পোস্টগুলি

জুলাই, ২০১৫ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

তারা ফিরেও না যায়

তারা জানে মায়াবিদ্যা বন্ধুতার সজলশরম হাসিঅশ্রুজল তারা আসে নদী নির্জন বেয়ে বৃন্দার মার্মেইড এইখানে   চুম্বন করেছি হিমি রাত্রির চোখ আদি মহান্ত যেন জপেছি সোহম সোহম পুষেছি ছায়াপাখি-- এই নৈশ নৈশলোক সিদ্ধার্থ স্নান শেষে জীবন করেছি মিত্রাক্ষর বুকে ধরেছি বজ্রনাদ                   স্মৃতিকাল এই আশ্রম বেলির ছায়া অন্ধকারের শীত... কারা তবে শস্যের সুগন্ধ নিয়ে আসে বাজায় সূর্যকন্যার রক্তিম রক্তিম চুড়ি   গায় তন্মনা সাহানা সুর আগরের বন ধরে ধরে আসে এই বিরলতা অমিয় চোখের আশ্রমিকা, তারা ছড়াকেটে ছড়াকেটে                  স্বপ্নরত ঘুম                        আজীবন

পারাপার

মন কিছু জানে, তারার লাস্যে লীন রাত্রির কথা চোখের তুবড়ি থেকে রঙমশাল এখনও পুষ্পবিরাগী কেউ ভুলে আছে নৃত্যবিহার ডমরুর ধুন কার নিজের ছিল দূরান্ত বাগান শিকারের ট্রেঞ্চ গদ্যের এপিঠ-ওপিঠ রাইফেল           এস্রাজ আরও কিছু খানিক অনুনয় এই তো আর ক’দিন পর শরৎ খিলখিল তাম্রাভ পৃথিবীর পারে ঢুলুঢুলু নদী কান্তপ্রহর কেউ ভোলাবে না

নাগরিকা

কত জলে জ্বলে ওঠে পুষ্পিতা বন, নাগরিকা তুমি জান নাই দেখ এই ম্লান মৌসুম চলে যায়... উড়ে আসে প্রীতির পায়রা গ্রীবার চলনে তার সন্ধ্যা মুখর। এই নীলনির্জনে শূন্যতা শরীরে মাখো এই বর্ষার জলময় ধীর সময়, এই থিতোনো সন্ধ্যার মত আলোয় আমাদের ছলোছলো যুগলবন্দীতে কোন বৃষ্টিবন রেশমরঙিন... আজ হাসির শিমুল দিয়ে রক্ত মুছে ফেলি নির্লিপ্ত হেঁটে যাই আষাঢ় ক্যারাভান কত জলে হেসে ওঠে পুষ্পিতা বন, নাগরিকা তুমি বোঝ নাই,- আমি এক বিমর্ষ মন্ত্রের মত তোমার শ্রবণে ঢুকে পড়েছি তুমি কাঁদছ...

ভোর চিঠি

আকাশ জ্বললে আমি দ্রুত ছাদ থেকে নেমে পড়ি, চাঁদকণা উড়ে আসে বাতাসে। জানালার ফ্রস্টেড গ্লাসে শিউলির গালছাপে হাত বুলিয়ে দেই। সুন্দর নিষ্ফলা বড়; রাত্রি জাগিয়ে চলে- গাছ নদী শিউলির তাথৈ বেদনা। নৈঃশব্দ্যের কোলাহলে সজাগ ঘুমের প্রেরণা জেগে থাকে- জেগে থাকে আদিম আগুন, জেগে থাকে ঐ দূর থেকে ভেসে আসা রাতের ট্রেনের হুইস্যাল। ভাঙ্গাচোরা শুরু করে ছায়ার নেশার অভিশাপ। অনভিজ্ঞ হাত নাহয় পাতাই স্পর্শ করেছিলো বেখেয়ালে। তাতেই ঘুমিয়ে গেছে হরিৎ প্রহর - লজ্জাবতীর মুখ! জীবনের মৃত্যু হয় না তো, হারিয়ে যায় শুধু। মুখর নির্জনতায় অন্ধকার রেখে যায় দূরতার হাহাকার। তার দেশে উড়ে চলে ঘূর্ণি মেঘের তুরপুন... গভীর - গভীরতর রাত প্রলয় ঝুমুর। ভোরের আলোয় ধীর লয়ে খুলে যায় বীজকোষ, কোমল পাতার মুখে আদি সবুজের ছাপ...আমি চিৎকার করে উঠি, শোন! গত রাতের অন্ধকার, এই শমী সবুজের আলো দেখে যাও, দেখ শিশু সূর্য গড়িয়ে পড়ে ফুলঝুরি হয়ে; কে এসেছে দেখে যাও চোখের আলো- অতীত হেসেছে দেখে যাও।