পোস্টগুলি

জুলাই, ২০১২ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

পাঁচটি কবিতা

....................... নিষেধ ............... সে এক ভয়াল ঝড় মৃত্যুময়ী উন্মক্ত সিডর বন-সুন্দরে এসে থমকে গিয়েছিল অবাধ্য ইস্পাতে হ্যামার ট্যায়রেন্ট অথবা সুনীল গীটার তামাটে আঙ্গুলে তোলে জীবন... জীবন অরণ্য হয়ে আছি প্রযত বিন্যাসে যতটুকু হ্যাঁচকা টানে ছুঁড়েছ লাটিম ছুঁলেই মরণ ....................... চোখ ............... কত দূরে আছে নেত্র অই রজত পুণ্যিতে সাঁতরে যাব মৃগয়া না দর্শনে নেত্র কত দূর! দেখ এই সঙ্গীত অনতিক্রমের মৌনতা ঝরে ঝরে পড়ে যাবে ক্যালিপসো ঢেউ আর তালে কতদূর হিরণ পয়েন্ট? ....................... সময় ............... ক্যালেন্ডারে ছয়টি ঋতুর ছবি ম্যাট লেমিনেশনে ফুটে উঠেছে উলটে দেখার নেশা, এই বিষণ্ন দেয়ালে জোর করে ধরে আনা আলো, কুয়াশা, শ্রাবণ আর চৈত্র ছড়িয়ে পড়ছে সময়, এগিয়ে যাচ্ছে শেষ রোদ্দুরে আর রাতে এই ক্যালেন্ডার বৈরী ভীষণ ....................... ঘুম ............... আর সারাটি দিন অন্তঃপুরের খোঁজ নেই। আর নেই খোঁজ বালকের হারানো মার্বেল। সন্ন্যাস নয়; তন্দ্রালীন সারসের চোখ আর উড়ানমুগ্ধ সন্ধ্যার পথ, ঢেউবিবাগ থেকে লবঙ্গবাতাস একটি না দু’টি পা...

... আবারও মৃত্যু বিষয়ক

আদি চেতনার ফুল ফুটে আছো মৃত্যু......... পড়শিরা কাঁদে, ধীর যায় শোকের প্যারেড... শেষ ঢেউ লিখে রাখে ব্রহ্মপুত্র তীর। তবু তুমিও ছন্দোবদ্ধ- মৃত্যু, কবিতার নীল-নিশা, অঙ্গারের পাত্রকে স্পর্শ কর তুমি আর সে বুকে ধরে শত গন্ধরাজ-- যার জীবনের লালীমায় মৃত্যু পরম, জীবনের জয়গানে যে নাচিয়েছে গন্ধর্ব, সেই ব্যান্ডমাস্টার মৃত নয়। তবুও মৃত্যু কি কল্পনার স্বৈরাচার, অনিবার্য শ্রুতির শৃঙ্গধ্বনি......... মৃত্যু কি বরিষার সাটিন ...... জীবনের তুস আলোয়ান ... মৃত্যু কি ভেঙ্গে ফেলা প্রাচীর-পরিখা, খুলে ফেলা আত্মার স্লুইস গেট! বাষ্পপরিপ্লুত মানুষের কোনো মৃতের দিকে নেত্রপাত কেমন নিদ্রার কথা বলে, তা শুধু জানে সে মানুষ। কোন্ ডমরুর তাল দূর আকাশের অনুসার- এই প্রশ্নের ঘরে জীবনের স্মোক-মেশিন আর প্রহেলিকার কথা আছে -- প্রতিরুদ্ধ আঁধারের মোমে যে আত্মক্ষয়ের শিখা, সেও তো রেখেছে দেহের সুবিন্যাস... কৃষ্ণশূন্যতা; ক্ষয়ের অনুষ্টুপ্ ধরে রেখো গায়েন, কবি রেখো শূন্য শিরোনামা। এই জন্ম থেকে যাত্রায়- যে সুনিপুণ মিলিশিয়া সহস্র বাগানের কাঁটাতার উপড়ে ফেলেছে, তার কাছে মৃত্যু মাথা নোয়াক। তার কাছেই উন্মোচিত হোক টেরাকোটার ম...

নাবিক

মাস্তুলে আঁধার হেনেছে তীর। হে নাবিক, জলে দেখ হিরণজরির কাজ বুনে বুনে সূর্যের বিভার আঙ্গুল গলে যায়। যতিস্থির নির্ধারিত অন্ধকারে পাখিদের বিদায়ী সোজর্ন, তোমাকে এই পৃথিবীর কাজের প্রলুব্ধি দিয়ে গেছে। জাগতিক সুর ঢেলে চলে যায় এরকম জগতের বিবাগী আকাশ তোমার ঐ দূরবীণ থেকে সুয়েজের দিকচিহ্নে রাখা যত স্টার্লিং, চকচকে চোখের বিস্তার, তারও আদিকথা- প্রেম।

তালাশ

অথবা এইখানে চন্দন কাঠ পুড়ে যায় অনুমিতি ধরে নয় কিছু স্বপ্নজ্ঞান সহজাত নয়তো এইখানে চলে আসে ময়ূর-শ্রাবণ পালকসকাল স’মিলের কাঠ চেরা শব্দরা পাঞ্চালীর আঁচলে ঘুমিয়ে গেলে এইখানে এখনো পাতার ঝাঁজর থেকে ছায়া নেমে আসে জোনাকবীথির পথ চলে যায় নীলকণ্ঠের কৈলাস মাঝে মাঝে ইচ্ছে করে আমিত্ব বানচাল করে আলোর বারুদ হই তাতারের বর্শা ফলায় লুটে নেই মধুরের মন সাপুড়ের বীনে তুলি থুম গোখরোর যত নেশা যখন এখানে দেখি শোকের গন্ধ নিয়ে পুড়ে যায় চন্দন কাঠ এই সেনেটোরিয়্যাম থেকে ছুটে যেতে ইচ্ছে করে, চোখে তুলে নদীর এসথেটিকস চলে যেতে ইচ্ছে করে শব্দের মেহফিল অথবা এইখানে পলাতকা রাত নেই কোন কোন অনুমিতি ধরে নয় কিছু যেন কারো চোখ চাঁদের ফিল্যামেন্ট যেন তার শিশমহল- হারমোনিয়ামে আঙ্গুলের নাচে দুলে ওঠে সে হিরণবালিকা আর হোমকুণ্ডে পুড়ে যায় সমস্ত শোক আর এইখানে চলে আসে ময়ূর-শ্রাবণ শার্শিতে বরষার মিথুনছায়া ডুবে যাওয়া... ব্লিস