পত্রালিকা - ৩
১.
একটি চুম্বনে মেঘরোদ্দুর
একটি মুক্তা আছে ঝিনুক তনয়া
একটি মুখের কাছে পাতার বাহার
পাতাবাহারের কাছে বসন্তের মদ--
সবকিছু মরে যায়।
চোখের স্বপ্নরেখায় নির্জনের নদী
শুধু পলাতক বেঁচে থাকে,
নদীরা ঘরে ফেরে না কোনোদিন।
২.
কে আছে দরজার ওপাশে?
স্নেহ তো দৃশ্যমান নয়
রাত্রিভরা মুখ নিয়ে
গানের কান্না কে আঙুলে ঝরায় !
শহরের সমস্ত ডোরবেল
একটি নাম শিখে করে মায়ার প্রচার...
৩.
বিজন বনে গেরুয়া কুটিরের মত
এমন একাকী রূপ নিয়ে
বলে যাচ্ছো- অভিমান অভিমান !
অভিমান জমে আছে বলা কি মানায়?
সে এমন ভীষণ আপন
তবে এখনও জড়িয়ে আছি বেদনায় আছো বলে
বেদনায় আছো বলে এখনওতো ঘুরে আসো
লুপ্ত পানাম নগর
৪.
রক্তকণায় কিশোর কিশোর আলো
বকুলপাত তোমার লাগে ভালো
চোখে লেগে আছে ঝুলন সন্ধ্যা বেলা
মরফিন বর্ষাগন্ধ ফুল
রক্তকণায় কিশোর কিশোর আলো
অশ্রুপাত তোমার লাগে ভালো
৫.
আর আমিতো একজনই কেবল !
ওইটুকু চিবুকের কাছে সমস্ত বেদনা ভরা মানুষ হারিয়ে গিয়েছে,
ওইটুকু চোখের কাছে দূর দূর নিঃসঙ্গ সৈকত।
আমার আঙ্গিনা আর কত বড় বল?
একটি হাসির দ্বিধায় ফিরিয়ে নেবো না জেনো
এই গল্পের অনুরোধ।
৬.
ওইখানে যেও না আর
ওইখানে রঙবহ্নিমান
বরং তুমুল জ্যোৎস্নাপাতের রাতে
আয়না দেখ- একা হও
ওইখানে যেও না আর
যেখানে বাগানে দাঁড়িয়ে কেউ
একটি পুষ্প দাও বলে বলে প্রসন্ন ধূপ
৭.
অন্তরাল ছিল, তার ছিল পরিণাম
চুপিসাড়ে তবু জাগে আলতাপাখির নাম
৮.
অতীত হীনতা খোঁজে
সব্বাই, সমস্ত মন।
রটেছে লেটারবক্স--
নীল নীল চিঠিরা সকল।
হিমানীর কাছ থেকে
আর যারা পেয়েছিল
বসন্ত শাড়ি উদাসীন-
একটা অন্ধ তির,
একটা পাপিয়া মরন।
৯.
একটি চুম্বনে মেঘরোদ্দুর
একটি মুক্তা আছে ঝিনুক তনয়া
একটি মুখের কাছে পাতার বাহার
পাতাবাহারের কাছে বসন্তের মদ--
সবকিছু মরে যায়।
চোখের স্বপ্নরেখায় নির্জনের নদী
শুধু পলাতক বেঁচে থাকে,
নদীরা ঘরে ফেরে না কোনোদিন।
২.
কে আছে দরজার ওপাশে?
স্নেহ তো দৃশ্যমান নয়
রাত্রিভরা মুখ নিয়ে
গানের কান্না কে আঙুলে ঝরায় !
শহরের সমস্ত ডোরবেল
একটি নাম শিখে করে মায়ার প্রচার...
৩.
বিজন বনে গেরুয়া কুটিরের মত
এমন একাকী রূপ নিয়ে
বলে যাচ্ছো- অভিমান অভিমান !
অভিমান জমে আছে বলা কি মানায়?
সে এমন ভীষণ আপন
তবে এখনও জড়িয়ে আছি বেদনায় আছো বলে
বেদনায় আছো বলে এখনওতো ঘুরে আসো
লুপ্ত পানাম নগর
৪.
রক্তকণায় কিশোর কিশোর আলো
বকুলপাত তোমার লাগে ভালো
চোখে লেগে আছে ঝুলন সন্ধ্যা বেলা
মরফিন বর্ষাগন্ধ ফুল
রক্তকণায় কিশোর কিশোর আলো
অশ্রুপাত তোমার লাগে ভালো
৫.
আর আমিতো একজনই কেবল !
ওইটুকু চিবুকের কাছে সমস্ত বেদনা ভরা মানুষ হারিয়ে গিয়েছে,
ওইটুকু চোখের কাছে দূর দূর নিঃসঙ্গ সৈকত।
আমার আঙ্গিনা আর কত বড় বল?
একটি হাসির দ্বিধায় ফিরিয়ে নেবো না জেনো
এই গল্পের অনুরোধ।
৬.
ওইখানে যেও না আর
ওইখানে রঙবহ্নিমান
বরং তুমুল জ্যোৎস্নাপাতের রাতে
আয়না দেখ- একা হও
ওইখানে যেও না আর
যেখানে বাগানে দাঁড়িয়ে কেউ
একটি পুষ্প দাও বলে বলে প্রসন্ন ধূপ
৭.
অন্তরাল ছিল, তার ছিল পরিণাম
চুপিসাড়ে তবু জাগে আলতাপাখির নাম
৮.
অতীত হীনতা খোঁজে
সব্বাই, সমস্ত মন।
রটেছে লেটারবক্স--
নীল নীল চিঠিরা সকল।
হিমানীর কাছ থেকে
আর যারা পেয়েছিল
বসন্ত শাড়ি উদাসীন-
একটা অন্ধ তির,
একটা পাপিয়া মরন।
৯.
বনের রঙে জোছনার কুমকুম
ঘুমলীন বন জেব্রারা ঘুমিয়ে থাকে তার মাঝে সূর্য চিহ্নিত পালকের মুকুট পরে দেদীপ্যমান কে তুমি বাড়িয়ে চলেছ বনবাস সমস্ত তীর্থ আকাঙ্ক্ষা আমার আলো দিয়ে দিয়ে রাতের তারারা সজল হয়ে ওঠে তৃষ্ণার দেহ, তীর্থের পথে নামি এখানে নির্ঝর তুমি এখানে নির্ঝর তুমি...
১০.
সে কি বিজলী রেখায় দেখা মেঘ রাতের কথার টান, বিকেল অনেক ! ওসময় হাত পেতে বলনি কি তুমি? 'নির্জন চোখ থেকে ছায়া নেব আমি। --তন্ময় ছায়ারা কোথায়, মনেরেখো কারে বলা যায়?'
১১.
দূরতম পাহাড়ের সবুজ প্রপাত চোখের মুদ্রার তা তা থৈ এখনও সুমুদ্রিত আছে; হারিকেনের আলোয় দেখা সিঁদুরচিহ্ন আজো শুভঅন্ধকার। সন্ধ্যাবিজড়িত বনে সেই রাত্রি শোনা যায়।
১২.
শীত কি বিষণ্ন খুব হেমন্তের হাসির পরে একাকীর রোদ শিরশিরে হাওয়ার জখম শীত কি বিষণ্ন খুব আরও আরও দিতে চায় জ্বর
১৩.
মুখরিতা পিয়াইন, তুমি দিলে মূর্ছনা ওগো প্রাণবতী নদী -- হাতে এনে দিলে পথভোলা রূপকথা মোহের শতনাম, সূর্যতরুণ ঘুঙুর আর কিছু স্মরণচিহ্ন দিলে চুপিসাড়ে - মনের অনুগত। যেইখানে তোমার স্রোতের সঙ্গোপন জন্ম দিল মননির্ঝর নিমজ্জিত জন্মবসতি আমার।
১৪.
এখনো তাকিয়ে আছে তারার আকাশ তবে আরো কিছু শুনে যাও স্বর্ণলতা আরো কিছু শুনে যাও মন্দ্রবাণী; সেতারের মীড়ে নাচে বুকের পাতাল আঙুলে ছড়িয়ে থাকে রক্তরেখা এই ধীর মধুর তানে রাত্রিধারা আরো কিছু মেখে যাও রক্তআঁধার...
১৫.
অন্ধকারের নীল তারারে পরেছি যে রাখী আলোর রাখী ভুলিয়ে রাখে একলা পাওয়া মন ছায়া দূরের বন যেখানে ফাগুন মুখর পাখি প্রান্তরেরই গানের মাঝে উদাস নিরঞ্জন
১৬.
সময় যাপন হোল নিভৃত আমার ঝরোকা ছড়িয়ে দিলো বাউল হাওয়ার বোল জানিয়ে দিলো সমস্ত পরাগযোগ একটি পলকপাতে আমি অন্যমন, সুদর্শনা... ১৭. বাতাসে মিহিন ওড়ে মৌতাত কাচ মাঞ্জার ঘুড়ি। গোধূলিরেখা রক্ত লাল ঈপ্সার তৃণ ঘিরে খরার হরিণ আর তুমি অন্যমনে সময় ভুল কর; একটি ঘুমের মাঝে এলিয়ে পড় ড্যান্স পার্টনার। ১৮. শূন্যতার কাছে আছে রুপোর পলিস প্রসারিত হস্ত সংকেত, তার মাঝে ডুবে যায় যতসব শ্রাবণলীলা সান্দ্র বেদনা। প্রিয়তম অসুখ, তার হলদেটে চোখ এর কিচ্ছু জানে না। ১৯. কিছু কথা বলা ভাল, দূর আমারও প্রিয়- যেন পাব প্রাত্যহিক কুশল সংবাদ হলদে খামে নিজেকে ভাঁজ করে পাঠাবে কেউ ওড়নার ঔদাস্য রূপবীথি, করুণ লণ্ঠন কিছু কথা বলা ভাল তবু মনে হয় তুমি তো তোমার আপন, আর কেউ নয়? |
|
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন