পত্রালিকা - ৮
১.
আমার মুগ্ধতা নিয়ে যাও জ্যোতির্ময়, নিয়ে যাও
হৃদয়ের লোকসঙ্গীত
শ্রাবণের মতো চারু মাস নিয়ে যাও।
আমি কোথায় থাকি দেখে যাও
সরল বাছুর কোলে করে ...
২.
এই তো ভালো আছি
এই দেহে অন্তর পুষেছি যে কারো
বকুল কি ব্যথা দেয়
তারে কেন ছিঁড়ে মালা কর
৩.
গোধূলি দেখিনি আমি
চুল ছেড়ে দিয়ে নৌকায় শ্যামা
ধীরে ধীরে দুলছে...
হঠাৎ এমনই অন্ধকার
৪.
শেষ কথা বলে কোন কথা নেই
বিসর্জন হলেও দেখ কেউ কেউ
কপালে বিন্দু করে রাখে রক্তের ফোঁটা
এরপর শরৎ আসে কি না আসে,
চক্ষুর পথে পথে অবেলার ঢাকিরা আসে
উড়ে যা দোয়েল বলে
কেউ খাঁচা খুলে দিলে
সে কি উড়ে যায়?
কেবিনের গোপন কথা থেকে ক্যান্টিনের গান
ঘুরে-ফিরে আসে...
শেষ কথা বলে কোন কথা নেই
যেমন- বিদায়
৫.
আমার কাছে কাঁদতে এসেও
ফিরিয়ে নিলে তান
ছেলেবেলার গান
৬.
কালসন্ধ্যা হোল
এখানে এখনও আগুনের রং
কার আলোক পান করেছি জানা নেই
হতে পারে বনজ্যোৎস্নায় হরিণ যার চোখে চেয়ে থাকে
সমস্ত বলা যার শিব কুমারের সন্তুর
সবটুকু দিয়ে তার হৃদয় নিভে গেছে
কালসন্ধ্যা এলো
এখানে এখনও তার রং লেগে আছে
৭.
নীরব অন্ধকার পেয়েছে যাকে
রূপ-সিদ্ধ কবি
নিদ্রার অন্যপারে
যখন কালো রং স্তব্ধ হয়ে আসে
হু-হু প্রার্থনার মত তার কাছে
আসে নাকি অলৌকিক কবিতা!
মৌনতার কী আছে?
বৃষ্টি দিনের জানালার মত
শুধু দৃষ্টি আছে...
চুপ শব্দ আছে
৮.
আমার কোন আত্মীয় নেই, আপন করেছি তোকে মাঝিহীন নির্জন পাল
৯.
মানুষ কী চায়
পাখি উড়ে যতদূর যায়
ততদূর যেতে
তারপর ক্লান্তির কাছে
ফিরে আসে কিছু দৃশ্য নিয়ে
রঙের শিশি খোলা
শরীরে আলপনা মাখা শিশু
ছৌ-নাচে ফুটে ওঠা থোকা থোকা রক্তফুল
কলরোল আর সমাধি
আঁকা আছে তাতে
১০.
আমার বাগান রোদ পায়নি বলে বেদনা শিকার করে গেছে উন্মুখর যত গন্ধরাজের কলি আর দেখ অজ্ঞাত জাদুকরের আঙুলের লিপি পড়তে পারিনি বলে ফলাফল সবই রূপময়। রূপের পাখিরা ডানায় নির্দয় জানি।
১১.
আঁধার ক্ষণে কেউ বা জানে গোপন আসা-যাওয়া
না বলে বিদায় কেউ বা জানে
সকল ফেলে চলে যাওয়া
১২.
বাণী দাও, প্রাণ আনো গহনে এবার
একটি কথা দূরে সরে আছে সন্ধ্যা সন্ধ্যা ম্লানিমা
গাঢ় সংলাপে মূর্ত কর তাকে
বাণী দাও- একটি বিশুদ্ধ গান রচনা করি
১৩.
শ্রাবণও তাকে ভালোবেসেছিল, এই চোখ জানে
১৪.
ঈর্ষাই এনে দিল প্রথম সাহস
তার মুখ এমনই আদিম !
আমি যার কাছে যাবো...
১৫.
আমার এসেছে এখন পুরনো রাতের মত ঘুম
টেরাকোটার ছাপে আছে যতসব পুরাতন কথা
সে কথা নামিয়ে রাখি বোধে রাখি চিহ্ন কুমকুম
তুমি তো এসেছ ছায়া, নীল পিল শুধুই অযথা!
১৬.
অতীত বিগত কিছু নয়
ওখানে নিজের সাথে দেখা হয়
দেখি এখনও সুগন্ধের কাছে ঠোঁট লেগে আছে
দুঃখিত চশমায় লেগে আছে বয়সের স্বেদ
অনেক রাতের ঘুম জমে আছে, সন্ধ্যাবতী
অনেক দেখা বাকী আছে শুভ্র শরৎ
তার আগে আমার মৃত্যু হবে না
এখনও অনেক শোনা রয়ে গেছে আদরের গান
১৭.
পরমা রাত নিভে গেছে
তবু লাবণ্য ধরেছে তার চোখের শিশির
শ্রাবণের দিন হারিয়েছে
বটের চারা, তবু জড়িয়েছি ইটের প্রাচীর
১৮.
সেই কবির অক্ষর চোরাবালি
তোমার যা কিছু আছে
ঘুমঘ্রাণ, দোলনায় পুতুলের মত মুখ,
শস্যের দু'হাত...
সব হারাতে এসো
১৯.
অনেক সেধেছি প্রসূন
দীর্ঘতান ছুঁয়ে সঁপেছি ছায়াগান
আর কী কী চেয়েছিলে- চিহ্ন তারা রোদ
আমার সামর্থ্য শুধু তুমি
আমার মুগ্ধতা নিয়ে যাও জ্যোতির্ময়, নিয়ে যাও
হৃদয়ের লোকসঙ্গীত
শ্রাবণের মতো চারু মাস নিয়ে যাও।
আমি কোথায় থাকি দেখে যাও
সরল বাছুর কোলে করে ...
২.
এই তো ভালো আছি
এই দেহে অন্তর পুষেছি যে কারো
বকুল কি ব্যথা দেয়
তারে কেন ছিঁড়ে মালা কর
৩.
গোধূলি দেখিনি আমি
চুল ছেড়ে দিয়ে নৌকায় শ্যামা
ধীরে ধীরে দুলছে...
হঠাৎ এমনই অন্ধকার
৪.
শেষ কথা বলে কোন কথা নেই
বিসর্জন হলেও দেখ কেউ কেউ
কপালে বিন্দু করে রাখে রক্তের ফোঁটা
এরপর শরৎ আসে কি না আসে,
চক্ষুর পথে পথে অবেলার ঢাকিরা আসে
উড়ে যা দোয়েল বলে
কেউ খাঁচা খুলে দিলে
সে কি উড়ে যায়?
কেবিনের গোপন কথা থেকে ক্যান্টিনের গান
ঘুরে-ফিরে আসে...
শেষ কথা বলে কোন কথা নেই
যেমন- বিদায়
৫.
আমার কাছে কাঁদতে এসেও
ফিরিয়ে নিলে তান
ছেলেবেলার গান
৬.
কালসন্ধ্যা হোল
এখানে এখনও আগুনের রং
কার আলোক পান করেছি জানা নেই
হতে পারে বনজ্যোৎস্নায় হরিণ যার চোখে চেয়ে থাকে
সমস্ত বলা যার শিব কুমারের সন্তুর
সবটুকু দিয়ে তার হৃদয় নিভে গেছে
কালসন্ধ্যা এলো
এখানে এখনও তার রং লেগে আছে
৭.
নীরব অন্ধকার পেয়েছে যাকে
রূপ-সিদ্ধ কবি
নিদ্রার অন্যপারে
যখন কালো রং স্তব্ধ হয়ে আসে
হু-হু প্রার্থনার মত তার কাছে
আসে নাকি অলৌকিক কবিতা!
মৌনতার কী আছে?
বৃষ্টি দিনের জানালার মত
শুধু দৃষ্টি আছে...
চুপ শব্দ আছে
৮.
আমার কোন আত্মীয় নেই, আপন করেছি তোকে মাঝিহীন নির্জন পাল
৯.
মানুষ কী চায়
পাখি উড়ে যতদূর যায়
ততদূর যেতে
তারপর ক্লান্তির কাছে
ফিরে আসে কিছু দৃশ্য নিয়ে
রঙের শিশি খোলা
শরীরে আলপনা মাখা শিশু
ছৌ-নাচে ফুটে ওঠা থোকা থোকা রক্তফুল
কলরোল আর সমাধি
আঁকা আছে তাতে
১০.
আমার বাগান রোদ পায়নি বলে বেদনা শিকার করে গেছে উন্মুখর যত গন্ধরাজের কলি আর দেখ অজ্ঞাত জাদুকরের আঙুলের লিপি পড়তে পারিনি বলে ফলাফল সবই রূপময়। রূপের পাখিরা ডানায় নির্দয় জানি।
১১.
আঁধার ক্ষণে কেউ বা জানে গোপন আসা-যাওয়া
না বলে বিদায় কেউ বা জানে
সকল ফেলে চলে যাওয়া
১২.
বাণী দাও, প্রাণ আনো গহনে এবার
একটি কথা দূরে সরে আছে সন্ধ্যা সন্ধ্যা ম্লানিমা
গাঢ় সংলাপে মূর্ত কর তাকে
বাণী দাও- একটি বিশুদ্ধ গান রচনা করি
১৩.
শ্রাবণও তাকে ভালোবেসেছিল, এই চোখ জানে
১৪.
ঈর্ষাই এনে দিল প্রথম সাহস
তার মুখ এমনই আদিম !
আমি যার কাছে যাবো...
১৫.
আমার এসেছে এখন পুরনো রাতের মত ঘুম
টেরাকোটার ছাপে আছে যতসব পুরাতন কথা
সে কথা নামিয়ে রাখি বোধে রাখি চিহ্ন কুমকুম
তুমি তো এসেছ ছায়া, নীল পিল শুধুই অযথা!
১৬.
অতীত বিগত কিছু নয়
ওখানে নিজের সাথে দেখা হয়
দেখি এখনও সুগন্ধের কাছে ঠোঁট লেগে আছে
দুঃখিত চশমায় লেগে আছে বয়সের স্বেদ
অনেক রাতের ঘুম জমে আছে, সন্ধ্যাবতী
অনেক দেখা বাকী আছে শুভ্র শরৎ
তার আগে আমার মৃত্যু হবে না
এখনও অনেক শোনা রয়ে গেছে আদরের গান
১৭.
পরমা রাত নিভে গেছে
তবু লাবণ্য ধরেছে তার চোখের শিশির
শ্রাবণের দিন হারিয়েছে
বটের চারা, তবু জড়িয়েছি ইটের প্রাচীর
১৮.
সেই কবির অক্ষর চোরাবালি
তোমার যা কিছু আছে
ঘুমঘ্রাণ, দোলনায় পুতুলের মত মুখ,
শস্যের দু'হাত...
সব হারাতে এসো
১৯.
অনেক সেধেছি প্রসূন
দীর্ঘতান ছুঁয়ে সঁপেছি ছায়াগান
আর কী কী চেয়েছিলে- চিহ্ন তারা রোদ
আমার সামর্থ্য শুধু তুমি
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন