পোস্টগুলি

মে, ২০১২ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

আমি জানি চোখভাষার মানে একটি স্থির সময়

আমি জানি চোখভাষার মানে একটি স্থির সময় জীবনেই মৃত্যু থাকে তবে অভিযাত্রায় থাক নগ্ন সাগরবেলা আনন্দের সমুদ্র-স্নান তবু মেরিনারের সমুদ্রমুখীনতা অতলান্তিক টান একটাই কথা বলে – যাত্রা জোয়ার-রেখায় চিহ্ন রাখা আছে কতটুকু পারি কতটুকু জুড়ে থাকা যায় এই মানুষ লীলায় প্রাঞ্জল হলে তুমি বন্ধুস্বভাব স্বরলিপি জুড়ে হলে পত্রমিতার অক্ষর আমি চিনি গোধূলি ক্রিমসন ফয়েস লেক দুই চোখে ধরে কে নিয়েছে বৃক্ষবাস মধুরা হয়েছে কে রক্তের ফুল পুষ্পারতি হোক মধুপের বন্দনা ঋণ কিছু থাক সুন্দর প্রার্থনা থাক; গ্রহণের অন্ধকার অচেনা সময় থাক কিছু আমার চেনার চিহ্ন শময়িতার চোখে আলো করে থাক অন্তরপ্রান্তর, গত সব দিনের কবিতা আপোষের সিঁড়ি পেরিয়ে যে গৃহ তার কিছু শান্তি আছে সন্ধ্যাবরণ তার এক নাম আছে ফুলকলি বহু আগুন গ্রীষ্ম পেরিয়ে আছে মরমিয়া মৌসুম, শস্যস্নানের জল বৃষ্টির রূপসারি ধারা আমি জানি চোখভাষার মানে একটি স্থির সময় আমি জানি শব্দের মানে - চারিদিকে অদৃশ্য হরিণের পায়ের নূপুর

লিরিক - ৫

হলদে পাখির দিন তোমায় ভুলতে নেই ফুল দোকানে তিন কথায় রাগতে নেই কথার শালিক আজ একটা পাখি হয়ে চুপ রয়েছে খুব রোদেরই হৃদয়ে হলদে পাখির দিন ফুল দোকানে তুই গেছিলি কোন্ ভুলে নিয়েছিলি জুঁই জুঁই গন্ধে ঘুম দিন ফিরেছে বাড়ি গোলাপ চেয়েছিল জুঁই দিল আনাড়ি হলদে পাখির দিন ফুলের মানে জানো সাদা রঙে ভুল করেছিলে মানো সকাল সকাল রোদ ভুলে যেতে নেই ফুল দোকানে তিন কথায় রাগতে নেই

নিশীথে...

কবিতার কথা থাক, বাঁশ পাতায় সুর তুলেছিলো যারা হরিণরাখাল, তাদের বেদুঈন দিন গুজরান যাদের চোখে থিতানো সন্ধ্যার মত আলো বিরলতা বিলুপ্ত সংসার – তাদেরও কেউ হইনি আমি লজ্জায় আমি সম্প্রদায়গত, পথভোলা নই, জন্মনামেই দেই পরিচয় বালুঘড়ি হাতে নিয়ে ত্রিসন্ধ্যা যুদ্ধ ঘোড়ার মিছিলে মাড়িয়ে গেছি বসরাই বাগান; আমারও তাই অনুতাপ আছে বিষণ্নতার কাছে – সংগীত কিছু আছে কৃষ্ণ মেঘের আসরে রোহিণীর বুকে তীর ছোঁড়া নিষাদী নেশাটিও আছে তাই রাত্রি বন্ধু হও, নক্ষত্রনীল শরীরছায়া থেকে বেরিয়ে আসবে দেখো একটি দেখা হয়ে যাওয়ার পথ... রাত্রি তুমি বন্ধু না হলে চির বৈরী জীবনে শব্দধারারা যত ভীরু হরিণশিশু, মাংসের লোভ নিয়ে বেমানান স্নেহে তাকালে এই মায়াহারা অরণ্যে শুধু হিংস্রতা রক্ত হাড়... তাই বন্ধুর মত রাত্রি এসো, যার আয়নায় ভেসে উঠবে চোখজলকথা, সব চিহ্নিত বর্ণনা; ওসময় ভগ্ন রাজবাড়ি থেকে শুধু অতীত তুলে নিয়ে গেলে দেখা যাবে অন্দরে রত্নহার, এক বিশেষ কথার কাছে ঋণী নত সিংহাসন, সেইখানে চিরবন্দীর নখের আঁচড়ে লেখা- 'হৃদয়ে হৃদয়'। দেখা যাবে, সর্বশেষ ব্যথার কাছে জ্বলে আছে তখনও প্রদীপ্ত মশাল, আর চোখের প্রিজম থেকে বেরিয়ে আসছে এক...