনে ভুল সংকেত দৈবলব্ধতা বলে কিছু নেই - কিছু নেই কিছু কিছু মোমরাতে লেগে থাকে গুপ্তির ধার পুড়ে যাওয়া শর্ষেজমিন জীয়ন আঙ্গুলে থাকে উচ্ছন্নের ফ্যান্টাসি কেউ কেউ চিরকাল ঘনায়মান অন্ধকারে আক্রান্ত থেকে যায় কারো আঁধারতাপে জ্বলে গেল সারি সারি আমলকী বন কারো কারো সঙ্গোপন - ঝলমল দিনদুপুর কেউ জানে বিজুলি গুমর কারো বুকশ্বাসে দিগন্তদখিণার ঘোড়সওয়ার, তরু তরুণের বৈকুণ্ঠ কারো ঝুলনের চাঁদ যোজন নক্ষত্র দূর কারো পাললিক মনে ভেসে এলো সেইদিন সীতাকুণ্ডের কুয়াশায় মেঘের নেকাব থেকে চাঁদ – চারিদিকে স্বর্ণহিম কুয়াশায় জ্যোৎস্নার মত অবোধ্য আলো আর একটি নিদ্রিতা নদী হঠাৎ স্রোতস্বিনী হয়ে উঠল খুলে গেল তার ছন্দ দুয়ার আহ প্রবহণ, কী তীব্রতা তার ! নৈর্ঋতে হরিণছাপ চাঁদ দিলহারা নক্ষত্র বাসর আর আমাকে আহত করেছিল ঠোঁট বর্জিত শঙ্খ নিঝুম তার অন্দরে পাতাল মৌনি তার শরীরে জলোচ্ছ্বাসের ...

অনুবাদঃ La Belle Dame Sans Merci, Bright Star

মূলঃ La Belle Dame Sans Merci by John Keats ক্ষমাহীনা কেন এমন অসুখে পড়লে বিষাদ পুরুষ প্রাণহীন নিঃসঙ্গ ঘুরে ঘুরে হ্রদে জলপাতারা সব শুকিয়ে পড়েছে দেখ বন্ধ হয়েছে পাখিগান কী করে এমন অসুখ বাধালে যুবক উচ্ছন্নের দৃষ্টি তোমার কাঠবিড়ালীর শস্যভান্ডার পূর্ণ হয়ে গেছে, শেষ হোল ফসল গ্রহণ তোমার ভ্রুতে এক পদ্ম লেগে আছে যাতনার ঘামে লেগে আছে জ্বরের শিশির তোমার গালে লেগে আছে আভাহীন গোলাপের রূপ তার বুকে দ্রুত শুকিয়ে যাবার তাড়া...... আসলে আমি এক মেয়েকে দেখেছিলাম ঘাসের সে দেশে সুন্দরীতমা, পরীর সে মেয়ে দীঘল চুলে, পায়ে বৃন্দার ছন্দ তোলা মেয়ে চোখ যার বনের আদিম ছুটে চলা ঘোড়ার ভ্রমণ পথে স্থির আমি বসিয়েছি তাকে সারাদিন কোনকিছু দেখি নাই আর ঝুঁকে পড়ে একদিকে সরে গেয়েছে সে অপার্থিব গান পুষ্পমুকুট বানিয়ে দিয়েছি আমি কংকন, তা-ও; দিয়েছি সুরভী আঙ্গিনা আমি তাকে সেও দেখেছে আমাকে, যেন প্রীতির সে চোখ সে ডেকেছে, মিষ্টি সে ডাক সে আমাকে দিয়েছিল মিষ্টি বৃক্ষ শিকড় বন থেকে খুঁজে আনা মধু, স্বর্গ সন্দেশ আর অবাক ভাষায় বলেছে আমাকে খুব ভালবাসি সে আমাকে নিয়ে গেছে তার সেই কুহক কুয়ায় আমাকে অতল দেখে দেখে ফেলেছে সে দীর্ঘনিশ্বাস আমি এক গভীর চুম...

দৃষ্টিদহন থাকে অস্ত আলোয়

ঘুরপথে ডাকনাম অশ্রুত থেকে গেছে অশ্রুত থেকে গেছে সবচেয়ে সেরা রূপকথা অদেখাই রয়ে গেছে নীলতম জোনাক জ্বলন বিষের আঁখর, আরো কত শত অপরূপ কথা ছম-ছম ছায়া নৃত্যের এই সন্ধ্যায় মনে হলো, ভুলে যাওয়াও এক প্রচ্ছন্ন সংগ্রহ ভুলে যাওয়া ম্যাজিক ভোরের মুখ, ক্যাফেইনের রঙ... এরপর অবিশ্রান্ত স্পষ্টাস্পষ্টি রোদ বনবাসী মনে সন্ধ্যাঅন্ধকারে অরণ্য জেগে আসে শ্যামদেহে অতসীর তারা, আমি অগণন বকুলপাতের তলে বুক পেতে দেই বুকের ভ্রমর গানে বন্ধুবৃষ্টি এলে যমুনা আঁচল খুলে নদী সরে যায় পোড়াবাড়ি দিক করে হাসতে গড়িয়ে যায় জলের ফিনিক পাখিবদ্ধ আকাশে ঘুম ঢলে আসে ঘুমের জগতে থাকে চোখখোলা ঘুমের অতল...... এই পাতালদুর্গে শোকজাগিনা আমি রাত-ভোর-দিন শুধু পাতাঝরা খরার চিহ্ন মুছে যাই - পাথর ফাটিয়ে নাচঝর্না ফোটাই জানি তার জল মেশে নাই দীঘল নদীর ঢেউ যার পাড়ে পড়েছিল ঝিনুক-বাটির দিন কাশফুল, শুদ্ধ অবকাশ বিশোক অন্ধকারে অরণ্য জেগে ছিল শ্যামদেহে অতসীর তারা মুগ্ধমুখের কাছে জেগে জেগে উঠেছিল নীল নীল হীরের ঝিলিক; চৈত্রের চুমুকপ্রহরে ঠোঁট জুড়ে ছেয়েছিল মদের শীতল তারপর সংহার, তারপর আগুন পিপাসা তারপর অস্ত আলোর আঁচে দাউ দাউ অন্তপশ্চিম ===========================...

রতনপুরের ডাকপিয়ন

আকাশ এমন ব্যাকুল ছিল সন্ধ্যারেখার আগে বৃষ্টিনীলে ভাসিয়ে নিল রাত্রি যখন জাগে রতনপুরের ডাকপিয়নের বাড়ি ফেরার পথে আকাশ যেন ভেঙ্গে পড়ে রতনপুরে – রাতে প্যাডেল জোরে চাপে হারান কোথায় পড়ে বাজ রতনপুরের হারান করে ডাকপিয়নের কাজ। এক মেয়ে তার নামটি খুকি, মা মরা সেই মেয়ে সাত বৈশাখ ঠিক করেছে হারান মেয়ের বিয়ে। বৃষ্টি ঝরে আকাশ থেকে বৃষ্টি ঝরে মনে কন্যা দায়ে পিতা তবু আঙ্গুলে দিন গোনে বেনারসী কিনেছে সে আজকে শহর থেকে এমন দিনে বৃষ্টি এত এলো কোথা থেকে? শেফালী তার বউটি যখন মরেই গেল হায় ছোট্ট খুকি তখনো যে মাতৃদুগ্ধ খায় মায়ের আদর পায়নি খুকি বাবা সে তার জানে আগলে ধরে বুকের ভেতর মেয়ের জীবন বোনে খুকি যে তার জীবন-মরণ খুকি যে তার আলো খুকি যে তার আঁধার মানিক, মায়ের মত এলো আজ বৃষ্টি, খুব বৃষ্টি আকাশে ও চোখে প্যাডেল জোরে চাপে হারান পিছন ফিরে দেখে আঙ্গুল ধরে প্রথম যেদিন পাঠশালা সে গেল পৌঁছে দিয়ে ফেরার বেলা কান্না জুড়ে দিল বাবারও যে চোখ ছল ছল বিকেল বেলায় ফিরে হাতে চুড়ি, ডাকে ‘খুকি, কোথায় গেলি মা রে’--- খুকি এসে জড়িয়ে ধরে বলল, ‘বাবা এলে? চুড়ি আমার চাই না; বল কেন চলে এলে?’ চলে যাওয়াই সত্যি কেবল চলে যাওয়াই রীতি ডাকপিয়নের বু...

বোশেখশাণিত দিন

মায়াবিশারদ, তুমি কার গাঢ় কাজলের নীচে খোঁজো পাথরছায়া? তুমি খোঁজো অনুতাপহিম মেদুর নোনা আন্দামানের চোখ আজ শহর গলিতে তোমার বেথুনগন্ধ হাওয়া মেলায় শহর রাস্তায় শাড়ি-চুড়ি, চোরা চোখে ক্যাটগ্রেইস... কবি দেখেছো আজ বোশেখশাণিত দিন, জন্ডিস, হলুদ টক্সিন... ভিড় ঘামে বদ্ধ শহরে তবু রোচনার সিঁদুরসিঁথি থেকে ছিটকে উঠেছে আলো এই নগর আজ আরশিনগর পিঞ্জরে লাভবার্ডস চিক টু চিক, ভুলে থাকে নিশানার দূরাগত পরিযায়ী সুখ ভুলে যাওয়া ধীর, ধীর মৃত্যুর মত প্রতীক্ষা দীঘল একদিন গাঢ় কাজলের নীচে তুমি খুঁজেছিলে পাথরছায়া তারও আগে বৃষ্টিচুর সন্ধ্যা অন্ধকারে হারিয়ে ফেলেছো তুমি ধ্রুপদী মুদ্রা পথ হারিয়ে ফেলেছো কবি এক চিঠি গান মেঘপাখি ঠোঁট থেকে প্রার্থনার পদ্যহরফ তার যত শব্দ - সব পাখি আর বৃক্ষ - কবিতা শরীর কবি কারো বুকের কাছে গান; সব কথা বলে দিলে গান সব চুপ - কবিতা... মৃত্যুনীল আকাশ তোমার দুই বাহু ছড়িয়ে খুঁজেছে ঘুমের শান্তি ঝাপসা হয়ে ওঠা রূপসার দূর পাইন ছায়া হ্রদ অনুতাপ হিম কবি আজ তুমি দেখেছিলে বোশেখের দিন মেদুর আন্দামানের চোখ, মানুষ আর নগরের ঋন কবির শহর আজ ড্যাফোডিল

পুষ্পময়ী জেনো তুমি

আকাশজুড়ে মেঘ নেমেছে গুহার অতল কালোর খোঁজে জল জমেছে একটি নদী শালিক চোখের মণির মাঝে জলরঙা শীত মুখচ্ছবি না ছেঁড়েনি, ছোঁয়নি তাকে তারায় তারায় উড়ে গেছে গন্ধ তোমার আকাশরেখা কার কারণে? পুষ্পময়ী জেনো তুমি হাওয়ার আদর ফুল জানেনি দাহ থেকে উড়ল যখন আগুনপাখি অগ্নিদীপার আলোয় তখন বিভোর কবর এই সমাধি আলোকপ্রবণ এই সমাধি রঙ জিনিয়ায় এই সমাধি নিজের মতন সুনীল নদী ধীরার মতন চিরায়ত গানের মতন এই সমাধি অরূপরতন ঘুমকিশোরের ঘুমের মতন সাকির কোনো দানের মতন এই সমাধি দীঘল নেশা মায়ায় পড়া নীলের প্লাবন পুষ্পময়ী জেনো তুমি তারায় তারায় উড়েই গেছে সুবাস তোমার আকাশরেখা হাওয়ার পাখি উড়ল যখন শিউলি মেঘে পুষ্পশাদায় কৃষ্ণকলি দাগ পড়েছে উঠোন আমার; জাদুরূপের ছাপ পড়েছে ভীষণ গোপন... সাতমহলার বুক প্রাসাদে স্বর্ণধুলো জমিয়ে রাখা নিরল কোণে দাগ পড়েছে ইতির শেষে শেষের মতন

তার চোখ কুড়িয়ে পেয়েছি আমি বকফুল, ঘাসে

তার চোখ কুড়িয়ে পেয়েছি আমি বকফুল, ঘাসে আশাতীত ভোরে ছড়িয়ে দেখেছি আমি একমুঠো নীল মার্বেল বর্ণালি রোদন শিশির কাল রাতে জ্যোৎস্নাপ্রলয় শেষে হাতেই ছুঁয়েছি আমি হেমলুব্ধক পথের সিলিকায় ছড়িয়ে দিয়েছি আমি পুমা’র চোখের মত ক্ষিপ্র জ্বলন ডাকনাম তার কুড়িয়ে নিয়েছি আমি অশ্বখুরের আগে এই বাতাবি’র মৌসুমে কার আর ভাল লাগে রাত্রিমূঢ়তা আর দৃষ্টিবারণ? এই শালফুল মহুয়ার দেশে যখন করুণার মত কোমল সন্ধ্যা নেমে আসে মেঘরথ পুষ্পকের মত ছুটে আসে বরষায় তখন সন্ধ্যাভাষার কাছে ফিরে আসে ঢুলুঢুলু বৃথা উড়ানের ম্যাগপাই তখন একটা নির্জন সাইকেল আমার দেহকে বয়ে নেয় লরেল সারির মাঝে পরাঙ্মুখ জোনাকপ্রভায়... হায় ছায়া অনুসরণ ! দূরত্বের মত এত ব্যথা নাই কারো ভ্রুতে জেগে ওঠা কনে দেখা আলোর মত এমন করুণ আলো নাই আর সংকেত কে বোঝে, কার দিন চলে যায় রঙখেলা- স্নানে? পড়ে রয় লং দারুচিনি’র শূন্য কৌটোর অন্দরে গন্ধের বিষ তবু এই শ্যামাঙ্গনে মুছে রাখি বৈশাখি মেলার তিজেল ধানশিষ সবুজ ছড়িয়ে দিয়ে বিকেল গড়িয়ে গেলে আমিও নিরল খুঁজি হরিণরাখাল তার চোখ কুড়িয়ে পেয়েছি আমি বকফুল, ঘাসে তখন সকাল

একটি কথোপকথন

আমি আর আমার নিঃসঙ্গতা কথা বলে মাঝেমাঝে তুমি হতে তো কেমন হত তুমি কত কথা বলতে এ-কথা--- ও-কথা তুমি কিছু কথা শুনে চুপ করে যেতে কিছু কথা শুনে তুমি খিলখিল হাসতে তুমি হতে তো এমন হত তুমি হতে তো অমন হত আমি আর আমার নিঃসঙ্গতা কথা বলে মাঝেমাঝে -------------------- ------------------- এই রাত তোমার খোলা চুল আমার এই রাত জেগে আছে জোছনায়, কারো দৃষ্টিরেখায় ও কী চাঁদ নাকি চুড়ি আকাশে কী তারা না আঁচল ও কী হাওয়া না সুগন্ধ তোমার পাতার শব্দরা বলেছে- তুমি বলেছো কিছু আমিও ভেবেছি চুপ হ্যাঁ, আমিও তা জানি তুমি নেই এখানে কোথাও তবু ভেতর বলছে তুমি এখানেই, এখানে কোথাও main aur meri tanhai aksar yeh baatein kartein hain tum hoti to keisa hota, tum yeh kehti, tum vo kehti tum is baat pe hairaan hoti, tum us baat pe kitni hasti tum hoti to aisa hota, tum hoti to vaisa hota main aur meri tanhai aksar ye baatein karte hain yeh raat hai, yeh tumhaari zulfein khuli hui hai hai chandni ya tumhari nazrein se meri raatein dhuli hui hai yeh chand hai ya tumhara kangan sitaarein hai ya tumhara aanchal hawa ka jhonka hai ya tumhar...

অনুবাদঃ The Solitary Reaper

মূলঃ The Solitary Reaper by William Wordsworth ====================== শস্যলীনার গান চেয়ে দেখ নিঃসঙ্গ সে দূরে তবু দৃষ্টি সীমায় সে শস্যলীনার গান একটু দাঁড়াও, নয় চলে যাও ধীর একা তার ফসল চয়ন গানে তার বিধুরের তানে বিস্তীর্ণ উপত্যকা ভেসে চলে যায়---- শোন ! যাযাবর শোনে নাই পৃথিবীর কোনো পাপিয়া গেয়েছিল এ্ররকম ডাক দেয়া সুর আরব মরুতে কেউ শোনে নাই আর এমন মাতাল করা ধুন যেন কোন মধুমাসি পাখিগান – সমুদ্র শূন্যতা ভাঙ্গে, দূরতর দ্বীপসারি বুক চিড়ে উড়ে চলে যায়... কী গাইছে সে? এই বিষাদের তানে কি কোন প্রাচীন বৃদ্ধ, ...সুখ হল না যার নাকি কিছু সময়ের থেকে দূর? প্রাচীন যুদ্ধকথা? নাকি কোন নম্র কথন, আজকের কথা নাকি জাগতিক দুঃখ-ব্যথার ঘটছে বা ঘটবে এমন কিছু? সে যা কিছু হোক শুনেছি সে কুমারীর গান অশেষের সুর আমি দেখেছি তার ফসল গ্রহণ নিশ্চুপ সেই গান চুপ হওয়া মন তারপর জীবনের পথে পা বহুযুগ পরে---------- যদিও শুনিনি আমি আর কোনদিন, হৃদয়ে বয়েছি সুর হৃদয়ে বয়েছি চিরদিন ====***==== The Solitary Reaper William Wordsworth Behold her, single in the field, Yon solitary Highland...

রূপছবিতে পর্যটন

রূপছবি শহরে বহু বহু দিন পরে এসেছে পর্যটক হিরণ্য আঁধারে ছুটিয়ে দিয়ছে সে সোনালী সিডান শ্যাম গহনের ঘুম থেকে জেগে উঠেছে স্ট্রবেরির মৌসুম আপন প্রিয় অশ্রু দীঘল রাত তারায় তারায় জেগে উঠেছে মোহন আকাশ জেগে উঠেছে মহৎ বেদনার মত সৌম্য প্রহর অবরোহণের মীড়ে ঢেকে যাচ্ছে মদির রাতের আঙ্গুর নগ্নতা ইচ্ছে ভুলানো বিউগল সাথে করে যখন ঘন্টা বেজে ওঠে দূর মন্দির তা কি আবাহন নাকি বিদায় সংকেত? মায়াহীন পাতাল প্রবেশ? নাকি সীমাহীন মায়া? এই আচ্ছন্ন প্রহরনীলে লীনের আহির এই সরলতা, স্নায়ুনাশী পতনের সুখ এই চিরকালের অশ্রুত তান কাজলরেখায় জ্বলে ওঠা চিত্রার আলো মুখরিত মুনওয়াক - স্থির এই শহরে কারো মৌ্নতার কাছে ফিরে আসে সে যদিওবা ভুলে ছিল সলীন সময় কোয়েনার গান, তবু এক চোরাটান রূপছবি শহরে বহুদিন পরে এখনো প্রাচীন বৃক্ষে ভবনে লেগে আছে স্নেহ মোহ মায়া টলটলে সাঁতারপুকুর--- এখনো মায়াপথে পয়জন আইভি’র জাল মায়ামদে তবুও পর্যটক - আমৃত্যু মাতাল ===**=== March 18, 2011

অনুবাদঃ তাকে দেখে যে আমার মনে হল

Song: Ek Ladki Ko Dekha To Aysa Laga Movie/Album: 1942 A Love Story Year: 1994 Music Director: R.D.Burman Lyricist: Javed Akhtar ==================== তাকে দেখে যে আমার মনে হল যেন হাসছে গোলাপ কোনো কবি’র সে খাব্ যেন আলোর কিরণ এক হরিণ হিরণ যেন চাঁদনী সে রাত সে স্নিগ্ধ সংলাপ যেন মন্দিরে জ্বলছে সে প্রদীপশিখা--- সেই মেয়েকে দেখে যে মনে হল যেন ভোরের সে রূপ যেন শীতের সে রোদ যেন বীণার সে তান সব রঙের সে প্রাণ যেন লতার সে কেউ যেন ঝিলের সে ঢেউ যেন সুঘ্রাণ ছাওয়া সে ঠান্ডা হাওয়া--- এক মেয়েকে দেখে যে মনে হল যেন নাচের ময়ূর সে রেশমী এক ডোর যেন পরীর সে গান আগুন চন্দনে স্নান যেন সব অলংকার যেন সে কুয়াশার যেন ধীরে ধীরে ছায় সুনীল নেশা--- ============================= Get this widget | Track details | eSnips Social DNA ============================= Hindi Lyrics: Ho Ek Ladki Ko Dekha To Aisa Laga Jaise Khilta Gulaab Jaise Shaayar Ka Khwaab Jaise Ujli Kiran Jaise Van Mein Hiran Jaise Chaandni Raat Jaise Narmi Ki Baat Jaise Mandir Mein Ho Ek Jalta Diya Ho Ek Ladki Ko Dekha To Aisa Laga Jaise Sub...

অনুবাদঃ পাবলো নেরুদা'র A Song of Despair

রাতের আঁধার থেকে স্মৃতির কুহকে ভেসে যাই নদীর আর্তনাদ মিশে গেছে সমুদ্রের বুকে ভোরের একলা তৃণের মত আমি আর কেউ নেই কিছু নেই মৃত পুষ্পের বরষায় ধ্বংস কূপের গভীরে গভীরে ঢুকে যাই ধ্বংস আর উড্ডয়নে মিশে আছ তুমি তোমার বুকের কিনার থেকে উড়ে উড়ে চলে গেছে গানপাখি দল এই অন্তরালের মত ডুবিয়ে দিয়েছ সব সমুদ্র অথবা সময়ের মত সবকিছু ডুবে গেছে তোমার গভীরে সে এক অন্য প্রহর ছিল রক্তের, চুম্বনের জাদুর প্রহরে যেন জ্বলে ওঠা বাতিঘর তোমাতেই ডুবে গেছে উচ্ছন্নের প্রেম, নাবিকের ভয় শিশিরের শৈশবে আমার আত্মার জাগরণ, তার আলীন উড়াল আহত পাখা – সবকিছু নিমগ্ন করেছ তুমি কষ্ট জড়িয়ে ধরে ইচ্ছে ছুঁয়েছ তুমি বিষণ্নতায় নির্বাক তোমার সুকরুণ বুকে ডুবে গেছে সব যত কামনা আর পৃথিবীর কাজ পিছু ফেলে বানিয়েছি ছায়ার দেয়াল - চলে যাই হায় আমার শরীর, হায় হারানো কিশোরী! শুনে নাও বৃষ্টিপ্রহরের সব গান কাঁচের বয়ামে তুমি অসীম মমতা রেখেছিলে আর অবাক বিস্মরণে চৌচির হয়ে গেছ তুমি সেই মমতার কাঁচ সুদূর দ্বীপের কোন আঁধার নির্জনতায় ডেকে নিয়েছিলে তৃষ্ণা ক্ষুধায় ছিলে ধ্বংসে ব্যথায় ছিলে, তুমি বিস্ময়। কী করে ধারণ করেছিলে বল আত্মার নিগড়ে, আলিঙ্গনে! কতটা অঘোর অথবা ক্ষ...

তার ঘুমহীন চোখে

একদিন পৃথিবীর সমস্ত বেলী ফেব্রুয়ারীর আলোয় ডুবে গিয়েছিল তার মুখে সে দঁড়িয়েছিল শত অশ্বারোহীর হিপোড্রোমের শেষ। তার আঙ্গুলে জড়ানো মোমসিল্ক ছুঁয়ে দিতে শত মাতাল জকির সন্তাপ তাদের ঘুমহীন চোখে নীল কালিতে লেখা রাতভর বৃষ্টির মত দীর্ঘ কবিতা পুষ্পনীল ডোর রেখে চলে গ্যাছে অতশীর দেশ...... ইদানিং তার ঘুমহীন চোখে এরকম লেগে থাকে পদ্যাভ্যাসের প্যারাডিম !

বন্ধুর মুখ

কুয়াশার আলো সুদীর্ঘ সময় ধরে পড়ে থাকে পাহাড়ের দেশ, আমি সেই শীত। দিনরাত নিমন্ত্রণ উন্মুখ প্রতারণার রোদকে ফিরিয়ে দিয়ে পড়ে রই, স্থির দেখি, সুতীব্র উড়ে যায় আলোর হাউই চোখে কার সাতরঙ কার্নিভ্যাল? কার চোখে যুগ যুগ আড়াআড়ি পড়ে থাকে চোখপাতা কাঁটা? সেইখানে পড়ে থাকে পথভোলা পান্ডার চোখের মত কালো তার শরীর থেকে ঝরে পড়া আদর দেখে সমতল ভুলো না যেন; জেনো তুমি সব নিয়ে আছো মৈত্রীবদ্ধ রাত্রিপ্রতিম মুখ প্রাচীন প্রস্তরে লেখা থাকে সময়ের পীড়া, আমি ও আমরা; মন ঘোরানো মতি অথবা একটা ভ্রূক্ষেপ জমাট হাড়ের কাছে ফিরে আসে নাই - ... এ সময়ে একটা ইন্দ্রপ্রস্থ আমার হোক সেখানে থাকবে সাত অক্ষৌহিণী বন্ধু আর প্রীতি যুবক জিপসিরা সব শুয়ে থাকবে মাতাল সুন্দরবনে তারা দেখবে জঙ্গলের আদিম বাহার সদ্য বোনা কাশ্মীরী পশমী শালের মত রঙ-ঘ্রাণ-ও্মে তুমিও থাকবে সব ভুল জেগে রবে – সব শুদ্ধ। এই শিশুর হাসির মত মৌসুমে, ভোর হয় ভোর হয় এমন সময় নদীর বাতাসে দূর আযানের সুরে নুয়ে পড়ে রাত্রির লোভ সব গান হামিং ঠোঁটের মত চুপ শুধু সুর আনে অলিভ খুশির নদী তার বুকে মীনা-করা চুপচাপ মেঘ জেগে ওঠে মঠবাড়িয়ার মঠের মত উর্ধে তাকিয়ে থাকা নম্রতার সাহস ...বন্ধুর মুখ আহ, সবাই...

খনন

খননের স্বেদে তবু আনন্দ দুলছে ঝিলমিল বুকের পাঁজরে তবু রৌদ্রের সঞ্চয় সুবর্ণ রুমাল, পুষ্পঘ্রাণ --- যদিওবা ওরা সব চলে যাচ্ছে পথভোলা জাগ্রত চোখে পৃথিবী জানে না একটা দমকা বাতাস এখনো মুক্তির বদলে পাঁজর কবরে রয়ে গেছে নক্ষত্রহীন আকাশে আরো দীর্ঘতর অসীমার চোখ; না-লেখা এক কবিতার সমস্ত মুখে একশত একটি বাগানের গন্ধরাজ রাতের আলোতে ডুবে গেছে সেইখানে জেগে আছে তীব্র ঘূর্ণির তুরপুন, যাবতীয় প্রত্ন খোঁজ শেষে বিদ্ধ নিসর্গ বুকে ধরে অতলে নিমজ্জিত আজন্ম আবৃত্তির কোলে ঘুমিয়ে পড়েছে পৃথিবীর লিথোস্ফিয়ার সমস্ত মৌন শিশির আঙ্গুলে জড়িয়ে কবিতায় উঠে আসছে ঢেউবিস্মরণ শৌখিন জাদুগরের হাত থেকে মিলিয়ে যাচ্ছে একের পর এক সুবর্ণ রুমাল, পুষ্পঘ্রাণ...

আমিও শুনেছি, রাপুঞ্জেল

আমরা দেখেছিলাম মুক্তি, জেনেছিলাম প্রীতি মানে স্পন্দিত সুখ নাহয় করেই ছিলাম সূর্যমুখীর চাষ; সপ্তঘোড়ার কেশরের স্পর্ধা নিয়ে সূর্যে তাকিয়ে ছিলাম স্থির, শুয়ে পড়ে হরিৎ মাটিতে ঘাসের বেড়ে ওঠা শুনেছি, রাপুঞ্জেল ! প্রকৃতিও দিয়েছিলো মিথিলার মায়া - অশ্রু উপশম রাতপ্রহরে একে অন্যকে অতিক্রম করার মুহূর্তটির পর নৌকোরা ভুলে যায় কার চোখ তারায় তারায় আলোনীল জোনাক এস্রাজ থেকে আঙ্গুল সরে গেলে বোঝা যায়, সুর তুমি প্রিয় জানা যায় কোনো কোনো কবি কেন আঁধারদ্রষ্টা তারা বোঝে বৃক্ষমাতার প্রেম - সমূদয় আপেলের দ্যুতিমান হয়ে ওঠা পুর্ব বাতাসে কেন বিষপলাশের খুন, নীলপাখি গান ---- চারিদিকে কেন এত অন্তরগ্রাহ্যতা !

উন্মোচন

রাত্রিবালিকা প্রতীক্ষারত আলো রয়ে গেছে এখনো তাই লুকিয়ে ফেলো না যেন রঙ-তুলি হাত সন্তুর সুরে এখনো সূর্যশ্রবণ আলেয়ারহস্য বুঝে যাই এবেলা - লুকিয়ে ফেলো না তাই অংকনপট চিনে নেবার সুবর্ণ চিহ্ন রোদ যত ভুল পরাগসংকেত জমে থাকে সেমেটারির বিষাদী ঘাসফুলে তার চেয়ে শুদ্ধ ছিলো জেনো কুমকুম অষ্টমী রাত কাঁচরঙ দীপ জ্বেলে অন্ধের নীরাজন আর সব উপাসনাকথা সকল আনন্ত্যবোধ নিয়ে তাই তুমি এঁকে ফেল এই গোধূলি পুরান বহুরৈখিক দিনকথা আমাদের সব নাজানা ভাষার প্রণতিরা মিলিয়ে যাক দেবনাগরী উৎসঅক্ষরে… সন্ধ্যাসরোদে আর শিশিরের জলতরঙ্গে রাতবালিকা এসো এইবার, ঐকতানবাদ্যে তার আঁকা চিত্রপটের ওপরে রাখা রক্তসিল্ক পর্দাটা উঠে যাক তোমার নির্জন হাতে ধীরে…………

মৌনি ময়ূর ভুলে গেছে নাচের নিয়ম

চোখরেখা বেঁকে গেছে দুরন্তর বাঁশরীর দেশ এখন নৈঃশব্দ্যে মৃদঙ্গ একাকার একা কার মৌনি ময়ূর ভুলে গেছে নাচের নিয়ম? কড়া ক্যাফিনের তিতো নিয়ে অপেক্ষায় ঘুণের টিপয় ভোর করা ভুলে যাওয়া ক্লারিওনেট সুরেরা ঘুমোয় তুমি সেই রাত্রিনদীর বোন নিঝুমার চর আমার হাড়ের শ্লেটে উৎকীর্ণ উল্কার তীর এসো শুরু করি আজ কিছু কুশল সংলাপ- কেমন আছো? তোমার বাড়িতে নাকি টুকটুকে ডালিমের ফুল, সুচারু রোদের শীত সিঁদুরিয়া দিন? তোমার নক্ষত্রপথে সলমা-জরির কাজ বাগানের মোহনপুষ্প লতার মাঝে - তোমার নীল পায়রার অ্যাকর্ডিয়ন, ভ্রমরের তাধিয়া বোল ঐ দেশে পাকা শস্যসোনার দ্বীপ এইখানে নিঝুমার চর, শোচনার কাল কসাই তীরন্দাজ দিব্যি বিদ্ধ করে হরিণতনিমা এইখানে স্থির দাঁড়িয়ে থাকে উনিশের শ্যামল সেগুন কটু বার্নিশ গন্ধা খাটে বিষাদের ফ্লু এইখানে অতীতবাহী নম্রতার তুষারে শাদা হাসির বিচ্ছুরণ চোরা বাতাসের শীত, পতনের শিহরণ এইখানে শিলাঝড় দ্রিমদ্রিম বজ্র নিক্ষেপ এইখানে লজ্জা বাঁচিয়ে রাখে দানের কৌপিন এইখানে বণিকবৃত্তি, চতুরচক্রে বাঁধা জীবনের কফিন ডিভান নাহ, এইখানে তুমি নাই রাত্রিনদীর বোন পালকচাদরে মুড়ে থাকা দিন-রাত জাগার অসুখ এইখনে মোমের অন্ধকার… মৌ্বিষে মৃত্যুর সু...

ছুটি চাই

এরকম ছুটি চাই সৈকতে তরীর মত স্থির মঞ্চে ভুলে থাকা সেউতির শোকে নেপথ্য সাজঘর মুখরিত হোক এরকম সাজঘরে মুখর হতে চাই পূজো নয় নাট মন্দিরে গান হই কবিতাশ্রয়ী রাত্রিনিথর মায়াবেড়ি খুলে ফেলি সব

পাখিকথা

এই অবেলায় বিজন বাড়ির পাশে চিত্রা নদীর পথভোলা স্রোত বেহাগ রাগের রাত্রিমদির সুলক্ষণ এক স্বপ্ন ভেসে আসে প্রস্তর আর মাটির কথা যত বাকী আছে আজ বিকেলে দেখেছি তো মেঘ মিনারে তার কারুকাজ রঙে রঙে আঁকা হয়ে আছে রঙিন রঙিন নীল ভাঙা নীল উড়ন্ত আকাশে ইচ্ছে ঘুড়ির সাথে মুক্ত স্বাধীন পদ্য হতে জীবনও যে ভীষন ভাবে উড়তে ভালবাসে আজ তীর্থে তীর্থে বিবাগ যারে অশ্রুবিদ্ধ করে সাতজন্মের আগে - এই আমি যে পাখি ছিলাম উড়েছিলাম, গেয়েছিলাম আকাশ প্রদীপ জ্বেলেছিলাম গাছ মাচানে বেঁধে ছিলাম ঘর, আলোর ধারাস্নানে উড়িয়ে ছিলাম ছিন্নপাতার ঝড় – সেই কথাটি মনে পড়ে নগর জ্বরে বিষাদ ঘোরে এখনো যে মুক্তির গান- এখনো যে দিগন্তরের কাছে মিহিন রোদের একটি বাড়ি আছে মনে অন্তরঙ্গ গোপন টানের সূর্যপানের, ইচ্ছে গানের অগাস্ট ঘাসের সবুজ লেগে আছে ====================== (উৎসর্গঃ অসীম চক্রবর্তী - এক নিবিষ্টমনা শিল্পীকে---)