পোস্টগুলি

সেপ্টেম্বর, ২০২৪ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

কবিতা

কবিতার নীল শামিয়ানা দিয়ে ঢেকে দেয়া যায়  গ্রীবার কালো দাগ কবিতা খোঁজে তার দিল হকদার  এইযে দিন চলে গেলো  তুমি রাত্রি দিও, কোনও কালো রেখোনা আড়াল  অন্ধকার-গান তুমি শোনো ...  ফ্যালকন উড়ে যায় সমুদ্র আকাশ  তারা বলে,  পৃথিবীতে অচেনা সৈকত বলে কিছু নেই  ব্রতচারী কবি লেখে আদিম মানবহীন নগরীর কথা  তার কালি আর দূর্বার রঙ এক  সাজবদল হলেও সে রঙ গভীর  যৌনতা  অথবা তার চেয়ে বাসি ইচ্ছারা  কবিতার মতো রেখা দেখে হেসে উঠে বলে,- মূর্ত 

বৃক্ষ হও ভাষাহীন কথা বল রাত্রির মতো

ট্রেনের হুইস্যালে দুনিয়ার ছন্দ শোনা যায়  মার্মা হাওরে ঘোরে বাতাসের শিস একটানা  এই স্লেট-অন্ধকার ছড়িয়েছে নিরকার দূর  মানুষ মুহূর্তে সুন্দর হতে পারে রাত্রি পারে কি  রেইনবো লরেকিটের মতো ডাকে অন্ধকার  দেখা কর, একটি দেখায় রাত্রি পর্দা খুলে ফেল  দেখাও স্পর্ধার ক্ষতমুখ, যে এখনো দাঁড়িয়ে  এ অহং থেকে মুক্তি দাও ব্যথা দাও ছন্দ দাও   যেদিকে দৃষ্টি দাও আমিই অতীত, পৃষ্ঠা খোলো  এ জীবনের পাঁচ লাইন লিম্যারেক শেষে  পড়ে দেখো আড়ালে লুকোবে স্নেহ, দেখবে না তাকে  যদিও জাগ্রতের ব্যথা বেশি তবু এই দিনরাত  জেগে দেখি তৃতীয় সংসার এক বলে ওঠে  বলে, বৃক্ষ হও ভাষাহীন কথা বল রাত্রির মতো 

যে ডোবে সে-ই হয় পার

অহং ছেড়েছি শোনো বেকারার কবিতার কথা সুখী এক ঢেউ দাও এ দীর্ঘ নদীপথ যাত্রায় হালকা নীলাভ রঙ তাকে আকাশী ডাকে আকাশ  ঋভু তুমি  জানো এ রঙের আদিঅন্ত জানো ব্যথা জানো  স্বর্ণ-খনির ঘা আর তা থেকে মানুষের ভ্রুনঘাতী ইতিহাস,  এ মনুষ্য জীবন কদাকার আমরা সবাই জালজীবী জাল থেকেই আহার এ ছায়াপথ মৃত্যু তাড়িত তার বাঁক খুব দ্রুত  আমাদের বিসর্পিত প্রেম এই পথে থেমে যায় এই পশমিনা জীবন-চাদর এই তীব্র শীত ঘড়ির দোলনকাল মনে রেখে রেখে চলা তবু মারুতির প্রিয় বন আর নদীর সাঁতার, যে ডোবে সে-ই হয় পার আর আমি চোখের পাতায় ঢাকি এ প্রাণন, কেননা চোখের ট্র্যাজিক ভাষা অপাঠ্য

শঙ্খ

এই পলাশের লাল জেনো বসন্ত পার্বণী এই হলুদাভ দিন জ্বলজ্বলে দুপুরের রোদ  গুজিয়া হাতে বাসন্তী মেয়েদের ফেরা  ক্লোন করা মুখ ক্ষীণ কটি নির্জনে আসে  পপলিনে মিহি হাওয়া তার সাথে নির্জনা সে  আকাশপ্রদীপ জ্বলে উপশম আছে কিনা বলো  চরণচিহ্ন সমস্ত গিয়েছে দূর উত্তর এই জ্বলজ্বলে রোদে ফিরে এসো  শীতনিদ্রা কিছু ভালো নয় মনের বাহক  ধুলো হই তৃণ হয়ে জন্মাবো বলে অথবা  হাওয়া হই নিঃশ্বাসে। তুমি কষ্ট তুলো না  শুধু নারী হও, আরতির লয়ে নাচুক আদর  যতদিন যায় এ নেশা দিক পাল্টায় তবু  লক্ষ্যে সে স্থির, আরতি বেলায়  তোমার  সুচারু স্তনজোড়া কাঁপতে থাকে  আমি ভাবি, কখন? আবার কখন পাবো  সময়ের দেখা, দুটি আইভরি বলে ঠোঁটে ইচ্ছেমত কামড়ে খাওয়া বাডস অফ হার ব্রেস্ট        

চিহ্ন

মানুষ মানুষকে টানে এ টানই তো শেষ কথা রোগ পোষে মন, মন চাওয়া শেষঘুম ছাড়া ফ্রেশ স্পাইশড পমফ্রেট আর সিন্যামেন, ব্যান্সন থেকে টান আসে শেষ শ্বাষহারা আজ রাত তড়িতের অরূপ রূপের ওংকার নাচে কথক সংগম- সে বর্ষার নদী বুকভরা বনে বনে ঘুরে জেনেছি, আসলে সে ভিন রঙ চেনা সারগামে বনের ঝিরির সে ধারা সে বনে রাত্রি, বাইশ ফ্যান্টাসি অফুরান এই ভূমিরূপে আমিতো দেখেছি স্নেহবন আর কিছু নয় দেখি নেশা আর তুমি ভুল সিন্যামেন মদে মেশে কুয়াশায় তার মন হাত ছুঁলো না যে ঐ আঁচলের রূপকথা পলকে হারাবো মানুষী যখন মন দেবে সাথে কেউ নেই আর তো একটি নীল তারা মানুষ যেখানে গাড়বে চিহ্ন- ছাপ রবে।

লিসবন

যুদ্ধতাবুর পাশে, আসে এমনি একেকটি কথা  যে আগুনে ইস্পাত যেই তাপে সৃজনের ব্যথা    বনে পেগান মেলায় যাই কূট বিরোধ থামাই   এক বিন্দু মদিরার চোখ দেখে বলি ব্যথা নাই  ব্যথা নাই মনে যেন লিসবন উপাসনাগার  সে শহরে  গলফগ্রীন সে হরিত লেগেছে আমার  কে তোমায় ভিন নামে চেনে, দিতে চায় দেনা  একাকী যেমন ভ্রূণশিশু যার মা'র মন চেনা  গীতিকবিতার গান যেই আসে মায়ের গলায়  কে আবার তার মাঝে  জ্যোৎস্নার কান্না মেশায়  পুরোনোতে মাতি আমি  দর্দকে চাই এক নজর শাশ্বত কুমারীর  কবিতার নিবিড় ছন্দ এ  শহর  ভ্রমর আক্রান্ত কথা পথের পাশের বিজ্ঞাপন  লেখা আছে পৃথিবীর পুরোনো শহর লিসবন    

মানুষ

চুলের পাগল পথে হেঁটে এসে দাঁড়িয়েছি রাত  স্বাতী তারার  মতো স্থির দেখছো তুমি এ ভ্রমণ  দীর্ঘ কাজল টানের অর্থ কী যদি সে ঠোঁটে না বসে  নিরন্নের কাছে তবু আছে কবিতার কসমস  সে আয়ুবন্ধন থেকে মুক্তি দিয়ে বেঁধেছে মনডোর ওই এক বিন্নিধানের ক্ষেত তার রঙ তুই এই প্রান্তর নিরন্নের কাছে অর্থহীন কাঁদে   জুড়িগাড়ির দুই শাদা ঘোড়ায় ছুটে চলে ঈশ্বর  হরিণ শিশুদের উপত্যকা লুপ্ত হয়ে যায়  গুপ্ত ট্রেঞ্চ থেকে উঠে আসে শিকারীর রাইফেল  বটবৃক্ষে  বসন্ত বৌরি  এক বসে আছে স্থির  সবুজ পর্ণী মা তাকে পাতার আড়াল করে, মায়া ...  এই সংসার মায়াকানন এক, এখানে নিদ্রা আছে  আছে পিকাসোর 'দ্যা ওল্ড গিটারিস্ট', আছে স্ক্যান্ডাল         

অতসী

তোমার কাছে একটি আশীর্বাদ চাইতে ইচ্ছে ছিল, কিন্তু সে প্রার্থনার ভাষা আমার জানা ছিলো না এই দ্রুত হাঁটা তোমার জন্যে কিন্তু এই আপাত সুখের নয়টি অক্ষরকেই যদি জীবনের প্রেসাশ ওয়ান-লাইনার মনে কর তবে আর নিজদের বুঝে ওঠা কোথায়! এই যে প্রেম কী অভিনয় আমাদের... ভালোবাসার কথা বলা ছাড়া বিশ্বাস এক ভরসার নাম যার উঠোনে চিন্তার কোনও স্থান নেই দেখনা মাতৃ হৃদয় শিশুর হাসিতে উজ্জ্বল শিশুর কান্নায় সে কারণ খুঁজতে ব্যস্ত ক্ষমতাধর হলে কী হোতো জানা নেই কিন্তু ঘৃণা ব্যাপারটা নিজেকে সান্ত্বনা দেয় কষ্ট বা খুশির ঘটনার আগেই ওসবের চিহ্ন আমাদের মাথায় ফুটে ওঠে আর যারা বনাশ্রয়ী তারা জানে সব সাম্য প্রতিষ্ঠার মন্ত্র তোমার কাছে একটি আশীর্বাদ চাইতে ইচ্ছে ছিল, ভবিষ্যৎ কবিতার জন্য আমার জংগলের অন্ধ কোনে ফুটে থাকা অতসীর মতো অলিখিত শব্দদের খুঁজে পেতে ইচ্ছে করে

নিষেধ

প্রাণোপম, তোমার আভার উপমা কৃষ্ণপক্ষ জুড়ে বারবার উঁকি দেয়, হারায় আবার। চন্দন ফুল আর গন্ধশালি ধান নিয়ে তোমার এ আরতি, শঙ্খিনী নারীর দোলপূর্ণিমা এই কৃষ্ণপক্ষ জুড়ে। আমি বিশ্বামিত্র নই, তুমি কি মেনকা? তুমি কি ধ্রুপদী উর্দু গজল, তার স্নেহতান কথা? নাকি তুমি বিষয়বিরাগী কেউ, অষ্টপ্রহর শুধু দৃশ্যের কথা বল। ময়ূর নৌকায় এই পৃথিবীর তিন ভাগ ঘোরো, প্রলুব্ধ  করো বাল্মীকিকে যেন উনি সীতার মৃত্যু না লেখেন।যেন কেউ যিশুকে ক্রুশবিদ্ধ না করে, দশমীর বিদায়ী ঢাক শোনে না যেন কেউ।  

গজল চলছে মিহি'র ঘুমের ঘরে

জানালা থেকে মিহি'র বাড়ি দেখা যায়। দেখা মানে, ওলে ক্লিঞ্জার ধোয়া চোখেমুখে  মিহিকে দেখা অথবা মোনব্লান আফটার শেভ এর সাইট্রাস স্মেলে আমার ক্লিন শেভ। এই ভোরে  নৈর্ঋত  লক্ষ করে ছুটে চলেছে দেখি এক অগ্নিচিল। কোনও পাখি অতো উঁচুতে ওড়ে না, যদি সে নিজের পাখায় ওড়ে। কিন্তু এ অগ্নিচিল উড়ছে দেখি, কারণ সে জানে কোনও উচ্চতার মুখেমুখে মাপ জানতে নেই। তাকে জানতে হলে তার শিখরে উড়ে বস, তারপরই দেখবে সে তেমন কিছু উঁচু নয়।  হার্ট নিডস বিট।  ঐ পাহাড়ের বাড়িতে মিহিকে দেখে আমি ওকথাই ভাবলাম। আর আমি মিহি-তে মগ্ন হলাম, যেমন সে ঘুমে নেমে আসে ধীরে, তারপর হঠাতই ঢলে পড়ে। তারপরও সে আধোচোখে তাকিয়ে দেখতে থাকে ভবিষ্যৎ। তার চোখ যেনো ইটালির গ্রান প্যারাডিসো পর্বতের তুষার ঢালে আলো মাতাল। ভ্রু তার সূর্যাস্তের দিকে ক্রমশ উড়ে চলা  স্কারলেট ম্যাকাও , আর তার হাসি একটি সক্ষম তরুণীর প্রতিজ্ঞাবদ্ধ আগামী ভবিষ্যতের চিহ্ন। তার চোখ থেকে নিক্ষিপ্ত হয় আমার করা সারিসারি টিউলিপের বাগানে অজস্র তীরের ফলা। আর একটি একটি করে টিউলিপ রক্তাভ হয়ে ওঠে। পাহাড়ের ঘরে মার্বেল সিঁড়ি বেয়ে উঠে আসি, আমি জানি সেগুণের ডালে  এ ...

এতো সুর এতো গান

এই নার্গিস জংগলে হিম শীতকালে ঘুরতে এসেছি আমি বুদ্ধ কি ঈশ্বর তনয়, নাহয় এতটা প্রবুদ্ধ সুন্দর! স্বর্গের পঞ্চবৃক্ষ এ পুষ্প জংগল থেকে দূরবন, তুমি দোয়েলের ঘর উড়িয়ে কী সুখ বলো বুদ্ধের অন্তর? এইতো দিনের মতো আলো জ্বালিয়ে বলি আমি তোমাকেই চাই কামনায় প্রাণায়াম খুঁজিনাতো আমি সুর সানাইয়ে বাজাই চাঁদমারি চোখে দেখো এর ছায়া ছড়িয়ে পড়েছে সবখানে এই বাউলিয়া বাঁকে তীর্থজল ছেটাও তুমি গান কর মন সন্ন্যাস ছড়াও তুমি হাওয়া মেঘ নদী ঘাস কাশফুল জানে নীল নীল সন্ধ্যা ভুলে যাওয়ার পর যার চোখেতে প্রাণন সে রূপ নিয়ে দূর চলে আমি ডাকি শুনে যাও প্রসন্ন দোলা বেঁচে থাকাদের ভিড়ে, সনখ কথায় বলি মনে রেখো এ হারার খেলা রাতে শিবজাগ্রত মুখে যেই করি ক্ষীণতোয়া নদীকে প্রণাম মায়ের কানের দুল ভেসে আসে তলানিতে আঁধার প্রমাণ মা হারা সেই দুল তুলে আমি মর্মব্যথা তোমাকে দিলাম প্রেমগান গাও তুমি সুধাগলা শরীরে তোমার ভোর-স্নান নিখিলের সুরে যেন আজ মায়া ঝরে যায় তান আসমানী আকাশের নীলিমায় বালিহাঁস উড়ে যায়- সে সুরের আমি All reactio

জীবন

হঠাৎ তাদের মিছিল এলো  সেই মিছিলে তড়িৎ জ্বলা মিছিল থেকে কোরাস তালে  প্রত্যেকেরই কথা বলা  কথা বলা নিজের সাথে  সবার সাথে কথা বলা  বলতে বলতে একটা কথার  সূর্য প্রখর আলো জ্বলা একদিন এই মিছিল থেকে  দিন থেমে যায় হরিণ বনে  বনের যত গাছের পাতায়  ঝিলিক দেখো আলোর স্নানে  হরিণ বনে আর কিছু নেই  সবুজ শখার হাতটি ছাড়া আর কিছু নেই তার কি তবে মিথ্যা মিথ্যা মাথা নাড়া মাথা নেড়ে হাওয়ায় ছায়ায়  সে যে আমার শান্তিদাতা  মিছিল থেকে বনে এলে  এমন জাগে নীরবতা  কেমন যেন পদ্য শুরু  মিছিল থেকে তরুণ আলো  এখন কেন বনে সে যে  দৃষ্টিতে শ্যাম তরু নিলো   আগুন সবুজ মিশিয়ে চলি  দিন গেলে দিন যখন খুঁজি  প্রতিবাদের সুরটি কেবল  তারুণ্যেতেই মেলে, বুঝি       

এই নীল মণিহার

আমি তেমন রাগ করিনি কোথায় আছো  এই বিকেলে কোট বাড়িতে একাই আছি  খোলা হাওয়ার সুর কেটে যায় এমনতর  গান গেয়েছো সে সুর বাজে পাল তুলেছি  পাল তুলেছি তিতাস হাওয়া মেঘ করেছে  এই আঁধারে ভোরটি নামার একটু আগে  অনুভবে তুমিই ছিলে ফজর আতর  ঘুমের মতো, ঐ নামটা আমার লাগে  অনুরাগের একটা কথা নিজে জ্বলা  এই বাঁশিসুর কম শোনা যায় অন্ধকারে এই আঁধারের রঙ দেখো না কত কালো  ছেড়ে যাওয়া দিন গুলোতে মেশায় তারে  প্রেম যদি না আঘাতপ্রবণ লাভ কী তাতে  একটা জীবন দিন গুজরান এমনতর    ঘুমের মতো, ঐ নামটা আমার লাগে  জাগলে পরে আমায় তুমি জড়িয়ে ধর  এ পাগলামির শীর্ষে তাকে ভালোবাসো   এ পৃথিবীর চক্রান্তে তোমায় পাওয়া  গিটার নীলে নীল মণিহার সুর তুলেছি   গান গাইছি যেই গানটি তোমার গাওয়া 

কুর্চি আর আমার জীবন

দিনের মায়ার ছন্দে আসলো আবার সন্ধে মন নাচে আনন্দে কুর্চি ফুলের গন্ধে কুর্চি ফুলের 'শোনো' ডাক সন্ধ্যা হাওয়ায় হারিয়ে যাক গলার স্বরে মন্ত্র থাক বৃষ্টি তাকে বাঁচিয়ে রাখ সত্যি কথার পদ্যে কারো মনের মধ্যে এই ছড়া আবদ্ধে খিড়কি খুলি শুদ্ধে কুর্চি মেয়ে শ্বেত মাতাল খুব সকালে মিস্টি গাল না বুঝে তার চোখের চাল শক্তি কবি খুব মাতাল জীবন এক গ্রন্থাগার এত গ্রন্থ চারিধার সাঁঝে পড়ি বারবার ছোট্ট জীবন এ আমার ছোট্ট জীবন এই খোঁজে একটানা দুই চোখ বুজে বদলে গেলে খুব নিজে কুর্চির ঐ গান বাজে

আই কুইট

যে আগুন নিভে গেছে তার আলোর মতো কথা বল্   আয় করি সহোদোরের মতো হাসাহাসি  এখন অন্ধকার  মেঘের গম্ভীর ডাক শোন্ অর্জুন তার মসৃণ এবং ধূসর বাকলের মাঝে যে নিরাময় রাখে তার কথা বল্  এমন সব কথা বল্ যা পৃথিবীর দেয়ালে লেখা রবে  আমি সেই পুরোহিত যার মন্ত্র কেড়ে নেয়া হয়েছে  সকালের গন্ধের কাছে আমার অনেক ঋণ   চুপ পাতার অন্তরে যে বাতাস খেলা করে  নীল রাস্নার বাগানে যে হাওয়া ফুলের নরম রেণু নিয়ে উড়ে যায়  সে হাওয়ার নাম মৃত্যু  মৃত্যু জীবনের চেয়ে সহজ  সন্ধ্যা নদীর মতো চোখ তার  বলি --  তুমি আমাকে নিতে পারবে না- আই কুইট  তোমরা বরং মৃত শিশিরশরীর খোঁজো ঘাসের ডগায়  এই গ্রাসল্যান্ড আমার এ সৌভাগ্য অবিশ্বাস্য  তৃণভূমি হেসে বলে --  সবুজ হয়ে যা, মিলি চল  

সিথেরীয়া

বিটপীর রঙের ক্রোটন আর্টগ্যালারীতে দেখি হঠাৎ রঙ নিয়ে খেলা বড় সহজ নয় ইতিহাস ব্রোঞ্জের মূর্তির একদৃষ্টে চেয়ে থাকা একটি সবুজ পিট ভাইপার এসবই দেখি আমি গ্যালারীতে দেখি জ্ঞানতরুর ছায়া কেমন মগ্ন হয়ে আছে রেখায় টানে এ যেন কবিতাপুরীতে স্থিরচিত্র সব সিথেরীয়া, সমুদ্রের নীচে প্রাণের খেলার মতো সুন্দর তুমি আজ আমাকে ডেকেছো এ রঙের কবিতায় শিখে নিতে আলতার কাজ আমাকে দিয়েছো সূর্যবীজ দেখে নিতে এ কলার শুদ্ধ ব্যাকরণ আমি এক মন্ত্র নিবিড় পুরোহিত রাত একটায় মন্দিরের ঘুম দেখে চলে যাই রাত কবর দেখি কবরের মাটির গন্ধের মতো স্মরণীয় তোমার এ চারুসাজের ধূপ লাস্যময় তোমার চিত্রে দৃষ্টিপীযূষ পান করি যেন আমি দীর্ঘায়ু হই

দিওয়ানে পরোয়ানে

ঠাকুরনগর থেকে রাতকবি বিনয়ের কথা দুয়ারী-কথন বড় বেদনার কুসুমের ব্যথা এই রাতে বাসন্তী শাড়ি তুই মেলে যতো দিবি রাতজ্বলা দীপধারী অষ্টমী শারদকে পাবি এই অশ্রুতে যদি থাকে গাঢ় কোনো টান গানের শেষ পারানির সুর তুই গেয়েছিস এ প্রাণের আজ একটি পাখির শিষ শোন তুই, ও অন্তর মৃত মানুষের হাততোলা এই রাত- বৃষ্টি অঝর এদিকে রাত্রি কাটে, আসে এক কুয়াশার দিন আহত অন্ধ ভোরে নিদ্রামগ্ন চোখতারা হীন তোকে না দেখে তো আলো জহর নিয়ে ফিরে যায় অম্বুরি ঘ্রাণের প্রেম মিশেছেরে আহত আশায় মনুষ্য জীবনের একা আসা যাওয়ারে দিওয়ানে মনিহারি সন্ধ্যার আলো যদি নাচে পরোয়ানে তুই মানে আমি আর আমি মানে দোদুল জীবন আমি মানে তুই আর তুই মানে স্থবির মরণ

বাঁশি বাজে তার সুর ভোলে না আমারে

সে নিজেও জীবন যেন শুধু ক্রন্দন গ্রামধর্মে প্রেম, নিভু নিভু লন্ঠন মৃত্যু হবে - মনে রবে এই বোঝা তার ময়ূরের রাতনীলে এই সংসার এ বয়সে যে গান মনে আসে ভোরে মৃত্যু নেই সেই সুরে মুক্তা বৃষ্টি ঝরে এই জল সংসার রাঢ়বঙ্গে আছে মথুরার রাজমণি গোকুলের কাছে দ্বিত্বয় জীবন তার প্রেম, রাজনীতি প্রজ্ঞান লিখিত আছে স্পষ্ট নিরুক্তি সোনা দেহে লাগেনা যে সে মধ্যমণি নন্দেরও নন্দন বাজে শ্যাম শ্যাম ধ্বনি শিশুকালে মায়া সে করেছিলো পান সে মায়া ঝরছে আজো মাতৃ সমান বিরজার জলে চলে ভাব জুয়াচোর স্বর্গ নাই মর্ত্য নাই, নাই নাই ভোর কাঁদেরে জীবন এই রাত বিস্তারে বাঁশি বাজে তার সুর ভোলে না আমারে