সময়সংকেত
আতর ছিটানো রাতে
স্তব্ধ হয়ে ছিলো হিম অপেক্ষা।
বিদায়ী ভোজ শেষে
মৌরি মুখে আমরাই বলেছিলাম –
আমাদের যাবজ্জীবন হোক।
জলভারনত মেঘ দেখেছিলো বৃষ্টি লেগেছে ঘোর,
ভিজে গেছে এক একটা দীর্ঘ দুপুর
মুক্তোসম্ভবা ঝিনুকের কাছে ফিরে এসে
ভিসুভিয়াস লাভাচিহ্ন রেখে গেছে
রূপের নগরে।
দীর্ঘ দ্বিধার ল্যামিনেটেড স্কেচ
নেকাব হয়ে ঝুলে থাকে
এই লোকালয়ে
ঊর্ণাজালে বাঁধা পড়ে দংশিতের মুগ্ধমৌসুম -
এইখানে গোপনচারী পরী দেখেছিলো
তারা ছিটানো আকাশ
সোনাই এর রাত্রি সাঁতার
এইখানে উড়ে গেছে দাগা দেয়া দূরগামী ঝড়
এসেছিলো রোদজ্বলা দুপুরে করতলছায়ার মাদুর
এই লোকালয়ে একদিন হেসে উঠেছিলো খিলখিল দংশিত ঠোঁট
গ্রিনরুমের উৎকট প্রসাধনী মাখা চোখের প্রিজমে
শুধু আমরাই দেখে নেই সময়সংকেত
ফিরিয়ে দেই -
অমায়িক ভোর,
সমুদ্রের কাছে ফিরে আসা একা বাতিঘর।
ওপ্ল্ গ্লাসে ঢেকে দেই সর্বস্বান্ত করে দেয়া বিকেলের খুনশুঁটি
এই পাড়ে পড়ে থাকে বন্ধকী দিনাতিপাত
নশ্বর আতশবাজির রঙমাতাল উল্লাস।
আঁধিয়ারে পড়ে থাকে চোখের আলোর মাইয়াত
আর করতলে দুই মৃতের প্লাকার্ড
রাত্রিচিহ্ন রেখে যায়।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন