পোস্টগুলি

2010 থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

ডায়ালে ঘুরছে যত ঘুম

আমি রূপসীর ম্লান চোখে কাজল এঁকে দিচ্ছি যে চোখ দেখেছে আপাত স্থির কাঁটায় মোমধীরজ্বলনের ক্ষয় স্নায়ুনাশী নগরের অসচ্ছল রোদ মুছে গেলে এই সব অন্ধকার নেকাবের ছলে বকুলের মালা বিকোতে যায় ক্লিন্ন কিশোরী রাজপথের সকল অন্ধ ভিখিরি হয়ে যায় নগরদোহার এরেমে সাকুরার ঘোলাচোখে গাঢ় অন্ধকার জড়িয়ে সব ট্র্যাফিক সাইন ভুল আলো জ্বালে পাইথন মোচড়ে নিথর পড়ে থাকে জীবনের নাম – কিশলয় বিদ্যাপীঠ, চয়নিকার রূপসী বাংলা জেগে থাকে চোলির ঝনাৎ বিটে ধুম আমি কেন আঙ্গুলে সে নাম তুলে রাখি অজানা ডায়ালে ঘুরছে যত ঘুম !

জাগো

দিন যায় দিন আসে যমুনার ভোর আসে বেথুনের কাঁটা বনে রক্তপাতের দিব্যি দিয়ে আদ্য প্রীতিরা আসে কবরের রাত আসে জন্মের দিন পরম আমার তুমি জান না মিলেও মিলে না কত জনে বাজির মন্ত্র মেলে না কত নদীর প্রার্থনা - সব হংসকুমারের ডুয়েল থেমে গেলে শুরু হবে আবারো উৎপীড়নের মৈথুন তাই রীতিনীতি বুঝে রাখো এই চোখ খুলে রাখো ঘরোয়া বাতাসে রাখো আজকের শৌভিক রোদ ভাল হোক তোমাদের, আমাদের ভাল হোক অরু আকাশের ভাল হোক মাটিতে দাগ কেটে অজ্ঞাত কথা বলা মানুষের ভাল হোক ভাল হোক মা মাটি মানুষের ভাল হোক স্মৃতিলেখাদি’র সংসারে ফুটফুটে আলো হোক নিঝুম রঙে আর রেখায় পুনর্বার মুঠোবন্দী হোক স্বর্ণলতার বিস্তার পানকৌড়ি জীবনে নামুক অতলের ডুব দিন যায় দিন আসে ইশানের আলোমেঘে জীবন আকাশে হাসে ড্যাবোনির হেক্টর আর তার পেতলের ঢাল; স্বর্ণলতাটি হাসে অনিশার রঙে হাসে হিমলোকে বারুদের কাল

এক সন্ধ্যায় – পতেঙ্গায়

শিশিরের মত সব মুহূর্তকণায় জমে আছে নিশান্তের কথা, অনাহিতা এইখানে ব্রাত্যজন, আদিরূপ দীঘল কবিতা তুমি দিলে রাত জোনাক সঙ্কুল আর্য্য পুরুষে দিলে হিমলোকের সূর্যপান তার নীলকুঠুরির হেরেমে প্রজ্জ্বলিত হোল রঙিন কাঁচের দীপ, ল্যাটিনার হাসি তাকে দান করলে গারুদার বীতশোক চোখ প্রখর; সেমেট্রির গ্রানাইটে দিলে পুষ্পবীজ তার গোপন টানে লাগালে বারোয়ারি গম্ভীরার সুর রক্ত-ঘাম শরীরে মেখে দিলে ময়না পাখনার মোম ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কত সহস্রবার কবিতার মৃত্যু হোল জন্মতারা ঢেকে গেল সৌরধুলোয় গোখরো মোজাইকে হারিয়ে গেল পরাগসংকেত তাঁতশালায় পড়ে রইল শুন্য ববিন - এইসব নিশ্চুপে, নিশ্বাসে-প্রশ্বাসে দীর্ঘতায় ঠান্ডা চায়ের কাপ… এই সবকিছু লেখা থাক মোহন মৃদঙ্গ লয় সন্ধ্যাসংহিতায় লেখা থাক অর্জুন শরতের গান শিশিরের মত সব মুহূর্তকণায় জমে আছে ফিরতি সংকেত আমাদের তৃতীয় জগৎ খুলে যায় রঙে আর রেখায় স্পষ্ট সাংকেতিক পতেঙ্গার নিথর লোনাজলে সাঁতরে আসে অলৌকিক মারমেইড টাইটেনিয়ার হাসি, আইস ক্রিস্টালে পড়ে থাকে সাত পাঁইট মহুয়া আঁধার

সেদিন বিকেলে

দুপুরের রুদ্র আলোক স্নান করে এসেছিল সেদিন হৃদয়হরণ অজানা অবাক এক ইচ্ছে ভুলানো বিকেল তার রোদছায়া খাম খুলতেই বেরিয়ে এলো গোপনতার গুঞ্জ্ন, শিশুপাতার মৃদু সবুজরঙ অক্ষরে হারমোনিকার সারগাম… তখন প্রসন্নতা সুজনি চাদরে জড়িয়ে নিয়ে স্ট্রিং ছেঁড়া গিটারের সুরছুট শোক ভুলেছিল নীল রবিন ভোরবাগানের লিরিকে লেখা পোষ মানানোর ছল আর ইচ্ছেধারী হরিণের সব কথা অনুবাদ করে দিয়েছিল নয়ন ভুলানো আলো করে আসা দিনান্তের হাসি আকাশে রুপোর টিন্ট গাঢ় হয়ে এলে অনুপুঙ্খ পড়ে ফেলা যায় শান্তির স্লোক মখমল রোদ গায়ে মেখে চুপচাপ উষ্ণতায় ভুলে যাওয়া যায় পাথর মূর্তির হিম…

উজানধলের গান

জীবন নিসার করে পতঙ্গ উড়ে যায় অসহায় ফেরোমোন ডাক শাল সেগুনের বন গৈরিক পাহাড়ের মনুমেন্ট মার্বেলে জ্যোৎস্নায় ভেসে যায় আঁধার জারিত শীৎকার সূর্যোচ্ছ্বাসের মত যৌবনের আশায় সুমঙ্গলা শ্রীমঙ্গলের সবুজ মৈথুনে পড়ে থাকে কুয়াশার স্বেদ উপ্ত মাটিতে জাগে স্ফূরণের শৈশব - সেইসব ভুলে গিয়ে এই পৃথিবী জাগিয়েছে ক্ষত অবিরত হৃদয়ের নির্দেশ ভুলে মানুষের নষ্ট ইতিহাস বেদনা জাগিয়েছে রাত্রিচিহ্ন প্রিয়তার সবকিছু ভুলে গেছে তেজাবের দিন খামখেয়াল, ফকীরির পথ ভুলেছে সকলে কে বলেছে কখন কবে এই ভাবে ব্যাথা দিলে এই পৃথিবীর ব্যাথা লাগে উজানধলে, শ্রীমঙ্গলে ভাটার আগুন জ্বলে এইসব প্ররোচনা – কবেকার কথা নদীকে সংগে নিয়ে মিলিয়েছে বজরার দোল; চাঁদ পুরনো লাগা ব্যাথা কার হলুদের হাত প্রার্থনা হয়ে গ্যাছে অনাথ পাখির সিঁথিপথে রাত্রিরশ্মি বন সাফারি তাবুতে জোনাক ঘুমিয়ে গ্যাছে আলো দিতে দিতে তবু এই আমার আকাশে ফিরে পাবে বিস্মৃত সন্ধ্যা ইথারে মিলিয়ে যাওয়া মরমের গান নামহারা ছলোছলো ধুন – উজানধলের গান এই আঙ্গিনার পাশে আমারি রুহানি আকাশে

হেসে দাও এই অপরাহ্নের দিকে চেয়ে

হেসে দাও এই অপরাহ্নের দিকে চেয়ে এই অপরাহ্ন, একা হাসির পানসী ভাসিয়ে দাও এই বাতাসে বিগত সারা সারা দিন উৎসবের মত প্রোজ্জ্বল হয়ে উঠুক আমিও মেলে দিলাম সন্ধ্যাহাসি রাত্রিলব্ধ কথা বুকের সংগোপিত মেসোনাইটে অ্যাক্রেলিক উঠে এলে দশটি আঙ্গুল হয়ে খেলা করে হৈমন্তিক আঁখর বুকের পাঁজরে রৌদ্রের সঞ্চয় থেকে দৃশ্যমান হয় উচ্ছল অহমীয়া সবুজ ! আপাত মনোলিথিক জীবনের সব সংগতি ঝেড়ে ফেলি, আর তক্ষুনি কফিনের কোনো চোরা ছিদ্র পথের রশ্মিরেখায় ভাসে প্রাকৃত মুখ …নিঝুম দ্বীপের মত প্রকৃতি যাকে আজীবন নগ্নতা দান করেছে সেই নিরঞ্জন বলেছিল হাতচিঠির সংলাপ - সূর্য দিনের বিধান, রূপসার রুপাজল বেয়ে বেয়ে অন্তর্জলী যাত্রার উপাখ্যান; আর কফিন দেয়ালে আছড়ে পড়েছিল ধ্রুবরেখা দেশেদের সমুদ্র ঢেউ গহনকৃষ্ণ মেঘ, ঝড়জল, হরিয়ালের প্রপঞ্চময় ঠোঁট পিছু ফেলে যুগ যুগ নিরম্বু উপবাস শেষে জীবনচ্যূত সময়কে ঝেড়ে ফেলি। আজ শুধু সুরূপার চোখের বিদ্যুতে ভেসে ভেসে উঠুক লউসনিয়ার গথিক ক্যাথেড্রাল আর আমি আরমানী মোহন্তের মত নির্বাণ পথ নিয়ে, কত প্রশ্ন নিয়ে মুখোমুখি বসে থাকি… দেখ, তোমাদেরও চোখে দোয়েল পাখনায় দু’ধারায় আলো ঝরে পড়ে… এই অপরাহ্ন, একা হেসে দাও এই অপরাহ্নের দিক...

আমাদের সনাতন সাঁকো

প্রত্যুষের কুমারী আলোর মত কবিতার শ্লোকে জেগে উঠছে স্তব্ধ সময়ের হিম ভাস্কর্য - সিডার-এর আবডালে জ্যোৎস্নার গতিক অবিরাম প্রত্যাবর্তিত দহন মনান্তরের নিঃসবুজ খরাদীর্নতা খালাসির জিন্স থেকে দেয়াল চিত্র--- স-ব ! কবিতাসময় এসেছো তবে শিশিরের মাহিনায়- যাই তবে, অস্থিখোলায় ফের ইজেল সাজিয়ে বসি হাড়িকাঠ থেকে প্রতীক্ষাবাহী করোটিকে বের করে আনি অনন্ত সন্ধ্যা বেলায় এরকম মিস্টিক কবিতার কালে আমাদের সনাতন সাঁকো আবারো যাতায়াত উপযোগী করে তুলি সন্ধ্যামণি মায়ার ক্যানভাসে এঁকে আনি তৃণতন্ময় গেজেল পশতু আখরোটের অ্যারোমা নৃত্যাগারে নিয়ে যাই অন্তঃপুরিকার নীরব নুপূর যেই সব রূপমেয়েদের চুলে বাতাস উড়ে এলে অগ্নি শিখার মত জ্বলে রাত্রিময়তায় তাদের বৃন্দনুপূর তাথৈ আমি তাদের চোখে এঁকে দিয়েছি হিমানীর সুর্মা আমি তাদের ময়ূরের মত রাঙানো সব ভ্রূসংকেত এরকম তুলোট কাগজে লিখে দিয়ে যাচ্ছি রেখে যাচ্ছি কোঠাবাড়ির রক্তটিউলিপ সংশুদ্ধির চুম্বন চিতা কার অনুগ্রহের যজ্ঞবেদী হয়ে ওঠে বার্ণিক ক্যানভাসে নির্দয় রাত ফার্নেস ঠোঁট – অবিরাম আগুনসিম্ফনি... এখন কবিতাসময় কুয়াশার মৌন অ্যালার্ম থেকে জেনে গ্যাছি আমি

নামকরি – নদী নাকি তারা?

নামকরি তাই আমি নদী আর মুছে গেছে যারা নদী নাকি তারা? কেউ দেখ নোঙর ফেলেছে আজ সসজ্জ আলোবতী তারার টোপাজ বনিত ভিনাস আলোজ্বালো আলোজ্বালো দ্রাবক ব্যাথার আরতির সাইরেন বেজে ওঠে শুরু হয় গুপ্তচর পায়রার নিলীমা সম্মোহন ক্লিওপেট্রার শিথিল শরীর ছুঁয়ে হাওয়ারা উড়ে যায় পাখিদের ঘর এত সব পাখি জাগানোর পর হাওয়ারা ঘুমোয় নির্জনে জেগে ওঠে দিব্য আঁধার চোখতারা বিন্দুর ওপরে ঘুরে যায় নিশাচর জল অন্দরের মিহরাব থেকে বেজে ওঠে ভোর পাখি মন্দিরা, পরিযায়ী আনন্দ আগুন শঙ্খবিষ কবিতা এঁকে দিলে সান্ধ্য সারেং মেরিনার কম্পাস মাস্তুল সবশুদ্ধু দিগন্তময় নদী ভুলে যায় পথ ভোলে জলপথ বনোয়ারি মন সেইখানে ছায়াবানী সারা গায়ে মায়া চিহ্নিত হরিণ তামাটে পিঠের স্বেদে প্রত্যালীঢ় শিকারীর দেহ খরা জাগে বিলেতী বালুর শরীরে খরা জাগে ঘাম নামকরি তাই আমি নদী; নদী নাকি তারা? যার আলো পৌঁছে নাই আর যার এই তারার জীবন যে কোনো আসন্ন প্রেমের মত ক্ষণ… নিঝ্ঝুম সতৃন আলোছায়া মুখ তমোহর – জ্যোতিষ্মান্‌‌‌ জেগে ওঠো বানদায়ী শস্যদায়ী নদী মিসমার এপার ওপার--- সব বাঁটোয়ারা বুঝে নিয়ে পরিজনে ফিরে এসো এইখানে শঙ্খবিষ কবিতা শৈশবাবধি সমুদ্দুর...

শ্যামা মেয়ের নামে

সজল দেশে পুড়ছে তারই শতবর্ষা শুকনো চোখ জখমি পাতায় সবুজ বিনোদ, শ্যামা মেয়ের আর্দ্র মুখ কোন মায়াতে স্নেহধারায় শ্যামার শ্যামল ভেসে যায় কাতরকণ্ঠ করুণিমা বৃষ্টিদেশের সীমানায় বাগানবাড়ির ভগ্ন দেয়াল সেইখানে কার নামলেখা ফল্গুধারায় বইছে সে নাম মন গহনের চিত্রিকা স্মৃতিগ্রাসের কলরোলে মন্দাক্রান্তা গীতিময় শ্যামার আকাশ প্রতীক্ষিত এই বুঝি হয় সূর্যোদয় চুপিসাড়ে বাসন্তিকে আড়ি পাতো মেঘ কালো মেঘ কালো-ই জল বরষায় শ্যামার দু’চোখ রাঙালো মণিকোঠায় অতীত থাকে, শপথ থাকে স্বপ্নজয় গীতিরূপের ছলোছলে নীল তরণীর ভাসতে হয় সাগরমেখলা সে কোন দ্বীপে ধনুকধারীর বসবাস অন্তকালের অপেক্ষাতে মৎস চোখের কারাবাস পুড়ে যাওয়া রাত কালো হয় পরাগযোগের উড়ানি শমী শান্তি উপশমে সঙ্গোপনের গান শুনি নেত্রকোণায় স্তব্ধ সময় ভোর জেনেছে পরাজয় রাতবিরেতে শ্যামা জাগে, অবিনাশী বৃষ্টি হয়… এই বেলা যে বিমনা খুব বারেবারে নামডাকা পথভোলা কার বনগহনে নামতা শেখার সুর রাখা

ফিরে দেখা

স্বপ্নের শরীরেও এক স্বপ্ন আছে পাতালঅন্ধকার মায়া ঠিকানায় গেলে ডে-ড্রিম মরফিনবেলা সন্ধ্যালীন... সাগরের নীল থেকে দারুচিনি ঠোঁটে উড়ে আসা সমুদ্রপাখির পালক থেকে জন্ম নেয় আততায়ী তীর মণিকাচ মিত্র দ্রোহের প্রণাশ – এভাবেই পৃথিবীতে শুরু হয়েছিল শোকপ্রথা প্রায়াম-এর অশ্রুপ্রাপ্তা স্বদেশ মৈথিলীর প্রতিরোধ তোরঙ্গ খোলে চিচিং ফাক নিশানায় নির্ভুল করবেট রাইফেল তাক করে ভুলে যাওয়া ক্যাফেইনের ঘ্রাণ ঝাঁকে ঝাঁকে ছুটে আসে পাখির পালক বাঁধা তীর জাফলং ঝাউ, নীলগিরি পাহাড়ে সূর্যমেঘের এনামেল, রুহানির গান – এইসব অবিদ্ধ থাকে শিকারী জানে না সুগভীরে নীলে আরও নীল জাগে বাহামার সমুদ্রের মত ডীনস ব্লু’র গর্ভেও আছে বিরানা শংখমুক্তার দেশ, স্বপ্ন মণিকা্‌র, বিসর্জিত বিচরণ। স্বপ্নের গর্ভেও স্বপ্ন আছে – সন্ন্যাসসুন্দর উত্তরের আকাশে উদীচীর আলো উঠে এলে পুষ্পভাষায় জাগে রাত্রিপাখির সেরিনেইড ধুলির তোরঙ্গ থেকে বেরিয়ে আসে সুপ্রাচীন অর্কিড দাহের প্রমিতি নেই, আগুন বুঝেছে কবে চিরধীর শান্তমতী কারো পৃথিবীতে অগ্নিরূপন কত বড় অপরাধ, মায়াবাড়ি দীঘি ঘাস কোথায় জ্বলতে নেই? স্বপ্নশরীরেও মিশে থাকে স্বপ্নফসিল আরক্ত আকাশে থাকে গোধূলির রঙ এরকম পালা জ্বরে মি...

আজকের রাত তুমি নির্জন রেখো

প্রলম্বিত রাত থিতু হয়ে আছে তবু এই অতিন্দ্রীয় ক্ষণে জাগে বিজয়ার শোভাযাত্রী অহেতুক উল্লাসে ফেটে পরে পানার্থী চায় জল, চায় অমর বারুণী এলাচ সুগন্ধে জাগে স্নেহময় কাল আর আমি ধূপের মত প্রণত লহরি তুলি রাত্রির মিত ছুঁড়ে দিয়ে চিড়িতনের টেক্কা - জয় জয়ন্তী তুলি শৌখিন জুয়াড়ি টেবিলে পতঙ্গ পতঙ্গ নাচ অনল মাদল আজ এসো নির্বাপণ কর মুখোমুখি অভয়দান কর ধন্বন্তরি আঙ্গুলে স্পর্শ নিরাময় মুখোমুখি সুচেতনা ঐ দেখো ধেয়ে আসে শৈলেন মেঘ, ইচ্ছেঘুড়ির মত দোল খায় ধুলির ঘূর্ণি হারিয়ে যাওয়া সেই এক কাজলাদিদির আঁচল এইখানে বন্ধু সমতল, সংসারী মাপজোখ স্বপ্ন প্রতীপে রাখা জীবনের বানপ্রস্থ শুধু আজকের রাত রেখো বৃষ্টিমধুর স্মৃতিকথার পিলসুজে রেখো আলো আর ছায়ার লহর নভচিত্রে হঠাৎ খেলে গেলে বিজুরীর রেখা শাদা দিলির পাখায় দলছুট উড়ে আসতেও পারে তিথিক্ষয়ে হারিয়ে যাওয়া ঝোঁটন পায়রা তোমার ঠিকানা দূর তবু লুব্ধ কাতর পাখি উড়বে সুদূর সান্দ্র সবুজ চিড়ে তোমার বৃক্ষ নীড়ে খুঁজে নেবে সে তখন পূণ্য প্রয়াগ আজকের রাত তুমি নির্জন রেখো আজকের রাত রেখো বৃষ্টিমধুর

অভিঘাত

এই বেনিয়া নগরে পতনোন্মুখ বজ্রের আক্রোশ বলেছিল শেরপার আরোহী উপাখ্যান--- একদিন মেতেছিলাম লাল মিছিলের জ্বরে আমাকে চিনিয়ে রাখা, মানুষ মানুষ লেখা শাদা শাড়ি লাল পাড় তোমার ব্যানারে একদিন দেখা হয়েছিল অক্ষরে অক্ষরে ঝিনুক চূর্ণ মাখা আকাশের নীচে ফ্লুরোসেন্ট আলোয় কার প্রদীপচোখ কবিতা কাজলে উর্ধে তাকানো পথে ম্রিয়মান তারাদের বিদ্যুতে জ্বলে ওঠা, জ্বলে জ্বলে উঠবার ক্ষণে; একদিন ডেকেছিলে শপথবাক্যে অন্তরিত রক্তলেখার শত ভিসুভিয়াস উদগিরণে আত্মমৃত্যুর ছায়াবনে ক্ষমাহীন আগুনে আগুনে একদিন কথা হয়েছিল চা বাগানের পাতায় পাতায় সূর্যের শ্লোকে সাতদিন সাতরাত বৃষ্টির পরে দেখা হয়েছিল আমাদের এরকম অক্ষরে অক্ষরে

তুমি একা নও

সৃষ্টি তোমার রূপ সুন্দর সোনার চেয়ে দামী তোমার মাঝেই সকাল যে তাই জেগেছিলাম আমি; - এ যার প্রার্থনা যার সমাচ্ছন্ন সুরে আশাবরির গুমখুন সে-ই বলতে পারে আমি হাওয়ার মত উত্থিত হব গঙ্গোত্রীর প্রাণজল বুকে ধরে আমি বয়ে যাব--- আদরকাতর তটরেখায় বিলিয়ে দেব আমার ধারন আর যে গাইবে না সে হারিয়ে যাবে এই আমি যাযাবর মেঘ বলে গেলাম অনাথ পাখির মত ডানা ঝাপটাবে তুমি ছন্দ গোছাবে না যে, তার পতন রোধে আর কেউ থাকবে না কোত্থাও যে গাইতে পারবে বিস্মৃত সন্ধ্যার সুর যে নিদ্রাকর নয় যে স্বপ্নতম নিঃশ্বাস টেনে এনে গড়ে তোলে মূর্ত মায়া সে-ই বলতে পারে – আমি একা নই তাই তুমি তোমার সমস্ত অনুভব জন্ম বৃত্তান্তে লিখে যেও সেইখানে উঠে আসবে বিপদ সাইরেন থেকে শুরু করে নীল মাছরাঙার উড়ান, শ্যাম্পেনের বুদ্বুদ থেকে সুসবুজ ঘাসের ভূচিত্রাবলী, শ্রমিকের ঘাম থেকে সূর্যদিনের ফটক তুমি একা নও আমি একা নই আমাদের কণ্ঠস্বরে পার্থিব সংগীত উত্তরাধিকারে পড়ে আছে বিস্তৃত অকর্ষিত জমি

আমি কোন শব্দকর নই

সে-ই দিয়ে গেছে ক্বচিৎ স্খলন নাক্ষত্র মুখ যার--- যে দিয়েছিল চকিত চাহনির মত উপহার নেচে যাওয়া দাদরায় বৈশাখী ঢাক যে এনেছিল ঝড়ো বৈশাখ তাকেই বলতে পারি তাপদগ্ধ দুপুরশাড়ির হলুদ শরীর সিক্ত কর বৃষ্টিচুম্বনে ঝরে পড়, ঝরে পড়...... কী এক দিব্যপ্রেরণায় নিশীথা উড়িয়েছিল শঙ্খচিল আকাশ সুরেখায় তীব্র তীরের মত বিঁধে আছো ঈগল উল্কি সহ্যাতীত মখমল প্রেইরীর তারুণ্যে শ্যামচোখ দ্রাবিড় নারীর যত জীবনপ্রতিম ব্যাথা আর আমাদের দ্বৈতকথার বিস্তার তন্নতন্ন করে লুণ্ঠন করে গ্যাছে আমাদেরই আজন্ম অঞ্জলিদান নাহ! আমি কোন শব্দকর নই আমি এখনো সেই মহিমমুখর কুমার আমার আঙ্গিনায় আঁজলা ভরা কুয়াশা নিয়ে কেউ আসে নাই আর আমার কুলালচক্রে জলমৃত্তিকার ঘূর্ণনে আর কোনো গল্পগাঁথা আঁকা ফিঙ্গে পাখির অবয়ব ফোটে নাই নিয়ন নীল নগরের বুকে আমার এখনও বৃক্ষমন আমার চক্ষুময় ইক্ষুর মিষ্টি মদ আঙ্গিনার পুষ্প জাফরিতে ফরাসী ঘ্রাণ মণিপুরি চাদরের মত বর্ণময় দিন বোনে যে যারে আমি দান করি আলোর প্রহর কৃষ্ণতরুণ মেঘ; যার চোখের শার্সিতে হিরাশিশির শ্যাম চোখ মায়ায় যার বাবুমনি ভোর--- শুধু তারই জন্যে এই কুশতৃণ হাতে হিরণমন্দিরমুখী প্রার্থনা - পলাশ স্পর্ধার মত রক্তময় সুক্ষণে ওংকারে...

ক্ষরণ বৃক্ষপাতায় আঁকি

সড়কচিহ্নে যত মৃতমুখ আলপনা করা আছে সমস্ত ক্রন্দন বৃক্ষপাতায় আঁকা বিনিদ্র বৃক্ষের শেকড়ের অক্ষরে মৃত্তিকার ধারন ইতিহাস লেখা আছে, তাই - ফুলের ফুলকি জ্বালিয়ে আর আমাকে ডেকো না সুরের জলসায় বেসুরো যত সুর আর গ্রথিত নোটেশন উপেক্ষা করে লাভা ক্ষোদিত প্রান্তর ঘুরে ফিরে আমি চিনে গেছি গুহাচিত্র যত ফুরফুরে মেঘ উড়ে গেলে আকাশ এসথেটিকস –এ শরতের পাঠ জমে যায় অলীক অনুভবের মত ব্যাখ্যাহীন রশ্মিময় নক্ষত্র দেখে দেখে ঢেউছন্দা সাগরের নীল লোভ ফুঁসে ওঠে আর এই বাধক বর্তমান ধুনি সন্ন্যাসীর মত জ্বালিয়ে রাখে চিতার আগুন বিভঙ্গ মুছে ফেল যমুনা আমার বিনিদ্র বৃক্ষের মত আলোময় প্রভাত প্রতীক্ষা মুছে ফেল লণ্ঠনের আলোর মত মায়াময় রাত্রি জ্বলে উঠলে নম্রনেত্র তুলে ধর, দেখ আমার সমস্ত শরীরময় জালকাঠির প্রতারণা সেইখানে তোমার নামের বিদ্যুত অক্ষর নিমজ্জিত - আপনহারা শিশির আপ্লুত ঘাসের মত আঁজল ভরা সবুজ মাখা মুখ কতোটা জাজ্বল্যমান--- আমার যাচিত যাপন আলোকসংকেত ভোলে নাই তবু কেন ডাক, দংশক ইথারে ইথারে? চিকন ভোরের মত আলো দান কোরো না আর এখন অন্ধকার দ্রাক্ষাবনের সুঘ্রাণ আহ্বান আমাদের যুগল স্নান প্রান্তরময় মিশে মিশে গ্যাছে কবে... এই জন্মেরও আগে হারিয়...

সৃষ্টি

বিদ্রূপে সাজানো সব কৃষ্ণমৃত্যু সাঙ্গ হলে জীবনের ক্যানভাসে ঢেউ; সময় বহন করি, করতলে ডালিমের ফুল জীবন যাপন করি, প্রহরিণী খুলে ফেলে অম্বর প্রাসাদ- মরন যাপন করি, শ্রুতিতে আদিম সময়সুর আঁধার মূর্ছে পরে দিপালী দিপালী শ্রাবন পীড়ন থেকে যুগ্মধারায় জাগে অবাক শিশুর চোখ, পড়শি বেদনার মত সনাতন অন্ধকার বুনে বুনে দ্যুতিমান হয়ে ওঠে নিবিড় আঁধার রাত্রি আকাশ জাগে বিজলি বিজলি শ্রাবণ দিনের প্রয়াণ সাঙ্গ হলে অর্চিত দূর্বাঘাস, শেফালী শরীর মারিয়ে শরু হয় মৃগয়া উৎসব। সূর্যশিশির দেখে দেখে হরিণের হিরে চোখ নাচে, নাচে বৃষ্টিবৃক্ষ প্যারাডাইস বার্ড নীলাভ ফড়িং, শ্বেত প্রজাপতি --- নদীরেখা আঁকে জল রূপালি রূপালি তৃষ্ণার ওষ্ঠজ্বালা শান্ত শীতল হলে মহীশুর চন্দন মেখে জেগে ওঠে মুক্তার মত ভোর। যাপনের বিষ নীলকণ্ঠ বেয়ে বেয়ে পরিস্রুত হয় উৎস বীজ বোনা গান শিবরঞ্জনী সুরে সুরে খুলে দেয় জীবনের উদ্বেল আলোপ্রার্থনা ভোরের আকাশ কত সোনালী সোনালী !

মধ্য রাতের ট্রেন

জোনাকগহন পথে ধূপ ধোয়া বাতাসের দিকরেখা ধরে ধরে হেঁটে গেছি; অরণ্যানী আকাশে কি পাতালে মনে নাই মধ্যরাত্রির প্রজ্বলিত তারার হীরকদীপালী দেখে দেখে ধ্বংস ব্যাবিলন হাতের বাঁ দিকে ফেলে ক্ষীপ্র গতিতে পদ্য-সুরা-পুণ্যের জাফরান, দেহ আর আত্মায় পিষে ফেলি - পৃথিবীর ডাক ভুলে যাই সময়ের গ্লেসিয়ারে ঠিকরে ওঠে চোখের আগুন লুমিনাস অরণ্য মায়া... তারপরে ছাই কবরের গাছ থেকে ঘুঘুডাক তীব্রতর হয় খোলা জানালার পর্দায় উড়ে বসে সাগরের নুন অপরিচিতের কোলে শঙ্কিত শিশুর মত কুঁকড়ে যাই আমি পেলিক্যান পাখির সন্তান রাত ভ্রমণের সন্তাপ বুঝি নাই--- রাত একটা কুড়ির ট্রেন থেকে এখনও তীব্র ভেসে আসে পদ্য-সুরা-পুণ্যের হুইস্যাল ! করাত তীক্ষ্ণ সব আড়াআড়ি ছায়া আমি চিনি সব পরিহাসপ্রবণ ষ্ট্রিটল্যাম্প - সার সার রূপান্তরিত ক্রুশ পেরিয়ে ছাড়িয়ে সময়কে খণ্ডবিখণ্ড করে এই বুক চিড়ে ছুটে চলে মধ্য রাতের ট্রেন......

এই আকাশেই হারিয়ে যাবে

অনুতাপের অনুরাগে যুবক শ্রমণ অরণ্যে তার গেরুয়া বসন উড়িয়ে দিল, হায় মায়ামুখ! মুক্তমায়ায় এই আকাশেই হারিয়ে যাবে তোর আকাশের সবটুকু সুখ। অধীর ঘরে ফিরছে যে কার দেখতে চাওয়া বিনতা চোখ; তিতির নাচের বিকেল বেলা, পাতাল প্লাবন বিমূর্ত শোক। এই আকাশেই হারিয়ে যাবে তোর আকাশের চিল ধূসরের তিলার্ধ সুখ - সোনাশস্য পুষ্পনোলক, সুখত্যাগী সব আষাঢ় অসুখ। এই পদ্যের খলনুড়িতে মিশিয়ে দিলাম সূর্যপ্রয়াণ - পানসি বেয়ে চলে যাওয়া দ্বীপবাসী চোখ এই বাতাসেই ঘোর কাটে না এলোমেলো দীপশিখা তোর অন্ধকারের জ্যোৎস্না অসুখ সঙ্গপ্রিয় রাত্রিবেলা আয়না দিঘীর সাততারা মুখ। নামমুদ্রার নাম দেখে নিস, অঙ্গুরীয়ের স্ফটিক হিরেয় তোর দুটি চোখ মেলে ধরিস। নিরভ্র নীল শাড়ির বুটিক আঁচল পাখায় উড়িয়ে দিলে, উড়েই যাবে ধ্রুপদ দোয়েল ভগ্নপয়ার প্রাক্-জীবনের অন্ত দেখেই পুড়বে পাখি জ্বলবে সে বুক এই আকাশেই হারিয়ে যাবে তোর আকাশের চিল ধূসরের তিলার্ধ সুখ।

চোখের ভেতর বৃষ্টি পুষি চোখের ভেতর রোদ

যাযাবরও শিখে গেছে স্থির দৃষ্টিপাত রাত এসেছে শিকারী রাত দিনের কিস্তিমাত সুবর্ণ একতারায় বাজে অলৌকিকের সুর ময়ূরপঙ্খী রাতের নীলে সূর্যদীঘলপুর সোনারচুমু জোনাক-পাখি প্রগাঢ় বন্ধন শাপভ্রষ্ট শস্যখামার বেণুবনে মন সন্ধ্যারেখা সূচিকর্ম সব জড়িয়ে থাকে রূপান্তরে আগুন থাকে; পোড়ার কষ্ট থাকে ওষ্ঠ যদি জানতে তুমি হীরের বুকে বিষ কন্ঠলগ্না দ্রাক্ষালতার বয়েসটি উনিশ ! উনিশ বছর মল্লার গান উনিশ আষাঢ় নদী রূপের নগর উনিশ বছর, উনিশ বছর – যোগী ছায়াসময় কোমল আগুন আঁচ লাগে না কার চাঁদফোটনে আগুন জাগে উনিশ বছর যার জপমন্ত্র চোখ বন্ধ ঠোঁটে পুষ্প বিষ আনাড়ি ভ্রূভঙ্গি তোলে সুতীব্র উনিশ মরু নদী তোমার যদি জল লাগে না গায় মেঘার্ত হও, নয়তো না হও, কিচ্ছু আসে যায়? ডাগর গদ্য জীবন যাপন, জীবন যে বিবাগী রাত প্রহরী তবু আমি দিন জাগি রাত জাগি দিন জাগি রাত জাগি আমি কান্তজী অঙ্গন সিনোরিতা টেরাকোটা হাজারো দর্শন নিরূপিত আকাশবাড়ি মেঘরৌদ্র চোখ চোখের ভেতর বৃষ্টি পুষি চোখের ভেতর রোদ

উইলস লিটল ফ্লাওয়ার

এই বন্ধ্যা শ্রাবণে আড়ং-এর লেমন গ্রিন ভিড় থেকে পিয়ানোর রিড ছুঁয়ে নেমে আসে ছুটির ফতুয়া। এইসব প্রথা বিরুদ্ধ বৃষ্টিহীন বর্ষা দিন গুলিতে পা বেয়ে উঠে আসে পৃথিবীর তাপ। মানিক মিয়া এভিনিউ সরু হয়ে আসে আর রাস্তার অধুনা ল্যান্ডস্কেপে ফুটে ওঠা সযত্ন ঘাসফুল নাগরিক গ্রীবায় নিষ্ফল মেখে দিতে চায় পানামের ঘ্রাণ - ফতুর বাগান। এক সময় বর্ষা ছিল ফুলেল শাহবাগ থেকে ফ্রোজেন কাকরাইল অব্দি বিস্তৃত। সব আপেল পিক্সেলস চোখের গভীরে নিয়ে বৃষ্টির ব্লুজ, মেপল রিবন চুপ ঘুম নগরের পথে স্পোর্টস সাইকেল অপেক্ষা কখনও নয়...

খড়িপাতা

মৃত্যুনীল শান্তির মত এখনও একলাটি হয়ে যায়নি দুরপনেয় চুম্বনের দাগ তন্দ্রা নিমীল রাতে অন্তকাল নেমে এলে ভ্রমণ পিপাসায় জাগে ভুলে যাওয়া কোন এক রাতের স্টেশন। রূপগাড়ির চাকায় ঝিকঝিক ঝিকঝিক… ছুটে ছুটে নিতে চায় ভ্রমণ রোমাঞ্চ সঙ্গপ্রিয় পক্ষিরাজের মত ছুটে ছুটে হাত ধরে হাত ধরে সে ভ্রমণ অর্কেস্ট্রার মত বেজে ওঠে আর উড়ে উড়ে হিমেল পাখায় শ্রুতি সীমানায় চলে আসে গ্যাংটক - ‘মাধুরী বারের’ সেক্সোফোন ডেন্সবার্গ বিয়ারের ফেটে পড়া উল্লাস নির্লিপ্ত মোহন্তের মত বিবাগী গেরুয়া গায়ে পাহাড়েই চলে গেছে ভোরবেলা সব; প্রত্নতত্ত্ব জাদুঘরের শোকেসে সমকালের পরিব্রাজক মেঘ তার খোঁজ পায়নি কোথাও আলোড়িত বহিরঙ্গ দেখে ভুলে যেও না বিচ্ছুরিত নীল জাগা আকাশে আকাশে রক্তক্ষয়ের ইতিহাস, শীতবৃক্ষপাতার প্রাণপণ আমরণ আলোকদোহন অনাঘ্রাত ভোর বোধাতীত সান্ধ্যভাষায় ধ্বনিত-প্রতিধ্বনিত হয়ে মহাস্থানগড়ের অবারিত বৃষ্টিধূসর মাঠে মাঠে অপরাহ্নের আলোয় মিশে গেছে – উৎকণ্ঠিত, অনুতাপময়; আর তার মাঝে তার-ই মাঝে চলে কার আত্মসঙ্গোপন রাতানুগমন ! সে কি তার পথ ভুলে যায়? বার বার, বারেবার ভাস্বরতার পথ ঘুমুনে টানেলে ডুবে যায়? ‘এক’ ভগ্নাঙ্কে ভেঙ্গে গেলে বড় অনুতাপ হয় শীতবৃক্ষ ...

অনুবাদঃ “আফরি” –“ the most beautiful one!”

ওস্তাদ নুসরাত ফতেহ আলী খাঁন এর “আফরি” –“ the most beautiful one!” গানটির কথা নিয়ে আগ্রহের কমতি ছিলো না।উসকে দিলো ব্লগার আবদুল্লাহ আল মনসুর এর ওস্তাদজি’র ওপর দেয়া রিসেন্ট পোস্ট। খুঁজতে খুঁজতে গানটির ইংরেজী অনুবাদও পেয়ে গেলাম। যা বুঝতে পারলাম তা হচ্ছে অতুলনীয় উপমায় ভরা অসাধারণ কথামালায় গাঁথা এই “আফরি”। লিরিসিস্ট, দ্যা গ্রেট জাভেদ আক্তার। নীচে এর মূল কথাগুলো তুলে দিলাম। সেই সাথে অদ্ভুত সুরের সেই গান। আমি একে অনুবাদের লোভ সামলাতে না পেরে একটু চেষ্টা করলাম। রস আস্বাদনের জন্য আগ্রহী পাঠকদের প্রথমে গানটি একবার শুনে নিতে অনুরোধ করছি। ভিডিওতে ইংরেজী অনুবাদ ভেসে আসবে। ক্লিয়ার হয়ে যাবে অমৃত কথাগুলো। তারপর আমার অনুবাদ ধরে ধরে গানটি আবার শুনুন। সো, লেটস স্টার্ট ! husn-e-jaanaaN kii taariif mumkin nahiiN It is not possible to praise the beauty of beloved. aafriin aafriin O the most beautiful one! tuu bhii dekhe agar to kahe ham-nashiiN Even if you see my beloved, you would also say aafriin aafriin O the most beautiful one! aisaa dekhaa nahiiN Khuubsuurat ko’ii jism jaise Ajanta kii muurat ko’ii jis...

নৈঃসঙ্গ্যের হাওয়া

দেখতে পাও? ছাই চড়ুই এর সৌহার্দ্য, রাতবিরেতে স্পন্দমান বুকের গভীরে এখনও ঘুরতে যাও? ঐ বাজনার ধুন নিমজ্জিত সূর্যের মত নদীময় সন্ধ্যা শরীরে রয়ে গেছে আমি সেই জলাভূমির সহবাসী তক্ষশীলার কারিগর বর্ষার জলময় ব্যস্ত সময়ে আমি রাতবিরেতের শ্রুতলিপি লিখে রেখেছি মুছে ফেলেছি তনুর তেজাব মার্জনা করে গেছি সব অপরাধ। এখন বৃষ্টির এই বন আমার স্বরাজ। রূপোর জলে লিখে রাখি অদৃষ্টময় যমুনা সোয়াশ; মুঠোবন্দী করে ফেলি স্বপ্নবিমুখ শাদা স্বপ্নসারস চুমুকে সাবড়ে দেই গোধূলির রূপ গন্ধ রস মুক্তাশুক্তি ভাঙ্গি - এ আমার ক্ষত্রিয় সাহস একটা চোখের কুঁড়ি ফুটিয়ে তুলতে সশ্রম দিনের আলোয় অথবা রাতনীলনির্জনে তক্ষশীলার মত অহর্নিশ গড়েছি সেই কিংবদন্তীর নগর কত সাদর অপেক্ষা ! মেঘরাত কেটে কেটে স্বপ্নাদ্য সোনার মাদুর, তারপর তারার ওপর ক্রমশ জেগে ওঠা ভূপালী ভোর চুলের প্রত্যন্তে লক্ষ্ণৌর ভুলভুলাইয়া ঘুরে ঘুরে, ডেকে ডেকে জন্মনাম যমুনা চরের শণঘরে অলস দুপুরে বৃষ্টি নয় নদী নামা নখের আঁকশিতে নামিয়ে আনা স্যাফ্রন স্নায়ুফুল জলজবাতাস তবু এ কেমন নৈঃসঙ্গ্যের হাওয়া? থিতানোবিষাদ, তবু বারবার মুখ ফিরে চাওয়া ! আজ আষাঢ় যুবতী যত খুলে দিয়েছে নাগরিক বিউটিপার্লার চন্দন ...

মনোজ জার্নাল

বারুদ জ্বালায় থাকে অগ্নির সন্তান মৃতবৎসার শোক ধরে ধরে টোলপড়া গালের মণিযোনি থেকে মুগ্ধতা লুকিয়ে রেখে আর কত বরষাত বরবাদ করে যাবে ? ইচ্ছে কর যোগিনীর যাবতীয় প্রদর্শনী তুল ধর দেহান্তরে করতালি দিয়ে ওঠো ; আলো কর তারায় তারায় ঝিঁকিয়ে ওঠা আকাশ আমার মন্ত্রসাধন ক্বচিত্ ভুল পথে গেলে মন্ত্রমুগ্ধ কর নয়তো বিলকুল আমি সেই লাগাতার ক্ষুধাতুর গেরস্থালি করে যাবো করে যাবো চুপিসারে জীবন খনন তুলে নিতে সব প্রতিশোধ জন্ম ইশতেহার পাল্টে ফেলে ছলপাতা পথকে এড়িয়ে আমি ঠিকানায় পৌঁছে যাব এ সকল দিন গুজরান কৃষ্ণচূড়ার অপমান কে চায়? পূর্বসমুদ্র থেকে একটা বিরোধিনী বাতাস এসেছে তুমি শুনতে পার বেদনাবিতানে ভিড় থেমে গেছে, দিনলিপিতে উঠে এসেছে শান্তিনিকেতন শরীর তূণীর থেকে পরঞ্জয়ের বোধ শুষে নিলে নিষাদকন্যার ঈর্ষা মুছে যায়, কেন জানতে পার। কাজল রেখার পথ ধরে সন্ধ্যা নামার মত একটি পলকপাত দেখতে গিয়ে বেদুঈন হয়ে গেছে মনোজ জার্নাল উদ্দাম চৈত্রের দিনে হাজার সৌরবর্ষের রোদের চাবুক সয়ে আখাউড়ার লেবুবন পেয়ারার সবুজ টকে এসে গেছে বর্ষামন্ডিত প্রহর বেলোয়ারি শরীরী উদ্ভাস সুপরিচিত মুখের দিকে নেমে আসছে অশ্রুমোছা কৃষ্ণচূড়ার রুমাল শালীন সন্ধ্যাভাষা তনুতা...

আঁখিপল্লবের তৃণে লেখা নাম

চুমকির চারুতা থাকে স্নানের আগে বহতা আবেগ জলের তোড়েই ভেসে যায় ভেসে যায় তার সাথে জলের নিষাদ হিমায়িত উষ্ণতা পড়ে থাকে পড়ে থাকে তারাবাজির লালতপ্ত তার বালকের হাত জুড়ে ছাই ফুৎকারে নিভে গেছে পরমা প্রদীপ আমি শুধু জ্যোৎস্না জাগাই পানকৌড়ির পথ ভুলে যাওয়া জলদাগ ধরে ধরে পুনর্বার রাতের ভেতর - ভেসে গেছে ডুব সাঁতার রাত্রিরঙিন অন্ধকার। আশ্রয়বর্জিত শিমুলের বেখেয়াল আর তার দীর্ঘশ্বাস মুক্তি নিলো না টেনে নিলো রাতরুদ্ধ গুহার বাতাস উচ্ছন্নের জ্বেলে দেয়া আগুন-ধোঁয়ায় দিশাহীন মধুপের ফিলহাল পুড়ে গেছে হাওয়ার পেখম সূর্যমুখর দিনে - মুক্তছন্দ কবিতার বেনোজলে কৃষ্ণতিথির আগমন লতা গুল্মের দুষমনি - দোল দোল দোলনাও থেমে গেছে ; স্মৃতিলেখা সমুদ্র মৎস্যকন্যার দিল্লাগি - চিনি, সব চিনি নক্ষত্রমুদ্রিতা, বুঝে নিতে এক একটা ভ্রুক্ষেপ জ্বালিয়েছি চোখের পাতার মশাল হাতসাফাই করে তুলে নিয়েছি রাত্রির পোখরাজ তারাবাজি খেলতে গিয়ে অনভ্যস্ত হাত পুড়িয়ে ফেলেছি মীরাবাঈ, তুই তোর আঁখিপল্লবের তৃণে – সবুজপ্রভা, চতুরখেয়াল মোহিনীবিদ্যে জানা লুকায়িত লজ্জিতা ভোর, পদ্যমাখা বঁধুয়ার চাতুরী অথবা গদ্য দুপুর না কোনো ভোরের শব্দে নামা ছু্টির বৃষ্টি - মনমানা মুনিয়...

আঙ্গুল ছুঁয়েছে আজ অধীরা সরোদ

জলমাতাল রেইন ফরেস্টে মেঘের লাবণ্যআলো ছুঁয়েছি যেদিন, দেখেছি চৌচির মরা বৃক্ষবাকল সময়ের ক্যাকটাস অসময়ের বেলিগন্ধা নার্সারি, স্মৃতিচিহ্নের আলোহীন ল্যাম্পপোস্ট গুলো প্রহরীর মত দাঁড়িয়েছে দূরগামী পথে যেইখানে রয়ে গেছে মায়াবাদ সংগোপিত ভ্রমণ আরোপিত অন্ধকার উদ্ধত বিরহবিলাস। একটা সমুদ্ররাত এখনও সুন্দরের বর্ণপরিচয় হয়ে আছে। যতই পরিখা খুঁড়ি বিস্মরণের – হননের যতই ধরে রাখি সুমিত আবেগ চুপমারা আজ এই সুবৃষ্টি দিনে ফিনিক্স পালকের বজরায় ভেসে এসেছে মৃত্তিকার হিরামন, কলঙ্কিত মৌহারী বাঁশী। আমাদেরই অনুগামী হয়ে ওঠে প্রসন্ন হয়ে ওঠা আজ এই প্রথাগত দিন, ঘরোয়া কথার খুঁটিনাটি দু’জনার সংহিত গ্রহদোষ প্রতিবেশীর ফিসফাস। আঁধারার্থ ভুলে যায় বহুরূপী মেঘরৌদ্রমন – কবিতাহীন দিন আর মন্ত্রপূত মাদুলি ছুঁড়ে ফেলি এ কোন বিসর্জিত জাগরণ ! ঘোর লাগা পথে আজ চিরল সন্ধ্যা হারিয়েছে সুন্দরের উপনাম হয়ে গেছে এই প্রাঙ্গন; নখরঞ্জনীর ঘ্রাণে সুস্বপ্ন–দুঃস্বপ্ন একাকার হয়ে গেছে আজ এই গোধূলি বেলায়, দোদুল দেবদারু জেনে গেছে সুরদোলা হাওয়ার ডাকনাম পাথর দু’চোখে আজ বসে গেছে বৃন্দার বনিতার চোখ - বিনীত আকাশ রূপ-রেখা। ফিরে এসেছে স্থিরঅনুভব - পূর্বরাগের আড়চোখ ক...

পুনর্জন্ম

আকাশ জ্বললে আমি দ্রুত ছাদ থেকে নেমে পড়ি চাঁদকণা উড়ে আসে বাতাসে। জানালার ফ্রস্টেড গ্লাসে শিউলির গালছাপে হাত বুলিয়ে দেই; সুন্দর নিষ্ফলা বড় রাত্রি জাগিয়ে চলে গাছ, নদী, শিউলির তাথৈ বেদনা নৈঃশব্দের কোলাহলে সজাগ ঘুমের প্রেরণা জেগে থাকে জেগে থাকে আদিম আগুন, জেগে থাকে ঐ দূর থেকে ভেসে আসা রাতের ট্রেনের হুইসেল। ভাঙ্গাচোরা শুরু করে ছায়ার নেশার অভিশাপ। জীবনের মৃত্যু হয় না তো, হারিয়ে যায় শুধু। মুখর নির্জনতায় অন্ধকার রেখে যায়, দূরতার হাহাকার – তার দেশে উড়ে চলা ঘূর্ণি মেঘের তুরপুন, গভীর - গভীরতর রাত, পায়ে প্রলয় ঝুমুর--- অনভিজ্ঞ হাত নাহয় পাতাই স্পর্শ করেছিলো বেখেয়ালে তাতেই ঘুমিয়ে গেছে সবুজ প্রহর - লজ্জাবতীর মুখ! সহিষ্ণু ভোরের আলোয় ধীর লয়ে খুলে যায় বীজকোষ কোমল পাতার মুখে আদি সবুজের ছাপ আমি চিৎকার করে উঠি, শোনো! গত রাতের অন্ধকার এই শমী সবুজের আলো দেখে যাও, শিশু সূর্য গড়িয়ে পড় ফুলঝুরি হয়ে; কে এসেছে দেখে যাও চোখের আলো - অতীত হেসেছে দেখে যাও।

খোঁজ

অহোরাত্র তুই বন্ধুর খোঁজে - চিকচিকে রোদ্দুর মেখে নেবে দুই চোখ তোর চোখে চেয়ে- ঠিকানার হয়ে যা সমুদ্র হয়ে যা এক ফোঁটা মেয়ে ! দেহ-মন অনাত্মীয় হলে চুরমার হয়ে যায় প্রথাগত দিন পুড়ে পুড়ে অঙ্গার হয়ে যায় রাত, কষ্টাবদ্ধ হৃৎপিণ্ডে থেমে যায় ধামনিক স্রোত; বুলেট বোমার ভয়ে জালিয়াত জাদুগর বলে বলে অভিশাপ দিয়ে যায় ঝলসানো রুটি হাতে মধ্যবিত্ত মন। মরিয়া পানোৎসবে তাই বন্ধুর খোঁজ চলে সন্ধ্যারেখার কাছে ডুবে যায় চোখ রাত্রিসময়ে চলে তারার জরিপ স্নিগ্ধ ভোরের দিকে মুখ করে সেরে নেই শুদ্ধ প্রণাম। মুক্তিকামী মিছিলে যায়নি তো মিতাচারী আজ ! আড়ি পাত মেঘ, শুনে রাখ্ ছন্দবিয়োগ বোধ; পুড়ে যাওয়া রাত, দেখ্ দগ্ধফসল ছলাহতের জন্মবসতি দেখে যা। উড়োচিঠি কোনোদিনও কোনোখানে নেয়নি যে নির্জন ক্যাফে'র খবর ফিরে এসে বারবার ঘুরে গেছে জালিয়াত মেঘ, অদূর আদর আলাপী ঠোঁটের কাছে খুঁজে ফিরি কিছু কিছু আপন আলাপ - রুধিরাখ্য মালা দোলরঙা দিন মেয়ে বরষার বিজন মাদক; বৃষ্টিই হয়ে যা কোন এক সজল দেশের কাছে রয়ে গেছে আমারই শমীশৈশব, শোকবর্জিত রূপকথা।

উচ্চারণ

আর কিছু বলার নেই, উপচে ওঠা আলো ধরেছি করতলে তাই অপরাধী আমি, লা-জওয়াব ! ঝকমারির দুনিয়ায় তাই শ্মশানবন্ধু চিনে রাখি আরোপিত আঁধারে কিংবদন্তী না হই - রৌদ্রের ঘ্রাণ চিনে রাখি শুধু আমি বুকের স্বদেশে অশ্রু-হাসির চতুরালি ভুলে গিয়ে কাঁচুলির স্বেদবিন্দুর প্রতারণার প্রাক মুহূর্তে ধরে ফেলি দীওয়ানগির বজ্রশায়ক কানপেতে শুনে নেই গায়েবী দ্রিমিকি আর এই ওষ্ঠনির্জনে উঠে আসে বাস্তুসাপ দাঙ্গাবাজির দুঃসময় বহুরূপী মেঘ একটি স্তব্ধকাল। আর আমি কী বলব ! তীরবিদ্ধ সময় থেকে টোকা মেরে সরিয়ে দিয়ে কিছু সংক্রামক প্রহর আমাকে ধার দিও। তোমার নহবতখানার মেহগনি কাঠের রেহেল থেকে তুলে এনে আমাকে দান কোরো দ্রবিণ কবিতা অঙ্গারের পুড়ে যাওয়ার আহ্লাদ। নিদ্রানাশী সীমিত আদর ছুঁড়ে দিও কিছু আমি স্কুলভাঙ্গা বালকের মত ছুটে গিয়ে ঠিক তুলে নেব সেইসব ক্ষমাহীন অনুরাগ। কোন এক ফুসমন্তরে ভুলিয়ে দাও আঁধারার্থ একদিন ধার দাও একটামাত্র প্রার্থনার সকাল মুঠোবন্দী স্নিগ্ধোজ্জ্বল বেলা আর আমি ভুলে যাই সর্বশুন্যতাবাদ লখাই এর বিষপরিণতি। দলছুট পাখির ডানায় তুমি নিয়ে এসো অপসৃয় জোছনার রঙ চিলেকোঠার স্বল্প অবসর অনাবাসিক রাত্রি যাপন হুহুবুক মেঘার্ত আকাশ থেকে নে...

বৈশাখী চিত্রিকা

সব শেষ হয়ে যায়নি আজো এই যে আমার চৈত্র উজল দিন সীমাহীন প্রশ্রয় দিয়ে রাখে – তৃষ্ণার পানের আমার অন্ধকার গুন্ঠিতাকে উন্মোচনের গুলাবি নেশায় বুজে থাকে। এই একেলিয়ানা শাদা ফুল কাটা উড়ানি যেন --- উড়ে যায় ফুলটুকি পাখির মত। আমার এখন আর আরকিছু নাই আমার ছায়ার আঁধার ঘায়েল করেছো তুমি চৈত্রের মনদোলা আলো আমাকে ফেরানোর আর কোন গুপ্তমন্ত্র কিছু নাই। জল-স্থল-অন্তরীক্ষে প্রত্যুষরঙিন আলোস্নান শেষে পাতাবাহারের প্লাবনবিশুদ্ধি ছেয়ে যায়, পুষ্প তার বৃতির চোখে লাস্যতার জজবা ধরে রাখে,- তার চেয়ে অর্থময় জাগরণ আর কিছু নাই। বলেছি তো, সব শেষ হয়ে যায়নি আজো সীমাহীন মায়া নিয়ে আজো জ্বলে চিত্রদীপ সুরের প্রহর নিয়ে বাৎসল্য ফিরে আসে এই যে আমার চৈত্র উজল দিনে নিহত শুদ্ধ মন প্রেত হয়ে ঘোরে; অনন্ত জিজ্ঞাসা নিয়ে ক্ষয়ে যাওয়া দু’চোখ তবু জ্বালায় পোড়ে না - ঐখানে ঝিলমিল করে ওঠে আজ এই চৈত্রের রোদ শিশু বৈশাখের অস্ফুট আধো কথা। আগমনী দিনে দেশাল সুন্দরের সবুজ ডুরিয়ায় এঁকে নিলাম আজ তাই বৈশাখের চিত্রিকা যোগীর কুটিরের দরাজ কাওয়ালির মত নেমে আসুক জৈবনিক দিনাতিপাত তরঙ্গিম সুর নেচে যাক ছাতিয়ায় - ও লাল মেরি পাত রাখিও ভালা ঝুলে লালান্--- এরকমই আমি আজ ...

আর্সেনিক

আমাকে ভাঁজ করে জিপিও-তে গিয়ে পোস্ট করে এলাম তোমার পোস্টবক্স খুলে আমাকে পড়ে নিলেই বুঝে যাবে একটা শ্যামাপোকার জীবনচক্র। ফ্লাইং ডাচম্যান এর অবশ গন্ধ মাখা অ্যানভেলাপও বলে দেবে – আমি কতটা জেয়। নিষিদ্ধ নেশার সুগন্ধ জড়িয়ে ঠোঁটের কিনারে, ব্রতধারীর প্রাহরিক উপাসনা শেষে - নিরীশ্বরবোধের উপলব্ধিতে আমাকে পড়ে ফেলো তখন। যেখানে শোকও কালো বেড়ালের মত আমার অনুপস্থিতি বোঝে; আমার আকর্ষণে ভুলে যায় জেব্রাক্রসিং – তুমি কি তার চেয়ে বেশি কিছু নও? একপাশে টোল খাওয়া অমাবস্যামুখী চাঁদের মত আমাকে ঝুলিয়ে রেখো তোমার দেয়ালে দেখো, কেমন বশবর্তিনী হয়ে গেছ আঁধারের তার পাশে ঝুলিয়ে রেখো – চুলের ট্যাসেল রৌদ্র স্নানের বিকিনি দু’পাঁচটা বিকেল প্রিয়তার বর্ষাঋতু নক্সানবীশ এই দিনকাল। ছায়ার সূচিকর্ম শেষে দেখে নিও জ্যোতির্ময় অভিলাষ পৌনঃপুনিক রাতের সফর। প্রতিবিম্ব ধারণে সক্ষম এই আমাকেই চৈত্রীর রাতে অচতুর পাবে তুমি নির্মোহ মধূৎসবে। এভাবেই তোমার শোবার ঘরে ঝুলে থাকবে সময়ফসিল উদ্ভ্রান্ত ঘূর্ণিজল চন্দ্রাহতের দুঃসাহস। দ্বিধান্বিতের ফন্দি-ফিকির শ্বেতদ্বীপে উড়ে যাবে,- জানালার খিলানে এসে যাবে সূর্যফোটন মৌন রাতের শেষে ভেসে আসবে বৈদূর্য ভোর দিলা...

old is gold (part 2)

ছবি
Tumi Basho kina ta aami jani na Get this widget | Track details | eSnips Social DNA Foreigner's Best DAMA DAM MAST KALANDAR Get this widget | Track details | eSnips Social DNA Bulla, I know not who I am Bulla, I know not who I am Nor am I the believer in mosque Nor am I in idol worship Nor am in the pure or the impure Nor am I in the Vedas Nor am I in the intoxicants Nor am I in the carefree deviant Nor am I union nor grief Nor am I in the pure/impure Nor am I of the water nor of the land Nor am I fire nor air Bulla, I know not who I am Nor am I Arabic nor from Lahore Nor am I the Indian city of Nagaur Nor am I Hindu nor a Peshawari turk Nor did I create the difference of faith Nor did I create Adam-Eve Nor did I name myself Beginning or end I know just the self Do not recognise ’’the other one’’ There’s none wiser than I Who is this Bulla Shah Bulla, I know not who I am Rabbi Shergill - Bulla Ki Jana Found at abmp3 search engine

সময়সংকেত

আতর ছিটানো রাতে স্তব্ধ হয়ে ছিলো হিম অপেক্ষা। বিদায়ী ভোজ শেষে মৌরি মুখে আমরাই বলেছিলাম – আমাদের যাবজ্জীবন হোক। জলভারনত মেঘ দেখেছিলো বৃষ্টি লেগেছে ঘোর, ভিজে গেছে এক একটা দীর্ঘ দুপুর মুক্তোসম্ভবা ঝিনুকের কাছে ফিরে এসে ভিসুভিয়াস লাভাচিহ্ন রেখে গেছে রূপের নগরে। দীর্ঘ দ্বিধার ল্যামিনেটেড স্কেচ নেকাব হয়ে ঝুলে থাকে এই লোকালয়ে ঊর্ণাজালে বাঁধা পড়ে দংশিতের মুগ্ধমৌসুম - এইখানে গোপনচারী পরী দেখেছিলো তারা ছিটানো আকাশ সোনাই এর রাত্রি সাঁতার এইখানে উড়ে গেছে দাগা দেয়া দূরগামী ঝড় এসেছিলো রোদজ্বলা দুপুরে করতলছায়ার মাদুর এই লোকালয়ে একদিন হেসে উঠেছিলো খিলখিল দংশিত ঠোঁট গ্রিনরুমের উৎকট প্রসাধনী মাখা চোখের প্রিজমে শুধু আমরাই দেখে নেই সময়সংকেত ফিরিয়ে দেই - অমায়িক ভোর, সমুদ্রের কাছে ফিরে আসা একা বাতিঘর। ওপ্‌ল্ গ্লাসে ঢেকে দেই সর্বস্বান্ত করে দেয়া বিকেলের খুনশুঁটি এই পাড়ে পড়ে থাকে বন্ধকী দিনাতিপাত নশ্বর আতশবাজির রঙমাতাল উল্লাস। আঁধিয়ারে পড়ে থাকে চোখের আলোর মাইয়াত আর করতলে দুই মৃতের প্লাকার্ড রাত্রিচিহ্ন রেখে যায়।

দণ্ডিতের কথা

নিশিপাওয়া মানুষের চোখেও থাকে দীঘল দিনের রঙ, একলা বনবাস। বনবাসী জেনেছিলো - রাত্রিতে কোন সুপ্রাচীন জানালা খুলে যায় উঁকি দেয় ভেনিসীয় নৌকো্র চোখ এক সিডর সমান ঝড় ওঠে সোনা রঙ ক্রিস্টালের রেণু উড়ে উড়ে চলে যায় নীল নীল বনে সোনাফুল ঝিমিকিতে অন্ধ হয়ে যায় অকাল বনবাসী নিশিপাওয়া দন্ডিতের ‘চোখ গেল’ কাতরতায় ভেনিসের নৌকো্ দুলে ওঠে দু’ধার উপচে জল উঠে পড়ে তার বিপদগ্রস্ত শরীরে। এবার বন থেকে ভেসে আসে দন্ডিত অশ্বারোহীর চাবুক - সপাৎ ঐ প্রহারের প্রতিধ্বনিতে বুঁজে যায় জানালা ধীরে ধীরে কোলাহল বাড়ে শুরু হয় সোনাফুলের বেসাতি দেউলে পাখিমা তার বাৎসল্য ভুলে যায় ঝুলকালি হয়ে ঝরে পড়ে সূর্যফোটন জমে যায় সালসা নাচের সার্কাস অশ্বারোহী বুঝে যায় - ঈভের চুম্বন থেকে আজ অবধি কেন পৃথিবী কোন তরল অগ্নি পান করেনি !

পুড়ে গেছে উপেক্ষা তোমার

বেগানা এই রাতে আমার ঔরসের কসমস পুড়ে যাওয়ার অধিকার পেয়েছে আজ কণা কণা পুড়ে গেছে জ্বলন্ত ফুল উড়ে আসা রাতুল ফড়িং দেখে – নিপুণ নিভছে আকাশ, রঙধনুকুচি। তুমিসম নীল নীল কষ্টরা মাতাল দেখছে এ স্বেচ্ছাদহন আফসোস, তুমিই দেখোনি জলসিঁড়ি’র গভীর অভিমান সংরক্ষিত প্রবেশাধিকার ! বানোয়াট জীবনে ঐ এক চন্দ্রছোবল মাতোয়ারা করে গেলো শুধু কি আমায় ! বিপজ্জনক এ জন্মের পর মেরুরেখায় কোন ঋষিমুখ মুখ মিললো না সময়ের স্রোতে দেখলাম গণিকার অসহায় স্বেদ শিশুর নরোম ত্বকে পোড়া মবিলের দাগ স্বর্গমুখি আফিমের হিপ্নোটিক খেল্ নোংরা বাসের সিটে নয়টা’র ভয়--- আজ আমি দ্রোহ ভুলে কণ্ঠে বাঁধছি কমলিওয়ালার গান ঐ অক্ষরে হাতখড়ি নিতে যাই ব্জ্রচিহ্নের; আমি জোর খুঁজি দুনিয়া বদলে দিতে আমিই পাঁড়মাতাল জোড় খুঁজি নাহয় জ্বালিয়ে দেই নির্মম উপেক্ষা তোমার।

নামগান

শুদ্ধরূপে রাত্রি আসে ঈভ মায়াজাল ভ্রূকুটিতে রাতের ছায়া হানলে তুমি ক্রন্দসী রাত ভুলভাঙা ভোর শরীরছায়ায় ত্রিলোক দেখি, দেখলে তুমি । বেজোড় জীবন - সৌখিন মেঘ রাত্রি আকাশ নিদমহলে স্বয়ংবরের সরোদ বাজে কষ্টমেখলা বুকজমিনে গুপ্তিচোখের মালা নিয়ে অশ্রুরেখায় বসলে এসে চাতক তুমি; চুপমেরে যায় ঝড়ের বাতাস জলের তোড়ে কাটলে পলি বুকের পিয়াইন স্রোতস্বিনী যেই বলেছি ‘দুঃখদহন’, দুরারোগ্য প্রেম তখনি মুখ চেপে দেয়, নিসর্গনীল আকাশ নিয়ে লন্ডভন্ড রোদছায়াতে মেঘ এসে যায় রঙবাহারী আঁখিতারায় রোদ জ্বলে যায় - বুক নিবিড়ে সুখের মমি ঐ পলকে বিরল প্রহর বাবুই নীড়ের রূপ বিনুনি মুসাফিরের ঘরদোর আর জন্মাধিকার আমার তুমি তোমায় আমি ঘুম পাড়াবো, রাতলালনে তোমায় আমি নামগানের এক সুর শোনাবো ডাহুক কান্না দূরে ঠেলে কোমলাঙ্গী ভোর দেখাবো, শুনিয়ে দেবো এক জীবনের মুহুর্মুহু প্রতিধ্বনি শরীরছায়ায় ত্রিলোক দেখি, ভুলভাঙা ভোর দেখলে তুমি।

বৃষ্টিদেশের গান

স্নান করেছি আগুন নদী অবহেলায় অনন্তকে আজ পেয়েছি চুমকুড়ি গান বেসুরো মাতম জীয়নকাঠি হারিয়ে ফেলে রাতকালোতে ডুব দিয়েছি খনন নেশায় এই নখরে স্ফুলিঙ্গ নাচন শ্যাম জোছনায় হাত পুড়েছি সাঁঝ লালিমায় পথ জ্বেলেছি ছন্দোবদ্ধ রাত জেগেছি মন-দেহে জখম লাবণ্য তার হারিয়ে গেলে দুর্বিনীত দু’চোখ মেলে পাপ গিলেছি - পিঙ্গল প্রেম আঁধার বিচ্ছুরণ ধুলোঝড়ে বের হয়েছি নিরাভরণ সাদা কালোয় জলছবিটার হাত ধরেছি ফল্গুধারায় রঙের নিঃসরণ স্নান করেছি আগুন নদী ঝুম বেদনার রাত শমনে বৃষ্টিদেশে ডাক দিয়েছে দেশান্তরী মন - কন্ঠলগ্না আকুল ব্যথার আলিঙ্গনের সুখ ধরেছি মন গহনে লেগেছে গ্রহণ অবহেলায় অনন্তকে দীর্ঘ ছায়ায় আজ পেয়েছি শুন্য রাজার শুন্য সিংহাসন।

আলীন উড়াল

বৃষ্টিক্লান্ত চুলে ঐ হাত ঝাপ্টা মারলেই মনময় রঙিন বেলুন। আঙ্গুলে আঙ্গুল ছুঁলে ছন্নছাড়া সুখ কররেখায় ফুটে যেত বিধুমুখী চাঁপা ডাকনামে ডেকে যেত ছড়াকাটা পাখি। তোমার খোলা জানালায় তাকালেই নাভিমূলে শিহরণ তছনছ রাত মনোময় নিমিঝিমি তারা। তুমি আলগোছে যা কিছু স্পর্শ করেছিলে আমিও ছুঁয়েছি তা – চায়ের কাপ, বই, গীটার, ঘাস, বাগানবাড়ির সিঁড়ি - সৌবর্ণ ভোর অথবা বিমনা বিকেল ! তুমি পথে হেঁটে গেলে অলখে হেঁটেছি সে পথ ধুলোপথ বাঁধিয়েছি জ্যোৎস্নার মার্বেলে, তোমার বাড়ির পথে বৃন্তচ্যুত শেফালির সন্তাপে দেউলে ঘুরেছি আমি বালিঘড়ি হাতে। হাওয়ার উড়ানে ও আঁচল মুখে পড়তেই পলক ফেলিনি আমি স্বপ্নজাগরী চোখ উড়ে গেছে তার সাথে- হাজার মাসাকালি উড়ে গেছে ঐ পথে উড়ে গেছে নৌকোর শাদা শাদা পাল উড়েছে চিরল পাতা মায়াপড়া আকাশের সেই এক আলীন উড়াল … আসলেই কি হয়েছে কাল? ঐ চোখ তাকালেই এ চোখ স্ফটিক - স্মৃতিগ্রাস, যখনই আড়াল আজ তাই আদি থেকে শুরু করি মুখরিতা তোমাকে দ্বীপবাসী নেশাচুর মনে একটু তো মনে করি ! আলোকরা তোমাকে ঝুমরি ছন্দে পড়ি নামডাকা আঁধারে হাতে নিয়ে বালিঘড়ি শুক্তির বুকে নুয়ে পড়ি ...

তোমার প্রসূন বুকে

অরুণসারথি ভোর খুঁজে ফেরে ঠিকানার ফলকলিপি হৃদয়ের শুশ্রূষায় মেনে নেয় মেঘশূন্যতা পিপাসা জেগে থাকে। একাশ্রিত মনে ঝলসে উঠেছো কেন আজ? অন্তরঙ্গ আলো তুমি নিবিড় প্রাকৃ্তিক; নখদর্পণে বসরাই গোলাপ অন্তরে আতশ অতসী তুমি এক – দুঃখপ্লাবী রুমাল রেকর্ড গানের সিডি পছন্দের শার্ট নওবাহার ফতুয়ার চন্দনকাঠ বোতাম। নিকষকৃষ্ণ দিনে অথবা ঝুলনপূর্ণিমায় উন্মুখর চোখে ভেসে ওঠে করোটির সেলুলয়েডে জমে থাকা সীপিয়্যা টোন জলোচ্ছ্বাস। প্রাণের ফকীরি শোনে মঞ্জীর সুর শুষে নেয় হেমলক। দৃষ্টিবাণী বোঝনি তুমি নাচোনি কাজরী – বর্ষায়, আকাশপ্রদীপ চোখ তবু দেশান্তরী তারার কবিতা পড়ে। শুনতে পাই - তোমার প্রসূন বুকে ত্রিসন্ধ্যা ঘুণশব্দ ঝরে

দিয়ালা

রাতনীল আকাশ পুড়ছে দেখ আজ এই চৈত্রীর রাত – পাতার চিবুক ছুঁয়ে হাওয়া উড়ে যায়। অন্তর তোলপাড়, হৃদয় জ্যোতিষ; শঙ্খমালা জপে - নিশ্চিন্তে ভুল গুনে যায়। রাত হাসে তারার বুনুনি শাল আলতো জড়ায় ! দৃষ্টিপাতে বেঁধে রাখে – বেলির বাগান আকাশের চোখ দিয়ে পড়ে নেয় ধুলোপথে হাওয়া খড়িপাতা। সুপুরির এলোচুলে বসে এক রাতের ডাহুক, আদরের তল্লাশী চলে গুনগুন মৌমাছি প্রাণবীজ ঠোঁটে ওড়ে সর্ষে শরীর হয় কিশোরীর মন সর্ষে শরীরে লাগে হলুদ জ্বলন তিমির প্রহারে জেগে থাকে এই এক রাতের সফর; অচতুর স্বপ্ন বিভোর - ব্যাধরূপ বসে থাকে জীবনের চাঁদমারি ঝোপে। শিকারির মন চায় শিকার দেখুক ছায়াবাজি ছেড়ে দিক খন্ডিতা মেঘ দীপ্তাক্ষী আজ এই দেখুক দিয়ালা এই ব্যাকুল নিরালা জেগে থাক্ রাতনীল রূপসীর আঁকিবুঁকি রয়ে যাক্ উল্কীর মত অনাদি ঘুমের আগে - নিশুতির বিষে ভরুক পেয়ালা।

শঙ্খিনী সুখ

সুগন্ধী ল্যাভেন্ডার বুকের নিবিড়ে বাস করে, পরিলেখ মুছে দেয় তোমার – আমার বিয়োগবিধুর বেদনার, দিনপঞ্জী মুছে ফেলে কোন এক গায়েবী শৃঙ্গার রৌদ্রপক্ক আমলকি বনে শ্যামসুন্দর আছে কেউ বিঁধে ফেলে আসমুদ্রহিমাচল নিরল সবুজ, মধুমাসে হয়ে যায় ব্যথার কাতিল। সাতরঙ সীবনে বুনে যায় চুপচাপ জীবন চাদর চোখঝিলে ডাকে এক সুখি গাঙচিল। কার করচিহ্নে বাজে বুকের এস্রাজ? প্রদোষকালের মায়ার মত কার আছে এরকম সুরূপ গড়ন? কার আছে রোহিনীর সাজ মুখছায়া ধরে রাখা আয়নার সাহসী সে লাজ? মহানীল জোনাকির রঙ জ্বলে জ্বলে মায়া দেয় কোথায় কখন? সাজো ভোরের বাতাসে জাগরূক রাত্রির শেষমেশ ভেসে আসে কোন এক বিস্মৃত মুখ ডেকে আনে বিরলতা - আততায়ী শঙ্খিনী সুখ !

রাত্রিপ্রবণ মন

ছবি
বুকের পিরামিডে, পদ্যমমি রাত ঘুমিয়ে থাকে। খুন-খারাবের আভাষ জানে মনের টেলিপ্যাথি ঝাউবাগানে আমিই তারার সাথী; তারার কোরাস জলের রঙে চিহ্ন এঁকে রাখি আমিই জানি তোমার স্বপ্নলিপি আবডালে যার নীড় বেঁধেছে একটি পদ্যপাখি রাতমৌনে তারার জরিপ পদ্যে লিখে রাখি। সহজ কথাই ভালো, চোখেরতারায় আসক্তি যার নাব্যবুকে বয়ে যে তার ভ্রমণ শুরু হোল – ঐ চলনে শঙ্খশাদা হাত ছুঁলোযে কাকচক্ষু জল - তিনসত্যি প্রেমের ফলাফল। কাকচক্ষু জল ছুঁয়েছে রূপজ্বলজ্বল পরী শীতলপাটি চন্দ্রালোকে পদ্য প্রভাতফেরী- প্রভাতফেরীর গান গেয়েছে রাত্রিপ্রবণ মন গানের লিরিক – জারক হাসি, রাত্রি আলাপন।

মৌনসুগন্ধে

মৌনতাও এখন ঐ ছলচ্ছল যমুনার বুক প্রতিসারী সময়কে ধরে ফেলে তাই চতুর দোয়াড়ি রঙের ঝনাৎকারে - সুখের আঘাত, অনভ্যস্ত হাত প্রজাপতি ধরে ফেলে এসময়। অন্তরালও হয়ে যায় সস্নেহঘুম ছায়াঘর আলো করা নিবাত প্রদীপ, বিহ্বল মুখশ্রীর মত বহুদূর আলোকবর্ষ অন্তরীপ। মৃন্ময় পেঙ্গুইন এক রাতের আলোয় বসে থাকে অরুন্ধতী চোখ ইশারায়, আবারও যে দেবদারু শিস্ দিয়ে ডেকে ওঠে দমকা হাওয়ায় হিম ভোরে সূর্যছায়ায়।

রথীর আবৃত্তি

আমি অনেক কিছুই পারি সযত্ন চোখ রাখি ঐ সেই সবুজ কেয়ারী, কারো বায়নায় বৃষ্টিও হয়ে যেতে পারি। হতে পারি ধনেশ পাখির ঠোঁট, ভোরের বাগানে কারু ধুচনিও হতে পারি অগোছালো হাতে। দ্বৈরথে পৃথিবীর সাথে জীবনের পরগনা বাড়িয়েছি আমি, এ প্রত্নদর্শন শেষে রাজসাক্ষী হতে পারি তাই। মল্লিকা ঘ্রাণেও হতে পারি রিপুর বিমুখ- আমি এক শতাব্দীর তৃষিত পূজক দক্ষিণান্তে দেখেছিতো,- তুমি সেই ঐশ্বর্য এক সুখের অসুখ রঙধনু প্রচ্ছদে অনুপুঙ্খ পড়েছি যে মুখ ! রমিত স্বপ্নের বীজ বুনেছি যে আজ চরাচরে - একলা রথীও ঘরে ফেরে ছড়িয়েছি ইথারে ইথারে

সহস্র তারা জ্বলেছে

ছবি
সতীর্থ কষ্টেও উত্তরফাল্গুনী রাত প্রচ্ছদে নেমেছে। অথবা সে যেন এক বৃষ্টি এসেছে - নূপুরশব্দ যত অপ্সরী বিন্দুর ধারা তৃষ্ণার চোখে নেমেছে । বা কোন ভ্রমর দাহীর ইশারায় বসন্ত আহ্লাদে অগ্নিশিখার মত পলাশের বনে জেগেছে ; মুদ্রাশংখ কিছু অবাধ সাঁতার শেষে শূন্য শিথানে রেখেছে। প্রসন্ন হতে জানে, দীর্ণ করতে জানে আমার শরণ সেতো প্রকৃতির মত, চন্দন-ঘাসফুল করতলে নিয়ে হয়তো সে আজ ফিরেছে - মসলিন প্রহরের চিকন চোখের কাজ হয়তোবা হেসে গিয়েছে, নেমেছে আমার চোখে নেমেছে তোমার মুখ সহস্র তারা জ্বলেছে।

-আব্রাহাম লিংকন এর সেই বিখ্যাত চিঠি-

এই সেই বিখ্যাত চিঠি যা আব্রাহাম লিংকন তাঁর পুত্রের শিক্ষককে পাঠিয়েছিলেন। দেখুন না, আপনার সন্তানকে আপনি বা তার শিক্ষক এই শিক্ষা দিতে পারেন কিনা? Lincoln’s Letter to his Son’s Teacher - He will have to learn, I know, that all men are not just, all men are not true. But teach him also that for every scoundrel there is a hero; that for every selfish Politician, there is a dedicated leader… Teach him for every enemy there is a friend. Steer him away from envy, if you can, teach him the secret of quiet laughter. Let him learn early that the bullies are the easiest to lick… Teach him, if you can, the wonder of books… But also give him quiet time to ponder the eternal mystery of birds in the sky, bees in the sun, and the flowers on a green hillside. In the school teach him it is far honourable to fail than to cheat… Teach him to have faith in his own ideas, even if everyone tells him they are wrong… Teach him to be gentle with gentle people, and tough with the tough. Try to give my son the str...

'ভাল থেকো' বলে অকারণে

ছবি
দিয়ে গেছে হৃদয়ে সন্ন্যাস ঘরজোড়া অগোছালো দিয়ে গেছে সেই এক বাতাবির ঘ্রাণ। খঞ্জরী কিছু আছে স্পর্শচিহ্ন দিতে জানে খুব তিথিকৃ্ত্য শেষে খিলখিল হেসে ওঠে; আমিওতো পান করি বিজলীর চোখ - জলরূপ পান করি বন্যায় ভাসানো বিনাশ। আমিও যে ধ্রুবলোক চিনি ! দীপ্র সূর্য থেকে কৃষ্ণপক্ষ অবশেষ, দৃষ্টির মিহিজাল বুনি; আজ চাঁদক্ষয়ে বেড়েছে যে ধ্যানীর নিশীথ - প্রেমযোগ্য অবোধ বিষাদ বিবাগী সান্ধ্যপথ ভরে গেছে বাতাবির ঘ্রাণে -- সাঁঝবাতি হাতে কারো শ্যামনীল ঠোঁট কাঁপে- 'ভাল থেকো' বলে অকারণে।

old is gold

Go ahead and rain on me hum tumhein chahete hai aise o mere dil ke chain Get this widget | Track details | eSnips Social DNA chanda O chanda Get this widget | Track details | eSnips Social DNA said i loved you but i lied Get this widget | Track details | eSnips Social DNA karvate badalte rehe sari raat hum - aap ki kasam Pyaar Deewana Hota Hai Get this widget | Track details | eSnips Social DNA o mere sona re এই রাত তোমার আমার Get this widget | Track details | eSnips Social DNA Dil Kyea kare jab kisise kisiko pyar ho jaye Get this widget | Track details | eSnips Social DNA mere naina sawan bhado Get this widget | Track details | eSnips Social DNA চেনা চেনা লাগে তবু অচেনা Turn Back The Clock Get this widget | Track details | eSnips Social DNA i just wanna be close to you phir wohi raat hai Get this w...