ভোর চিঠি
আকাশ জ্বললে আমি দ্রুত ছাদ থেকে নেমে পড়ি, চাঁদকণা উড়ে আসে বাতাসে।
জানালার ফ্রস্টেড গ্লাসে শিউলির গালছাপে হাত বুলিয়ে দেই। সুন্দর নিষ্ফলা
বড়; রাত্রি জাগিয়ে চলে- গাছ নদী শিউলির তাথৈ বেদনা। নৈঃশব্দ্যের কোলাহলে
সজাগ ঘুমের প্রেরণা জেগে থাকে- জেগে থাকে আদিম আগুন, জেগে থাকে ঐ দূর থেকে
ভেসে আসা রাতের ট্রেনের হুইস্যাল। ভাঙ্গাচোরা শুরু করে ছায়ার নেশার অভিশাপ।
অনভিজ্ঞ হাত নাহয় পাতাই স্পর্শ করেছিলো বেখেয়ালে।
তাতেই ঘুমিয়ে গেছে হরিৎ প্রহর - লজ্জাবতীর মুখ! জীবনের মৃত্যু হয় না তো, হারিয়ে যায় শুধু। মুখর নির্জনতায় অন্ধকার রেখে যায় দূরতার হাহাকার। তার দেশে উড়ে চলে ঘূর্ণি মেঘের তুরপুন... গভীর - গভীরতর রাত প্রলয় ঝুমুর।
অনভিজ্ঞ হাত নাহয় পাতাই স্পর্শ করেছিলো বেখেয়ালে।
তাতেই ঘুমিয়ে গেছে হরিৎ প্রহর - লজ্জাবতীর মুখ! জীবনের মৃত্যু হয় না তো, হারিয়ে যায় শুধু। মুখর নির্জনতায় অন্ধকার রেখে যায় দূরতার হাহাকার। তার দেশে উড়ে চলে ঘূর্ণি মেঘের তুরপুন... গভীর - গভীরতর রাত প্রলয় ঝুমুর।
ভোরের আলোয় ধীর লয়ে খুলে যায় বীজকোষ, কোমল পাতার মুখে আদি সবুজের
ছাপ...আমি চিৎকার করে উঠি, শোন! গত রাতের অন্ধকার, এই শমী সবুজের আলো দেখে
যাও, দেখ শিশু সূর্য গড়িয়ে পড়ে ফুলঝুরি হয়ে; কে এসেছে দেখে যাও চোখের আলো-
অতীত হেসেছে দেখে যাও।