পোস্টগুলি

নভেম্বর, ২০১২ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

প্রত্নজ্ঞান

ধারাময়ী, বর্ষার অবয়ব মানায় তোমাকে, মহাকাল তা জানে। সেই থেকে যে অরণ্য আর তার ক্যানপির মায়াবিথার, তার প্রতীতি দিয়ে যাও। আমাদের মার্গ অভিন্ন, আর তা চলে গেছে ভুয়ো সব যাজ্ঞিকের স্পর্শ ছাড়াই জলঝুমুরের চার্বাক পথে। শিশির ভুল করেছিল পুষ্পলজ্জা এনে। হ্যাঁ, শিশির এক অনুষঙ্গ- লীনতা, রাত্রির ওডিকোলন। হাসির শিমুল দিয়ে রক্ত মুছে ফেলা যায় অথবা ঠিক এরকম জেনে জেনে নেয়া যায় যে, সমস্ত শিশুডাক এবং চোখ হারানো কোকিলদের সহ আমাদের সমস্ত কথা মিলে যে ঘুমপিয়ানোর রাতিগান, মূলত তা-ই আমাদের আরাধনা শেখায়।

দূরলেখা

নয়না আমি কি একটা সাঁওতালী চোখের লাল গোধূলি পেরিয়ে যাচ্ছি?  আজ রাতে ঘুমবো না। ঘুমাবে না পাহাড়িবিনোদ। এই দেখ্, যত শহুরে হুইস্কির ফায ঝেড়ে ফেলছি। আয় রাত্রি দীঘল ছায়া, আয় মহুয়া-- মহুয়া। চোখ রেখে এসেছি নয়নার কাছে, রেখে এসেছি ঝর্নার দিন। একবার তাকে এক কীর্তনীয়ার কথা বলেছিলাম। বলেছিলাম, যে পথে ভাসান, সেই নদীপথ নিয়ে গান আছে, আছে ধূমল স্বরলিপি। চক্ষুর কাছে আছে রাত্রি পুরাণ, নিদ্রাঘোর লাগে যেন কীর্তনীয়া- গাও...। চেতনা থেকে উড়ে গেছে রোদের বাবুই। এখন হিম কুঠুরিতে কিছু গুটিসুটি রাত। আমি রেশম রাতের কাছে মুখ লুকিয়েছি। রেখায় রেখায় মোমের চিবুক তার। তাকে বলি, মিনতীর মত বাজো কালো রাত্রিবাতাস। সবাই ঘুমিয়ে গেছে নয়না, আর আমি একটা পড়ে থাকা বাঁশিতে ফুঁ দিয়ে দেখলাম মেঘ, ময়ূর, শাদাগাভী, সুচিত্রা আকাশ-পাতাল। তবু কেউ জাগেনি এখনও। পুরনো খাতা খুলে দেখেছি শেষ পার, পুরনো খাতা খুলে দেখেছি নয়না, শব্দরা নিদ্রাকর। ধূসরআঁক প্রান্তরেখা থেকে সরিয়ে এনেছি চোখ। নিজেকে দেখেছি আমি রাত্রিমুখী, প্রতিফলিত। আমি তোকে বলেছিলাম, আবার যদি দেখা হয়... ধূপ জড়ানো থাক,  সন্ধ্যা গন্ধ থাক, কিছু তো থাক চিনে নেওয়ার ঘ্রাণ। একদিন ...

ডাকমন্তর

রেখাগণিতের পথ ধরে এখন মিলিয়ে নেয়া দুই প্রান্তভূমি। চারুবাসের সংসার। একদিন হাওয়া ছুটেছিল তার বজরার পালে সপ্তদ্বীপ, অবিশ্রাম চক্রভ্রমণ; তার পাল থেকে এখন থিতিয়ে আসে অশ্বঘুঙুর আর আনে বনঘন শ্যামলীর অনন্ত শয়ন। প্রীতিকন্যার নাম জমে অশ্রু, অশ্রু তার প্রস্ফুটিত পান্না। তার রত্ন সিন্দুক থেকে একে একে বেরিয়ে আসে কাজললতা, বেলোয়ারি চুড়ি, চিক্কণ আড়বাঁশি। মশলা বণিকের কাছে আজ অন্যকিছু ঘ্রাণ, দারুচিনি ঘুম।

বাকি কথা

আমাদের আরো কিছু দেখতে বাকি যেমন, রোদের হরফ থেকে কার হাতে উড়ে বসে গয়নার চিল। শীতের মলিকিউল খেয়ে কীভাবে ভূমিষ্ট হয় পুষ্পশিশু। আরো আরো জানতে বাকি পাখিপুরাণ, বৃক্ষদের হরস্কোপ। পিতামহের আঙ্গুল থেকে আদর্শলিপির সেই চারুকথাদের অক্ষরও বলে যেন আরো আরো পথ- পল্লী আর পল্লবীর। কবিতার মিনিয়েচার হাতে তুলে ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে দেখতে বাকি পুনরায় শোক অথবা জয়ের হাজারদুয়ারী। আহ বিমোহ, ফিরে আয়! ........................... নভেম্বর ৮, ২০১২