পোস্টগুলি

অক্টোবর, ২০২৪ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

বেতফল

কবিতা মানেই সেতু। চিত্র নীরব, কবিতা তার বলা কবিতা মানে বনিতার চোখের জল জলছবির সারল্য বেতফল বলেছিল জীবনানন্দ যেখানে শব্দের প্রয়োগ অর্থপূর্ণ যেখানে প্রান্তরের পার থেকে হাওয়া আসে আঁধার আলোর মত হয় এই আরাধনাশীল জীবন থেকে চোখ পাতি চিত্রাহরিণে কারু খচিত আকাশে দেখি গার্গীর শাড়ি পরশুরামের নেয়া ক্ষত্রিয় রক্ত আর তাঁর আবির্ভাবের কথা মনে করে আস্তিন গুটিয়ে চলি কার্ট্রিজে ভরে নেই বুলেট তবু এই রাত্তিরে ভাবি ছায়া তার অস্তিত্বের জন্য আলোর কাছে ঋণী কর্ম ছুটিতে যায় গান ভেসে আসে কবিতা নলবনে হাওয়ায় ভেসে আসে

বৃষ্টি ও পাপ

দেখ স্বর্গ এ দুনিয়ায়  ছুটে শুধু আসতে চায়  বলে স্থান দিওগো আমায়   মুক্তাকে বের করে আনো  অদ্ভুতকে প্রকাশ্যে জানো  সব যেন অর্থ  খুঁজে পায়  ক্ষমা যে তোমার হাতে  এই ঐশী ক্ষমার রাতে  লাবণ্যরেখা ঘেরো মন  দেখো মানুষ জ্যান্ত পোড়ে  এই পৃথিবীর চক্করে  দয়াবারি ইচ্ছে এখন  তুমি নত হও, শোনো   জলধারা নতমুখী মানো  পড় মাহমুদ দারবিশ  ফুল কাঁটার ওপরই হাসে  জল পিপাসাকে ভালোবাসে  এই স্নেহে কবিতা লিখিস   দেখ একটি নিভৃত পিন অহং সে প্রতিদিন  রক্ত ঝরে রক্ত ঝরে পরে  আমি চাই বৃষ্টি ও পাপ  একসাথে থাকুক আলাপ  একসাথে যেন বাস করে        

মিউজিক

গালিব বলে, ফুলেরা কানে শিশিরের তুলো গুঁজে রেখেছে তাই সে বুলবুলের গান শোনে না, অ্যাবস্ট্রাক্ট মোটিফ প্রিন্টের মত   গান আসলে নীরবতা থেকে বের হয়ে আসা শব্দ  শব্দরা  থেমে যায় যেখানে, সুর সেখানে কথা বলে  এই সময়ে, এই প্রায়ান্ধ দিনে  দক্ষিণেশ্বর পেড়িয়ে এই বেলুর মঠের নির্জনতায় মনে হয়  তোমাকে আমি গানের কাছে রেখেছি  জাদুর অন্যরূপে তুলেছি তোমাকে  বিরানতা ঘিরে ধরেছে   ঘূর্ণিস্রোতে মেতে উঠেছে ফুটে ওঠার ডাক, বলছে  -  সুরের সাথে থাকো

কারিগর

জানালার ছায়া শোনে রাংতার কথা  অনস্তিত্বে যে শান্তি আছে তা এই শরীরে কোথায়, তবে এ শরীরে কবিতা আছে। গানের হনন কথার  প্রয়োজন নেই কারণ সংসারীরা  আর গান শোনে না। আমি দু-জগত হত  আমার দোহার তোলে-  এই করিমের মরণ বাকি হইলো না অধর ধরা এভাবেই সব ধানের দোলের গান  শোনো ছায়াকর,  তোমার শরীর ঘেঁষে  যে  উপপথ চলে গেছে ঝুলনযাত্রায়-   যে কোঠাবাড়ির তুরানি মেয়েরা নেচেছিল,  ঝড়জলে নেমেছিল আয়নার কারিগর তাকে বলি, যাত্রা শেষ, এবার দেখাও  জ্যোতিঃপথ, পরিক্রমণ করি তোমাকে