দ্বীপান্তরে
মৌটুসির ঠোঁট থেকে প্রার্থনা করে এনে দিয়েছি পদ্যহরফ। হে আইসিস, এসো,
অলৌকিক পলির বুকে উৎসারিত হোক শত অংকুর। আমি কারো বুকের কাছে গান, অনুতাপের
হিম। মৃত্যুনীল আকাশের দুই বাহু ছাড়িয়ে আমি এসে গেছি দেবদারু বন, ধ্রুপদী
মুদ্রার পথ।
এখন যত শব্দ সব পাখি, আর বৃক্ষ কবিতা শরীর। ক্যারিবিয়ান সমুদ্রের ছড়িয়ে দেয়া দীর্ঘশ্বাসের মত ঢেউ আর রক্তক্রন্দন কাটিয়ে এসে রোচনার সিঁথি থেকে ছিটকে উঠেছে দিন। এখন চাই দ্বীপান্তর। নিঃসঙ্গ দু’জনার- একান্ত। আমরা জেনে নেই এই ক্ষণে ধূপরহস্য, চিনে নেই আরশিনগর। আমরা দেখে নেই মেঘ-তারা তারা-মেঘ রাত হেমন্ত অথবা বৃষ্টিচুর ভোরঅন্ধকার।
আমরা বৃক্ষবাসী পাখি। আর কেউ নেই এই চরাচর। হরিতকি শিখরের কাঁচা সবুজ আমাদের শরীর। এখন তারায় তারায় জেগে আছে কবিতার অনুভব। কানে বাজে মৌহারী বাঁশী। আমরা এই বনগহনে সবকথা বলে দিয়ে--
গান।
এখন যত শব্দ সব পাখি, আর বৃক্ষ কবিতা শরীর। ক্যারিবিয়ান সমুদ্রের ছড়িয়ে দেয়া দীর্ঘশ্বাসের মত ঢেউ আর রক্তক্রন্দন কাটিয়ে এসে রোচনার সিঁথি থেকে ছিটকে উঠেছে দিন। এখন চাই দ্বীপান্তর। নিঃসঙ্গ দু’জনার- একান্ত। আমরা জেনে নেই এই ক্ষণে ধূপরহস্য, চিনে নেই আরশিনগর। আমরা দেখে নেই মেঘ-তারা তারা-মেঘ রাত হেমন্ত অথবা বৃষ্টিচুর ভোরঅন্ধকার।
আমরা বৃক্ষবাসী পাখি। আর কেউ নেই এই চরাচর। হরিতকি শিখরের কাঁচা সবুজ আমাদের শরীর। এখন তারায় তারায় জেগে আছে কবিতার অনুভব। কানে বাজে মৌহারী বাঁশী। আমরা এই বনগহনে সবকথা বলে দিয়ে--
গান।