পোস্টগুলি

ডিসেম্বর, ২০১২ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

হুইসপারস...

১ = হে প্রিয়তম ছায়া এই পত্রমেদুরতায়, শাখার আঁচলে ঢাকো তুমি প্লাবন ফেরত পাখি ২ = রেণু ওড়ার দিন আসছে, ফুল ৩ = মূর্ত হও আতপস্নানে অশ্রুরাগ রঙধনু শূন্যতার অহংকার বড়- শোন জলজ বাতাস, আজ আকাশ আঁক ৪ = তারানীল খুশির মিছিল চলে ভোর; তোমাদের শুভনাম জানতাম জুড়ে রবে প্রস্থান পথে। ৫ = বন্ধুরাত কৃষ্ণপক্ষ জুড়ে বেড়িয়ে গেল আমার ঘর আমি তার মুখ দেখেছি সুদর্শন কৃষ্ণনীল কাজল ভরা চোখ নিয়ে এই খাঁ খাঁ আঙ্গিনায় জ্বেলে গেছে সে সকরুণ অন্ধ গোলাপ ৬ = উড়ছে অশনি চোখের পলক থেকে শায়কের ফুল আঘাতের কাছাকাছি আমি ৭ = পিছু ফিরে দেখ রাস্তা ঘুমিয়ে গেছে জানি, কোনদিন কারো তুমি ঘুম ভাঙ্গনি ৮ = আর দেখ মেঘচেতনা থেকে উন্মোচিত হল অশ্রু ও আঁচল প্রিয় সন্ধান ৯ = বান বিমুখ নদী বিয়োগের নাম ১০ = ফুলদানী .......... এসো, ধারণ করি। যদিও ভঙ্গুর তবু কেউ আমাকে ছোঁবে না সুন্দর ভয়ে। তবে নিষ্পাপ শিশু হলে ভিন্নকথা তার নাম দিয়ে দেব অভিমান। ১১ = সন্ধ্যানদীর পার, তুমি জান নাই কত দীর্ঘ সে বসে থাকা- একটি প্লাবন তৃষ্ণা তোমার ভাঙ্গন ১২ = সিঁদুর রেখার পথ ধরে, জ্যোৎস্না জড়িয়ে ধরি তোরে ১৩ = মন যাপন হোল না, হায় এইদিকে সখীর হৃদয় কুসুম কোমল ১৪ = অলিন্দ থেকে বে...

কাব্যরাগ-অশ্রুরাগ

তীব্র দংশনে বারেবার মরে যেতে এসো হে মধুসুন্দরসঞ্চয়, ক্লিওপেট্রা! এ আমার রক্তময় উৎসর্গ, এ আমাদের সিদ্ধপিঠ; বালুচরি ঝিলমিলে মুক্তামহলে যাও আগরের বন ধরে ধরে । এই দেখ মায়ান ক্যালেন্ডার নিয়ে কত শোরগোল, মামুলি উছিলাতেই শ্মশানবৈরাগ্য পেয়ে বসে, হায় হৃদয়বৃত্তি আমার! আজন্ম অনুবিদ্ধ হয়ে আছে হীরে আর বিষ, চোখে ও মগজে। চক্ষুতে চিরনীহার, কর্ণে মোৎজার্ট- আরও আরও দীর্ঘ সন্নিধির হাহাকার... সমগ্র অয়নমণ্ডল ঘুরে ঘুরে মরে যেতে এসো এইখানে তুমি সন্দীপক- একটুকু রাত্রিপ্রভা। শব্দবোধিবৃক্ষের ছায়া কখনও আপন নয়। না-বলা কথারা সুবর্ণ ক্রন্দন- জল এক নৈঃশব্দ্যের ভাষা। তবু এইসব কুহুকথা সেই এক অরূপ সন্তুরবাদিনীর আঙ্গুলপরাগে ঝরে পড়ে, সেই এক চিত-চোর বিঁধিয়ে দেয় খামাজের খঞ্জর, নেশার ইয়ার দেয় চন্দ্রকোহল। আর বিজলি খেলে দপ করে নিভে যায় আমাদের চেনা পথ, বাজলাগা গাছ দেখি বকুলের। দীর্ঘ ধীর কান্নার আওয়াজে বোঝা যায় এসে গেছে কবিতার বাড়ি। মরণ অবধি কাঁদে কবিতার মেয়ে

আদিপাঠ

চিতার নখরে শাবক ছোঁয়ার ক্রন্দন বিঁধিয়ে দিয়েছ- 'সুন্দর' মোহঅন্ধকার, এক রূপডালির মোহর, ঝুমুরের দলে চলে গেছে। প্রতিবার হারানো বাড়ির মোড়- মোহের দু'চোখ মণিময় একটি পুষ্পবাণ মূর্ছার নীল নীল কোল একটি নীলকমল জড়োয়ার কুমকুম দিন, আয়না খচিত মুখে অনন্ত দর্শন জানি। এ আকাশ ভেসে গেছে সিঁদুর সিঁদুর তোমার বিভূতি তুমি, আর কেউ নয় পদ্মরাগ কিছু মেঘবর্ণা জল হে নীলাঞ্জন  তবু রূপ লাগি, চোখে নিও ছায়া হয়ো- সুন্দর তুমি সবথেকে পুরাতন রাজমণিকার, কাল কাল প্রতিজ্ঞ তুমি- এখনও তো দাও নাই দাও নাই কিছু !

সায়ংকৃত্য

হারানো নগরীর ছবি দেখে হেসে ওঠো বৃদ্ধ মৎস শিকারী। ভুলে যাও পাতা ফাঁদ, আততায়ীর হেঁচকা টান। এবং শেষপর্যন্ত নিজেকে। জানি তোমারও চোখ ভিজে ওঠে পুরনো ফিলিপস রেডিও, যেইখানে শোনা যেত সাইক্লোন সংকেত, অনুরোধের আসর। হারানো বাসস্থান দূর বড়দূর-- আর তো তোমার কাছে নেই। হতে পারে পেট্রা অথবা পানাম নগর। ভরদুপুরে ঘর অন্ধকার করে শুয়ে একদৃষ্টে তাকিয়ে আছ অজ্ঞেয় সন্ধানী; দিকভ্রান্তপ্রহর- ত্রসরেণু ত্রসরেণু... এত নীল নীলকণ্ঠ, এত এত বিষ! তবু জীবন জেগে থাকে স্পর্ধার জীবন, লুপ্ত মনার্কির সুবর্ণ প্রবেশদ্বারে গোধূলি আলোর মত জীবন। জেনো, মৎস শিকারী অথবা সুলতান, বৃদ্ধদের কোন শ্রেণীবিভাগ নেই। জীবন জুড়ে বেড়ে উঠেছ তুমি। হেসে দাও। কারণ চিন্তা আর যাপনের অকারণ ফূর্তি বিহীন দিগন্তখোলা ভাবনার এই সায়াহ্ন ধীর, বৃদ্ধ সেতারবাদকের সুরের মত টানটান।