পোস্টগুলি

2016 থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

শরতের কবিরা

তবু কেন স্পর্ধিত প্রাণাঙ্কুর আর সব জীবননাম প্রবল প্রাণে জেগে জেগে ওঠে পাতার খেয়াল থেকে ধেয়ান ধেয়ান থেকে কান্নাঘর ... তার দেয়ালে লেখা আছে- মনোনিম -- আদেলিনা দূর কোন গম্ভীর হ্রেষা যেন ডেকে আনে পড়ন্ত বেলা উপমারা ক্ষয়ে গিয়ে রাত নামে ... অন্ধকারে কী দেখ, অন্ধতারা? তুমি তো হারিয়েছ চন্দ্রকাল এ সময় পড়ো মনে ধ্রুববন্ধু পড়শি ছিল যার ত্রিবেণীর স্রোত মালঞ্চে মুদ্রার মায়া কি নূপুর কি বিষাদ হাসি রাত ঝনন ঝনন সে এক অচিন পায়েল সে এক এমন তরল চোখ নীল নিলীন কাচের কফিন থেকে শোচনা ছড়ায়; দেখে, শরতের কবিরা সব ডুবে আছে প্রার্থনায় পুরাতন লেখনীতে, মাধুর্যের মোহে- ঋতবান যারা এঁকে গেছে সূর্য গরিমার চৈত্র হরিণের করোটির ভেতরের নিরীহতা হৃদয় তৃণে তারা আরও লিখে গেছে -- ‘সহসাই ছেড়ে দেবে তারে কেন চায় মানুষ!’

সুদীপ সান্যালের কাব্যগ্রন্থ ‘স্ফিংক্স ও অচেনা অর্কিডেরা’ নিয়ে কিছু কথা

ছবি
কবিতার নিকটে উপনীত হওয়া বেশ কঠিন একটি কাজ। নতুন নির্মাণের ভাষায় উপনীত হওয়া আরও কঠিন। কিন্তু তাতে যদি থাকে আত্মঅন্বেষণ, বাস্তবতাকে প্রশ্রয় দিয়ে অনুপস্থিত বাস্তবতার স্বপ্নময় রূপায়ণ; তবে ঐ কাব্যভাষায় পাঠকের সমর্পণ ছাড়া আর গতি থাকে না। স্বরকে ভাষায় আর সে ভাষাকে চূড়ান্ত পরিণতির দিকে নিয়ে গেছেন সুদীপ। এখানেই তার স্বতন্ত্রতা। অজস্র লিখিত কবিতায় ব্যবহৃত ভাষা যেখানে অনুপস্থিত, ভাষার পরম রূপায়ণে তাই পাঠক পান ভিন্ন স্বাদের কবিতা, কবিকণ্ঠ হয়ে ওঠে স্বতন্ত্র একটি স্বর। সুদীপের কবিতায় অন্যসবকিছুর সাথে যা দৃশ্যমান তা হোল কবিতার শরীরে শরীরে চোরাবালি আর অন্ধগলি তৈরির শৈল্পিক প্রয়াস। যেখানে পাঠকদের জন্য এক স্বাপ্নিক বিহ্বলতা রচিত হয়। পাঠকের নিরন্তর খোঁজ চলে সেখানে- শাশ্বতের খোঁজ। আধুনিক কবিদের জন্য আকাশ যেন ভেঙে পড়া ছাদ, জীবন মানেই কাতরতা, বন্দীত্ব আর এই জগৎ যেন যন্ত্রণার ছায়াচিত্র। ব্যক্তি এখন সর্বার্থে মুক্ত। ঈশ্বর, প্রকৃতি, সমাজ আর সৌন্দর্যের পরম ডাককেও সে আর এখন গ্রাহ্য করে না। অবশ্য এই মুক্তি এক জেলজীবনও বটে। তবে সুদীপ তার কবিতায় এই বন্দীদশাকে অগ্রাহ্য করেছেন। তার কবিতায় অবধারিত ভা...

ডাক

মনে কর অংশুময়, সারা রাত্রিপাত তোমাকে অন্ধ করে রেখেছিল ধীর সন্ত যেন, পরিমোক্ষের আশায় এ জীবনের বন-ঝড়, বিটপীর সমস্ত দীর্ঘনিঃশ্বাস তুমি শুষে নিয়েছিলে। মনে কর সোনা ভাই, সেই সব গুপ্ত নাম- প্রসক্তির বেদন-কবিতা শুক্লা যামিনীর ছিন্ন-কাশ আলো সেই মহানীল আকাশের ডাক, আয়... আয়...আয়

পত্রালিকা - ৯

১। বিনিময়ে কিছু ফিরিয়ে দেবার কথা বলিনি আমি। ঐসব বিকেলের খেলা সাঙ্গ হলে, পলাশনম্র আগুন অরণ্যে-- যেখানে হাওয়ার নাচে শিমুল, সংগীতে নৈঃসঙ্গ্যে দূরের কথা বলে উড়ে যায়; ঐসব বিকেলের সমস্ত সংগ্রহ আমি তার করতলে দিয়েছিলাম ২। নীল ফ্রক দিন থেকে তারামালা রাত বাঁশি বলে জানো যাকে সে তো রুদ্ধবাক অর্জুন-চোখ থেকে যে চোখ হারায় সে চোখ পালিয়ে কাঁদে ঘোর মমতায় ৩। এই অক্ষরে, এই কথা মিছিলে-- তুমি আমায় দেখতে চেয়েছিলে ৪। জোনাকিতে পুড়িয়েছ দু'চোখ তোমার, আমার আলোতে ঘুম আসে না ৫। পড়ে আছে লগ্নহীন কিছু উৎসব পড়ে আছে অগ্নিশুদ্ধ করতল ছায়ার প্রচ্ছদে একটি নীলপাগড়ি নক্ষত্রস্রোতে উড়ে যাচ্ছে আনন্দ থেকে ক্রমশ দূরে, বহুদূরে... ৬। নিয়ে চল সেখানে, যেখানে রহস্য লুকিয়ে থাকে স্থির চেরাপুঞ্জির সবুজ ঘূর্ণিতে অথবা প্রাচীন দীঘির জলে জলে যেখানে খেলা করে তুলনার মতো আলো; শুকতারা কথা বল শোনাও যত অশ্রুত পদাবলী, বিরহের লীলা গহন বন ফুরিয়ে গেলেও আমার হাতে রয়েছে তেরোটি সৌভাগ্যের তাস ৭। হে মেঘানুরাগী জল চয়নের হাওয়া, তুমি দেখ শ্যামশ্রী নদীতে শুধু কিছু শীতকাঁপন তুলে মুছে গেছে যত বৃষ্টিপাত- থমথমে লীন।...

জাতক

জীবন, আলো আর ছায়ার মাঝে একটি রেখা তার আর আমার মাঝে শুধু আমি আছি; কেউ আমাকে নিয়ে নাও, শুধু সে রয়ে যাক নয়তো আকশে মেঘের অংশ হয়ে সে আসুক বৃষ্টিপাত হোক, আকাশ আর মাটির যোগাযোগ হোক আমি তো দেখি আঁধারে বৃক্ষদের স্বপ্নকাজ সেখানে তার মত পাখি আড়ালে লুকিয়ে যায় তিমিরধারার মাঝে শিরীষের রাতে ডাক দেয় ঘন-চোখ, মাধবী-মনীষা ডাক দেয় বুনো নদী সাঁতরে যাবো ঐ পার, মনে রেখো ডুবোপাথর মৃত্যুবোধের বুকে ছড়াব ভ্রূণবীজ করপুটে অগ্নি ধরেছি অন্ধ পদাতিক স্টীমারের বিষণ্ন ডাকে কড়িখেলা মনে পড়ে সন্ধ্যার আঁচল কালো কৃষ্ণকথার মন্দিরে হেরে যাওয়া কড়িখেলা- আমার স্নেহের জাতক

শোন মাল্যবান

মন বড় পর্যটন প্রিয় অসম্ভব আদরে ভাঙা রক্তিম বোতাম নিয়ে সে ঘুরে বেড়ায় মানুষ অবধি যদি পায় দেবার মতো তারা, যদি কাউকে বলা যায় কৃষ্ণ গোপনতা, বলে দেয়... . সাথে আরও বলে - কেউ নেই তাই একাকীত্ব নেই প্লাবন যেমন মুড়ে রাখে শোকে অথচ কন্ঠে তার শস্যের ডাক, ভোরের দ্যুতি আর সন্ধ্যা তেমন সন্তরণময় . আর তোমার তো মাল্যবান মনের মহল কাজলে তন্ময় গায়ে হলুদের উজ্জ্বল মেয়েরা চলে গেছে বলে, বন্ধ হয়েছে বলে সমস্ত কলরোল তুমি স্তব্ধ হয়ে আছো . জেনো প্রীতিও কিন্তু মূক তবু পুষ্প, ঝরাপুষ্পরই পুনরুক্তি

পত্রালিকা - ৮

১. আমার মুগ্ধতা নিয়ে যাও জ্যোতির্ময়, নিয়ে যাও হৃদয়ের লোকসঙ্গীত শ্রাবণের মতো চারু মাস নিয়ে যাও। আমি কোথায় থাকি দেখে যাও সরল বাছুর কোলে করে ... ২. এই তো ভালো আছি এই দেহে অন্তর পুষেছি যে কারো বকুল কি ব্যথা দেয় তারে কেন ছিঁড়ে মালা কর ৩. গোধূলি দেখিনি আমি চুল ছেড়ে দিয়ে নৌকায় শ্যামা ধীরে ধীরে দুলছে... হঠাৎ এমনই অন্ধকার ৪. শেষ কথা বলে কোন কথা নেই বিসর্জন হলেও দেখ কেউ কেউ কপালে বিন্দু করে রাখে রক্তের ফোঁটা এরপর শরৎ আসে কি না আসে, চক্ষুর পথে পথে অবেলার ঢাকিরা আসে উড়ে যা দোয়েল বলে কেউ খাঁচা খুলে দিলে সে কি উড়ে যায়? কেবিনের গোপন কথা থেকে ক্যান্টিনের গান ঘুরে-ফিরে আসে... শেষ কথা বলে কোন কথা নেই যেমন- বিদায় ৫. আমার কাছে কাঁদতে এসেও ফিরিয়ে নিলে তান ছেলেবেলার গান ৬. কালসন্ধ্যা হোল এখানে এখনও আগুনের রং কার আলোক পান করেছি জানা নেই হতে পারে বনজ্যোৎস্নায় হরিণ যার চোখে চেয়ে থাকে সমস্ত বলা যার শিব কুমারের সন্তুর সবটুকু দিয়ে তার হৃদয় নিভে গেছে কালসন্ধ্যা এলো এখানে এখনও তার রং লেগে আছে ৭. নীরব অন্ধকার পেয়েছে যাকে রূপ-সিদ্ধ কবি নিদ্রার অন্যপারে ...

আমি আর সেই বৃক্ষ

এসো আজ আনন্দবাড়ি রঙচোর অনঙ্গ পাখি নশ্বর দৃষ্টির কাছে আঁকা থাক চিত্রল ঋতু, অলক্তরেখা-- বুকের কিনারে থাক রূপান্ধ গীতাঞ্জলি স্বপ্নপ্রসূ এক ফিরতি নদীকে বলি- সব ব্যাকুলতা ফিরিয়ে আনো মাঙ্গলিক চিহ্ন রাখো, স্পর্শমণি রাখো তৃষ্ণার তীরে হৃদয়ে হৈমন্তী কার নিদাঘের শেষে শব্দের নীড়ে কার সানন্দ গান স্পর্শাতীত মুখে আহা নির্বাণ প্রেম মুক্তিস্নানে তার কাছে নম্র নিবেদন,- বলতো- ছায়া কীরকম? ধ্রুবতা? সুন্দরা, এ পৃথিবীতে কাকে বলা যায়- একা থাকা ভালো? কাউকে তো পেতে হবে যাকে বলা যায়- আমি এক নক্ষত্রসুর পড়ে আছি তুমি কণ্ঠে তুলে অমরতা পাও কাকে দেখানো যায়- সেই বৃক্ষের সমস্ত পাতার রং... অন্তিম আলোর মাঝে যে ছিল একাকী আমি আর সেই বৃক্ষ পাশাপাশি থাকি

প্ত্রালিকা - ৭

১} ছড়াকাটা * ধীরে ধীরে ভেসে আসে রাগ বারোয়ারি সাগরমেখলা যে সবুজের বাড়ি মৌ মৌ গুঞ্জন রোদ বালুচরী হৃদয় দেউল তার মায়া ছড়াছড়ি দেখা হবে আরশিতে আলোক - আঁধারি সিঁদুরে রঙিনে হবে রেণু ওড়াউড়ি তার কাছে পাখি হব মরে যাবো ভারি ভ্রুরেখা ধনুক যার রূপের প্রহরী ২} অনেক যুদ্ধ করেছি এ জীবনে , মঞ্জীরে শুনেছি কত রক্ত কথা কয় ... জিতেছি বহুবার তবু আনন্দ কোথায় , কোন কলিরকাননে ? একবার কানামাছি খেলতে গিয়ে হেরে গিয়েছিলাম এক শিশুর সাথে । শিশুর কাছে পরাজয়ের এমন আনন্দ আর কোথাও পাইনি । ৩} এমন বিভোর আগে হই নি কখনও , সবাই দেখলো ফলবতী ঋতু - আঙুর শিল্পীর প্রেম । বেজে গেলো মগ্ন ভায়োলিন । আমি যেন হঠাৎ ঢুকে গেলাম রাতে চোখ ধাঁধানো ভেনাস জুয়েলার্স । শুনলে না গোপন করতালি , এমন নাচলে তুমি যেন সামনে কেউ নেই ! ৪} যদি পারতাম ছুঁড়ে দিতাম এই পোখরাজ বিহ্বল সব রাতের শুক্তির বুকে জমা মণিদীপিকা যদি পারতাম মুছে দিতাম সব আক্রান্ত ঘুম কিন্তু আমি তা পারি নি হে প্রাত্যহিকপ্রয়াণ কবিত...

পত্রালিকা- ৬

১} আজ অনেক দিন পর হাতে বেলফুল নিয়ে বিকেল আমার কাছে এলো। শিশুর মত জড়িয়ে ধরে বললো- এমন হরিৎ ছুটির দিন, সবাইকে ডাকো, চল মাঠে চল। অথবা পিয়াইনের তীর থেকে তার তীব্র স্রোতে ছুঁড়ে মারো সকল রোদন। জলে ডুবে গেলে সূর্য শিশুর কারুকাজ আমরা আবার ফিরে যাবো যার যার নিজস্ব ক্ষয়ে। তার আগে আয় বন্ধু, খেলা করি, দোয়েল পাখায় উড়িয়ে দেই সেইসব প্রক্সির দিন... বন্ধু আমায় নিবি না? ২} ঘুমের সাজে দেখবো পদ্য, তোকে আর কিছুতে দেখবো না- পাখিরা তো সাজে না! ৩} তোমাকে পাঠাতে চাই ঝরাপাতা সন্ধ্যার শ্লোক ভেসে আসে আর আমি মনে মনে ভাবি জোনাকির মানে দীর্ঘ অনিদ্রায় চোখে জমেছে দেখ স্নেহ আর চেনা নাম রৌদ্রের কাকাতুয়া দেখা চোখও বোঝে শীত বৃক্ষের যাপন তোমাকে শোনাতে চাই সেই হিম সুরধারা ৪} কারো বুকের পাখি কারো মন সুনসান একলা লাগার মায়া, বন বাউলের গান কোনো দহনের দান- এক মৃদু ডাকনাম ৫} চোখের মদির থেকে জন্ম নিয়েছিল ঘুড়ির সাত রং তারপর জ্যোৎস্নার সড়কে হেঁটে ঘরে ফিরেছি, শূন্য ঘরে। আমার একান্ত দরজার কোণে ডাকবাক্সের অভিমান সুদীর্ঘ রাতে ঝরে পড়ে, গান গায়- সায়োনারা...সায়োনারা ৬} তুমি চুপ বসে থাকো আধোবোজা চোখ করে ...

অনুবাদঃ ইনসমনিয়াক

ইনসমনিয়াক ======== মূলঃ Insomniac by Sylvia Plath রাত্রিটি একটি কার্বন পেপার যেন কৃষ্ণনীল, অজস্র তারা তার বুকে আলো নিয়ে আসে - যেন আকাশে আকাশে একের পর এক ঘুলঘুলি আর সবকিছুর পশ্চাতে রয়েছে মৃত্যুর মত এক হাড়শাদা আলো। এইসব তারাদের চোখের নিচে, জ্যোৎস্না হাসির মাঝে একটি মরু বালিসে সে নিদ্রাহীন তার সূক্ষ্ম ক্ষুদ্র যন্ত্রণার বালি কণাগুলো সে ছড়িয়ে দিচ্ছে সর্বত্র। বারবার কণা কণা অজস্র সে পুরাতন ছবি ঝিরি বৃষ্টি দিনে শৈশব কৈশোরের স্বপ্নজড়ানো সব লজ্জা নিয়ে আসে সব অভিবাবক তাদের ছায়া অনুসরণ, কখনো তাদের মুখ অশ্রু সজল কখনো তাদের মুখে হাসি, একটা কীটদষ্ট গোলাপ বাগান যা তাকে কাঁদিয়েছিল – সব... পাথর স্তুপের মত তার কপাল স্মৃতিরা একে অপরকে সজোরে সরিয়ে দিয়ে সাজঘরে যেতে চায় যেন সব হারানো ছবির ফিল্ম স্টার। এইসব লাল, বেগুনী, নীল ট্যাবলেটে কিচ্ছু হয় না তার এই দীর্ঘ বিষণ্ন সন্ধ্যা কীভাবে প্রজ্বলিত করবে তারা ! ঐসব মধুগ্রহরা যারা তাকে দিয়েছিল সন্ন্যাস; মৃত্যু ক্ষণিক, ঐ মধু নেশাগ্রস্ত করেছিল একটা বিস্মরণ প্রবণ শিশুর জাগরণ এখন এই পিল গুলো অকেজো, ঐ সেকেলে দেব-দেবীর মত তাদের পপি ঘুমঘু...

পত্রালিকা - ৫

১। আজকাল গান শুনি, হারানো অর্কিড... হারানো গানে আছে অজস্র মনে পড়া, তার গুনগুনে ফুটে ওঠে স্মিত জীবনের হাসি। উপমাবিহীন শরতের সাজের ছায়া পড়ে আছে রানীদিঘীতে, আমি এক অবশ মৃণাল- ধরে আছি কান্তার চোখের পদ্ম; অনন্ত মূর্ছনায় দুলে দুলে আজকাল গান শুনি, হারানো হারানো গান। ২। ঝিনুক বোতাম লুকিয়ে রাখে রূপ আর রূপ এক আরক্ত গোধূলিতে হারিয়েছি ফেরার নিয়ম চোখ মাতানো মেঘের প্রচ্ছদে বিরল রংধনু দেখে কুড়িয়েছি অন্ধভোর শিকার দারুণ ক্রীড়া, এখনো মানুষের প্রিয় ৩। তোমার পুতুলদেশ কে বাজায় রিনিঝিনি করে তারার হাসিটি দিয়ে ঝিলমিল করে দেয় নির্জন রাত কে পাড়ায় সোনার কাঠি-রুপোর কাঠি ঘুম উৎসবে কিনে দেয় রঙিন পতাকা একটি মালার মত স্নেহের দু'হাত নেমে আসে আজীবন সমস্ত শোকে একটি শিশুর মুখে মা ডাক ঈশ্বরের মত লাগে... ৪। পাথর প্রতিমার কাঁধে বসে দুপুরের ঘুঘু খুব জানি এ সময় সমাধি প্রতিম কলির প্রচ্ছন্নতা জানি মনে থাকে কারো কবিতা গাঁথার মত দীর্ঘতম চুপ বন্ধুর নীরবতা মনে থাকে তবে কেন অন্তরঙ্গ মুখরেখা ফিরে এসে 'কথা ছিল' বলেছিল কেঁদে? ৫। এতটা লাবণ্য ধরে আছো! তবু কেন দেরাজে লুকিয়ে রেখেছো রঙিন জামা? ...

লিরিক - ৮

তোমার আকাশ পরে ছোঁব আমার আকাশ ছুঁই একে একে দুই হবো না হবো জোনাক জুঁই তোমার আকাশ মেঘ জমেছে এই আকাশে আলো ওখানটাতে পরেই যাবো জোনাক আকাশ ভালো আমার কাছে রঙ ঝিলমিল স্বর্গ পাখির ডানা ময়না কারো খাঁচায় আছে ডাকনাম তার জানা  মুক্ত পাখি গায় না কেনো বন্দী পাখি গায় নাম ধরে সে কেনো ডাকে নামের বুলি চায় মুক্তি মানে কেউ-কিছু নেই মুক্তি মানে ঝড় নামের মাঝে নেশা নেশা নামের মাঝে জ্বর ২৬/০৮/২০১১

পত্রালিকা - ৪

১} এরকম নম্র বৃষ্টির রাতে চলে যেও ডালিমবনে দূ...র সঙ্গে নিও না কিছু এই যে এমনকি আমাকেও, যে বলেছিলাম- বিদায়ের আগে দেখা করে যাব ২} ধূসর বৃক্ষ যেন, ধরে রয়েছি রূপের বিনাশ লতার নিটোল ভঙ্গিমায় তবু অলীকের ডাক, ছুঁয়ে দাও শোভন পলকে এই জন্মে হয়ে উঠি তবে- একটা জীবন। ৩} সিঁদুর রেখার পথ চলে গেছে অন্ধকার চিরে চিহ্ন পাই, সেইখানে অন্ধ চিহ্ন পাই প্রিয় ভুল - হাত নেড়েছিলে ৪} কার কাছে এ আত্মদান কথোপকথনের মিহিজাল, কার চোখে নীলতারা ভেসে ওঠে বেজে যায় কবিতার ছায়া আঁকা হৃদিগান কার কাছে এ আত্মদান ! ৫} তার মুখ দেখলে ভয় হয় বৃষ্টি ঢেলে দেয়া একটা ভোর অথবা ধূপের সন্ধ্যায় যে আমাকে চিনিয়েছিল কান্তির নাম, হাসির মত ফুল বলেছিল - এই তো তোমার আলিঙ্গনের মিতা... জাদুকরের অলৌকিক পায়রার মত সেই মুখ অবশেষে যা এক বিষণ্ণ রুমাল ৬} এসো দৃষ্টিস্নানের আগে এই চোখ স্বপ্নপরায়ণ তবু যে ভাবনা ঘুমের আগে তন্ময় করে রাখে তা সুদূরতা, অন্য কিছু নয় রাত ঘন হয়ে এলে এসো ৭} অপলক জাদু দৃশ্যের কাছে গিয়েছি কতবার সুর অনুরক্ত রাত যাই তুচ্ছ শিসের কাছে বৃক্ষ নির্জনে করুণার কাছে গিয়েছি একবার আহা বালক হৃদয় হা...

অনুবাদ - Gloomy Sunday (আত্মহত্যার গান)

ছবি
বিষাদ মধুর। এ গান শুনে অনেকেই আত্মহত্যা করেছেন। কী আছে এই গানে! মৃত প্রিয়তমের কাছে চলে যাওয়ার আকুতি? নাকি অন্যকিছু... আরো কিছু যা এই গান বলে না কখনও... Gloomy Sunday - Wikipedia Link এই বিষণ্ন রোববার, নিদ্রাহীন প্রহর আমার, অগুনতি প্রিয়তম ছায়াদের সাথে আমার এই যাপন  শুভ্র ফুলেরা আর জাগাবে না তোমায় যেখানে শোকের কালো শকট তোমাকে নিয়ে চলে গেছে  দেবদূতরা আর কোনোদিনও ফিরিয়ে দেবে না তোমায় তারা কি বিমুখ হবে যদি যেতে চাই তোমার কাছে বিষণ্ন রোববার বিষণ্ন এ রোববার ছায়াদের সাথে আমি কাটিয়েছি জীবন আমার আমি আর আমার হৃদয় চাইছি শেষ করে দিতে সব সহসাই দেখা যাবে মোম ধরা হাত বিধূর প্রার্থনা তারা যেন না কাঁদে তারা জানুক আমার এ চলে যাওয়া আনন্দের মৃত্যু কোন স্বপ্ন নয় এই মৃত্যুতে মিশে আছে আমার আদর আমার আত্মার শেষ নিঃশ্বাসেও আমি তোমাকে শুভাশিস দিয়ে যাবো বিষণ্ন রোববার স্বপ্নময় আমি শুধু স্বপ্নের মাঝে ছিলাম জেগে উঠে দেখেছি তুমি এই অন্তরে ঘুমিয়ে আছো প্রিয় প্রিয়তম আমি চাই আমার স্বপ্নেরা তোমাকে বিহ্বল না করুক এ হৃদয় তোমাকে বলছে কতটা চেয়েছিলাম বিষণ্ন রোববার Gloomy...