পোস্টগুলি

ফেব্রুয়ারী, ২০১৭ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

পত্রালিকা - ১২

১. তবে আর কার কাছে যাবো? এবার বলেছি আমি তৃণ হই, মাটির গহনে তুমি মিশে যাও শেকড়ের মতো। তোমাকে গোপন কর, আর যদি সম্মুখে দাঁড়াও আবারো বলব - অই কাঞ্চনজংঘার সূর্যোদয়, তুমি কী দীপ্তি ছড়িয়েছো টিপে! মানুষের প্রিয় ঋতু জানতে চাইবে - কেমন আদরডাকে ঐ ঠোঁটে বাঁশি বাজিয়েছো কৃষ্ণকিশোর! এরকম সব প্রশ্নের কাছে পড়ে আছো জলে লেখা নাম এক উদাসীন মালা। তোমারও কি কেউ নেই? তবে আর কার কাছে যাবো! ২. সবার ঘরেই ডাকে সে, ডান হাত নেই, নীল চুড়িঅলা ৩. রোদের ভ্রমণ শেষে সন্ধ্যার সুদূর ডাকে ভিজে চোখ ভাসে তাকে আর কেউ না জানুক, ম্লান সন্ধ্যা জানে দেয়াল ধরে ধরে হাঁটে, তার ডাক প্রতিধ্বনিহারা নিঃসহায় মানুষের চোখের তারায় ভাসে তার শিশুর মুখ ঠোঁটে তার সেই ঘুমন্ত শিশুর দাগ, শস্য ফলে গেছে এবার বিদায় মুসাফির মৃত্যুর আগে স্মৃতির মুক্তি নাই হঠাৎ বৃদ্ধাশ্রমে বৃষ্টি নামে শীতে ইচ্ছে করে ভিজে যায় সে খালি গায়, ভিজে ভিজে সেই শিশুকে খুঁজে পায়- হারিয়ে গিয়েছে যে ৪. আর দেখি কী আলো শব্দঝিনুক গোপন করে রাখে চোখ দিয়ে ছোঁয়া যায় এত এত কাছে! আমাদের প্রেম নিয়ে চলে গেছ একা পলাতক চেয়ে দেখ এখনো ঘুম নেই চোখে, আমাদের চোখে তো...

পত্রালিকা - ১১

১. কোথা থেকে ধ্বনি জাগে কান্তিমান রাত্রি রাগে যে কাজল চোখে লাগে; কোন্ রাত এমন পাঠালো! তুমি কি রয়েছো ভালো? কমলের ভঙ্গী যার আছে পূর্ণিমা শাড়িটির কাছে সেই থেকে যে তিতির নেচে নিয়ে নিলো জনমের আড়ি, তার কাছে আমি যেতে পারি? সরোদের তান কার তোলা শপথদীপ্ত চোখ খোলা রক্তআলো ভোরবেলা বর্ণালী করে দিল হাত, তারপরও দেবে অজুহাত? প্রশ্ন করেছে যত প্রীতি শঙ্খনাদ হৃদয়ের গীতি চিঠির হলুদ থেকে ইতি, কানে কানে কথা বলে গেলো তুমি কি রয়েছো ভালো? ২. এসো আজ একআকাশ ছায়া দূরের অরণ্য তুমি ঢেকে দাও; স্নেহ, সে কি মায়ের মতো আসে? তুমি ছিলে শূন্যতার মতো চাওয়াহীন লালন নূপুর শুধু, জলে মন ছিল না তোমার আবীরের প্রীতি মেখে হয়েছিল তুমুল চুরি আজ যদি ভুলে যাই হেমন্ত উপমা যদি নিয়ে যায় কেউ এসে রূপকাজ ফুলকাঁথা তার আগে বৃষ্টিরেখা, এসো আজ তোমার চোখ মুছিয়ে দিই ৩. কিছুকাল ভুলে থাকা ভালো, কিছুদিন মূক শিশুর খেলনা দাও বড়ো মানুষের ভীষণ অসুখ ৪. আকাশ থেকে বেলুড় মঠের মতো গৈরিক সাঁঝপাখি নেমে আসে ঝাঁকে ঝাঁকে। এমন গোধূলীর কবিতাগুলি রুধির স্রোতের মতো। কবি বসে আছে গ্রীক শৈলীর দুর্লভ কালো কাঠের চেয়ারে- দু'আঙুলে সামান্য মারিজুয়ানা মিশ্রিত সুগন্ধী তামা...

পত্রালিকা - ১০

১. কে যে বলেছিল তাকে হেঁটে যেতে অতদূরে নিবিড় পাহাড়ে হঠাৎ সন্ধ্যা ছড়িয়ে গেল চারিদিকে বকের পাখসাটে কারা যেন এইদিকে এসেছিল কোনো এক মাঘে সেও কি ছিলো সেই সাথে জিজ্ঞাসা চিহ্নের মতো হলুদ এক পাইন পাতা পড়ে আছে ভ্রমণের শেষ পদছাপে এমন শীতের মিহিন তবু তার অবহেলা মনে পড়ে কেন পাহাড়ের স্নেহ তবু কাটে না যে তার জানে না সে , সেই সন্ধ্যা মরে গেছে , ভুলে গেছে বিদায় জানাতে ২. পৌষকে ডেকেছি একটি ফুলের গান , রাত্রির নাম - ঘুমের স্নেহের কোল ছায়ানটের গানের দলের তারা , তুমি তিতাস পাড়ের গোধূলী কল্লোল। ৩. বেশিদূর যাওয়া নেই গোপন স্বপ্নে স্পর্শের নম্রতায় মৃদু নেশা মৃদু ঘোর শুধু শীতাক্রান্ত ক্ষুদ্র বনফুল মায়া থেকে অধিক মায়ায় যাবো না আর। যদিও সে শুধু কবিতার কথা বলে অথচ কবিতায় সে কখনও থাকে না শুধু বেশিদিন বাঁচবে না জেনে ফুলে তার এত এত স্নেহ ৪. মাঝরাতে চোখ লাল বালিশের কোণ ভেজা তখন মানিনি বন্ধু বলেছিল আমি তোর সব কথা জানি ৫. পেছনের নিয়তিরা ব্যস্ত হয়ে ওঠুক , ঠোঁট ছুঁয়ে হাওয়ায় মিলিয়ে যাক আধভোলা গান । সন্ধ্যা ভরে যে প্রদীপ সাজিয়েছিলে...