পোস্টগুলি

2013 থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

সুর

তুমি আজকে বল কেন হৃদয়ের কেউ ছিল চন্দ্র মুখে গেল জোছনা বিহার আমি তার কথা কই সে পাতালের ঢেউ ভুল ভাবনার পথ সে নিয়েছে এবার আমি হরিণ সাগর দ্বীপে ছুট্টে বেড়াই যদি নিদ্রাবরণ মেঘ যায় ধরা যায় পরে কাঁটার মুকুট আমি পরাগ ওড়াই কার কনক প্রভায় কে সূর্য ভাসায় তুমি সন্ধানে তার ছিলে চন্দ্রাহত তুমি কবিতার হাত তাই করেছ মশাল ওই জোনাকির রাত ছিলে প্রতারিত হংসবাসর তুমি করেছ মাতাল তুমি আজকে বল সুর একটিই সুর সব সুর যেখানে মেলে নিদ্রাসম ঐ পালকের শ্রী পাখি ভাসানমেদুর তারাপথের পথিক তুমি রাত্রিতম

কিছু আজকের আর বিগত শীতের কথা

১। আজ ফুলের ক্ষণিক জীবন দেখ, দেখ ফুল রঙ! পৃথিবীর সমস্ত ফুলেরা রূপকথারদিনে ভালবেসেছিল, হোলি খেলেছিল ২। কৃষ্ণপক্ষ জুড়ে তাই দূর দেখা আমাদের, দৃষ্টির রশ্মি ধারায় লক্ষদুয়ারী আলোঘর তারা আর তারা ছুঁয়ে জোছনার প্রচ্ছদ- অনন্ত অনন্ত রাত। ৩। ভুলেছে যত ঋতু আর পার্বন ভুলে ভরা রাতি স্মৃতিচুর পাখি ৪। ফিরে আসছে আমার নিভৃত থেকে অন্তরঙ্গতা ভুলে বহিরঙ্গে আসছে বর্ষা আসছে ৫। প্রার্থিত স্নান থেকে উঠে এসে মেলে ধর গোপন আয়না দেখ চোখপাতারা সব উড়ে উড়ে যাচ্ছে নীল ফড়িং তোমার নগ্ন দু'চোখে আর ঘুম নেই কোনো ৬। বৃষ্টিভেজা কার্নিশ থেকে জল পড়ছে টিপ টিপ টিপ টিপ এস এম এস-এর অনুঅক্ষর... ৭। ঝুমকোর দোল বলে দেয় অস্থিরমতী তুমি ৮। এখন ঘাস জড়িয়ে ঘুমিয়ে পড়েছি আমি, বিতারিত নিদ্রাহীন রাখাল। কারো তনু বৃষ্টির মত যেন আধো স্বপ্নে দেখা... ৯। দেখ তোমার দিকেই ছড়িয়ে পড়ছে শব্দ রাশি রাশি। শোন, পাথর থেকে উৎসারিত হয় ঝর্ণার গান। ১০। অশ্রু লেখা আছে রাত্রি নদীর কাছে ১১। ঢেউ নিরবধি, তোর নাম জানি নাই রূপ চিনি নাই ১২। হাওয়া চলে হাওয়া চলে তার সাথে চলে চলে মুছে যায় মৌঘ্রাণ একটি নিভৃত ফুল ছেয়ে থাক তুমি তবু হাওয়ার বিপরীত ১৩। শব্দরা বিবাগী যেখানে দূর ...

এসো

সে প্রাণ দখিনে দূর দূর অচিনে এক রাখি রেখে যায়, ডাক পাখি রেখে যায় দূর মেনেছে তাকে চক্ষু তারা মন বিজনে যাকে কাছে রাখা যায় সুর মেনেছে তাকে সব কথারা আলোর নাচন যার ঘুঙুর খেলায় এই আজ চমকে সেই নাম তোমাকে শুধু রাখা হয়ে যায়, পিছু ডাকার বেলায় চুপ রেখেছে তাকে সন্ধ্যাপ্রতিম বনস্পতির রেখা আমার অচিন মন জানা হও চুপ শঙ্খধ্বনি আমি পার হতে অতলে ডুবতে জানি দ্রোণ তীর যেখানে নাচ বৃষ্টিধারা এসো সেই মহলে দেই ফুল পাহারা এসো শ্যামল পাখায় এসো রুদ্র পাখি দেখি বন্ধু কেমন তুমি বন্ধু নাকি ....................................................... জানুয়ারী ১৮, ২০১৩

তৃণা

মাথুর কাহিনী বড় গীতিময়; একটা নিঃসঙ্গ   শহর   সবথেকে বেশি সাংগীতিক , মেঘমল্লারে   আমাকে সঙ্গে নিয়ে সে   তার নদীতে মুহ্যমান। অন্ধের যদি নদী না থাকে আর তার ঘুর ঘুর পথ , তার তবু ধারা   আছে সুজনতারার দিকে নীল নেভানো নেভানো। অগ্নিহোত্রীরও শীতের মানে জানা আছে, শীত তার বশ। এবং এইসব যত পরিচয় , শেষ পাখিটি ঘুমানো অব্দি এতসব বিনিময়   মানুষের প্রত্যন্তে চলে যায়, তারপর সে ঘুমিয়ে পড়ে।   আমি তাই জলোপাসনা করি, যাই পূর্ণা নদীর নৌউৎসব- অফুরান , ডাহুক ডাহুক । দেখি নিজের আলোতে একটি শিশিরমুখ - তৃণা এক জলসবুজ তৃণা।

মৃত্যুর মত মায়া

সুরার পাত্রের বুদবুদ থেকে খুশি গিলে ফেলি হায় চক্ষু মণির মত বুদবুদ... আর কাঁদি আর কাঁদি চন্দন গন্ধ থেকে জন্ম নিয়েছিল অন্ধত্ব আর আগুনের পাখি, চিতা নীড় থেকে উড়ে উড়ে হারিয়ে গেল। রেখে গেল,- মনুষ্যহীন দাহভূমি এই সন্ধ্যা এই শোক এই শীত শিশুমুখ হে, জ্যোৎস্না রাতে মুগ্ধ নয়ন জ্বালালো কত মুগ্ধ নয়ন তুমি জানো নাই...... নিরলে পেলো না যে তোমাকে তাহার মতন তার চোখে শ্যাম আঁকা জল তোমার নয়নজাল মুক্তাভোরের দিকে টানে দেখ ভোরহারা আমি, শিউলিঢালা পথ জানি নাই হায় মায়া-ঈশ্বর, তুমি প্রাণময়- ছায়ানটের বোল সুরমদে টলোমল আমি অকূলের পথে টানো... যদি পারো গান ভোল চোখ বুজে আসে পাখি- কখন যে উড়ে যাও তুমি! .......... Dhaka Jan 4, 2013