পোস্টগুলি

2017 থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

দেখা মানে অরণ্যে অচেনা ফুল - ৩

১ আলোর হনন কথা তার- জ্যোৎস্নাপাতে অন্ধ হল ভুলে সে গান গায়নি লালন আর, সরলতা মরে যাবে বলে ২ একা রঙের কোনো মূল্য নেই ফুলে লাগলে প্রজাপতি মন কপালে লাগালে শুভ সিঁদুর শব্দ কবিতার রং ৩ অমরত্ব * মৃত্যুর মৃত্যু হোক জীবনানন্দ হোক ৪ জাগালেই কাঁদবে যদি ঘুমিয়ে যাও যেখানেই যাবে কংকন রেখে যাও শিশু শোক রেখে যাও খেলা রেখে যাও রেখে যাও ব্যথা বিষ তোমার আনন্দে যাও জাগালেই কাঁদবে যদি ঘুমিয়ে যাও ৫ রাত্রি ঘুমায় না তো, সকলে ঘুমায় ফুল ফুটিয়ে রাত মৌন চলে যায় ৬ চোখ রঙে মন শঙ্খচিল আকাশ শূন্য বলে নীল ৭ আয়নার নিঃসঙ্গতা মানে একদল আত্মহত্যা প্রবণ মানুষ ৮ কাছে থাকো অধরা ঝরা পাতা দূরে যায় কই গাছের কাছেই পড়ে থাকে ৯ নিজেকে নিঃস্ব করে লেখে, কবি এক বিপন্ন কাঠপেন্সিল ১০ অন্ধের স্নান * নদী তারে ডেকেছে মিথিলা রূপ বলে, সে তো আমার মেনেছে সে আলো-অবহেলা ডুব দিয়ে উঠলো না আর ১১ লিখে দেখ জীবনী, মানুষ এক রক্ত-দোয়াত ১২ মেকাপ * কুয়াশা রঙিন হলেও আবছায়া কাটে না ১৩ ঠাকুর আসে না আসে জনহীন জীর্ণ দেবালয়ে একটি হরিণ আসে একটি জীবন আসে জোনাক-জোনাকী আসে সন্ধ্য...

দেখা মানে অরণ্যে অচেনা ফুল - ২

১ এইসব হিমদিন, পাতার মর্মরে ঢেকে গেছে নাচের আওয়াজ। ফেলে যাওয়া যুগল নূপুর তার ধরে আছে অসহ ব্লিজার্ড ... শী ইজ জানুয়ারী ২ গতি ছাড়া হরিণের আর কোনো অস্ত্র নেই, নিশ্চলতা ছাড়া ঈশ্বরের ৩ রাত্রি কবিতার বোন, নক্ষত্ররা কবিতার অক্ষর ৪ ছাপ পড়ে না রূপের মুখে, কে জানে সে পরিণাম ঝিলম তোমায় ছুঁয়ে ছিলাম, ঝিলম একটি নদীর নাম ৫ এরকম উদ্ভ্রান্ত ভ্রমণের আগে তোমার বাড়ির দিকে কোনো পথরেখা ছিল না ৬ নিবেদন আর বিনিময়ের সব পুষ্পই কিন্তু মৃত ৭ কত যে কথারা ভোর চতুরের গান- ধমনীতে লাল হাহাকার বিজনে কাজল জমে অতুলনীরব, মেনে নিল গোধূলি আমার ৮ দেহই সবকিছুর আকর। আত্মা বলতে কিছু নেই। ৯ এখনো সিদ্ধার্থের মুদ্রিত চোখ আর ধ্যান-ছবি ভালোবাসি, আলোকিত নৃত্যাগার আর শ্মশানের স্তব্ধতা এখনো ছড়ায় শত মোহনাম। এখনি আমার মৃত্যু হবে না। ১০ অগুনের শিখা আর কী পোড়াতে জান? চোখ শুকালো না যদি, তবে দাহ কেন ! ১১ মনও হরিয়াল হরিয়াল বলে ডেকে ওঠে পশ্চিমে উড়ে যায়... প্রাণও খাঁচার পাখি, মানুষের পোষা হয়ো না ১২ কান্না নয়, এখন বৃষ্টি দেখে মনে হয়- হেমন্ত এক কৌটো রক্তসিঁদুর; এখন বৃষ্টি দেখে মনে ...

দেখা মানে অরণ্যে অচেনা ফুল

১ কফির উষ্ণতাই তার নিঃশেষ হওয়ার আহ্বান ওটুকুনই সময় ২ স্ক্রলিং ........ রোহিঙ্গা শিশু ধ্রুবতারা কাশফুল নীলচুড়ি হাত মজনু শাহ ব্লু হোয়েল পরমা শেয়ারড অ্যা মেমোরি ৩ শহরতলী স্টেশনের গার্ডের হাতে ধরা সবুজ ফ্ল্যাগের মতো উড়ে যাচ্ছে উপেক্ষার স্বীকৃতি, দূরগামীর অভয় ৪ তুমি তো সবুজ দেখ, একাকী মাতৃবনের চিহ্ন ধরে আছে ইনডোর প্ল্যান্ট ৫ তির ছোঁড়া ভঙ্গিকে নাচ ভেবেছিল পড়ন্ত হীরামন ৬ হৃদয় থেকে মুছলে হৃদয়, হৃৎপিন্ড শুধু রয় শ্মশানবন্ধু ফিরে আসে মৃত্যু কভু নয় ৭ ক্ষত আর রক্ত মুছে ফেলে প্রতি ভোর পৃথিবীকে নিপাট চেহারা দেখাই আফটারশেভ প্রিয় উপহার, লিলিয়ান ৮ লিফট থেকে জেনে যাবে ক্রমাগত নিচে নেমে যাওয়া মানে ঘর ৯ অশ্রু, আদুরে আজো মধুরে মাতাও চোখ-কোলে উঠে বল- 'গল্প শোনাও' ১০ রেশন কার্ড দেখে কে বোঝে, কার কতটুকু চাওয়ার ছিল ১১ মমিকে কবিতা করে রাখে প্রাণ এক চির অভিমান ১২ ফেরিঘাট জানে, শুধু নদীই আপন আর সব সোহাগ দ্রুতগামী বাস ১৩ নিজেকে উপযোগী করে তুলতে জগতের সবকিছুই ক্ষয়ের দিকে যায়, ঈশ্বর ছাড়া ১৪ আয়নার কাছে আছে মানুষের একটু একটু করে ফুরিয়ে যাওয়ার গল্প ১৫ ম...

পত্রালিকা - ১৪

১. তোমাদের ঋতুতে শুধু শিহরণ শুধু স্পন্দন সারাবেলা ধরে ঝরে প্রাচীন উইলো ভোর পূর্ব সূর্যের ভ্রূণ থেকে ভেসে আসে পিতার অমৃত গান তোমাদের শিশুদের ডাক নাম- হাসি, মেয়েদের চোখ সব অমর ইশারা ... এইসব দেখি আর রক্তজবার ছায়ার নিচে রক্তজবার মতো আমি ঘুমোই। চোখ বুজলেই তালার আর্তনাদ অকাল মৃতের সুপ্ত হাড় পিয়ানোর বুক ভেঙে পর্দা নামে শাদা পর্দা কালো পর্দা বেন্ডেল চার্চ থেকে এখন এই সন্ধেবেলা ভেসে আসে যুগ যুগ আগেকার ঝিম ধরা ভেসপারস মনোহীনতার শোকগন্ধ নিতে নিতে মনে হয় পৃথিবীর সকল অভিজ্ঞতা নিয়ে পড়ে আছে যে অন্ধকার পাথর তার ওপর অনুপম বসে থাকা ভালো বলা ভালো- 'তোমাদের কিছুদিন ভালো লেগেছিল।' ২. শূন্য বাঁশিতে ফুঁ দিলে - হৃদয় দীঘি একা হলে আয়না, হৃদয়কে দেখা যায় না ৩. (অকাল প্রয়াত প্রখ্যাত লোকসংগীত শিল্পী দোহার ব্যান্ডের কালিকাপ্রসাদ ভট্টাচার্য স্মরণে) * মাতাও মাতাও গান ধরো জোরে আমাদের স্পন্দন নিয়ে যেতে যতই বাজুক অন্তিম পিতলঘন্টা উড়ুক কালো পতাকার মতো ইঙ্গিতময় রাত্রি এইসব নৈশ-ক্লাশ ছুটি হয়ে গেলে ছুটে চলে যাবো রাঙামাটি পিয়ালপাহাড়ে কে বলেছে যাদের স্মৃতি আছে তাদের প্রকৃত ধ্যান নেই...

পত্রালিকা - ১৩

১. বাইরে যা তুমুল বৃষ্টি এর চেয়ে বেশি তার চোখের মধ্যে আছে। আজ বিকেলে তার কনিষ্ঠা ধরে আছি গুটিসুটি সেড-এ। পার্কে তেমন কেউ নেই, তার মুখ ভার। বাবা চলে গেছে এই শনিবার। ফ্লাস্কে ভরে চা বিক্রি করে নয়নতারা। বললাম, মারে তুই তো একটা গোটা পৃথিবী চালাস! রাজহাঁস যেমন ডুব দিয়ে উঠে আসে আর তার গ্রীবায় জ্বলে ওঠে আলোর ঝিলিক, সেই আলো তার চোখে জ্বলে উঠলো মুহূর্তকাল- আবার নিভে গেল। আমিও মৌন রইলাম, নয়নতারার জন্য আর সব কথা বাকী রইলো অন্য সব বিকেলের কাছে জমা আজ বিকেলে তার কনিষ্ঠা ধরে আছি শুধু বৃষ্টিতে ছড়িয়ে আছে তার ক্ষমা ২. কে যেন পাথর, তাই পাহাড়ের খাড়ায় বসে আছে। কে যেন পুরুষ জীবনানন্দ, তাই একলা বসে আছে ৩. সুদূর অতীত থেকে চেয়ে আছো পাথর বসানো চোখ মাঝে মাঝে মনে হয় একদিন খামচে ধরে সে পাথর তুলে এনে চাঁদের ডোমে ছুঁড়ে মারি, যেন জ্যোৎস্নার মৌমাছির সুর ঝরে যায় ঝরে যায় ... ৪. ব্যথার সর্বস্ব আছে, শুধু হাসি নেই সব হাসি লেগে আছে আমার ঐ শিশুটির গালে ৫. বড়ো বেশি কথা হোল বস্তুত যা অনুচিত শিশুর কৌতূহলে ক্রিস্পি বাদামে ... এদিকে রাত নামাচ্ছে অসমাপ্ত আলিঙ্গন টাচস্ক্রিন ... আঙুলের দাগ শাহানা বা...

পত্রালিকা - ১২

১. তবে আর কার কাছে যাবো? এবার বলেছি আমি তৃণ হই, মাটির গহনে তুমি মিশে যাও শেকড়ের মতো। তোমাকে গোপন কর, আর যদি সম্মুখে দাঁড়াও আবারো বলব - অই কাঞ্চনজংঘার সূর্যোদয়, তুমি কী দীপ্তি ছড়িয়েছো টিপে! মানুষের প্রিয় ঋতু জানতে চাইবে - কেমন আদরডাকে ঐ ঠোঁটে বাঁশি বাজিয়েছো কৃষ্ণকিশোর! এরকম সব প্রশ্নের কাছে পড়ে আছো জলে লেখা নাম এক উদাসীন মালা। তোমারও কি কেউ নেই? তবে আর কার কাছে যাবো! ২. সবার ঘরেই ডাকে সে, ডান হাত নেই, নীল চুড়িঅলা ৩. রোদের ভ্রমণ শেষে সন্ধ্যার সুদূর ডাকে ভিজে চোখ ভাসে তাকে আর কেউ না জানুক, ম্লান সন্ধ্যা জানে দেয়াল ধরে ধরে হাঁটে, তার ডাক প্রতিধ্বনিহারা নিঃসহায় মানুষের চোখের তারায় ভাসে তার শিশুর মুখ ঠোঁটে তার সেই ঘুমন্ত শিশুর দাগ, শস্য ফলে গেছে এবার বিদায় মুসাফির মৃত্যুর আগে স্মৃতির মুক্তি নাই হঠাৎ বৃদ্ধাশ্রমে বৃষ্টি নামে শীতে ইচ্ছে করে ভিজে যায় সে খালি গায়, ভিজে ভিজে সেই শিশুকে খুঁজে পায়- হারিয়ে গিয়েছে যে ৪. আর দেখি কী আলো শব্দঝিনুক গোপন করে রাখে চোখ দিয়ে ছোঁয়া যায় এত এত কাছে! আমাদের প্রেম নিয়ে চলে গেছ একা পলাতক চেয়ে দেখ এখনো ঘুম নেই চোখে, আমাদের চোখে তো...

পত্রালিকা - ১১

১. কোথা থেকে ধ্বনি জাগে কান্তিমান রাত্রি রাগে যে কাজল চোখে লাগে; কোন্ রাত এমন পাঠালো! তুমি কি রয়েছো ভালো? কমলের ভঙ্গী যার আছে পূর্ণিমা শাড়িটির কাছে সেই থেকে যে তিতির নেচে নিয়ে নিলো জনমের আড়ি, তার কাছে আমি যেতে পারি? সরোদের তান কার তোলা শপথদীপ্ত চোখ খোলা রক্তআলো ভোরবেলা বর্ণালী করে দিল হাত, তারপরও দেবে অজুহাত? প্রশ্ন করেছে যত প্রীতি শঙ্খনাদ হৃদয়ের গীতি চিঠির হলুদ থেকে ইতি, কানে কানে কথা বলে গেলো তুমি কি রয়েছো ভালো? ২. এসো আজ একআকাশ ছায়া দূরের অরণ্য তুমি ঢেকে দাও; স্নেহ, সে কি মায়ের মতো আসে? তুমি ছিলে শূন্যতার মতো চাওয়াহীন লালন নূপুর শুধু, জলে মন ছিল না তোমার আবীরের প্রীতি মেখে হয়েছিল তুমুল চুরি আজ যদি ভুলে যাই হেমন্ত উপমা যদি নিয়ে যায় কেউ এসে রূপকাজ ফুলকাঁথা তার আগে বৃষ্টিরেখা, এসো আজ তোমার চোখ মুছিয়ে দিই ৩. কিছুকাল ভুলে থাকা ভালো, কিছুদিন মূক শিশুর খেলনা দাও বড়ো মানুষের ভীষণ অসুখ ৪. আকাশ থেকে বেলুড় মঠের মতো গৈরিক সাঁঝপাখি নেমে আসে ঝাঁকে ঝাঁকে। এমন গোধূলীর কবিতাগুলি রুধির স্রোতের মতো। কবি বসে আছে গ্রীক শৈলীর দুর্লভ কালো কাঠের চেয়ারে- দু'আঙুলে সামান্য মারিজুয়ানা মিশ্রিত সুগন্ধী তামা...

পত্রালিকা - ১০

১. কে যে বলেছিল তাকে হেঁটে যেতে অতদূরে নিবিড় পাহাড়ে হঠাৎ সন্ধ্যা ছড়িয়ে গেল চারিদিকে বকের পাখসাটে কারা যেন এইদিকে এসেছিল কোনো এক মাঘে সেও কি ছিলো সেই সাথে জিজ্ঞাসা চিহ্নের মতো হলুদ এক পাইন পাতা পড়ে আছে ভ্রমণের শেষ পদছাপে এমন শীতের মিহিন তবু তার অবহেলা মনে পড়ে কেন পাহাড়ের স্নেহ তবু কাটে না যে তার জানে না সে , সেই সন্ধ্যা মরে গেছে , ভুলে গেছে বিদায় জানাতে ২. পৌষকে ডেকেছি একটি ফুলের গান , রাত্রির নাম - ঘুমের স্নেহের কোল ছায়ানটের গানের দলের তারা , তুমি তিতাস পাড়ের গোধূলী কল্লোল। ৩. বেশিদূর যাওয়া নেই গোপন স্বপ্নে স্পর্শের নম্রতায় মৃদু নেশা মৃদু ঘোর শুধু শীতাক্রান্ত ক্ষুদ্র বনফুল মায়া থেকে অধিক মায়ায় যাবো না আর। যদিও সে শুধু কবিতার কথা বলে অথচ কবিতায় সে কখনও থাকে না শুধু বেশিদিন বাঁচবে না জেনে ফুলে তার এত এত স্নেহ ৪. মাঝরাতে চোখ লাল বালিশের কোণ ভেজা তখন মানিনি বন্ধু বলেছিল আমি তোর সব কথা জানি ৫. পেছনের নিয়তিরা ব্যস্ত হয়ে ওঠুক , ঠোঁট ছুঁয়ে হাওয়ায় মিলিয়ে যাক আধভোলা গান । সন্ধ্যা ভরে যে প্রদীপ সাজিয়েছিলে...