দেখা মানে অরণ্যে অচেনা ফুল - ৩
১
আলোর হনন কথা তার-
জ্যোৎস্নাপাতে অন্ধ হল ভুলে
সে গান গায়নি লালন আর,
সরলতা মরে যাবে বলে
২
একা রঙের কোনো মূল্য নেই
ফুলে লাগলে প্রজাপতি মন
কপালে লাগালে শুভ সিঁদুর
শব্দ কবিতার রং
৩
অমরত্ব
*
মৃত্যুর মৃত্যু হোক
জীবনানন্দ হোক
৪
জাগালেই কাঁদবে যদি
ঘুমিয়ে যাও
যেখানেই যাবে
কংকন রেখে যাও শিশু
শোক রেখে যাও
খেলা রেখে যাও
রেখে যাও ব্যথা বিষ
তোমার আনন্দে যাও
জাগালেই কাঁদবে যদি
ঘুমিয়ে যাও
৫
রাত্রি ঘুমায় না তো, সকলে ঘুমায়
ফুল ফুটিয়ে রাত মৌন চলে যায়
৬
চোখ রঙে মন শঙ্খচিল
আকাশ শূন্য বলে নীল
৭
আয়নার নিঃসঙ্গতা মানে একদল আত্মহত্যা প্রবণ মানুষ
৮
কাছে থাকো অধরা
ঝরা পাতা দূরে যায় কই
গাছের কাছেই পড়ে থাকে
৯
নিজেকে নিঃস্ব করে লেখে, কবি এক বিপন্ন কাঠপেন্সিল
১০
অন্ধের স্নান
*
নদী তারে ডেকেছে মিথিলা
রূপ বলে, সে তো আমার
মেনেছে সে আলো-অবহেলা
ডুব দিয়ে উঠলো না আর
১১
লিখে দেখ জীবনী, মানুষ এক রক্ত-দোয়াত
১২
মেকাপ
*
কুয়াশা রঙিন হলেও আবছায়া কাটে না
১৩
ঠাকুর আসে না আসে জনহীন জীর্ণ দেবালয়ে
একটি হরিণ আসে
একটি জীবন আসে
জোনাক-জোনাকী আসে সন্ধ্যা প্রদীপ বুকে লয়ে
১৪
লেখা তোমার আপন হোল কিনা...
এই চিরসন্দেহই লেখায়
১৫
এ চাওয়ার
প্রেম আলাদা
মানুষের আহার হতে
ধানের ক্ষুধা
১৬
শীত পুষি বারো মাস
খেজুরের খাঁজ দেখে
বুঝে যাবে মনের গড়ন
১৭
উষর মরু পথিক জীবন পরমার্থে মরণ পেলো
কষ্ট পেও, গাছের সাথে জলের স্বরে কথা বোলো
১৮
আঙুলে পরেছি অবহেলা
আদতে পাথর, নাম নীলা
১৯
মন সে তো মোম হতে চায়
মোম পুড়ে মোম দিয়ে যায়
২০
তারা করে রাখে সে, যে-জন হারায়
মানুষ বিমনা হলে আকাশে তাকায়
২১
স্পর্শ কর, এই হিম জর্জর শীত...
বৃদ্ধের ছানির মতো এই কুয়াশা
পৌত্রীর মুখ ছুঁয়ে যেমন সে বলে, 'এলি?'
২২
পালাবে কোথায়
বুকে ধরেছো জানাকে,
হৃদয়ে ব্যথারা থাকে;
সবারই
বুকের বাঁদিকে থাকে।
২৩
তোমার ঠিকানা
*
জীবনের সমস্ত পদছাপ উন্মোচিত করে দিলাম
২৪
কে বলে, পুষ্প সুন্দর কিন্তু তার মন কোথায়?
- পদ্ম এক নিভৃত দীঘির মন
২৫
তিনি অন্ধ নন
দীর্ঘশ্বাসগুলো এক হয়ে
হয়ে গেল ঈশ্বরের চোখ
২৬
প্রিয়তম স্টেশন ছেড়ে যাচ্ছি
নির্জন সাইকেলের পিছে পিছে ছুটছে কিশোর
ট্রেনের স্পিকার আনুশেহ্ অনাদিল হৃদ মাঝারে রাখিব
২৭
মৌন-মুখর
দরদ পাথর
আজকে নাহয়
নাচ নামাও,
ও করুণা
ও অবিচল
শুধুই কেন
সন্ধ্যা গাও !
২৮
বাড়ির পেছনে চার্চ
*
পিয়ানোর রিড থেকে ঝরে পড়ছিল
যীশু ভালোবাসা
কনককলস থেকে যেন বিন্দু বিন্দু প্রেম
পূণ্য হাতের সিঞ্চন সবার ওপরে।
আমার ক্যান্সার আক্রান্ত মা'র ঠোঁট নড়ছিল...
মেরি ক্রিসমাস !
২৯
তোমাদের মেলা দেখি, ভক্তি-ভঙ্গি দেখি
পূজা ভুলে মন্দিরে শিশুদের খেলা দেখি
৩০
সন্তুরে এক নিষেধ আছে, সুন্দরে পাহারা
তোমায় পুরো জানি কিনা বলে দেবে তারা
৩১
লুকিয়ে যাও বুকে সমস্ত আলোবেলা। এই রং কেউ না দেখুক। একটি প্রণয় আড়াল হোক।
৩২
বোবা কান্নাকে মানুষ যখনই একটুকু ভালোবাসে
মাটির নিচের বন্দী খুশিরা পলাশ হয়ে হাসে
৩৩
একাত্তর আমার সূর্য। সূর্য অবিরত জ্বলে, ভস্ম হয় না।
৩৪
ঢেউ কারো কথা,
কেউ বৃক্ষ পাখি ছবি-
সমুদ্র কথা বলে পাহাড় যে কবি।
৩৫
প্রদীপ বলছে, কেন আগুনের ভয়?
যা কিছু দেইনি আমি তা প্রেম নয়।
৩৬
মোনালিসা
*
মানুষ যেকথা লুকায় ব্যথায়, ছলে
কী রেখা হাসির
হাসি তখনি তা বলে !
৩৭
প্রকৃতি
*
তবুও একটি পাহাড়ের সারল্যের
কাছে নুয়ে আছে আমাদের সমস্ত জ্ঞান;
একটি কুহুর কাছে সমর্পিত গীতবিতান।
আলোর হনন কথা তার-
জ্যোৎস্নাপাতে অন্ধ হল ভুলে
সে গান গায়নি লালন আর,
সরলতা মরে যাবে বলে
২
একা রঙের কোনো মূল্য নেই
ফুলে লাগলে প্রজাপতি মন
কপালে লাগালে শুভ সিঁদুর
শব্দ কবিতার রং
৩
অমরত্ব
*
মৃত্যুর মৃত্যু হোক
জীবনানন্দ হোক
৪
জাগালেই কাঁদবে যদি
ঘুমিয়ে যাও
যেখানেই যাবে
কংকন রেখে যাও শিশু
শোক রেখে যাও
খেলা রেখে যাও
রেখে যাও ব্যথা বিষ
তোমার আনন্দে যাও
জাগালেই কাঁদবে যদি
ঘুমিয়ে যাও
৫
রাত্রি ঘুমায় না তো, সকলে ঘুমায়
ফুল ফুটিয়ে রাত মৌন চলে যায়
৬
চোখ রঙে মন শঙ্খচিল
আকাশ শূন্য বলে নীল
৭
আয়নার নিঃসঙ্গতা মানে একদল আত্মহত্যা প্রবণ মানুষ
৮
কাছে থাকো অধরা
ঝরা পাতা দূরে যায় কই
গাছের কাছেই পড়ে থাকে
৯
নিজেকে নিঃস্ব করে লেখে, কবি এক বিপন্ন কাঠপেন্সিল
১০
অন্ধের স্নান
*
নদী তারে ডেকেছে মিথিলা
রূপ বলে, সে তো আমার
মেনেছে সে আলো-অবহেলা
ডুব দিয়ে উঠলো না আর
১১
লিখে দেখ জীবনী, মানুষ এক রক্ত-দোয়াত
১২
মেকাপ
*
কুয়াশা রঙিন হলেও আবছায়া কাটে না
১৩
ঠাকুর আসে না আসে জনহীন জীর্ণ দেবালয়ে
একটি হরিণ আসে
একটি জীবন আসে
জোনাক-জোনাকী আসে সন্ধ্যা প্রদীপ বুকে লয়ে
১৪
লেখা তোমার আপন হোল কিনা...
এই চিরসন্দেহই লেখায়
১৫
এ চাওয়ার
প্রেম আলাদা
মানুষের আহার হতে
ধানের ক্ষুধা
১৬
শীত পুষি বারো মাস
খেজুরের খাঁজ দেখে
বুঝে যাবে মনের গড়ন
১৭
উষর মরু পথিক জীবন পরমার্থে মরণ পেলো
কষ্ট পেও, গাছের সাথে জলের স্বরে কথা বোলো
১৮
আঙুলে পরেছি অবহেলা
আদতে পাথর, নাম নীলা
১৯
মন সে তো মোম হতে চায়
মোম পুড়ে মোম দিয়ে যায়
২০
তারা করে রাখে সে, যে-জন হারায়
মানুষ বিমনা হলে আকাশে তাকায়
২১
স্পর্শ কর, এই হিম জর্জর শীত...
বৃদ্ধের ছানির মতো এই কুয়াশা
পৌত্রীর মুখ ছুঁয়ে যেমন সে বলে, 'এলি?'
২২
পালাবে কোথায়
বুকে ধরেছো জানাকে,
হৃদয়ে ব্যথারা থাকে;
সবারই
বুকের বাঁদিকে থাকে।
২৩
তোমার ঠিকানা
*
জীবনের সমস্ত পদছাপ উন্মোচিত করে দিলাম
২৪
কে বলে, পুষ্প সুন্দর কিন্তু তার মন কোথায়?
- পদ্ম এক নিভৃত দীঘির মন
২৫
তিনি অন্ধ নন
দীর্ঘশ্বাসগুলো এক হয়ে
হয়ে গেল ঈশ্বরের চোখ
২৬
প্রিয়তম স্টেশন ছেড়ে যাচ্ছি
নির্জন সাইকেলের পিছে পিছে ছুটছে কিশোর
ট্রেনের স্পিকার আনুশেহ্ অনাদিল হৃদ মাঝারে রাখিব
২৭
মৌন-মুখর
দরদ পাথর
আজকে নাহয়
নাচ নামাও,
ও করুণা
ও অবিচল
শুধুই কেন
সন্ধ্যা গাও !
২৮
বাড়ির পেছনে চার্চ
*
পিয়ানোর রিড থেকে ঝরে পড়ছিল
যীশু ভালোবাসা
কনককলস থেকে যেন বিন্দু বিন্দু প্রেম
পূণ্য হাতের সিঞ্চন সবার ওপরে।
আমার ক্যান্সার আক্রান্ত মা'র ঠোঁট নড়ছিল...
মেরি ক্রিসমাস !
২৯
তোমাদের মেলা দেখি, ভক্তি-ভঙ্গি দেখি
পূজা ভুলে মন্দিরে শিশুদের খেলা দেখি
৩০
সন্তুরে এক নিষেধ আছে, সুন্দরে পাহারা
তোমায় পুরো জানি কিনা বলে দেবে তারা
৩১
লুকিয়ে যাও বুকে সমস্ত আলোবেলা। এই রং কেউ না দেখুক। একটি প্রণয় আড়াল হোক।
৩২
বোবা কান্নাকে মানুষ যখনই একটুকু ভালোবাসে
মাটির নিচের বন্দী খুশিরা পলাশ হয়ে হাসে
৩৩
একাত্তর আমার সূর্য। সূর্য অবিরত জ্বলে, ভস্ম হয় না।
৩৪
ঢেউ কারো কথা,
কেউ বৃক্ষ পাখি ছবি-
সমুদ্র কথা বলে পাহাড় যে কবি।
৩৫
প্রদীপ বলছে, কেন আগুনের ভয়?
যা কিছু দেইনি আমি তা প্রেম নয়।
৩৬
মোনালিসা
*
মানুষ যেকথা লুকায় ব্যথায়, ছলে
কী রেখা হাসির
হাসি তখনি তা বলে !
৩৭
প্রকৃতি
*
তবুও একটি পাহাড়ের সারল্যের
কাছে নুয়ে আছে আমাদের সমস্ত জ্ঞান;
একটি কুহুর কাছে সমর্পিত গীতবিতান।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন