মুহূর্তকথা
১। অন্ধকারের গুল্ম-লতাও আলোরেখা চেনে -----
২। বিদ্ধ আছে একটা শোক, চুলের আবছায়ায় হাসিচোখ ফুল।
৩। আমি তার সব কথা সে আমার চুপ।
৪। কালার ব্যাংক-এ খুঁজে পাবো এক বৃন্দাবন রঙ?
৫। চিঠি দিও
খামে বন্দী এক টুকরো
তুমি
৬। ডায়েরির যত অক্ষরে ফুটে আছে খুনটানা পপি
না না ডায়েরিতে কবিতা লিখো না
৭। ঘুমের মাঝি
সাঁতার শিখিনি
ঘুমের মানে কী
চক্ষু খুঁড়ে
স্থান দিয়েছি
একটি গোমতী
৮। আমি তো মুখর সব কবিতার কথা
আমাকে নিয়েই তার যত মৌনতা
৯। ঘুম সুরে কেনো জাগে নাচের নূপুর
সেই নূপুরে ভাঙ্গে যে ঘুম
যেন একটা একটা করে ভেলিয়াম...... পদ্যহরফ হয়ে জাগে
১০। সন্ধ্যাকিশোরী, রাতের বয়েস হলে তোমারও কি মনে পড়ে কৈশর?
১১। তার প্রিয় কোন বাগানে ফুল জ্বেলে দিতে আকাশও বৃষ্টি হয়ে ঝরে, সজল চোখ দূরের বার্তা কিছু নয়।
১২। পৃথিবীর প্রায় সব আয়নার পারদ প্রলেপে কিন্তু ভুল প্রতিবিম্ব।
১৩। সাত সুরে বয়ে গেলে ঐ চোখকে ঝর্না বলি আমি।
১৪। কুয়াশাআড়াল এই হুহু টান ভোর
তোমাকে দেখিনি আমি ডুবে গেছি মধুমতি
নদী
১৫। নীরবতা এলে শেষমেশ, আমরা সবাই বুঝি আমরা যে কে...
১৬। দিনে চেনা বহুজন
রাতে এক জেগেছে আপন
১৭। তীব্র শীত...
কার নামে ওম কুসুম?
কার নামে ভুল প্রসূন?
১৮। এখন শহরের সব আইসক্রিম পার্লারে শীত এসে ঘুমিয়ে পড়েছে
১৯। ঘোর কুয়াশায় হঠাৎ কমলারোদ কারো কাছে আহ্লাদী উষ্ণতা নিয়ে আসে তো আসুক। আমার কাছে এ আলো অযথা হল্লার মত মনে হয়, অস্পষ্ট মগ্নতার কোকুনে মনে হয় আলোকীট !
২০। সব ঘুম ফেরানো রাত ঘিরেছে আজ ঘুম ঘুম রাত
২১। দিনে ছোটা, রাত ধীর - স্বপ্নেরা ভালো
দিন ছোট রাত বড় শীত তাই ভালো
২২। কৃষ্ণচূড়া কেন অভিযোগ কানে তোল না?
পুষ্প ফোটালে দেহে, রক্ত জাগা্লে না!
২৩। অস্পর্শী মদে মাতাল তৃষ্ণান্ধ চোখ
২৪। আলো নিভে যাচ্ছে ...
হায় রাত্রি নিঠুর, তোমাতে বিলীন হবে বলে খানিক নাহয় বসেই ছিল সন্ধ্যা শ্যামল তোমার কিনারে
২৫। সকাল বিকেল খোঁজ খবর, যত্নআত্তি। রক্তপ্রসাদ ভোগ। পিঞ্জর খাঁচায় বৃষ্টিবনের মুক্তির উল্লাস। ভুল নামে ডাক দিও না ময়না।
২৬। ২০১০ – ২০১১ -২০১২...
এভাবেই সময়সংখ্যা তার নিয়মে বেড়ে চলবে। তার সাথে পাল্লা দিয়ে পুরু হয়ে আসবে অবগুণ্ঠনের ভাঁজ। আমাদের প্রকাশ থেকে ধীরে ধীরে হারাতে থাকবে স্বতঃস্ফূর্ত সব অক্ষর। ধাবমান সময়ের কাছে এ আমার সবথেকে বড় অভিযোগ।
২৭। কারো কারো তো গন্তব্যই থাকে না
অথচ দেখো কী শক্তিই না ধরে শরীরে!
এই ধরই না হাওয়া, আগুন...
আরো বলতে পারি আঙ্গুল গুনে গুনে
তুমি আমার পায়ে চলার পথ
আমারও কোন গন্তব্য নেই
২৮। শরীরে শরীর লাগে না যেন বিপরীত অতিক্রমের ডিঙা
শুধু চলনের ঢেউয়ে থেকো নৃত্যমুখর
২৯। তুমি দেখছো জানালায় মেঠোপথ, ঐ মাঠের সিঁথিরেখায় ছন্নছাড়া খুশিতে ছুটে যাচ্ছে সকাল। তার পেছনে পেছন ছুটে চলেছে একঝাক শাদা হাঁস, হাতে কাশফুল সবুজিনী মেয়ে তার ঝাঁকে, আর এক কৃষ্ণকিশোর। তোমাদের বাড়ি, তোমার জানালা, তোমার ঘরটি এখন প্রক্ষেপণ প্রকোষ্ঠ...
৩০। মুখ ছুঁয়েছে রাত আবির
সাতটি তারার এই তিমির
রাতের কালো তীব্র ছুটে
তার মত এক মুখ ছুঁয়েছে,
- তাকিয়ে আছে খুব অধীর
সাতটি তারার এই তিমির
৩১। সন্ধান দাও
গেরুয়া বৃন্ত শাদা শেফালীর বন খুঁজে দাও
নাহয় দেখাও নীল উড়ানের ম্যাগপাই
দেখাও আঙ্গুল তুলে ইশান ঝড়,
ঝিলিক তড়িৎ
বজরার দোলে নিয়ে নাও -
তার গলুইয়ে ময়ূরাক্ষী, বুকে শাদা সফেনের পাল
শুধু দেখাও, তাড়াও...
আমি তাকিয়েছি চৈত্রের চোখ
স্থির।
তুমি বৃষ্টির রিমঝিম ঝড়ফুলদোল;
এসো, স্পন্দিত কর
৩২। কবিতারা শিশুকথা আধো আধো বোল। কবিরা অবুঝ।
৩৩। অক্ষর খুঁজে দেখো, অন্ত্যমিলেও নোনাজল লেগে থাকে।
৩৪। একটা সকাল দেখে কারো শৈশবের কথা মনে হতে পারে।
রাত্রিতে মৃত্যু নয় -
মায়ের স্নেহের কথা মনে পড়ে যায় কারো কারো
---এরকম বালকবেলায় পড়ে থাকে মানুষ
৩৫। জাহাজের কম্পাসে অজানা কুহক,
চৌম্বক ক্ষেত্রের বিভ্রান্তি নিয়ে
অবিরাম ঘূর্ণায়মান কাঁটায় ছিলো
ঠিকানার অথবা হারিয়ে যাওয়ার নির্দেশ।
একটা নিঃসঙ্গ লাইট হাউজের আলো সংকেত পেয়ে
এই জাহাজের অ্যাংকরে এখন
দারুচিনি অথবা সর্প দ্বীপের মাটি......
.......................................
...................
৩৬। স্নান শেষে স্নানঘরের আয়নায় সব মুখই সুন্দর
৩৭। ভোরের রাস্তায় মিন্টু রোড -
বুড়ো বুড়ো গাছ পাতাদের শিশির সমেত ছড়িয়ে দিয়েছে মিন্টু রোড
ভোর হাঁটা মানুষের নিঃশ্বাসে আরো কিছু বাঁচার তাগিদ
বেলা বাড়তেই মানুষগুলো ডানে শাহবাগ, বাঁয়ে কমলাপুর, সোজা মতিঝিলে
ঝাঁপিয়ে পড়ে, নিংড়ে দেয় বুক থেকে ভোরের বাতাস
বেলা বাড়ে - ম্যারাথন ট্র্যাফিকের ভিড় সামলে নেয় সুঠাম সড়ক
অপেক্ষা করে থাকে আবার সকালে কখন
সে বুকে নেবে নাগরিক পায়ের আওয়াজ
৩৮। ভোর কখনোবা বিমূর্ত ছাপ নিয়ে ফোটে
বাস্পের ছাঁটে মিস্টিক স্নানঘরের আয়নায়
যেমন আধফোটা হয়ে থাকে
রোদেলার চোখের লেগুন
ভোর কখন হবে অপেক্ষার শেষ
এথেরিয়্যাল মেলোডির
টুংটাং ডোরবেল...
৩৯। চোখের নজরে বড় ক্ষয়
নদীর এপাড়ে আমি
ঐপাড়ে শ্যামরেখা গ্রাম
সারাদিন বসে আছি
চোখে চেয়ে রেখাটির
নাচ তোলা বাঁক...
চিরকাল এইদিকে শ্যামসাথে আলোর বিরোধ
কে কার নেবে পরিচয়!
প্রহরে প্রহরে তাই ক্ষয় - চোখের নজরে ধরে ক্ষয়।
৪০। নীল পাউচে রেখেছো পাসপোর্ট
ব্লু তোমার প্রিয় রঙ, আরিয়ানা?
সদ্য রঙ করা ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে খুব যে হাত নাড়ালে!
ঠোঁটে আঙ্গুল ছুঁয়ে আকাশে উড়িয়ে দিলে তিনবার আর বিমর্ষ হয়ে গেল একা পাম বন
৪১। ভূমি চাই ইচ্ছেফসলের
কে চায় উপেক্ষার ছিটমহল
৪২। আজকে এমন উলের কাঁটায়
আপনের জন্যে কিছু উষ্ণতা
বুনে রেখো। আজকেটা খুব
কাগজের বিশেষ সংখ্যায় চোখ,
চনমনে চুমুক- লিপটন ধোঁয়ায়।
বিকেলে বেড়িয়ে পড়ার প্ল্যান
সিনেপ্ল্যাক্স নয় বানিজ্যমেলা।
অথবা চুপচাপ পকেট ভরিয়ে তোল
শব্দের মাল্টি কালার মার্বেল...
আজ কিছু করে ফেল, উচিৎ অনুচিত
আজ ছুটি।
৪৩। দুই হাতে তুলেছে মুদ্রা
বেলোয়ারি অন্ধ ঝিলিক...
সুন্দর জাগ্রতকারী, নিদ্রাকর কখনো নয়।
বিনোদীর স্বেদবিন্দুর চিহ্ন দেখে শুধু চিনি
-এখন সে কত রাত !
৪৪।এই পথ সুদীর্ঘ, সাগরিকা
যাকে তুমি ভাসিয়েছো অন্তর্জলী যাত্রায়
সেই জলে মেশালো সে শেরি মদঘুম, লেবুঘাস সন্ধ্যা নিজন।
সমুদ্র চিরকাল ক্ষমাবতী
জেনো, সে এক উদার পথিকশালা।
৪৫। শুধু জন্মাবি জন্ম দিবি মরে যাবি। ব্যাস, এই চক্কর ঘুরে এলেই বর্তে যাবি।
এদিকে সবকিছু গোল্লায় যাচ্ছে, যাক। মধ্যবিত্তের মাথায় হাত...... কলেজ পড়ুয়া বোনটির নির্ঘুম রাত ......
সড়কে দুর্ঘটনার প্রহসন...... লাল ফিতে, ডিভ্যালুশন.... এক্সপোর্ট-ইমপোর্ট ইম্ব্যালেন্স......চোর-পুলিশ, নেতা-দাগী বদমাশ......এই সবের মন্থনে উঠে আসা তিতো সকালের দৈনিকে
সাত টাকার বিজ্ঞাপন
আর তিন টাকার ইয়ার্কি
তাতে তোর কী?
শুধু জন্মাবি জন্ম দিবি আর মরে যাবি
৪৬। মনের দ্রোহিতা বড় নির্মম
সে তুরন্ত ফিরতে চায় দ্রাবিড় দীঘল ভূম
সমুদ্র পুরান
তার চারপাশে উড়ে যায় অবোধ্য কসমিক কণা
আজকাল মন বৈরী ভীষণ
তোমাদের অভয় কথা অপ্রবেশ্য, নিতান্ত সান্ত্বনাহীন
৪৭। বাঁশিসিদ্ধ জাদুই আঙ্গুল খেলে... এবার অধরে সন্ধ্যা ঘনায়
রোশনির ফুল হয়ে ফোট অয়ি বন্ধা সময় -
দেখ, উপড়ে যাওয়া নখে লেগে আছে পরিখার মাটি, যাবতীয় আত্মরক্ষা...
৪৮। পুরাণ মতে তিলোত্তমাও অনভিজ্ঞা হলে ফুটতে পারে
ভুলের প্রসূন – কুণ্ঠার হাত থেকে ছিটকে পড়তে পারে
জমানো কসমেটিক, আদরের সাজবাক্স... ওকিছু নয় ...
আজ হঠাৎই খুলতে পারো পুরনো ডাকটিকিটের অ্যালবাম
আর আমারও মধ্যমায় ভার্জিনিয়ার ঘ্রাণ –
ক্ষয়ের রোমান্স...
৪৯। তুমি ছুঁয়ে দাও আরও একবার
তুমি ছুঁয়ে দাও ভূমি
আজ প্রাণ ফসলে হেসে উঠি
তুমি ছুঁয়ে দাও আক্রান্ত জনপদ
উঠে আসুক এপিটাফে লেখা মোহন শোভন নাম
ঐ আত্মারা ছড়িয়ে পড়ুক আত্মায় আত্মায়
তুমি ছুঁয়ে দাও
ছুঁয়ে দাও এই ভূমি
ছুঁয়ে দাও আরও একবার যীশু তুমি
৫০। অভিশাপ, তীব্র সন্তাপ আর অশ্রু অনুশোচনায় দুঃখ পেও না। দেয়ার আর হানড্রেডস অফ ওয়েস টু নিল ডাউন এন্ড কিস দ্যা গ্রাউন্ড।
২। বিদ্ধ আছে একটা শোক, চুলের আবছায়ায় হাসিচোখ ফুল।
৩। আমি তার সব কথা সে আমার চুপ।
৪। কালার ব্যাংক-এ খুঁজে পাবো এক বৃন্দাবন রঙ?
৫। চিঠি দিও
খামে বন্দী এক টুকরো
তুমি
৬। ডায়েরির যত অক্ষরে ফুটে আছে খুনটানা পপি
না না ডায়েরিতে কবিতা লিখো না
৭। ঘুমের মাঝি
সাঁতার শিখিনি
ঘুমের মানে কী
চক্ষু খুঁড়ে
স্থান দিয়েছি
একটি গোমতী
৮। আমি তো মুখর সব কবিতার কথা
আমাকে নিয়েই তার যত মৌনতা
৯। ঘুম সুরে কেনো জাগে নাচের নূপুর
সেই নূপুরে ভাঙ্গে যে ঘুম
যেন একটা একটা করে ভেলিয়াম...... পদ্যহরফ হয়ে জাগে
১০। সন্ধ্যাকিশোরী, রাতের বয়েস হলে তোমারও কি মনে পড়ে কৈশর?
১১। তার প্রিয় কোন বাগানে ফুল জ্বেলে দিতে আকাশও বৃষ্টি হয়ে ঝরে, সজল চোখ দূরের বার্তা কিছু নয়।
১২। পৃথিবীর প্রায় সব আয়নার পারদ প্রলেপে কিন্তু ভুল প্রতিবিম্ব।
১৩। সাত সুরে বয়ে গেলে ঐ চোখকে ঝর্না বলি আমি।
১৪। কুয়াশাআড়াল এই হুহু টান ভোর
তোমাকে দেখিনি আমি ডুবে গেছি মধুমতি
নদী
১৫। নীরবতা এলে শেষমেশ, আমরা সবাই বুঝি আমরা যে কে...
১৬। দিনে চেনা বহুজন
রাতে এক জেগেছে আপন
১৭। তীব্র শীত...
কার নামে ওম কুসুম?
কার নামে ভুল প্রসূন?
১৮। এখন শহরের সব আইসক্রিম পার্লারে শীত এসে ঘুমিয়ে পড়েছে
১৯। ঘোর কুয়াশায় হঠাৎ কমলারোদ কারো কাছে আহ্লাদী উষ্ণতা নিয়ে আসে তো আসুক। আমার কাছে এ আলো অযথা হল্লার মত মনে হয়, অস্পষ্ট মগ্নতার কোকুনে মনে হয় আলোকীট !
২০। সব ঘুম ফেরানো রাত ঘিরেছে আজ ঘুম ঘুম রাত
২১। দিনে ছোটা, রাত ধীর - স্বপ্নেরা ভালো
দিন ছোট রাত বড় শীত তাই ভালো
২২। কৃষ্ণচূড়া কেন অভিযোগ কানে তোল না?
পুষ্প ফোটালে দেহে, রক্ত জাগা্লে না!
২৩। অস্পর্শী মদে মাতাল তৃষ্ণান্ধ চোখ
২৪। আলো নিভে যাচ্ছে ...
হায় রাত্রি নিঠুর, তোমাতে বিলীন হবে বলে খানিক নাহয় বসেই ছিল সন্ধ্যা শ্যামল তোমার কিনারে
২৫। সকাল বিকেল খোঁজ খবর, যত্নআত্তি। রক্তপ্রসাদ ভোগ। পিঞ্জর খাঁচায় বৃষ্টিবনের মুক্তির উল্লাস। ভুল নামে ডাক দিও না ময়না।
২৬। ২০১০ – ২০১১ -২০১২...
এভাবেই সময়সংখ্যা তার নিয়মে বেড়ে চলবে। তার সাথে পাল্লা দিয়ে পুরু হয়ে আসবে অবগুণ্ঠনের ভাঁজ। আমাদের প্রকাশ থেকে ধীরে ধীরে হারাতে থাকবে স্বতঃস্ফূর্ত সব অক্ষর। ধাবমান সময়ের কাছে এ আমার সবথেকে বড় অভিযোগ।
২৭। কারো কারো তো গন্তব্যই থাকে না
অথচ দেখো কী শক্তিই না ধরে শরীরে!
এই ধরই না হাওয়া, আগুন...
আরো বলতে পারি আঙ্গুল গুনে গুনে
তুমি আমার পায়ে চলার পথ
আমারও কোন গন্তব্য নেই
২৮। শরীরে শরীর লাগে না যেন বিপরীত অতিক্রমের ডিঙা
শুধু চলনের ঢেউয়ে থেকো নৃত্যমুখর
২৯। তুমি দেখছো জানালায় মেঠোপথ, ঐ মাঠের সিঁথিরেখায় ছন্নছাড়া খুশিতে ছুটে যাচ্ছে সকাল। তার পেছনে পেছন ছুটে চলেছে একঝাক শাদা হাঁস, হাতে কাশফুল সবুজিনী মেয়ে তার ঝাঁকে, আর এক কৃষ্ণকিশোর। তোমাদের বাড়ি, তোমার জানালা, তোমার ঘরটি এখন প্রক্ষেপণ প্রকোষ্ঠ...
৩০। মুখ ছুঁয়েছে রাত আবির
সাতটি তারার এই তিমির
রাতের কালো তীব্র ছুটে
তার মত এক মুখ ছুঁয়েছে,
- তাকিয়ে আছে খুব অধীর
সাতটি তারার এই তিমির
৩১। সন্ধান দাও
গেরুয়া বৃন্ত শাদা শেফালীর বন খুঁজে দাও
নাহয় দেখাও নীল উড়ানের ম্যাগপাই
দেখাও আঙ্গুল তুলে ইশান ঝড়,
ঝিলিক তড়িৎ
বজরার দোলে নিয়ে নাও -
তার গলুইয়ে ময়ূরাক্ষী, বুকে শাদা সফেনের পাল
শুধু দেখাও, তাড়াও...
আমি তাকিয়েছি চৈত্রের চোখ
স্থির।
তুমি বৃষ্টির রিমঝিম ঝড়ফুলদোল;
এসো, স্পন্দিত কর
৩২। কবিতারা শিশুকথা আধো আধো বোল। কবিরা অবুঝ।
৩৩। অক্ষর খুঁজে দেখো, অন্ত্যমিলেও নোনাজল লেগে থাকে।
৩৪। একটা সকাল দেখে কারো শৈশবের কথা মনে হতে পারে।
রাত্রিতে মৃত্যু নয় -
মায়ের স্নেহের কথা মনে পড়ে যায় কারো কারো
---এরকম বালকবেলায় পড়ে থাকে মানুষ
৩৫। জাহাজের কম্পাসে অজানা কুহক,
চৌম্বক ক্ষেত্রের বিভ্রান্তি নিয়ে
অবিরাম ঘূর্ণায়মান কাঁটায় ছিলো
ঠিকানার অথবা হারিয়ে যাওয়ার নির্দেশ।
একটা নিঃসঙ্গ লাইট হাউজের আলো সংকেত পেয়ে
এই জাহাজের অ্যাংকরে এখন
দারুচিনি অথবা সর্প দ্বীপের মাটি......
.......................................
...................
৩৬। স্নান শেষে স্নানঘরের আয়নায় সব মুখই সুন্দর
৩৭। ভোরের রাস্তায় মিন্টু রোড -
বুড়ো বুড়ো গাছ পাতাদের শিশির সমেত ছড়িয়ে দিয়েছে মিন্টু রোড
ভোর হাঁটা মানুষের নিঃশ্বাসে আরো কিছু বাঁচার তাগিদ
বেলা বাড়তেই মানুষগুলো ডানে শাহবাগ, বাঁয়ে কমলাপুর, সোজা মতিঝিলে
ঝাঁপিয়ে পড়ে, নিংড়ে দেয় বুক থেকে ভোরের বাতাস
বেলা বাড়ে - ম্যারাথন ট্র্যাফিকের ভিড় সামলে নেয় সুঠাম সড়ক
অপেক্ষা করে থাকে আবার সকালে কখন
সে বুকে নেবে নাগরিক পায়ের আওয়াজ
৩৮। ভোর কখনোবা বিমূর্ত ছাপ নিয়ে ফোটে
বাস্পের ছাঁটে মিস্টিক স্নানঘরের আয়নায়
যেমন আধফোটা হয়ে থাকে
রোদেলার চোখের লেগুন
ভোর কখন হবে অপেক্ষার শেষ
এথেরিয়্যাল মেলোডির
টুংটাং ডোরবেল...
৩৯। চোখের নজরে বড় ক্ষয়
নদীর এপাড়ে আমি
ঐপাড়ে শ্যামরেখা গ্রাম
সারাদিন বসে আছি
চোখে চেয়ে রেখাটির
নাচ তোলা বাঁক...
চিরকাল এইদিকে শ্যামসাথে আলোর বিরোধ
কে কার নেবে পরিচয়!
প্রহরে প্রহরে তাই ক্ষয় - চোখের নজরে ধরে ক্ষয়।
৪০। নীল পাউচে রেখেছো পাসপোর্ট
ব্লু তোমার প্রিয় রঙ, আরিয়ানা?
সদ্য রঙ করা ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে খুব যে হাত নাড়ালে!
ঠোঁটে আঙ্গুল ছুঁয়ে আকাশে উড়িয়ে দিলে তিনবার আর বিমর্ষ হয়ে গেল একা পাম বন
৪১। ভূমি চাই ইচ্ছেফসলের
কে চায় উপেক্ষার ছিটমহল
৪২। আজকে এমন উলের কাঁটায়
আপনের জন্যে কিছু উষ্ণতা
বুনে রেখো। আজকেটা খুব
কাগজের বিশেষ সংখ্যায় চোখ,
চনমনে চুমুক- লিপটন ধোঁয়ায়।
বিকেলে বেড়িয়ে পড়ার প্ল্যান
সিনেপ্ল্যাক্স নয় বানিজ্যমেলা।
অথবা চুপচাপ পকেট ভরিয়ে তোল
শব্দের মাল্টি কালার মার্বেল...
আজ কিছু করে ফেল, উচিৎ অনুচিত
আজ ছুটি।
৪৩। দুই হাতে তুলেছে মুদ্রা
বেলোয়ারি অন্ধ ঝিলিক...
সুন্দর জাগ্রতকারী, নিদ্রাকর কখনো নয়।
বিনোদীর স্বেদবিন্দুর চিহ্ন দেখে শুধু চিনি
-এখন সে কত রাত !
৪৪।এই পথ সুদীর্ঘ, সাগরিকা
যাকে তুমি ভাসিয়েছো অন্তর্জলী যাত্রায়
সেই জলে মেশালো সে শেরি মদঘুম, লেবুঘাস সন্ধ্যা নিজন।
সমুদ্র চিরকাল ক্ষমাবতী
জেনো, সে এক উদার পথিকশালা।
৪৫। শুধু জন্মাবি জন্ম দিবি মরে যাবি। ব্যাস, এই চক্কর ঘুরে এলেই বর্তে যাবি।
এদিকে সবকিছু গোল্লায় যাচ্ছে, যাক। মধ্যবিত্তের মাথায় হাত...... কলেজ পড়ুয়া বোনটির নির্ঘুম রাত ......
সড়কে দুর্ঘটনার প্রহসন...... লাল ফিতে, ডিভ্যালুশন.... এক্সপোর্ট-ইমপোর্ট ইম্ব্যালেন্স......চোর-পুলিশ, নেতা-দাগী বদমাশ......এই সবের মন্থনে উঠে আসা তিতো সকালের দৈনিকে
সাত টাকার বিজ্ঞাপন
আর তিন টাকার ইয়ার্কি
তাতে তোর কী?
শুধু জন্মাবি জন্ম দিবি আর মরে যাবি
৪৬। মনের দ্রোহিতা বড় নির্মম
সে তুরন্ত ফিরতে চায় দ্রাবিড় দীঘল ভূম
সমুদ্র পুরান
তার চারপাশে উড়ে যায় অবোধ্য কসমিক কণা
আজকাল মন বৈরী ভীষণ
তোমাদের অভয় কথা অপ্রবেশ্য, নিতান্ত সান্ত্বনাহীন
৪৭। বাঁশিসিদ্ধ জাদুই আঙ্গুল খেলে... এবার অধরে সন্ধ্যা ঘনায়
রোশনির ফুল হয়ে ফোট অয়ি বন্ধা সময় -
দেখ, উপড়ে যাওয়া নখে লেগে আছে পরিখার মাটি, যাবতীয় আত্মরক্ষা...
৪৮। পুরাণ মতে তিলোত্তমাও অনভিজ্ঞা হলে ফুটতে পারে
ভুলের প্রসূন – কুণ্ঠার হাত থেকে ছিটকে পড়তে পারে
জমানো কসমেটিক, আদরের সাজবাক্স... ওকিছু নয় ...
আজ হঠাৎই খুলতে পারো পুরনো ডাকটিকিটের অ্যালবাম
আর আমারও মধ্যমায় ভার্জিনিয়ার ঘ্রাণ –
ক্ষয়ের রোমান্স...
৪৯। তুমি ছুঁয়ে দাও আরও একবার
তুমি ছুঁয়ে দাও ভূমি
আজ প্রাণ ফসলে হেসে উঠি
তুমি ছুঁয়ে দাও আক্রান্ত জনপদ
উঠে আসুক এপিটাফে লেখা মোহন শোভন নাম
ঐ আত্মারা ছড়িয়ে পড়ুক আত্মায় আত্মায়
তুমি ছুঁয়ে দাও
ছুঁয়ে দাও এই ভূমি
ছুঁয়ে দাও আরও একবার যীশু তুমি
৫০। অভিশাপ, তীব্র সন্তাপ আর অশ্রু অনুশোচনায় দুঃখ পেও না। দেয়ার আর হানড্রেডস অফ ওয়েস টু নিল ডাউন এন্ড কিস দ্যা গ্রাউন্ড।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন