অনুলেখা

১]
বরং আমি ঘুমিয়ে থাকি স্নান দৃশ্যের ভেতর--
এই শীতে

২]
হরফে হরফে নিঃসঙ্গতা লিখে গেলে মনে হয় আকাশ নক্ষত্রের কথা বলে, এক জীবন সমান দূর; কারো মৃত্যুর কথা বলে।

৩]
শব্দ, তুমি প্রার্থনা হয়ে ওঠো
কবিতার মন্দিরে হয়ে ওঠো
ওংকার

৪]
'পাশে আছি' না জানালে কেউ ভালোবাসে?
নূপুরেও আসে প্রাণ যদি নাচ নেমে আসে

৫]
নিঃসঙ্গতার সাথে চুপ করে থাকে ঘুম
তার কাছে ঘুরে ঘুরে আসে এক মাতৃহীন হরিণ

৬]
একটি সেকেলে ভাবনা শহরতলীর ডাকঘরের বারান্দায় বসে আছে

৭]
রুমঝুম হাওয়াকে বলে দিয়েছি
আসছে
ছুটি

৮]
অ্যালবাম থেকে উড়ে গেছে রুপালী দোয়েল...

৯]
মায়ার চুমুটি হোল
কাজলের দাগ

১০]
শব্দ না উইডস! পাঠকের চোখ লাল। কবি তুমি যা তা...

১১]
হে অগ্নিময় শুদ্ধ দিন, হে হরিদ্রা মুখ, এই হরীতকী বনে মোহন আলোর পাখি ইষ্টিকুটুম- দিনতারাটি আমার। ডাকো। আমি চুমুকে চুমুকে পান করি সেই ডাক।

১২]
জানি তোমার সাধ পূরণের কেউ নেই কোত্থাও
অনন্তে বেঁধে দিয়েছি লক্ষণ-রেখা
নির্ভয়ে খুঁজে নিও সোনার হরিণ

১৩]
হায়রে হাওয়া,
উচ্ছল হওয়া যেত তবু-
দেখ এই শান্ত শ্রাবণে
তার চুলে মৃত্যুর মত ঘুম

১৪]
গ্রাস কর গহন
বৃষ্টি ঝরার আলো
আমি গন্ধরাজ বনে
ময়ূরতারা প্রজাপতিকে
হাতের আবডালে বসতে দিয়েছি
জলের আঘাতহীন তার বর্ণনীল পাখা, শত পুষ্প শরীরে ফুটে ওঠে
শত পুষ্প শরীরে ফুটে ওঠে বিন্দুনীল সোহানা সকাল

১৫]
এই পাখনায় এনেছি নৈকট্য
গল্পের হাসি
এই ঘাসের শরীরে মিশে মিশে
আমাদের মনলীন উষ্ণ হরিৎ
বন্ধুরে জানিয়েছি খুব ভালবাসি

১৬]
আরো একবার হরধনু থেকে তীব্র ছুটে যাবে তীর, সূর্যতমার দেশ। মায়াবলে বহ্নিমান করে দেব স্বপ্নজল গহন শরীর। করুণ নদীর বাঁকে রাত বাঈজির ঘূর্ণি থেকে ছুটে যাবে নৃত্যস্রোতধারা। বুকজুড়ে ডাক দিয়ে গেলে জাদুর ডাহুক, আরো একবার হবে যুগল নির্বাসন।

১৭]
যতই আড়াল থেকে মেঘে ডোবোনা, জোছনা
-- নির্বাসনে যাবো না।

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

অনুবাদ - Gloomy Sunday (আত্মহত্যার গান)

অনুকবিতা

অনুবাদঃ “আফরি” –“ the most beautiful one!”