আবার খেয়াল
{১}
মৃত্তিকা সাড়া দিলে
প্রতিমা হবেই বলি
আঙ্গুল হবে দশটি রঙতুলি
{২}
দিন যা পারেনি
দৃষ্টিতে,
দেখলাম শ্যামরাত্রিতে
{৩}
খুব খুশির স্বপ্নে
ঘুম ভেঙ্গে যেতে পারে
তবে আর ঘুম আসবে না
{৪}
রুপাজলে ভোল, মন - মন তুই মাছরাঙা শিকার ভুলে যা
{৫}
হে রুদ্র পুরুষ, এই ভেজা দুপুর তোমার বিরহ বেলার কথা
{৬}
ভুল সময়ে নীরব থাকা ভাল
ভোরে যে সুধাবর্ষী পাখি
অন্ধকারে মৌন থাকে সে
{৭}
ছুটে যায় নির্বোধ হরিণ-মন
-মুখ তূণীর তার
{৮}
হাওয়ার ইয়ারফোন সারাক্ষণ গুন গুন নাম ...
ইয়ারফোন ক্যান কিল ইউ!
{৯}
ভাইনইয়ার্ডে পড়ে ছিল
একটা সকাল
সন্ধ্যার গ্লাসে
ছড়িয়ে যাচ্ছে এখন
হীরের বুদ্বুদ
{১০}
কোন্ পথে চলে গেলে
লাল ফিতে চুলে দোলা
নামতা শেখার দিন
{১১}
এখনো স্পষ্ট আছে চোখের স্ন্যাপশট, একটি শিশির জড়ানো লেবুফুল
এই কবিতা টেবিলের চারপাশে সতেজতা দিয়ে যায় সে
{১২}
শ্রাবণঝড়ের খোলা জানালা্র একটু আড়াল,
খোঁজের ঠিকানা-
কবিতার মিষ্টিক স্পট
{১৩}
এই পাখনায় এনেছি নৈকট্য
গল্পের হাসি
এই ঘাসের শরীরে মিশে মিশে
আমাদের মন লীন উষ্ণ হরিৎ
বন্ধুরে জানিয়েছি খুব ভালবাসি
{১৪}
একটি চোখের জমিনে আবারও দেখলাম তারার অক্ষরে লেখা- রেঁনেসা
{১৫}
বিনোদ রাতের পাশে শুয়ে আছি রুহানীর শ্বাস
আঁধার চিবুক ভাঁজে শ্যাম কার মুখ!
জ্বলে জ্বলে নিভে যাওয়া বাজীর আলোয় রাত জ্বলে নিভে ওঠে
আর আমি তারার সারিতে খুঁজি দীপ্তির নাম
- প্রদর্শিকা
{১৬}
রাত পোহালেই আষাঢ়
আকাঙ্খার হাওয়া উড়িয়ে নিয়ে চলেছে মেঘ
ভার্জিন ফরেস্ট
{১৭}
আকাশে এক নেশারঙিন ঘুড়ি। এরকম সবার আকাশেই ওড়ে নাকি স্কুলভাঙ্গা বালকের মত মেঘ ছোঁয়া মোহ? মন জুড়ে চৌরঙ্গীর মেলার ঢাক বাজে। সবাই ভীষণ শুনি উড়ানের করতালি..... জলদি আঁধারের সীমানা পেরোও ঘুড়ি- খুব বেশি দিন ধরে রাখা যায় না জেনো ছন্দ পাওয়া মন।
{১৮}
এখন দিন চুপ করে থাকো
তোমার সূর্যকথাটি তুলে নেবে শেষে এই দীর্ঘ অপেক্ষার শ্রবণ
বার্চবনে শুনে নেবে
কৃষ্ণতারার মত রাতের হুইসপার
{১৯}
ঐ দূর দূর
আলোকবিন্দু দেখা যায়
--- ----- ------ আসছে
ভোরতারা মেইল
সকাল যত না ছিল চলে গেছে নয়নতারার বাড়ি
আমি রাতের প্যাসেঞ্জার
ভোরতারা মেইল আসছে ......
{২০}
আস্তিনে তুরুপের তাস
চোখ উল্টো আঁকে মন
ছল ভরা এই খেলা শোন্
মিছেমিছি যুদ্ধ তালাশ
{২১}
বর্ষা সবার নয়
বর্ষা আমার
বর্ষা তাহার
{২২}
যদি চন্দ্রিমার সটান রাস্তা সার সার কৃষ্ণচূড়াকে মেঘ নামে ডাকে, তবে মেঘও উজ্জ্বলা হাসি
{২৩}
অজানা জ্বর
রাত থেকে মিলিয়ে যাচ্ছে ঘুম স্বপ্ন সকাল
এই অনন্ত চুপে অক্ষিগোলকে আবারো পারদ ছেটানো জ্বালা,
এই চোখ
এই আয়না জানে-
তার দিকে চেয়ে চেয়ে যত সন্ধ্যার রূপটান
তার জন্যে ছিলো না কোনদিন
{২৪}
একটি সেকেলে ভাবনা শহরতলীর ডাকঘরের বারান্দায় বসে আছে
{২৫}
প্রাচীনকথা নয়, তবু তার মতই
হু হু বুক ছবি
ক্ষয়ে যাওয়া ধারন
লাল ইট
জাফরি জানালা থেকে শুরু হয়ে অন্ধকার কোথায় চলে যায়...
স্থির ছবি বেশ ক’টা
ওরা প্রাচীনকথা কিছু নয়
পানামনগরে পিকনিক
সুদূর অতীত কিছু নয়
{২৬}
সকল প্রদক্ষিণ সূর্য মনে রাখে
তবু স্থির থাকে
দূর রাখে
{২৭}
দুপুর আদর রেখে জাপানী পুতুলে
বাবার আঙ্গুল ছেড়ে যেদিন ইসকুলে
কান্নারা জানালায় খুব মেলে থাকে
বাবা নেই তবু খুকি চোখ জুড়ে রাখে
চোখ জুড়ে রাখে খুকি যত ছেড়ে থাকা
স্কুলের জানালা থেকে শুরু খোঁজ রাখা
{২৮}
সব নূপুর
ছন্দ না
সব ময়ূর
নাচবে না
{২৯}
তোর চোখের সব কথা বৃষ্টি বলে না
মাঝে মাঝে বৃষ্টিতে মিশে থাকে হাসির এলিক্সির
{৩০}
রূপের বজরা তুমি দক্ষিণে যাও
আরো আরো দক্ষিণে সুন্দর
রহস্য বিস্তৃত বন
....... সিক্রেট হানি
{৩১}
গ্রাস কর গহন
বৃষ্টি ঝরার আলো
আমি গন্ধরাজ বনে
ময়ূরতারা প্রজাপতিকে
হাতের আবডালে বসতে দিয়েছি
জলের আঘাতহীন তার বর্ণনীল পাখা, শত পুষ্প শরীরে ফুটে ওঠে
শত পুষ্প শরীরে ফুটে ওঠে বিন্দুনীল সোহানা সকাল
{৩২}
বৃষ্টিবনে হারিয়ে গিয়েছিলাম একদিন
পথ খুঁজতে গিয়ে কুড়িয়ে পেলাম এই পার্ল-হোয়াইট মার্বেল
এখন রেখে দিয়েছি আমার কবিতা লেখার টেবিলে
তার শরীর ছোঁয় এই আঙ্গুল থেকে অক্ষর
অক্ষর থেকে জলকান্নার ক্যারেস
অঝোর ঝিরির একদিনে
সেই পাথরে তাকিয়ে বলি-
-- তুমি !
{৩৩}
দূর নীল সীমান্ত চুপ
ওখানে পাহাড়
ওখানে এখানকার মত নয়
সন্ধ্যা নয় ঐখানে
আরও একটু অস্পষ্টতা
ঘর-বাড়ি
আলো-ছায়া ঢালে
বাষ্প স্নাত আয়নার
মুখের ছাপের মত
মেঘালয়
কে যেন বলেছিল
সুদীপ্ত আলোর বাড়িটি তার
সীমান্তে তাই নিষ্পলক চোখ
আলোর তালাশ তালাশ
একসময় সমস্ত শরীর থেকে
পাহাড়ের আলো নিভে যাবে
শুধু তার দেশভর তারা জেগে রবে
ঐখানে জানি
আরও একটু অস্পষ্টতা
বাষ্প স্নাত আয়নার
মুখের ছাপের মত
দূ............ র স্ব র্ণ তা রা র দে শ
মেঘালয়
{৩৪}
অলৌকিক মুখটি ঘিরে
নিয়ন জোনাক,
সময় ঘুমিয়ে পড়ে-
এরপর ঘুমিয়ে পড় তুমি
এই নগর-সড়ক অন্যমনস্ক পায়ের স্পর্শে অনভ্যাসে তীব্র মায়ায় জেগে ওঠে
দেখে, নিয়ন জোনাক মিটিমিটি
আনমনে হাঁটি আমি
রাত
রাত আমার চব্বিশ প্রহর
সময় ঘুমিয়ে পড়ে
অলৌকিক মুখটি ঘিরে হায়......
{৩৫}
সবসময় উইশ করি না তো!
ঘুমন্ত শিশুর মুখের মত একটি সকাল দেখলেই শুধু বলি,-
বন্ধু সুপ্রভাত -
{৩৬}
আয় সব স্নান নিয়ে শ্রাবণ চলে আয়......
{৩৭}
আষাঢ়,
অতোটা নিঃসঙ্গ না হলেও কেউ
বাধ্য কর এই উদযাপন;
সলিটিউড
বরষার কফি শপে
ক্লান্তিহীন বসে.........
{৩৮}
লক্ষ্মী পূর্ণিমায় রামসাগরে ঠিকরে উঠেছিলো দুই ভিন্ন বরণ জোছনা। মনে পড়ে রূপসাগর বুকে ধরেছিলে- দিনাজপুর ।
{৩৯}
ঐ চাঁদে ছুঁড়ে মার সম্মোহন তীর
কিউপিড, মোহন আঘাতে আঁকো
মঙ্গলতিল; আদি পুরাণের কোনো এক
রাত থেকে তুলে নিয়ে বিরল চাঁদনি
সব মায়াবাদী করে দাও শিকারী মানুষ
{৪০}
সমস্ত শ্বাপদ নিয়ে ঘুমিয়ে গেছে রাত, আফ্রিকা-
সাভানার পূর্ণিমায়
দাঁড়িয়ে আছে এক রূপকথার জেব্রা
{৪১}
প্রিয়তম কবি
তোমারই কবিতা শুনি,
নৈঃশব্দ্য যেমন শোনে
এই শহরের রাত্রিমগ্ন গাছ
{৪২}
কবিতা
শেষ না করা সকালের কফি
কফি কাপে অন্তহীন ধোঁয়া
কবির টেবিলে বিকেলের ছায়া পড়ে
তবু উষ্ণতা
.....................কবিতা
{৪৩}
কী করে বুঝবে!
চোখে কাজল
ঝিনুক পুষেছে চোখের জল
{৪৪}
কিছু আত্মহত্যা প্রবণ পাখি
উইন্টার ফরেস্ট থেকে উড়ে গিয়েছিলো
সূর্য লক্ষ্য করে, জীবন-আনন্দের দিকে...
{৪৫}
যত মায়া হয়ে ওঠে ধ্রুপদী কাজল
রাতভোরে ঢেকে রাখে রাতভরা জল
{৪৬}
সুদূর তিব্বতী লুপ্ত হাট থেকে তোকে কিনে দিয়েছিলাম তাম্র নূপুর। নদীর পথে থাকিস তুই, নদীর নাম সন্ধ্যা, তাই তো তোর দুই পা ডোবেনি... বাজনা থামেনি!
মৃত্তিকা সাড়া দিলে
প্রতিমা হবেই বলি
আঙ্গুল হবে দশটি রঙতুলি
{২}
দিন যা পারেনি
দৃষ্টিতে,
দেখলাম শ্যামরাত্রিতে
{৩}
খুব খুশির স্বপ্নে
ঘুম ভেঙ্গে যেতে পারে
তবে আর ঘুম আসবে না
{৪}
রুপাজলে ভোল, মন - মন তুই মাছরাঙা শিকার ভুলে যা
{৫}
হে রুদ্র পুরুষ, এই ভেজা দুপুর তোমার বিরহ বেলার কথা
{৬}
ভুল সময়ে নীরব থাকা ভাল
ভোরে যে সুধাবর্ষী পাখি
অন্ধকারে মৌন থাকে সে
{৭}
ছুটে যায় নির্বোধ হরিণ-মন
-মুখ তূণীর তার
{৮}
হাওয়ার ইয়ারফোন সারাক্ষণ গুন গুন নাম ...
ইয়ারফোন ক্যান কিল ইউ!
{৯}
ভাইনইয়ার্ডে পড়ে ছিল
একটা সকাল
সন্ধ্যার গ্লাসে
ছড়িয়ে যাচ্ছে এখন
হীরের বুদ্বুদ
{১০}
কোন্ পথে চলে গেলে
লাল ফিতে চুলে দোলা
নামতা শেখার দিন
{১১}
এখনো স্পষ্ট আছে চোখের স্ন্যাপশট, একটি শিশির জড়ানো লেবুফুল
এই কবিতা টেবিলের চারপাশে সতেজতা দিয়ে যায় সে
{১২}
শ্রাবণঝড়ের খোলা জানালা্র একটু আড়াল,
খোঁজের ঠিকানা-
কবিতার মিষ্টিক স্পট
{১৩}
এই পাখনায় এনেছি নৈকট্য
গল্পের হাসি
এই ঘাসের শরীরে মিশে মিশে
আমাদের মন লীন উষ্ণ হরিৎ
বন্ধুরে জানিয়েছি খুব ভালবাসি
{১৪}
একটি চোখের জমিনে আবারও দেখলাম তারার অক্ষরে লেখা- রেঁনেসা
{১৫}
বিনোদ রাতের পাশে শুয়ে আছি রুহানীর শ্বাস
আঁধার চিবুক ভাঁজে শ্যাম কার মুখ!
জ্বলে জ্বলে নিভে যাওয়া বাজীর আলোয় রাত জ্বলে নিভে ওঠে
আর আমি তারার সারিতে খুঁজি দীপ্তির নাম
- প্রদর্শিকা
{১৬}
রাত পোহালেই আষাঢ়
আকাঙ্খার হাওয়া উড়িয়ে নিয়ে চলেছে মেঘ
ভার্জিন ফরেস্ট
{১৭}
আকাশে এক নেশারঙিন ঘুড়ি। এরকম সবার আকাশেই ওড়ে নাকি স্কুলভাঙ্গা বালকের মত মেঘ ছোঁয়া মোহ? মন জুড়ে চৌরঙ্গীর মেলার ঢাক বাজে। সবাই ভীষণ শুনি উড়ানের করতালি..... জলদি আঁধারের সীমানা পেরোও ঘুড়ি- খুব বেশি দিন ধরে রাখা যায় না জেনো ছন্দ পাওয়া মন।
{১৮}
এখন দিন চুপ করে থাকো
তোমার সূর্যকথাটি তুলে নেবে শেষে এই দীর্ঘ অপেক্ষার শ্রবণ
বার্চবনে শুনে নেবে
কৃষ্ণতারার মত রাতের হুইসপার
{১৯}
ঐ দূর দূর
আলোকবিন্দু দেখা যায়
--- ----- ------ আসছে
ভোরতারা মেইল
সকাল যত না ছিল চলে গেছে নয়নতারার বাড়ি
আমি রাতের প্যাসেঞ্জার
ভোরতারা মেইল আসছে ......
{২০}
আস্তিনে তুরুপের তাস
চোখ উল্টো আঁকে মন
ছল ভরা এই খেলা শোন্
মিছেমিছি যুদ্ধ তালাশ
{২১}
বর্ষা সবার নয়
বর্ষা আমার
বর্ষা তাহার
{২২}
যদি চন্দ্রিমার সটান রাস্তা সার সার কৃষ্ণচূড়াকে মেঘ নামে ডাকে, তবে মেঘও উজ্জ্বলা হাসি
{২৩}
অজানা জ্বর
রাত থেকে মিলিয়ে যাচ্ছে ঘুম স্বপ্ন সকাল
এই অনন্ত চুপে অক্ষিগোলকে আবারো পারদ ছেটানো জ্বালা,
এই চোখ
এই আয়না জানে-
তার দিকে চেয়ে চেয়ে যত সন্ধ্যার রূপটান
তার জন্যে ছিলো না কোনদিন
{২৪}
একটি সেকেলে ভাবনা শহরতলীর ডাকঘরের বারান্দায় বসে আছে
{২৫}
প্রাচীনকথা নয়, তবু তার মতই
হু হু বুক ছবি
ক্ষয়ে যাওয়া ধারন
লাল ইট
জাফরি জানালা থেকে শুরু হয়ে অন্ধকার কোথায় চলে যায়...
স্থির ছবি বেশ ক’টা
ওরা প্রাচীনকথা কিছু নয়
পানামনগরে পিকনিক
সুদূর অতীত কিছু নয়
{২৬}
সকল প্রদক্ষিণ সূর্য মনে রাখে
তবু স্থির থাকে
দূর রাখে
{২৭}
দুপুর আদর রেখে জাপানী পুতুলে
বাবার আঙ্গুল ছেড়ে যেদিন ইসকুলে
কান্নারা জানালায় খুব মেলে থাকে
বাবা নেই তবু খুকি চোখ জুড়ে রাখে
চোখ জুড়ে রাখে খুকি যত ছেড়ে থাকা
স্কুলের জানালা থেকে শুরু খোঁজ রাখা
{২৮}
সব নূপুর
ছন্দ না
সব ময়ূর
নাচবে না
{২৯}
তোর চোখের সব কথা বৃষ্টি বলে না
মাঝে মাঝে বৃষ্টিতে মিশে থাকে হাসির এলিক্সির
{৩০}
রূপের বজরা তুমি দক্ষিণে যাও
আরো আরো দক্ষিণে সুন্দর
রহস্য বিস্তৃত বন
....... সিক্রেট হানি
{৩১}
গ্রাস কর গহন
বৃষ্টি ঝরার আলো
আমি গন্ধরাজ বনে
ময়ূরতারা প্রজাপতিকে
হাতের আবডালে বসতে দিয়েছি
জলের আঘাতহীন তার বর্ণনীল পাখা, শত পুষ্প শরীরে ফুটে ওঠে
শত পুষ্প শরীরে ফুটে ওঠে বিন্দুনীল সোহানা সকাল
{৩২}
বৃষ্টিবনে হারিয়ে গিয়েছিলাম একদিন
পথ খুঁজতে গিয়ে কুড়িয়ে পেলাম এই পার্ল-হোয়াইট মার্বেল
এখন রেখে দিয়েছি আমার কবিতা লেখার টেবিলে
তার শরীর ছোঁয় এই আঙ্গুল থেকে অক্ষর
অক্ষর থেকে জলকান্নার ক্যারেস
অঝোর ঝিরির একদিনে
সেই পাথরে তাকিয়ে বলি-
-- তুমি !
{৩৩}
দূর নীল সীমান্ত চুপ
ওখানে পাহাড়
ওখানে এখানকার মত নয়
সন্ধ্যা নয় ঐখানে
আরও একটু অস্পষ্টতা
ঘর-বাড়ি
আলো-ছায়া ঢালে
বাষ্প স্নাত আয়নার
মুখের ছাপের মত
মেঘালয়
কে যেন বলেছিল
সুদীপ্ত আলোর বাড়িটি তার
সীমান্তে তাই নিষ্পলক চোখ
আলোর তালাশ তালাশ
একসময় সমস্ত শরীর থেকে
পাহাড়ের আলো নিভে যাবে
শুধু তার দেশভর তারা জেগে রবে
ঐখানে জানি
আরও একটু অস্পষ্টতা
বাষ্প স্নাত আয়নার
মুখের ছাপের মত
দূ............ র স্ব র্ণ তা রা র দে শ
মেঘালয়
{৩৪}
অলৌকিক মুখটি ঘিরে
নিয়ন জোনাক,
সময় ঘুমিয়ে পড়ে-
এরপর ঘুমিয়ে পড় তুমি
এই নগর-সড়ক অন্যমনস্ক পায়ের স্পর্শে অনভ্যাসে তীব্র মায়ায় জেগে ওঠে
দেখে, নিয়ন জোনাক মিটিমিটি
আনমনে হাঁটি আমি
রাত
রাত আমার চব্বিশ প্রহর
সময় ঘুমিয়ে পড়ে
অলৌকিক মুখটি ঘিরে হায়......
{৩৫}
সবসময় উইশ করি না তো!
ঘুমন্ত শিশুর মুখের মত একটি সকাল দেখলেই শুধু বলি,-
বন্ধু সুপ্রভাত -
{৩৬}
আয় সব স্নান নিয়ে শ্রাবণ চলে আয়......
{৩৭}
আষাঢ়,
অতোটা নিঃসঙ্গ না হলেও কেউ
বাধ্য কর এই উদযাপন;
সলিটিউড
বরষার কফি শপে
ক্লান্তিহীন বসে.........
{৩৮}
লক্ষ্মী পূর্ণিমায় রামসাগরে ঠিকরে উঠেছিলো দুই ভিন্ন বরণ জোছনা। মনে পড়ে রূপসাগর বুকে ধরেছিলে- দিনাজপুর ।
{৩৯}
ঐ চাঁদে ছুঁড়ে মার সম্মোহন তীর
কিউপিড, মোহন আঘাতে আঁকো
মঙ্গলতিল; আদি পুরাণের কোনো এক
রাত থেকে তুলে নিয়ে বিরল চাঁদনি
সব মায়াবাদী করে দাও শিকারী মানুষ
{৪০}
সমস্ত শ্বাপদ নিয়ে ঘুমিয়ে গেছে রাত, আফ্রিকা-
সাভানার পূর্ণিমায়
দাঁড়িয়ে আছে এক রূপকথার জেব্রা
{৪১}
প্রিয়তম কবি
তোমারই কবিতা শুনি,
নৈঃশব্দ্য যেমন শোনে
এই শহরের রাত্রিমগ্ন গাছ
{৪২}
কবিতা
শেষ না করা সকালের কফি
কফি কাপে অন্তহীন ধোঁয়া
কবির টেবিলে বিকেলের ছায়া পড়ে
তবু উষ্ণতা
.....................কবিতা
{৪৩}
কী করে বুঝবে!
চোখে কাজল
ঝিনুক পুষেছে চোখের জল
{৪৪}
কিছু আত্মহত্যা প্রবণ পাখি
উইন্টার ফরেস্ট থেকে উড়ে গিয়েছিলো
সূর্য লক্ষ্য করে, জীবন-আনন্দের দিকে...
{৪৫}
যত মায়া হয়ে ওঠে ধ্রুপদী কাজল
রাতভোরে ঢেকে রাখে রাতভরা জল
{৪৬}
সুদূর তিব্বতী লুপ্ত হাট থেকে তোকে কিনে দিয়েছিলাম তাম্র নূপুর। নদীর পথে থাকিস তুই, নদীর নাম সন্ধ্যা, তাই তো তোর দুই পা ডোবেনি... বাজনা থামেনি!