গজল চলছে মিহি'র ঘুমের ঘরে

জানালা থেকে মিহি'র বাড়ি দেখা যায়। দেখা মানে, ওলে ক্লিঞ্জার ধোয়া চোখেমুখে  মিহিকে দেখা অথবা মোনব্লান আফটার শেভ এর সাইট্রাস স্মেলে আমার ক্লিন শেভ। এই ভোরে  নৈর্ঋত লক্ষ করে ছুটে চলেছে দেখি এক অগ্নিচিল। কোনও পাখি অতো উঁচুতে ওড়ে না, যদি সে নিজের পাখায় ওড়ে। কিন্তু এ অগ্নিচিল উড়ছে দেখি, কারণ সে জানে কোনও উচ্চতার মুখেমুখে মাপ জানতে নেই। তাকে জানতে হলে তার শিখরে উড়ে বস, তারপরই দেখবে সে তেমন কিছু উঁচু নয়। 


হার্ট নিডস বিট।
 ঐ পাহাড়ের বাড়িতে মিহিকে দেখে আমি ওকথাই ভাবলাম। আর আমি মিহি-তে মগ্ন হলাম, যেমন সে ঘুমে নেমে আসে ধীরে, তারপর হঠাতই ঢলে পড়ে। তারপরও সে আধোচোখে তাকিয়ে দেখতে থাকে ভবিষ্যৎ। তার চোখ যেনো ইটালির গ্রান প্যারাডিসো পর্বতের তুষার ঢালে আলো মাতাল। ভ্রু তার সূর্যাস্তের দিকে ক্রমশ উড়ে চলা 
স্কারলেট ম্যাকাও, আর তার হাসি একটি সক্ষম তরুণীর প্রতিজ্ঞাবদ্ধ আগামী ভবিষ্যতের চিহ্ন। তার চোখ থেকে নিক্ষিপ্ত হয় আমার করা সারিসারি টিউলিপের বাগানে অজস্র তীরের ফলা। আর একটি একটি করে টিউলিপ রক্তাভ হয়ে ওঠে।

পাহাড়ের ঘরে মার্বেল সিঁড়ি বেয়ে উঠে আসি, আমি জানি সেগুণের ডালে 
এ হাওয়া বিষাদের নয়। 


শুনি মির্জা রফির গজল চলছে মিহির ঘুমের ঘরে  - 

নার্গিসের মতো আমার ধুলো হতে ফুটছে চোখ 
একটু এসে যদি দর্শনের এ ইচ্ছে দেখে যেতে     

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

অনুবাদ - Gloomy Sunday (আত্মহত্যার গান)

অনুকবিতা

অনুবাদঃ “আফরি” –“ the most beautiful one!”