পোস্টগুলি

জানুয়ারী, ২০১৩ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

এসো

সে প্রাণ দখিনে দূর দূর অচিনে এক রাখি রেখে যায়, ডাক পাখি রেখে যায় দূর মেনেছে তাকে চক্ষু তারা মন বিজনে যাকে কাছে রাখা যায় সুর মেনেছে তাকে সব কথারা আলোর নাচন যার ঘুঙুর খেলায় এই আজ চমকে সেই নাম তোমাকে শুধু রাখা হয়ে যায়, পিছু ডাকার বেলায় চুপ রেখেছে তাকে সন্ধ্যাপ্রতিম বনস্পতির রেখা আমার অচিন মন জানা হও চুপ শঙ্খধ্বনি আমি পার হতে অতলে ডুবতে জানি দ্রোণ তীর যেখানে নাচ বৃষ্টিধারা এসো সেই মহলে দেই ফুল পাহারা এসো শ্যামল পাখায় এসো রুদ্র পাখি দেখি বন্ধু কেমন তুমি বন্ধু নাকি ....................................................... জানুয়ারী ১৮, ২০১৩

তৃণা

মাথুর কাহিনী বড় গীতিময়; একটা নিঃসঙ্গ   শহর   সবথেকে বেশি সাংগীতিক , মেঘমল্লারে   আমাকে সঙ্গে নিয়ে সে   তার নদীতে মুহ্যমান। অন্ধের যদি নদী না থাকে আর তার ঘুর ঘুর পথ , তার তবু ধারা   আছে সুজনতারার দিকে নীল নেভানো নেভানো। অগ্নিহোত্রীরও শীতের মানে জানা আছে, শীত তার বশ। এবং এইসব যত পরিচয় , শেষ পাখিটি ঘুমানো অব্দি এতসব বিনিময়   মানুষের প্রত্যন্তে চলে যায়, তারপর সে ঘুমিয়ে পড়ে।   আমি তাই জলোপাসনা করি, যাই পূর্ণা নদীর নৌউৎসব- অফুরান , ডাহুক ডাহুক । দেখি নিজের আলোতে একটি শিশিরমুখ - তৃণা এক জলসবুজ তৃণা।

মৃত্যুর মত মায়া

সুরার পাত্রের বুদবুদ থেকে খুশি গিলে ফেলি হায় চক্ষু মণির মত বুদবুদ... আর কাঁদি আর কাঁদি চন্দন গন্ধ থেকে জন্ম নিয়েছিল অন্ধত্ব আর আগুনের পাখি, চিতা নীড় থেকে উড়ে উড়ে হারিয়ে গেল। রেখে গেল,- মনুষ্যহীন দাহভূমি এই সন্ধ্যা এই শোক এই শীত শিশুমুখ হে, জ্যোৎস্না রাতে মুগ্ধ নয়ন জ্বালালো কত মুগ্ধ নয়ন তুমি জানো নাই...... নিরলে পেলো না যে তোমাকে তাহার মতন তার চোখে শ্যাম আঁকা জল তোমার নয়নজাল মুক্তাভোরের দিকে টানে দেখ ভোরহারা আমি, শিউলিঢালা পথ জানি নাই হায় মায়া-ঈশ্বর, তুমি প্রাণময়- ছায়ানটের বোল সুরমদে টলোমল আমি অকূলের পথে টানো... যদি পারো গান ভোল চোখ বুজে আসে পাখি- কখন যে উড়ে যাও তুমি! .......... Dhaka Jan 4, 2013