দেখা মানে অরণ্যে অচেনা ফুল
১
কফির উষ্ণতাই তার নিঃশেষ হওয়ার আহ্বান
ওটুকুনই সময়
২
স্ক্রলিং
........
রোহিঙ্গা শিশু
ধ্রুবতারা
কাশফুল
নীলচুড়ি হাত
মজনু শাহ
ব্লু হোয়েল
পরমা শেয়ারড অ্যা মেমোরি
৩
শহরতলী স্টেশনের গার্ডের হাতে ধরা সবুজ ফ্ল্যাগের মতো উড়ে যাচ্ছে উপেক্ষার স্বীকৃতি, দূরগামীর অভয়
৪
তুমি তো সবুজ দেখ,
একাকী মাতৃবনের চিহ্ন ধরে আছে ইনডোর প্ল্যান্ট
৫
তির ছোঁড়া ভঙ্গিকে নাচ ভেবেছিল পড়ন্ত হীরামন
৬
হৃদয় থেকে মুছলে হৃদয়, হৃৎপিন্ড শুধু রয়
শ্মশানবন্ধু ফিরে আসে মৃত্যু কভু নয়
৭
ক্ষত আর রক্ত মুছে ফেলে প্রতি ভোর পৃথিবীকে নিপাট চেহারা দেখাই
আফটারশেভ প্রিয় উপহার, লিলিয়ান
৮
লিফট থেকে জেনে যাবে ক্রমাগত নিচে নেমে যাওয়া মানে ঘর
৯
অশ্রু, আদুরে আজো মধুরে মাতাও
চোখ-কোলে উঠে বল- 'গল্প শোনাও'
১০
রেশন কার্ড দেখে কে বোঝে, কার কতটুকু চাওয়ার ছিল
১১
মমিকে কবিতা করে রাখে
প্রাণ এক চির অভিমান
১২
ফেরিঘাট জানে, শুধু নদীই আপন
আর সব সোহাগ দ্রুতগামী বাস
১৩
নিজেকে উপযোগী করে তুলতে জগতের সবকিছুই ক্ষয়ের দিকে যায়, ঈশ্বর ছাড়া
১৪
আয়নার কাছে আছে মানুষের একটু একটু করে ফুরিয়ে যাওয়ার গল্প
১৫
মুছে ফেলা মানে অবিরাম ক্ষয়, হে পিংক ইরেজার
১৬
ঘুম যেমন সাজ রাখে না, বন্ধু অভিমান
প্রাণ তেমন রূপ রাখে না- রাখে প্রাণে প্রাণ
১৭
গ্রহণ কর, কর যথেচ্ছ ক্ষয়
অব্যবহৃত কাজলের মৃত্যু নেই কিন্তু সে হারিয়ে ফেলে সমস্ত উৎসব
১৮
সুরের মতো অদৃশ্য হও, জন্মান্ধও ভালোবাসবে
১৯
তারারা লুকিয়ে থাকে
আমার মায়ের হাতে
দীপাবলির রাতে
২০
মাছেদের মতো অভিজ্ঞতাহীন কর
বড়শির ভয় ভুলে যাই
২১
আকাশ তো ছুঁতে পারবে না দেবদারু, পাখিদের বুকে ধরে রাখো
২২
রবিগানকে কবিতার মতো পড়তে পড়তে
ফুটে ওঠে বাবার হস্তাক্ষর, পুরনো ট্রাংকে মায়ের বিয়ের শাড়ি
২৩
সেলফোনের ওপাশে কেএফসি
এখানে ভোরমোরগের ডাক, মৃত হাতের লেখার কারুকাজ
২৪
হলদেটে বই এর পাতার মতো সময়চিহ্নে, থাকবে তো?
২৫
শ্রীমঙ্গল থেকে ঘুরে এসেছো মেঘ, নেশা হবে বৃষ্টি কোরো না
২৬
অনুরাগ ফিরে এসো না
আজকাল দ্রোহে ভরা এস এম সুলতান
২৭
হাতে হাত রেখে উষ্ণতা টের পাওয়া ইচ্ছেটা
ফিরিয়ে আনো শীতসহোদরা,
আমার নিশীথরাতের বাদলধারা।
২৮
এই অন্ধকার বৃষ্টিদিনকে এখনো রাত ভেবে ঘুমিয়ে পড়েছে এক মৌটুসি। বারান্দায় বৃষ্টির ঝাপ্টা লাগে না বলে মনমরা হয়ে আছে টবের সব ফুল। দিন মজুরের হলুদাভ চোখ। ছাতা হাতে বিকাশ করতে যাচ্ছে টিউশন ফেরত মনির। সিএনজি স্টার্ট নিচ্ছে না আমার। কন্ট্র্যাক্টস লিস্টেও নাম নেই, যার কাছে যাবো। শহরের সবাই আজ ঠিকানা হারিয়ে ফেলে স্থবির। শুধু নিবেদিকা ছাত্রী হোস্টেলের ছাদে একদল ময়ূর তাথৈ।
২৯
প্রতিটি মৃত্যুর পর ঈশ্বর খুনী হয়ে ওঠেন
৩০
হেমন্তের হলুদ ঘুড়ি ওড়ে জাদুর ছিটে
অনন্তের রঙ নিয়ে আয় ঢাল মুক্ত হতে
৩১
হে শ্মশান ঘাটের নদী,
কতটুকু জল আর লাগে চিতা নেভাতে?
এক জীবনে মানুষ সাতনদী কাঁদে।
৩২
রুপাতলির পালকিওয়ালার পালকিতে
একটা কবুতর বাসা বেঁধেছে।
শেষ এই পালকিতে সোমলতা গেছে...
অচেনা অধীন আহত দূর কারাগারে
না ফেরা সুদূর গেলে মেয়েরা পাখি হয়ে যায়
ফিরে এসে বসে বাবার বিস্তৃত কাঁধে।
৩৩
আলনায় স্থান নেই আমি এক নতুন কাপড়, বাক্সবন্দী থাকি
৩৪
মানুষ শ্রাবণ প্রিয়, অশ্রু আড়াল প্রিয়- বর্ষণে পেতে দেয় চোখ
৩৫
একটা প্ল্যাটফর্ম টিকেট মানিব্যাগে একা
ওহে দূরগামী ট্রেন, আমার কবিতা পায় কেন?
৩৬
অষ্টমীঅঞ্জলি, দেব তাকে রাংতার পুজোর শহর
'আমি যার গান আর যে আমার হারানো আখর'
কফির উষ্ণতাই তার নিঃশেষ হওয়ার আহ্বান
ওটুকুনই সময়
২
স্ক্রলিং
........
রোহিঙ্গা শিশু
ধ্রুবতারা
কাশফুল
নীলচুড়ি হাত
মজনু শাহ
ব্লু হোয়েল
পরমা শেয়ারড অ্যা মেমোরি
৩
শহরতলী স্টেশনের গার্ডের হাতে ধরা সবুজ ফ্ল্যাগের মতো উড়ে যাচ্ছে উপেক্ষার স্বীকৃতি, দূরগামীর অভয়
৪
তুমি তো সবুজ দেখ,
একাকী মাতৃবনের চিহ্ন ধরে আছে ইনডোর প্ল্যান্ট
৫
তির ছোঁড়া ভঙ্গিকে নাচ ভেবেছিল পড়ন্ত হীরামন
৬
হৃদয় থেকে মুছলে হৃদয়, হৃৎপিন্ড শুধু রয়
শ্মশানবন্ধু ফিরে আসে মৃত্যু কভু নয়
৭
ক্ষত আর রক্ত মুছে ফেলে প্রতি ভোর পৃথিবীকে নিপাট চেহারা দেখাই
আফটারশেভ প্রিয় উপহার, লিলিয়ান
৮
লিফট থেকে জেনে যাবে ক্রমাগত নিচে নেমে যাওয়া মানে ঘর
৯
অশ্রু, আদুরে আজো মধুরে মাতাও
চোখ-কোলে উঠে বল- 'গল্প শোনাও'
১০
রেশন কার্ড দেখে কে বোঝে, কার কতটুকু চাওয়ার ছিল
১১
মমিকে কবিতা করে রাখে
প্রাণ এক চির অভিমান
১২
ফেরিঘাট জানে, শুধু নদীই আপন
আর সব সোহাগ দ্রুতগামী বাস
১৩
নিজেকে উপযোগী করে তুলতে জগতের সবকিছুই ক্ষয়ের দিকে যায়, ঈশ্বর ছাড়া
১৪
আয়নার কাছে আছে মানুষের একটু একটু করে ফুরিয়ে যাওয়ার গল্প
১৫
মুছে ফেলা মানে অবিরাম ক্ষয়, হে পিংক ইরেজার
১৬
ঘুম যেমন সাজ রাখে না, বন্ধু অভিমান
প্রাণ তেমন রূপ রাখে না- রাখে প্রাণে প্রাণ
১৭
গ্রহণ কর, কর যথেচ্ছ ক্ষয়
অব্যবহৃত কাজলের মৃত্যু নেই কিন্তু সে হারিয়ে ফেলে সমস্ত উৎসব
১৮
সুরের মতো অদৃশ্য হও, জন্মান্ধও ভালোবাসবে
১৯
তারারা লুকিয়ে থাকে
আমার মায়ের হাতে
দীপাবলির রাতে
২০
মাছেদের মতো অভিজ্ঞতাহীন কর
বড়শির ভয় ভুলে যাই
২১
আকাশ তো ছুঁতে পারবে না দেবদারু, পাখিদের বুকে ধরে রাখো
২২
রবিগানকে কবিতার মতো পড়তে পড়তে
ফুটে ওঠে বাবার হস্তাক্ষর, পুরনো ট্রাংকে মায়ের বিয়ের শাড়ি
২৩
সেলফোনের ওপাশে কেএফসি
এখানে ভোরমোরগের ডাক, মৃত হাতের লেখার কারুকাজ
২৪
হলদেটে বই এর পাতার মতো সময়চিহ্নে, থাকবে তো?
২৫
শ্রীমঙ্গল থেকে ঘুরে এসেছো মেঘ, নেশা হবে বৃষ্টি কোরো না
২৬
অনুরাগ ফিরে এসো না
আজকাল দ্রোহে ভরা এস এম সুলতান
২৭
হাতে হাত রেখে উষ্ণতা টের পাওয়া ইচ্ছেটা
ফিরিয়ে আনো শীতসহোদরা,
আমার নিশীথরাতের বাদলধারা।
২৮
এই অন্ধকার বৃষ্টিদিনকে এখনো রাত ভেবে ঘুমিয়ে পড়েছে এক মৌটুসি। বারান্দায় বৃষ্টির ঝাপ্টা লাগে না বলে মনমরা হয়ে আছে টবের সব ফুল। দিন মজুরের হলুদাভ চোখ। ছাতা হাতে বিকাশ করতে যাচ্ছে টিউশন ফেরত মনির। সিএনজি স্টার্ট নিচ্ছে না আমার। কন্ট্র্যাক্টস লিস্টেও নাম নেই, যার কাছে যাবো। শহরের সবাই আজ ঠিকানা হারিয়ে ফেলে স্থবির। শুধু নিবেদিকা ছাত্রী হোস্টেলের ছাদে একদল ময়ূর তাথৈ।
২৯
প্রতিটি মৃত্যুর পর ঈশ্বর খুনী হয়ে ওঠেন
৩০
হেমন্তের হলুদ ঘুড়ি ওড়ে জাদুর ছিটে
অনন্তের রঙ নিয়ে আয় ঢাল মুক্ত হতে
৩১
হে শ্মশান ঘাটের নদী,
কতটুকু জল আর লাগে চিতা নেভাতে?
এক জীবনে মানুষ সাতনদী কাঁদে।
৩২
রুপাতলির পালকিওয়ালার পালকিতে
একটা কবুতর বাসা বেঁধেছে।
শেষ এই পালকিতে সোমলতা গেছে...
অচেনা অধীন আহত দূর কারাগারে
না ফেরা সুদূর গেলে মেয়েরা পাখি হয়ে যায়
ফিরে এসে বসে বাবার বিস্তৃত কাঁধে।
৩৩
আলনায় স্থান নেই আমি এক নতুন কাপড়, বাক্সবন্দী থাকি
৩৪
মানুষ শ্রাবণ প্রিয়, অশ্রু আড়াল প্রিয়- বর্ষণে পেতে দেয় চোখ
৩৫
একটা প্ল্যাটফর্ম টিকেট মানিব্যাগে একা
ওহে দূরগামী ট্রেন, আমার কবিতা পায় কেন?
৩৬
অষ্টমীঅঞ্জলি, দেব তাকে রাংতার পুজোর শহর
'আমি যার গান আর যে আমার হারানো আখর'
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন