পত্রালিকা - ৯
১।
বিনিময়ে কিছু ফিরিয়ে দেবার কথা বলিনি আমি। ঐসব বিকেলের খেলা সাঙ্গ হলে, পলাশনম্র আগুন অরণ্যে-- যেখানে হাওয়ার নাচে শিমুল, সংগীতে নৈঃসঙ্গ্যে দূরের কথা বলে উড়ে যায়; ঐসব বিকেলের সমস্ত সংগ্রহ আমি তার করতলে দিয়েছিলাম
২।
নীল ফ্রক দিন থেকে তারামালা রাত
বাঁশি বলে জানো যাকে সে তো রুদ্ধবাক
অর্জুন-চোখ থেকে যে চোখ হারায়
সে চোখ পালিয়ে কাঁদে ঘোর মমতায়
৩।
এই অক্ষরে, এই কথা মিছিলে-- তুমি আমায় দেখতে চেয়েছিলে
৪।
জোনাকিতে পুড়িয়েছ দু'চোখ তোমার, আমার আলোতে ঘুম আসে না
৫।
পড়ে আছে লগ্নহীন কিছু উৎসব
পড়ে আছে অগ্নিশুদ্ধ করতল
ছায়ার প্রচ্ছদে একটি নীলপাগড়ি
নক্ষত্রস্রোতে উড়ে যাচ্ছে
আনন্দ থেকে ক্রমশ দূরে, বহুদূরে...
৬।
নিয়ে চল সেখানে, যেখানে রহস্য লুকিয়ে থাকে স্থির
চেরাপুঞ্জির সবুজ ঘূর্ণিতে অথবা
প্রাচীন দীঘির জলে জলে
যেখানে খেলা করে
তুলনার মতো আলো;
শুকতারা কথা বল
শোনাও যত অশ্রুত পদাবলী, বিরহের লীলা
গহন বন ফুরিয়ে গেলেও
আমার হাতে রয়েছে তেরোটি সৌভাগ্যের তাস
৭।
হে মেঘানুরাগী জল চয়নের হাওয়া,
তুমি দেখ শ্যামশ্রী নদীতে শুধু কিছু শীতকাঁপন তুলে মুছে গেছে যত বৃষ্টিপাত-
থমথমে
লীন।
এখন রহস্যবাগান থেকে উঠে এসেছে কিছু রঙ, কিছু রংধনুচারী;
আকাশের পত্রবন্ধু ওরা
ঘাসরঙ ঘুড়িটি তাতে উড়ছে, উড়ছে
৮।
কথা বল এ অন্তরালে তীব্র সাংকেতিক
কথা বল চা-বাগানে পাখির বাকি গানের মতো
বেলিও নীরব নয় দেখ, সৌরভে সে মন্ত্রদান
নীরবতা এক মিথ্যে, এক অনুশোচনা
৯।
কিছু হেমন্তউপহার
শাওনিয়া শব্দের সুরভি আর
আদরিণী গান রেখেছি,
যাওয়ার সময় হলে যদি কিছু চাও
১০।
সে কেমন ছবি হবে তোর
কোন নাদে ধরি তোর সুরেলা জীয়ন
সব বন্ধনী ছুটি নিতে চায়
এক নোলকজোনাকি তোরে করেছে রূপন
১১।
আর যেও না ওখানে
যেখানে তার মত অনন্ত রাত্রি আছে
কবিরের শ্লোক ভেসে এসে বলে –
সে আছে, নিঃশ্বাসের ভেতর নিঃশ্বাসে
আর যেও না ওখানে
খদ্দর বোনা তাঁতিদের গম্ভীরা শোন,
বৃক্ষের কাছে যাও
পরিত্রাণ পাবে
১২।
তার কথা সকল বৃষ্টিবিন্দু কয়
কোন গোপন পাপের মত নয়
কবিতায় অনুচ্চারিত নাম
১৩।
ওখানে রৌদ্র বাগান
ভোরের মন্ত্র থেকে এক আকাশ আলোর মাঝে
সে এক দিগন্ত খোলা সূর্যপথ
মাধবী-মন প্রণয়িনী আবারও রূপরঙ
মেলে ধরে একান্ত যাবার সময়
সে জানে না, একদিন কীভাবে হাসি মুছে যায়--
কান্না মুছে যায়
মোমের ছায়ার মতো ধীরে মুছে যায়...
বিনিময়ে কিছু ফিরিয়ে দেবার কথা বলিনি আমি। ঐসব বিকেলের খেলা সাঙ্গ হলে, পলাশনম্র আগুন অরণ্যে-- যেখানে হাওয়ার নাচে শিমুল, সংগীতে নৈঃসঙ্গ্যে দূরের কথা বলে উড়ে যায়; ঐসব বিকেলের সমস্ত সংগ্রহ আমি তার করতলে দিয়েছিলাম
২।
নীল ফ্রক দিন থেকে তারামালা রাত
বাঁশি বলে জানো যাকে সে তো রুদ্ধবাক
অর্জুন-চোখ থেকে যে চোখ হারায়
সে চোখ পালিয়ে কাঁদে ঘোর মমতায়
৩।
এই অক্ষরে, এই কথা মিছিলে-- তুমি আমায় দেখতে চেয়েছিলে
৪।
জোনাকিতে পুড়িয়েছ দু'চোখ তোমার, আমার আলোতে ঘুম আসে না
৫।
পড়ে আছে লগ্নহীন কিছু উৎসব
পড়ে আছে অগ্নিশুদ্ধ করতল
ছায়ার প্রচ্ছদে একটি নীলপাগড়ি
নক্ষত্রস্রোতে উড়ে যাচ্ছে
আনন্দ থেকে ক্রমশ দূরে, বহুদূরে...
৬।
নিয়ে চল সেখানে, যেখানে রহস্য লুকিয়ে থাকে স্থির
চেরাপুঞ্জির সবুজ ঘূর্ণিতে অথবা
প্রাচীন দীঘির জলে জলে
যেখানে খেলা করে
তুলনার মতো আলো;
শুকতারা কথা বল
শোনাও যত অশ্রুত পদাবলী, বিরহের লীলা
গহন বন ফুরিয়ে গেলেও
আমার হাতে রয়েছে তেরোটি সৌভাগ্যের তাস
৭।
হে মেঘানুরাগী জল চয়নের হাওয়া,
তুমি দেখ শ্যামশ্রী নদীতে শুধু কিছু শীতকাঁপন তুলে মুছে গেছে যত বৃষ্টিপাত-
থমথমে
লীন।
এখন রহস্যবাগান থেকে উঠে এসেছে কিছু রঙ, কিছু রংধনুচারী;
আকাশের পত্রবন্ধু ওরা
ঘাসরঙ ঘুড়িটি তাতে উড়ছে, উড়ছে
৮।
কথা বল এ অন্তরালে তীব্র সাংকেতিক
কথা বল চা-বাগানে পাখির বাকি গানের মতো
বেলিও নীরব নয় দেখ, সৌরভে সে মন্ত্রদান
নীরবতা এক মিথ্যে, এক অনুশোচনা
৯।
কিছু হেমন্তউপহার
শাওনিয়া শব্দের সুরভি আর
আদরিণী গান রেখেছি,
যাওয়ার সময় হলে যদি কিছু চাও
১০।
সে কেমন ছবি হবে তোর
কোন নাদে ধরি তোর সুরেলা জীয়ন
সব বন্ধনী ছুটি নিতে চায়
এক নোলকজোনাকি তোরে করেছে রূপন
১১।
আর যেও না ওখানে
যেখানে তার মত অনন্ত রাত্রি আছে
কবিরের শ্লোক ভেসে এসে বলে –
সে আছে, নিঃশ্বাসের ভেতর নিঃশ্বাসে
আর যেও না ওখানে
খদ্দর বোনা তাঁতিদের গম্ভীরা শোন,
বৃক্ষের কাছে যাও
পরিত্রাণ পাবে
১২।
তার কথা সকল বৃষ্টিবিন্দু কয়
কোন গোপন পাপের মত নয়
কবিতায় অনুচ্চারিত নাম
১৩।
ওখানে রৌদ্র বাগান
ভোরের মন্ত্র থেকে এক আকাশ আলোর মাঝে
সে এক দিগন্ত খোলা সূর্যপথ
মাধবী-মন প্রণয়িনী আবারও রূপরঙ
মেলে ধরে একান্ত যাবার সময়
সে জানে না, একদিন কীভাবে হাসি মুছে যায়--
কান্না মুছে যায়
মোমের ছায়ার মতো ধীরে মুছে যায়...
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন