পোস্টগুলি

2014 থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

তান

একটা সময় দিক না ধরা একলা বৃষ্টি দেবদারু বন কাজল ছোঁয়া দুফোঁটা জল মেদুর চোখের বন্ধুর মন একটা সন্ধ্যা নিঃস্বতা হোক মধূৎসবের যবনিকায় গোপনচারীর বুকে থাকুক ছায়ার মায়া, একটু সহায় সহায় নিয়েই বেঁচে থাকুক অভিমানের স্বপ্ন, রাখাল তোমার মাঠে যাক উড়ে যাক আগুন ঝাঁপা পাখির উড়াল না হয় কিছু মেঘরোদ্দুর অদূর আদর যায় হারিয়ে নামডাকা স্বর ডাকবে কোন তোমার বুকেই, তোমায় নিয়ে তোমার যত খেলা ছিল ঘোর লাগা পথ গীতির কথা এসব নিয়েই যাপন এবার এসব নিয়েই মুখরতা একটা ব্যথা স্থিরঅনুভব পূর্বরাগে অপরূপা একটা জীবন তার কাছে থাক এলোমেলো, এমনই তা

অনুলেখা

১] বরং আমি ঘুমিয়ে থাকি স্নান দৃশ্যের ভেতর-- এই শীতে ২] হরফে হরফে নিঃসঙ্গতা লিখে গেলে মনে হয় আকাশ নক্ষত্রের কথা বলে, এক জীবন সমান দূর; কারো মৃত্যুর কথা বলে। ৩] শব্দ, তুমি প্রার্থনা হয়ে ওঠো কবিতার মন্দিরে হয়ে ওঠো ওংকার ৪] 'পাশে আছি' না জানালে কেউ ভালোবাসে? নূপুরেও আসে প্রাণ যদি নাচ নেমে আসে ৫] নিঃসঙ্গতার সাথে চুপ করে থাকে ঘুম তার কাছে ঘুরে ঘুরে আসে এক মাতৃহীন হরিণ ৬] একটি সেকেলে ভাবনা শহরতলীর ডাকঘরের বারান্দায় বসে আছে ৭] রুমঝুম হাওয়াকে বলে দিয়েছি আসছে ছুটি ৮] অ্যালবাম থেকে উড়ে গেছে রুপালী দোয়েল... ৯] মায়ার চুমুটি হোল কাজলের দাগ ১০] শব্দ না উইডস! পাঠকের চোখ লাল। কবি তুমি যা তা... ১১] হে অগ্নিময় শুদ্ধ দিন, হে হরিদ্রা মুখ, এই হরীতকী বনে মোহন আলোর পাখি ইষ্টিকুটুম- দিনতারাটি আমার। ডাকো। আমি চুমুকে চুমুকে পান করি সেই ডাক। ১২] জানি তোমার সাধ পূরণের কেউ নেই কোত্থাও অনন্তে বেঁধে দিয়েছি লক্ষণ-রেখা নির্ভয়ে খুঁজে নিও সোনার হরিণ ১৩] হায়রে হাওয়া, উচ্ছল হওয়া যেত তবু- দেখ এই শান্ত শ্রাবণে তার চুলে মৃত্যুর মত ঘুম ১৪] গ্রাস কর গহন বৃষ্টি ঝরার...

দ্বীপান্তরে

মৌটুসির ঠোঁট থেকে প্রার্থনা করে এনে দিয়েছি পদ্যহরফ। হে আইসিস, এসো, অলৌকিক পলির বুকে উৎসারিত হোক শত অংকুর। আমি কারো বুকের কাছে গান, অনুতাপের হিম। মৃত্যুনীল আকাশের দুই বাহু ছাড়িয়ে আমি এসে গেছি দেবদারু বন, ধ্রুপদী মুদ্রার পথ। এখন যত শব্দ সব পাখি, আর বৃক্ষ কবিতা শরীর। ক্যারিবিয়ান সমুদ্রের ছড়িয়ে দেয়া দীর্ঘশ্বাসের মত ঢেউ আর রক্তক্রন্দন কাটিয়ে এসে রোচনার সিঁথি থেকে ছিটকে উঠেছে দিন। এখন চাই দ্বীপান্তর। নিঃসঙ্গ দু’জনার- একান্ত। আমরা জেনে নেই এই ক্ষণে ধূপরহস্য, চিনে নেই আরশিনগর। আমরা দেখে নেই মেঘ-তারা তারা-মেঘ রাত হেমন্ত অথবা বৃষ্টিচুর ভোরঅন্ধকার। আমরা বৃক্ষবাসী পাখি। আর কেউ নেই এই চরাচর। হরিতকি শিখরের কাঁচা সবুজ আমাদের শরীর। এখন তারায় তারায় জেগে আছে কবিতার অনুভব। কানে বাজে মৌহারী বাঁশী। আমরা এই বনগহনে সবকথা বলে দিয়ে-- গান।

দেখা

ঘুম পাড়ানোর কোলে স্মৃতিগ্রাস। কাতরকন্ঠ- ভেসে যাই, ভেসে যাই। চুপিসাড়ে বিদ্ধ কোরে পৃথিবীর সমস্ত সকাল-সন্ধ্যাকাল, তুমি এসো প্রতিক্ষীত, বাজাও মায়া সাইরেন। আমি আকাশে আকাশে দেখতে চাই মুখরিতা তারা। জানি আঁধারেই আছে স্বপ্নের ঝিমিকি। আমি জানি সমস্ত নীরবতা নিয়ে রাত্রিই মহান। দেখা মানে- অরণ্যে অচেনা ফুল। ঐখানে ফুটে থাকে প্রেমের গোপন প্রণালী, রঙিন কুয়াশার মিথ। অশরীরীর ছায়াবাজি, মায়ার পিছের পুষ্পমুখ তন্দ্রার মত নেমে আসে। জলপাই বনে নেমে আসে নিঃসঙ্গ ক্রন্দন- মদের চেয়ে তীব্র। আমি চিনি ঐ আঙ্গিনার মধুর ঘ্রাণ, পল্লবীর নীরব নাচ,  ঝুলন রঙিন আঁখিপাতা। এই রাত- সে আয়নার মত আমার।

চিঠি

রূপকিশোরীর চোখে বেজে ওঠে রোদের সানাই সুরের দোলে দুলে ওঠে একবন কাশফুল, মুক্তোর আলো, তুমি এসো তোমার বরষায় ভিজে যাওয়া আনন্দের আমাকে শিখিয়ে দাও ধুপছায়া অংকন, নিশুতির নীল এই অজ্ঞাতবাস – অচেতনা, কন্ঠলীন স্বপ্নপ্রতিজ্ঞা-- মরমিয়া অজস্রধারায় স্নাত কর এই জ্যোৎস্নাকাতরতা রংধনুর চূড়ায় বসে থাকে প্রাণখোলা ঝাউবনে চুপ হারিয়ে যায় বেভুল গয়াল দূর বাজনার বোল থেকে ধীর নেমে আসে রাগ বাহার মর্মরে লিখে রাখে লিপিকর - দীয়ার অক্ষর জানি ছল তার হরিণের স্থির চক্ষু রূপ ভ্রু ভঙ্গি রেণুর প্রহার, জানি চোখ তার রোদের সানাই মন, মন্দিরা রাত বরষার হেসে উঠ এই মোহনায় ছায়াচ্ছন্ন এই প্রান্তরে ভেসে এসো মৌন মরাল মুক্তোর আলো, তুমি এসো

স্নেহা

এক দ্যুতিনীল সন্ধ্যা নদীর পারে আমি মাঝখানে ঢেউয়ের মাদল ঐ পারে বাগানকুঠি মুগ্ধতা তোমার নদীটির নাম দিও 'স্নেহা' নীল অন্ধকারে তারার হাসির মাঝে বেঁকে যাওয়া নদী, এই চোখ থেকে নদী... এখন সন্ধ্যা ছায়ার কানাকানি এখন হোমের আগুন, পুষ্পগোপন খুশি ফসলের এইক্ষণে আমি নাই, অনন্ত সন্ধ্যা আছে ভোরমহিমার কাছে আঁকা ছিল ঘনরাত, বৃষ্টির ঝিরি চৌপহর ঘুরে ঘুরে ক্লান্ত হয়েছি আমি যাদুময় তুমিইতো দেখালে আদরনমিত চোখ-- জমা হোক, তার কাছে এরকম সন্ধ্যারা জমা হোক উপমারা উড়ে যাক তোমার পলকে আহা আনন্দা, আমার চির অচিন সুরধারা দূরে থেকো ভালো রেখো ... ওগো নিদ্রা আমার হুহু অভিমান ওগো ফল্গুধারা, আয়নার ছল অনেক দেখেছি দিল্লাগি এইবার ছায়ালোক আমার হোক স্নানার্থী আমি ওগো মন নীল নদের নাও, আমায় শূন্যে নিয়ে যাও নদীটির নাম দিও 'স্নেহা' নীল অন্ধকারে তারার হাসির মাঝে বেঁকে যাওয়া নদী, এই চোখ থেকে নদী...

রাতকলম

গোধূলির সারগাম নূপুরের, তারপর শঙ্খরাত- তোমার। এখন সব রাত জেগে থাকি, অথচ রাত মানে এক ঝাঁক পাখির ঘুম! একটি পুষ্পহীন বেলী গাছ অপেক্ষার মত লাগেনি তোমার...