পোস্টগুলি

জুন, ২০১২ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

আবার খেয়াল

{১} মৃত্তিকা সাড়া দিলে প্রতিমা হবেই বলি আঙ্গুল হবে দশটি রঙতুলি {২} দিন যা পারেনি দৃষ্টিতে, দেখলাম শ্যামরাত্রিতে {৩} খুব খুশির স্বপ্নে ঘুম ভেঙ্গে যেতে পারে তবে আর ঘুম আসবে না {৪} রুপাজলে ভোল, মন - মন তুই মাছরাঙা শিকার ভুলে যা {৫} হে রুদ্র পুরুষ, এই ভেজা দুপুর তোমার বিরহ বেলার কথা {৬} ভুল সময়ে নীরব থাকা ভাল ভোরে যে সুধাবর্ষী পাখি অন্ধকারে মৌন থাকে সে {৭} ছুটে যায় নির্বোধ হরিণ-মন -মুখ তূণীর তার {৮} হাওয়ার ইয়ারফোন সারাক্ষণ গুন গুন নাম ... ইয়ারফোন ক্যান কিল ইউ! {৯} ভাইনইয়ার্ডে পড়ে ছিল একটা সকাল সন্ধ্যার গ্লাসে ছড়িয়ে যাচ্ছে এখন হীরের বুদ্বুদ {১০} কোন্ পথে চলে গেলে লাল ফিতে চুলে দোলা নামতা শেখার দিন {১১} এখনো স্পষ্ট আছে চোখের স্ন্যাপশট, একটি শিশির জড়ানো লেবুফুল এই কবিতা টেবিলের চারপাশে সতেজতা দিয়ে যায় সে {১২} শ্রাবণঝড়ের খোলা জানালা্র একটু আড়াল, খোঁজের ঠিকানা- কবিতার মিষ্টিক স্পট {১৩} এই পাখনায় এনেছি নৈকট্য গল্পের হাসি এই ঘাসের শরীরে মিশে মিশে আমাদের মন লীন উষ্ণ হরিৎ বন্ধুরে জানিয়েছি খুব ভালবাসি {১৪} একটি চোখের জমিনে আবারও দেখলা...

অক্টোবর

খবরাখবর নিলে বলতে পারি বৃক্ষরাই অক্ষর লিখেছে হাওয়ায় আমি কোন্ আক্ষরিক ! নৈকট্য চেতনা নাশক তবু খোঁজ নিলে বলতে পারি- ক্রান্তদর্শীরা কবিতা লেখে না শীতের কিছু আগের ভোরকালে তুলে রেখেছিলাম শরাব-সুরাহী শত সন্নিধান রাত্রির অপচয় ভুলে গিয়ে চোখ রেখেছিলাম অক্টোবর মর্নিং ...... অ্যাজুর আকাশ দেখি নীচে ফাঁকা অঞ্জলীর মন্ডপে আরাধনা অমান্য করে গেছে বন বালিকার নির্ভয় শোক করা অনুচিত ট্রেসপাস, খুনেরা মৌসুম, ঘাস শিষে শিশিরের ফুল জেনো সব বৈধ আছে, ইয়ারা অক্টোবর! না হয় বুঝিনি কিছু সময়সংকেত দোঁহা’র লাগি গান; এখন তো চলে গেছে প্রতিদানহীন চীবর দান প্রথা বলি,- সর্বদ্রষ্টা নয় ওয়ার্ড পেইন্টার; অক্ষরে আঁকা জানে নাই, কিছু অজানাই কবিতার মেরুন মলাট

মুসাফিরি

আকাশ ভোলেনি ঘুমপনা- বলে ভোররাতে আদুরে তারার মুখে রব প্রার্থনা হয়ে গেছে কিছু দূর তেলাওয়াত সুরে মন বরষায় নামে বিমনা আকাশ তার বাড়ি নামে মোহন পাখায়, যার বাড়ি রূপকুমারী ডোরের আরেক নাম নামডাকা পাখি সুবে-শাম আবডালে ডাকে; রুহানি তালাশে আকাশের মন মানে না যে তাহারে দেখে না- দেখে না যে; শুধু অন্তরে আলেয়ার আলো আফসানি ভোরের আরেক নাম আলো শ্রমণের লালমাটি পথে শত রাতজোছনার ছায়াটান ছোপ ছোপ আলতার ছাপে ঠিকানার প্রশ্নবিদ্ধ নাম শ্রমণ ভোলেনি এ পথ অন্যনামে বিমোহ সরণী, জানে মায়াঘর মর্ত্যলোকের আদিবাস আরো জানে নিধুবনে হাসি আর শোক পাশাপাশি, চেনে রক্তআলতা পা বাসন্ত নির্জনা নারী জানে- জলকথা কবে বালিয়াড়ি তাই আকাশ ভোলেনি ঘুমপনা- বলে, নীলতারা ঘুম দেখে যাব মুসাফিরি ক্লান্ত চোখে তাও সুছন্দ নৌকো ছায়ায় জল হব

একটি মোহের নাম- মন

আলীবাবা তস্কর, মর্জিনা নাচের শেষরাত পরও আমরা দেখলাম‌, ‘ছল বল কৌশল’ ব্যবহার; চিরজাগ্রত সিদ্ধার্থ হে, ক্ষমা কর নির্বাণ বিশাল প্রাণের, আমরা ক্ষুদ্র খুব মৌলিক মিলিয়ে চলি শুধু, নয় লিখি সুইসাইড নোট আমাদের হাতের ওপাশে থাকে রুপোর ম্যান্ডোলিন তবু ইচ্ছে করে মাঝেমাঝে অত বৃষ্টির পরে জলকণা ফুঁড়ে ছড়িয়ে পড়ি খুশির প্রিজম লাইট। বাজীর ঘোড়ার নাম ড্যান্সিংকুইন, বাজীখোর হয়ে ময়দানে আছি হে প্রবুদ্ধ সুন্দর, আমাদের বৃক্ষরা কাঁদে চোখবুজে থাকে গহীনের আলেয়াকিশোর আর মাঝেমাঝেই এরকম আমাদের শরীর জুড়ে পৃথিবীর ঝর্না বয়ে যায় কবিতারা কবুতর... উড়ে যায় নীলগিরি বন আমাদের একটি মোহের নাম- মন

খেয়ালী লেখা - এবার পঞ্চাশটি

{১} স্ট্রবেরীতে গোপন চোখ আর মৃদুলাও দৃষ্টি প্রবণ {২} চারুসাজে ফোটাও দেবশিশু, প্রাণের প্রতিমা গড় তুমি। বোধনের বেলা হয়ে এলো, এখনই অধীর সবাই ছুটে যাবে। আশু খুলে যাবে জোছনা কপাট। আমি তবু তোমারেই দেখি। তোমারেই দেখি, শিল্পী প্রীতিভাজনেষু। {৩} কবে তোর মোহন গাগরি থেকে দহন দুপুরে দিলি আঁজলায় জল, ঠোঁটে তুলে থমকে গিয়েছি, দেখি করতলে মুখ তোরই দোলে; সেই রূপবারি ছড়িয়েছি আজ খুঁজে নেরে বৃষ্টি মিছিলে। {৪} মোহন বাঁশিও শ্মশান সুর তোলে ভুল থেকে অভিমান হলে {৫} রোদের পাখিরে তোর তৃষ্ণা নিয়েছি, আমি বরষায় আছি। {৬} চোখ মুছে ফেলো না আকাশ ঐ চোখে কাঁপে ঝিলমিল ঈশানের না জানা নীল {৭} দিয়া জ্বলে অন্ধকারের মত জ্বলে শংকরী'র দোরে কড়া নাড়ে শুধু বর্ষা বাতাস {৮} ঘরে আর ফিরছি না পল্লবী ঘর হবি? {৯} ওরকম স্নেহকথা কেউ জানে না সাদা শাড়ি-তে ঘুমের মত ঘ্রাণ তোমার ঘোলা চোখে আদরের মত জল উঠোনে আচার বয়ামে তোমার যত্নস্বাদ হরিতকি গাছের নীচে তোমার ভিন্ন রান্নাঘর পাথরের থালা আর গ্লাসে শুদ্ধ ঝিলিক... ওরকম শুচিস্নিগ্ধ ছাপ আর যে মেলে না ভোর সাতটায় ট্রেন আসে এখনো ঠাকুমা ভোর রাতে পুলি পিঠে ...