কিছু আজকের আর বিগত শীতের কথা
১।
আজ ফুলের ক্ষণিক জীবন দেখ, দেখ ফুল রঙ!
পৃথিবীর সমস্ত ফুলেরা রূপকথারদিনে ভালবেসেছিল, হোলি খেলেছিল
২।
কৃষ্ণপক্ষ জুড়ে তাই দূর দেখা আমাদের,
দৃষ্টির রশ্মি ধারায় লক্ষদুয়ারী আলোঘর
তারা আর তারা ছুঁয়ে
জোছনার প্রচ্ছদ-
অনন্ত অনন্ত রাত।
৩।
ভুলেছে যত ঋতু আর পার্বন
ভুলে ভরা রাতি
স্মৃতিচুর পাখি
৪।
ফিরে আসছে
আমার নিভৃত থেকে অন্তরঙ্গতা ভুলে বহিরঙ্গে
আসছে বর্ষা আসছে
৫।
প্রার্থিত স্নান থেকে উঠে এসে মেলে ধর গোপন আয়না
দেখ চোখপাতারা সব উড়ে উড়ে যাচ্ছে নীল ফড়িং
তোমার নগ্ন দু'চোখে আর ঘুম নেই কোনো
৬।
বৃষ্টিভেজা কার্নিশ থেকে জল পড়ছে টিপ টিপ টিপ টিপ
এস এম এস-এর অনুঅক্ষর...
৭।
ঝুমকোর দোল বলে দেয় অস্থিরমতী তুমি
৮।
এখন ঘাস জড়িয়ে ঘুমিয়ে পড়েছি আমি,
বিতারিত নিদ্রাহীন রাখাল।
কারো তনু বৃষ্টির মত যেন
আধো স্বপ্নে দেখা...
৯।
দেখ তোমার দিকেই ছড়িয়ে পড়ছে শব্দ রাশি রাশি। শোন, পাথর থেকে উৎসারিত হয় ঝর্ণার গান।
১০।
অশ্রু লেখা আছে
রাত্রি নদীর কাছে
১১।
ঢেউ নিরবধি, তোর নাম জানি নাই
রূপ চিনি নাই
১২।
হাওয়া চলে হাওয়া চলে
তার সাথে চলে চলে মুছে যায় মৌঘ্রাণ
একটি নিভৃত ফুল ছেয়ে থাক তুমি তবু হাওয়ার বিপরীত
১৩।
শব্দরা বিবাগী যেখানে
দূর পাখির চোখে ছোটে
এখানে আলোর কালোরা থেকে যায়, ওখানে থির সন্ধ্যা নামে
১৪।
আমার নিশ্বাসের মতই কাছাকাছি ছায়াখেলা,
গোপন প্রসূন।
১৫।
খুব রাত করেছে
খোলা জানালার প্রহরকুচিরা ঝরে পরবে এখন
১৬।
যত অন্তর্মুখী রঙপ্রহর ছিল
আজ ভেঙ্গে চৌচির
এই রূপ সুহানা ফাগুন
১৭।
এই বর্ণবহুলতাকে অতিসাজ মানি না তো বৃষ্টিদিনের অরণ্য
অথবা শহরতলীর স্টেশন লালমাই
পরিমিতি মেনেই তোমার লাল ইট ফুঁড়ে দেখা যাচ্ছে
একান্ত অপেক্ষা, ফের দেখা হয়ে যাওয়া অথবা বিদায়
আমি এইসব দেখি দৃশ্য থেকে দৃশ্যান্তর
আর ভাবি কী করে আস্ত একটা ট্রেন ইঞ্জিন
গুটিসুটি মেরে ঢুকে পড়েছে আমার হৃদপিণ্ডে
১৮।
মিলিয়ে গিয়েছিলে কোথায় সবুজ কিশোরী
আমাদের পাহাড়ী বাঁশের বাগানে বৃষ্টি নামতেই !
১৯।
বর্ষার মতই আসে আর যত মৌসুম
বিশুষ্ক, ক্রন্দনহীন -
রিমঝিম সঙ্গীতহীন
২০।
জানতাম আগুন জ্বলে নিভে যায়
আমি প্রতারিত তুষ
২১।
নূপুরে ছন্দ ছিলো না বলে চলে যাওয়া পথ মনে রাখিনি
২২।
নদী
এক পথ
জল
২৩।
পাখির পালক রঙ আর মনে নেই
আমাদের পেয়ারা বাগান
বৃষ্টি এসেছিল
২৪।
লুকানো সময় কিছু
রাত করে দেখ
রাত হলে দেখ জানি
অপূর্ব অজ্ঞতার দিন
২৫।
চোখ সুরমাদানী গজলের রাত
আমার লাল চোখে সেই চোখ ছলকে ওঠা সকাল
২৬।
বৃষ্টি আর চোখের জল মেশা যদি কোন মুখ দেখা যায়, তা পবিত্রতম
২৭।
আঙ্গুল কেটেছে জল ছবি আর নাম
আর যা কিছু দৃশ্যমান
তাতে তুমি নেই
আর যতকিছু দৃশ্যমান নির্বাণমুখী নয়
২৮।
তোমাকে সুমাত্রার হাওয়া এসে বলে গেল
ওইখানে পাখার ঘুম
আছে চন্দ্রভোলা পাখি আরেক
২৯।
যদি শীত জমে যায়
যদি অদেখা কাঁদায়
রোদের হরিণ ছুটে আয়
৩০।
এই রহস্যময় অরণ্যশৈলীর মুখ পেরিয়ে অন্তর
ভ্রমণ মায়াভ্রমণ আমার
৩১।
ভোর
আজ তোর মন চুরি
হয়েছে বোধহয়
এত আলো-খুশি ছড়ালি কী করে!
৩২।
সেই পাগল খুশির দিন--
মাঝে মাঝে বেড়াতে আসতে পাশের বাড়ি
৩৩।
শব্দের নাচ তুলে
শাদা মঞ্চ পাতায় কী হবে আর
চোখ নিভে গেছে তোমার
সরে সরে গেছে ছলে
জলে?
৩৪।
ওই দিকে যাব না আর
ওই বাড়ি
সমস্ত সাজ আড়াল রেখেছে প্রতারক বাগান
শীত আর একমাস
৩৫।
ছড়িয়ে দিচ্ছি মৌন সব অক্ষর
অনুবাদযোগ্য
দেখ যত বৃষ্টিপাতের অনুবাদ করেছে মৃত্তিকা
শাল ফসল গোলাপে গোলাপে
৩৬।
আলোর এই ইতিময়তা সন্ধ্যা মেয়ের সরোদ
যখন চাদরের ভেতর থেকে শীতের আঙ্গুল ভাঙ্গে পুষ্পখনি
এখন কুয়াশা
সন্ধ্যা সবখানে
৩৭।
রাত্রি হও তবে
দু'চোখ ফুঁড়ে ফেলি
মিশে যাই
৩৮।
জানি তোমার সাধ পূরণের কেউ নেই কোত্থাও
অনন্তে বেঁধে দিয়েছি লক্ষণ-রেখা
নির্ভয়ে খুঁজে নিও সোনার হরিণ
৩৯।
ময়ূরপাখা তুলি আর একটি মেঘময় দিন পেয়েছিলে চিত্রকর
শুধু তার বায়নার অমর্ত্য রঙ পেলে না তাই
মূর্ত হোল না আষাঢ়
এইসব না দেয়া উপহার তুমি আমার মত
আঙ্গুলের ভাঁজে গুটিয়ে নিয়েছ
৪০।
শালবন স্তব্ধতায়
মনকথাও শোনা যায়
শালবিথী কাছে
মন পড়ে আছে
৪১।
রোদের নূপুর পথ ধরে
এসে গেছি, হে অন্ধকার
৪২।
লেবুবনে উথলে উঠেছে রোদ
তার পাতার গন্ধ শরীরে মাখ মধুকিশোর
তুমিই আমার নতুন ধরন লেখা...
৪৩।
সুজনতারার কাছে উড়ে গেছে
তার দৃষ্টি কতদিন...
আজ গেছে চোখ,
সমগ্র মানুষ।
৪৪।
তারে চিরতরে দূরে নিয়ে গেছ যে অভিমান
জাগো, দেখি কতটুকু প্রেমযোগ্য তুমি
৪৫।
বৃন্ত থেকে রুখে দিয়েছি পতন
বৃক্ষ ধরে রাখো
বাঁচো
৪৬।
সুরমুখী হও
প্রিয়তমা নাচ্
৪৭।
ফুলডিঙ্গি শিশুমতি ভাসে
এ আমার মত শুধুই তো চোখে নয়
তোমার যে আদি-অন্ত জলের শরীর
দেখ কী মিহিন চলে যায় পুষ্পকিষাণী
ওগো নদী মুগ্ধ হতে জানো
৪৮।
শব্দবঁধুয়া, সহস্র রঙবেলুন হয়ে উড়ে উড়ে যাও
শুধু পবিত্র শিশুরাই ভালবাসে উড়ন্ত বেলুন
কবিতা
৪৯।
সোনার কাঠি রুপোর কাঠি
হারিয়েছে
রূপকথা শুনে শুনে
ঘুমিয়ে গিয়েছে ঘাসফুল...
৫০।
এরই নাম বাঁচা
এই প্রাচীন অন্ধকারে
অজানাকেই ভালোবাসি
আলো খুঁজি যত তুমি হও না অচিন
এসো সূর্যমতি দিন
৫১।
কুয়াশা মেশা জ্যোৎস্না এক জাদুআলো
এই আলোতে দূর অরণ্য এক আলপনার মত লাগে
তার সাজ কেটে কেটে
পোষা পায়রার মত চোখ চলে যায় ছবিমহল
বন্ধুর বাড়ি
৫২।
এই শীতেও তুমি ভোর পাঁচটার ট্রেন
... স্টেশন ভর্তি মানুষ
৫৩।
তুমুল রোদে জ্বলে ওঠে কমলা বন
সাত রঙে ঠিকরে ওঠে বরফ পাহাড়
কুড়িগ্রাম আরো ভোরে ঘুম থেকে ওঠে
বাবুই ঠোঁট বুনে দেয় অক্ষর
নিরক্ষরের হাতে
পথশিশু যার কিছু রাত আছে ঋণ
আমাদের কাছে
তাকে কিছু দিন দিও তার বিপরীত
দেখ তুমুল রোদে জ্বলে ওঠে কমলার বন...
৫৪।
শেষ বিন্দু সহ
উছল তাকে শুষে নিয়েছি
শুধু শীত নয় ষড়ঋতু
সে এক গোপন নদী আছে
বুকে জমাট বেঁধে আছে
৫৫।
কুয়াশা আকাশ হলে চাঁদ দেখা যায়
রাত থেকে দূরে
সন্ধ্যারও আগে
চাঁদ দেখে চাঁদ দেখে শর্ষে হাসিতে গলে যায়
কুয়াশায় মাঝে মাঝে মন গলে যায়
৫৬।
মন তুলেছে তার কুয়াশার মুখ
তার চিবুকে রেখেছে মন
শীতের অসুখ
৫৭।
অপেক্ষা আমার তোকে ভালবেসে
চিঠি যেত বহুদূর
নীরব শহরে
৫৮।
সমস্ত বিকেলের কাছে জমা রেখ হরিণখেলা
বেলা গড়িয়ে যাক
শেষে গলে তো যাবেই চোখের তুষার
৫৯।
যতদূর রঙ মেলে মেঘের আয়না নামে টাঙ্গুয়ার হাওর
পৌষমুখী ধোঁয়া ধোঁয়া, ততদূর আমিও প্রতিবিম্ব খুঁজি
যেনবা আমার অন্ধ চোখ আয়নাই দেখতে জানে শুধু!
যাদুর ছাপ জুড়ে থাকে সমগ্র শীতে... অবগুণ্ঠনে...
অথবা ওরকম টাঙ্গুয়ার জলে কখনোবা মূর্ত সে
আমার এই মরুযাত্রার হিম, সূর্যদহন পরে শিশিরঅন্ধকার
৬০।
অতি রক্তক্ষরণের পর জেনেছি, সে ছিল অন্ধ তীরন্দাজ
৬১।
আলোর দিকে ছুটে যাচ্ছে আততায়ী তির
ক্রমশ জ্যোতিষ্মান
৬২।
ছড়িয়ে দিচ্ছি মৌন সব অক্ষর
অনুবাদযোগ্য
দেখ যত বৃষ্টিপাতের অনুবাদ করেছে মৃত্তিকা
শাল ফসল গোলাপে গোলাপে
৬৩।
আলোর এই ইতিময়তা সন্ধ্যা মেয়ের সরোদ
যখন চাদরের ভেতর থেকে শীতের আঙ্গুল ভাঙ্গে পুষ্পখনি
এখন কুয়াশা
সন্ধ্যা সবখানে
৬৪।
কুয়াশা মেশা জ্যোৎস্না এক জাদুআলো
এই আলোতে দূর অরণ্য এক আলপনার মত লাগে
তার সাজ কেটে কেটে
পোষা পায়রার মত চোখ চলে যায় ছবিমহল
বন্ধুর বাড়ি
৬৫।
তুমুল রোদে জ্বলে ওঠে কমলা বন
সাত রঙে ঠিকরে ওঠে বরফ পাহাড়
কুড়িগ্রাম আরো ভোরে ঘুম থেকে ওঠে
বাবুই ঠোঁট বুনে দেয় অক্ষর
নিরক্ষরের হাতে
পথশিশু যার কিছু রাত আছে ঋণ
আমাদের কাছে
তাকে কিছু দিন দিও তার বিপরীত
দেখ তুমুল রোদে জ্বলে ওঠে কমলার বন...
৬৬।
শেষ বিন্দু সহ
উছল তাকে শুষে নিয়েছি
শুধু শীত নয় ষড়ঋতু
সে এক গোপন নদী আছে
বুকে জমাট বেঁধে আছে
৬৭।
অপেক্ষা আমার তোকে ভালবেসে
চিঠি যেত বহুদূর
নীরব শহরে
৬৮।
সমস্ত বিকেলের কাছে জমা রেখ হরিণখেলা
বেলা গড়িয়ে যাক
শেষে গলে তো যাবেই চোখের তুষার
৬৯।
ঢেউগুলো সব ক্রমআত্মহননকারী গান
৭০।
টেরাকোটা, পুরানো সংকেতবাহী
ছায়ামন্দির পবিত্র তুমি
৭১।
কুয়াশা আকাশ হলে চাঁদ দেখা যায়
রাত থেকে দূরে
সন্ধ্যারও আগে
চাঁদ দেখে চাঁদ দেখে শর্ষে হাসিতে গলে যায়
কুয়াশায় মাঝে মাঝে মন গলে যায়
৭২।
ঘুম পূর্ব কথারা অঞ্জলি--
যখন তুমি অতনু প্রতিমা
তাতে শুধু আমি প্রাণ ঢালি
কথা বলি
কথা বলি
আজ ফুলের ক্ষণিক জীবন দেখ, দেখ ফুল রঙ!
পৃথিবীর সমস্ত ফুলেরা রূপকথারদিনে ভালবেসেছিল, হোলি খেলেছিল
২।
কৃষ্ণপক্ষ জুড়ে তাই দূর দেখা আমাদের,
দৃষ্টির রশ্মি ধারায় লক্ষদুয়ারী আলোঘর
তারা আর তারা ছুঁয়ে
জোছনার প্রচ্ছদ-
অনন্ত অনন্ত রাত।
৩।
ভুলেছে যত ঋতু আর পার্বন
ভুলে ভরা রাতি
স্মৃতিচুর পাখি
৪।
ফিরে আসছে
আমার নিভৃত থেকে অন্তরঙ্গতা ভুলে বহিরঙ্গে
আসছে বর্ষা আসছে
৫।
প্রার্থিত স্নান থেকে উঠে এসে মেলে ধর গোপন আয়না
দেখ চোখপাতারা সব উড়ে উড়ে যাচ্ছে নীল ফড়িং
তোমার নগ্ন দু'চোখে আর ঘুম নেই কোনো
৬।
বৃষ্টিভেজা কার্নিশ থেকে জল পড়ছে টিপ টিপ টিপ টিপ
এস এম এস-এর অনুঅক্ষর...
৭।
ঝুমকোর দোল বলে দেয় অস্থিরমতী তুমি
৮।
এখন ঘাস জড়িয়ে ঘুমিয়ে পড়েছি আমি,
বিতারিত নিদ্রাহীন রাখাল।
কারো তনু বৃষ্টির মত যেন
আধো স্বপ্নে দেখা...
৯।
দেখ তোমার দিকেই ছড়িয়ে পড়ছে শব্দ রাশি রাশি। শোন, পাথর থেকে উৎসারিত হয় ঝর্ণার গান।
১০।
অশ্রু লেখা আছে
রাত্রি নদীর কাছে
১১।
ঢেউ নিরবধি, তোর নাম জানি নাই
রূপ চিনি নাই
১২।
হাওয়া চলে হাওয়া চলে
তার সাথে চলে চলে মুছে যায় মৌঘ্রাণ
একটি নিভৃত ফুল ছেয়ে থাক তুমি তবু হাওয়ার বিপরীত
১৩।
শব্দরা বিবাগী যেখানে
দূর পাখির চোখে ছোটে
এখানে আলোর কালোরা থেকে যায়, ওখানে থির সন্ধ্যা নামে
১৪।
আমার নিশ্বাসের মতই কাছাকাছি ছায়াখেলা,
গোপন প্রসূন।
১৫।
খুব রাত করেছে
খোলা জানালার প্রহরকুচিরা ঝরে পরবে এখন
১৬।
যত অন্তর্মুখী রঙপ্রহর ছিল
আজ ভেঙ্গে চৌচির
এই রূপ সুহানা ফাগুন
১৭।
এই বর্ণবহুলতাকে অতিসাজ মানি না তো বৃষ্টিদিনের অরণ্য
অথবা শহরতলীর স্টেশন লালমাই
পরিমিতি মেনেই তোমার লাল ইট ফুঁড়ে দেখা যাচ্ছে
একান্ত অপেক্ষা, ফের দেখা হয়ে যাওয়া অথবা বিদায়
আমি এইসব দেখি দৃশ্য থেকে দৃশ্যান্তর
আর ভাবি কী করে আস্ত একটা ট্রেন ইঞ্জিন
গুটিসুটি মেরে ঢুকে পড়েছে আমার হৃদপিণ্ডে
১৮।
মিলিয়ে গিয়েছিলে কোথায় সবুজ কিশোরী
আমাদের পাহাড়ী বাঁশের বাগানে বৃষ্টি নামতেই !
১৯।
বর্ষার মতই আসে আর যত মৌসুম
বিশুষ্ক, ক্রন্দনহীন -
রিমঝিম সঙ্গীতহীন
২০।
জানতাম আগুন জ্বলে নিভে যায়
আমি প্রতারিত তুষ
২১।
নূপুরে ছন্দ ছিলো না বলে চলে যাওয়া পথ মনে রাখিনি
২২।
নদী
এক পথ
জল
২৩।
পাখির পালক রঙ আর মনে নেই
আমাদের পেয়ারা বাগান
বৃষ্টি এসেছিল
২৪।
লুকানো সময় কিছু
রাত করে দেখ
রাত হলে দেখ জানি
অপূর্ব অজ্ঞতার দিন
২৫।
চোখ সুরমাদানী গজলের রাত
আমার লাল চোখে সেই চোখ ছলকে ওঠা সকাল
২৬।
বৃষ্টি আর চোখের জল মেশা যদি কোন মুখ দেখা যায়, তা পবিত্রতম
২৭।
আঙ্গুল কেটেছে জল ছবি আর নাম
আর যা কিছু দৃশ্যমান
তাতে তুমি নেই
আর যতকিছু দৃশ্যমান নির্বাণমুখী নয়
২৮।
তোমাকে সুমাত্রার হাওয়া এসে বলে গেল
ওইখানে পাখার ঘুম
আছে চন্দ্রভোলা পাখি আরেক
২৯।
যদি শীত জমে যায়
যদি অদেখা কাঁদায়
রোদের হরিণ ছুটে আয়
৩০।
এই রহস্যময় অরণ্যশৈলীর মুখ পেরিয়ে অন্তর
ভ্রমণ মায়াভ্রমণ আমার
৩১।
ভোর
আজ তোর মন চুরি
হয়েছে বোধহয়
এত আলো-খুশি ছড়ালি কী করে!
৩২।
সেই পাগল খুশির দিন--
মাঝে মাঝে বেড়াতে আসতে পাশের বাড়ি
৩৩।
শব্দের নাচ তুলে
শাদা মঞ্চ পাতায় কী হবে আর
চোখ নিভে গেছে তোমার
সরে সরে গেছে ছলে
জলে?
৩৪।
ওই দিকে যাব না আর
ওই বাড়ি
সমস্ত সাজ আড়াল রেখেছে প্রতারক বাগান
শীত আর একমাস
৩৫।
ছড়িয়ে দিচ্ছি মৌন সব অক্ষর
অনুবাদযোগ্য
দেখ যত বৃষ্টিপাতের অনুবাদ করেছে মৃত্তিকা
শাল ফসল গোলাপে গোলাপে
৩৬।
আলোর এই ইতিময়তা সন্ধ্যা মেয়ের সরোদ
যখন চাদরের ভেতর থেকে শীতের আঙ্গুল ভাঙ্গে পুষ্পখনি
এখন কুয়াশা
সন্ধ্যা সবখানে
৩৭।
রাত্রি হও তবে
দু'চোখ ফুঁড়ে ফেলি
মিশে যাই
৩৮।
জানি তোমার সাধ পূরণের কেউ নেই কোত্থাও
অনন্তে বেঁধে দিয়েছি লক্ষণ-রেখা
নির্ভয়ে খুঁজে নিও সোনার হরিণ
৩৯।
ময়ূরপাখা তুলি আর একটি মেঘময় দিন পেয়েছিলে চিত্রকর
শুধু তার বায়নার অমর্ত্য রঙ পেলে না তাই
মূর্ত হোল না আষাঢ়
এইসব না দেয়া উপহার তুমি আমার মত
আঙ্গুলের ভাঁজে গুটিয়ে নিয়েছ
৪০।
শালবন স্তব্ধতায়
মনকথাও শোনা যায়
শালবিথী কাছে
মন পড়ে আছে
৪১।
রোদের নূপুর পথ ধরে
এসে গেছি, হে অন্ধকার
৪২।
লেবুবনে উথলে উঠেছে রোদ
তার পাতার গন্ধ শরীরে মাখ মধুকিশোর
তুমিই আমার নতুন ধরন লেখা...
৪৩।
সুজনতারার কাছে উড়ে গেছে
তার দৃষ্টি কতদিন...
আজ গেছে চোখ,
সমগ্র মানুষ।
৪৪।
তারে চিরতরে দূরে নিয়ে গেছ যে অভিমান
জাগো, দেখি কতটুকু প্রেমযোগ্য তুমি
৪৫।
বৃন্ত থেকে রুখে দিয়েছি পতন
বৃক্ষ ধরে রাখো
বাঁচো
৪৬।
সুরমুখী হও
প্রিয়তমা নাচ্
৪৭।
ফুলডিঙ্গি শিশুমতি ভাসে
এ আমার মত শুধুই তো চোখে নয়
তোমার যে আদি-অন্ত জলের শরীর
দেখ কী মিহিন চলে যায় পুষ্পকিষাণী
ওগো নদী মুগ্ধ হতে জানো
৪৮।
শব্দবঁধুয়া, সহস্র রঙবেলুন হয়ে উড়ে উড়ে যাও
শুধু পবিত্র শিশুরাই ভালবাসে উড়ন্ত বেলুন
কবিতা
৪৯।
সোনার কাঠি রুপোর কাঠি
হারিয়েছে
রূপকথা শুনে শুনে
ঘুমিয়ে গিয়েছে ঘাসফুল...
৫০।
এরই নাম বাঁচা
এই প্রাচীন অন্ধকারে
অজানাকেই ভালোবাসি
আলো খুঁজি যত তুমি হও না অচিন
এসো সূর্যমতি দিন
৫১।
কুয়াশা মেশা জ্যোৎস্না এক জাদুআলো
এই আলোতে দূর অরণ্য এক আলপনার মত লাগে
তার সাজ কেটে কেটে
পোষা পায়রার মত চোখ চলে যায় ছবিমহল
বন্ধুর বাড়ি
৫২।
এই শীতেও তুমি ভোর পাঁচটার ট্রেন
... স্টেশন ভর্তি মানুষ
৫৩।
তুমুল রোদে জ্বলে ওঠে কমলা বন
সাত রঙে ঠিকরে ওঠে বরফ পাহাড়
কুড়িগ্রাম আরো ভোরে ঘুম থেকে ওঠে
বাবুই ঠোঁট বুনে দেয় অক্ষর
নিরক্ষরের হাতে
পথশিশু যার কিছু রাত আছে ঋণ
আমাদের কাছে
তাকে কিছু দিন দিও তার বিপরীত
দেখ তুমুল রোদে জ্বলে ওঠে কমলার বন...
৫৪।
শেষ বিন্দু সহ
উছল তাকে শুষে নিয়েছি
শুধু শীত নয় ষড়ঋতু
সে এক গোপন নদী আছে
বুকে জমাট বেঁধে আছে
৫৫।
কুয়াশা আকাশ হলে চাঁদ দেখা যায়
রাত থেকে দূরে
সন্ধ্যারও আগে
চাঁদ দেখে চাঁদ দেখে শর্ষে হাসিতে গলে যায়
কুয়াশায় মাঝে মাঝে মন গলে যায়
৫৬।
মন তুলেছে তার কুয়াশার মুখ
তার চিবুকে রেখেছে মন
শীতের অসুখ
৫৭।
অপেক্ষা আমার তোকে ভালবেসে
চিঠি যেত বহুদূর
নীরব শহরে
৫৮।
সমস্ত বিকেলের কাছে জমা রেখ হরিণখেলা
বেলা গড়িয়ে যাক
শেষে গলে তো যাবেই চোখের তুষার
৫৯।
যতদূর রঙ মেলে মেঘের আয়না নামে টাঙ্গুয়ার হাওর
পৌষমুখী ধোঁয়া ধোঁয়া, ততদূর আমিও প্রতিবিম্ব খুঁজি
যেনবা আমার অন্ধ চোখ আয়নাই দেখতে জানে শুধু!
যাদুর ছাপ জুড়ে থাকে সমগ্র শীতে... অবগুণ্ঠনে...
অথবা ওরকম টাঙ্গুয়ার জলে কখনোবা মূর্ত সে
আমার এই মরুযাত্রার হিম, সূর্যদহন পরে শিশিরঅন্ধকার
৬০।
অতি রক্তক্ষরণের পর জেনেছি, সে ছিল অন্ধ তীরন্দাজ
৬১।
আলোর দিকে ছুটে যাচ্ছে আততায়ী তির
ক্রমশ জ্যোতিষ্মান
৬২।
ছড়িয়ে দিচ্ছি মৌন সব অক্ষর
অনুবাদযোগ্য
দেখ যত বৃষ্টিপাতের অনুবাদ করেছে মৃত্তিকা
শাল ফসল গোলাপে গোলাপে
৬৩।
আলোর এই ইতিময়তা সন্ধ্যা মেয়ের সরোদ
যখন চাদরের ভেতর থেকে শীতের আঙ্গুল ভাঙ্গে পুষ্পখনি
এখন কুয়াশা
সন্ধ্যা সবখানে
৬৪।
কুয়াশা মেশা জ্যোৎস্না এক জাদুআলো
এই আলোতে দূর অরণ্য এক আলপনার মত লাগে
তার সাজ কেটে কেটে
পোষা পায়রার মত চোখ চলে যায় ছবিমহল
বন্ধুর বাড়ি
৬৫।
তুমুল রোদে জ্বলে ওঠে কমলা বন
সাত রঙে ঠিকরে ওঠে বরফ পাহাড়
কুড়িগ্রাম আরো ভোরে ঘুম থেকে ওঠে
বাবুই ঠোঁট বুনে দেয় অক্ষর
নিরক্ষরের হাতে
পথশিশু যার কিছু রাত আছে ঋণ
আমাদের কাছে
তাকে কিছু দিন দিও তার বিপরীত
দেখ তুমুল রোদে জ্বলে ওঠে কমলার বন...
৬৬।
শেষ বিন্দু সহ
উছল তাকে শুষে নিয়েছি
শুধু শীত নয় ষড়ঋতু
সে এক গোপন নদী আছে
বুকে জমাট বেঁধে আছে
৬৭।
অপেক্ষা আমার তোকে ভালবেসে
চিঠি যেত বহুদূর
নীরব শহরে
৬৮।
সমস্ত বিকেলের কাছে জমা রেখ হরিণখেলা
বেলা গড়িয়ে যাক
শেষে গলে তো যাবেই চোখের তুষার
৬৯।
ঢেউগুলো সব ক্রমআত্মহননকারী গান
৭০।
টেরাকোটা, পুরানো সংকেতবাহী
ছায়ামন্দির পবিত্র তুমি
৭১।
কুয়াশা আকাশ হলে চাঁদ দেখা যায়
রাত থেকে দূরে
সন্ধ্যারও আগে
চাঁদ দেখে চাঁদ দেখে শর্ষে হাসিতে গলে যায়
কুয়াশায় মাঝে মাঝে মন গলে যায়
৭২।
ঘুম পূর্ব কথারা অঞ্জলি--
যখন তুমি অতনু প্রতিমা
তাতে শুধু আমি প্রাণ ঢালি
কথা বলি
কথা বলি