দেখা মানে অরণ্যে অচেনা ফুল - ২
১
এইসব হিমদিন, পাতার মর্মরে ঢেকে গেছে নাচের আওয়াজ।
ফেলে যাওয়া যুগল নূপুর তার ধরে আছে অসহ ব্লিজার্ড ...
শী ইজ জানুয়ারী
২
গতি ছাড়া হরিণের আর কোনো অস্ত্র নেই,
নিশ্চলতা ছাড়া ঈশ্বরের
৩
রাত্রি কবিতার বোন, নক্ষত্ররা কবিতার অক্ষর
৪
ছাপ পড়ে না রূপের মুখে, কে জানে সে পরিণাম
ঝিলম তোমায় ছুঁয়ে ছিলাম, ঝিলম একটি নদীর নাম
৫
এরকম উদ্ভ্রান্ত ভ্রমণের আগে তোমার বাড়ির দিকে কোনো পথরেখা ছিল না
৬
নিবেদন আর বিনিময়ের সব পুষ্পই কিন্তু মৃত
৭
কত যে কথারা ভোর চতুরের গান- ধমনীতে লাল হাহাকার
বিজনে কাজল জমে অতুলনীরব, মেনে নিল গোধূলি আমার
৮
দেহই সবকিছুর আকর। আত্মা বলতে কিছু নেই।
৯
এখনো সিদ্ধার্থের মুদ্রিত চোখ আর ধ্যান-ছবি ভালোবাসি,
আলোকিত নৃত্যাগার আর শ্মশানের স্তব্ধতা এখনো ছড়ায় শত মোহনাম।
এখনি আমার মৃত্যু হবে না।
১০
অগুনের শিখা আর কী পোড়াতে জান?
চোখ শুকালো না যদি, তবে দাহ কেন !
১১
মনও হরিয়াল হরিয়াল বলে ডেকে ওঠে
পশ্চিমে উড়ে যায়...
প্রাণও খাঁচার পাখি,
মানুষের পোষা হয়ো না
১২
কান্না নয়, এখন বৃষ্টি দেখে মনে হয়-
হেমন্ত এক কৌটো রক্তসিঁদুর;
এখন বৃষ্টি দেখে মনে হয়
শীত স্নান করে আসছে।
১৩
রিংটোন এবং কলিংবেল-এর মাঝখানে ঘড়িটি ঘুমিয়ে পড়েছে
১৪
সাততলার ব্যালকনিতে নতুন সাদা রং
রংমিস্ত্রীর পোষা পায়রা উড়ে উড়ে ওখানে আসে
দেখে একটা শূন্য মই উঠে গেছে আকাশের দিকে
১৫
প্রতিটি রেখা দূর্গম ঝর্নার উৎসের দিকে নিতে চায়
কেউ রাত্রির চুল বেঁধে দাও
১৬
মরুভূমি এক প্রাজ্ঞ বৃদ্ধ, জীবন চক্রের কূটচালকে প্রত্যাখ্যান করে সে।
১৭
পাথর কুড়াতে যাই, হাতে উঠে আসে মৃত ঠাকুরমা'র পূজার শালগ্রাম শিলা।
১৮
সমস্ত শীত
মুর্শিদাবাদ, হাজারদুয়ারীতে পড়ে আছে সিরাজের তরবারিতে
১৯
মেঘলা দিনে মানুষের কাছে যেও। সেদিন তার সাথে ছায়াও থাকে না।
২০
আলো শুধু দেখায়
অন্ধকার তা মুখস্ত করে রাখে
২১
কবিতার শেষকথা হতে সাধ করে
তাই একটি তারা রক্তের মতো রংধরে
২২
তবুও
ডাকবাক্সটি
প্রতিদিন বেলা দু'টোর অপেক্ষায় থাকে
যখন তাকে খোলার সময়
তবুও
বৃদ্ধাশ্রমটি
২৩
অশ্বত্থের যে হলদে পাতায় প্রতিবন্ধীর হাতের রেখা আঁকা আছে, হাওয়ায় সে নাচে না। ঝরে যায়।
২৪
বৃক্ষমা-কে বলছে পাখি, তোমার ছাপ
আমরা সবাই ভাবছি এটা পাখির ডাক
২৫
ক্ষুধার প্রতিটি শস্যকণা দেখায় কৃষক কিভাবে তির হয়ে উঠেছিল
২৬
এই অস্থির শহরে
স্কুল ভ্যানের চালক
তার সতর্ক চোখ
শান্ত হতে বলে
২৭
কবিতার মুখ আঁকো, অন্ধ যেমন আঁকে তার মায়ের মুখ
২৮
গীটারে আঙুল,
বৃষ্টিতে ঈশ্বর আর
সীমান্তে তোমার চোখ
- কথা বলে
২৯
কোনো অসম্মত নদী নেই, সাগরের কোনো কবিতা নেই তাই।
পিপাসার্তরা যায় না সেখানে
৩০
বিধবা
*
সাদা শাড়িতে ঘোমটা পরা মুখ
রাতভর তারারা দেখুক
৩১
চিহ্ন আছে সরষে মাঠে
সোনাহাসির মতো,
তোমার চিহ্ন যত
আমার চিহ্ন তত।
৩২
মেহেদীকে ছাড়িয়ে যায় নখ
এইসব হিমদিন, পাতার মর্মরে ঢেকে গেছে নাচের আওয়াজ।
ফেলে যাওয়া যুগল নূপুর তার ধরে আছে অসহ ব্লিজার্ড ...
শী ইজ জানুয়ারী
২
গতি ছাড়া হরিণের আর কোনো অস্ত্র নেই,
নিশ্চলতা ছাড়া ঈশ্বরের
৩
রাত্রি কবিতার বোন, নক্ষত্ররা কবিতার অক্ষর
৪
ছাপ পড়ে না রূপের মুখে, কে জানে সে পরিণাম
ঝিলম তোমায় ছুঁয়ে ছিলাম, ঝিলম একটি নদীর নাম
৫
এরকম উদ্ভ্রান্ত ভ্রমণের আগে তোমার বাড়ির দিকে কোনো পথরেখা ছিল না
৬
নিবেদন আর বিনিময়ের সব পুষ্পই কিন্তু মৃত
৭
কত যে কথারা ভোর চতুরের গান- ধমনীতে লাল হাহাকার
বিজনে কাজল জমে অতুলনীরব, মেনে নিল গোধূলি আমার
৮
দেহই সবকিছুর আকর। আত্মা বলতে কিছু নেই।
৯
এখনো সিদ্ধার্থের মুদ্রিত চোখ আর ধ্যান-ছবি ভালোবাসি,
আলোকিত নৃত্যাগার আর শ্মশানের স্তব্ধতা এখনো ছড়ায় শত মোহনাম।
এখনি আমার মৃত্যু হবে না।
১০
অগুনের শিখা আর কী পোড়াতে জান?
চোখ শুকালো না যদি, তবে দাহ কেন !
১১
মনও হরিয়াল হরিয়াল বলে ডেকে ওঠে
পশ্চিমে উড়ে যায়...
প্রাণও খাঁচার পাখি,
মানুষের পোষা হয়ো না
১২
কান্না নয়, এখন বৃষ্টি দেখে মনে হয়-
হেমন্ত এক কৌটো রক্তসিঁদুর;
এখন বৃষ্টি দেখে মনে হয়
শীত স্নান করে আসছে।
১৩
রিংটোন এবং কলিংবেল-এর মাঝখানে ঘড়িটি ঘুমিয়ে পড়েছে
১৪
সাততলার ব্যালকনিতে নতুন সাদা রং
রংমিস্ত্রীর পোষা পায়রা উড়ে উড়ে ওখানে আসে
দেখে একটা শূন্য মই উঠে গেছে আকাশের দিকে
১৫
প্রতিটি রেখা দূর্গম ঝর্নার উৎসের দিকে নিতে চায়
কেউ রাত্রির চুল বেঁধে দাও
১৬
মরুভূমি এক প্রাজ্ঞ বৃদ্ধ, জীবন চক্রের কূটচালকে প্রত্যাখ্যান করে সে।
১৭
পাথর কুড়াতে যাই, হাতে উঠে আসে মৃত ঠাকুরমা'র পূজার শালগ্রাম শিলা।
১৮
সমস্ত শীত
মুর্শিদাবাদ, হাজারদুয়ারীতে পড়ে আছে সিরাজের তরবারিতে
১৯
মেঘলা দিনে মানুষের কাছে যেও। সেদিন তার সাথে ছায়াও থাকে না।
২০
আলো শুধু দেখায়
অন্ধকার তা মুখস্ত করে রাখে
২১
কবিতার শেষকথা হতে সাধ করে
তাই একটি তারা রক্তের মতো রংধরে
২২
তবুও
ডাকবাক্সটি
প্রতিদিন বেলা দু'টোর অপেক্ষায় থাকে
যখন তাকে খোলার সময়
তবুও
বৃদ্ধাশ্রমটি
২৩
অশ্বত্থের যে হলদে পাতায় প্রতিবন্ধীর হাতের রেখা আঁকা আছে, হাওয়ায় সে নাচে না। ঝরে যায়।
২৪
বৃক্ষমা-কে বলছে পাখি, তোমার ছাপ
আমরা সবাই ভাবছি এটা পাখির ডাক
২৫
ক্ষুধার প্রতিটি শস্যকণা দেখায় কৃষক কিভাবে তির হয়ে উঠেছিল
২৬
এই অস্থির শহরে
স্কুল ভ্যানের চালক
তার সতর্ক চোখ
শান্ত হতে বলে
২৭
কবিতার মুখ আঁকো, অন্ধ যেমন আঁকে তার মায়ের মুখ
২৮
গীটারে আঙুল,
বৃষ্টিতে ঈশ্বর আর
সীমান্তে তোমার চোখ
- কথা বলে
২৯
কোনো অসম্মত নদী নেই, সাগরের কোনো কবিতা নেই তাই।
পিপাসার্তরা যায় না সেখানে
৩০
বিধবা
*
সাদা শাড়িতে ঘোমটা পরা মুখ
রাতভর তারারা দেখুক
৩১
চিহ্ন আছে সরষে মাঠে
সোনাহাসির মতো,
তোমার চিহ্ন যত
আমার চিহ্ন তত।
৩২
মেহেদীকে ছাড়িয়ে যায় নখ
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন