পোস্টগুলি

ডিসেম্বর, ২০১০ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

ডায়ালে ঘুরছে যত ঘুম

আমি রূপসীর ম্লান চোখে কাজল এঁকে দিচ্ছি যে চোখ দেখেছে আপাত স্থির কাঁটায় মোমধীরজ্বলনের ক্ষয় স্নায়ুনাশী নগরের অসচ্ছল রোদ মুছে গেলে এই সব অন্ধকার নেকাবের ছলে বকুলের মালা বিকোতে যায় ক্লিন্ন কিশোরী রাজপথের সকল অন্ধ ভিখিরি হয়ে যায় নগরদোহার এরেমে সাকুরার ঘোলাচোখে গাঢ় অন্ধকার জড়িয়ে সব ট্র্যাফিক সাইন ভুল আলো জ্বালে পাইথন মোচড়ে নিথর পড়ে থাকে জীবনের নাম – কিশলয় বিদ্যাপীঠ, চয়নিকার রূপসী বাংলা জেগে থাকে চোলির ঝনাৎ বিটে ধুম আমি কেন আঙ্গুলে সে নাম তুলে রাখি অজানা ডায়ালে ঘুরছে যত ঘুম !

জাগো

দিন যায় দিন আসে যমুনার ভোর আসে বেথুনের কাঁটা বনে রক্তপাতের দিব্যি দিয়ে আদ্য প্রীতিরা আসে কবরের রাত আসে জন্মের দিন পরম আমার তুমি জান না মিলেও মিলে না কত জনে বাজির মন্ত্র মেলে না কত নদীর প্রার্থনা - সব হংসকুমারের ডুয়েল থেমে গেলে শুরু হবে আবারো উৎপীড়নের মৈথুন তাই রীতিনীতি বুঝে রাখো এই চোখ খুলে রাখো ঘরোয়া বাতাসে রাখো আজকের শৌভিক রোদ ভাল হোক তোমাদের, আমাদের ভাল হোক অরু আকাশের ভাল হোক মাটিতে দাগ কেটে অজ্ঞাত কথা বলা মানুষের ভাল হোক ভাল হোক মা মাটি মানুষের ভাল হোক স্মৃতিলেখাদি’র সংসারে ফুটফুটে আলো হোক নিঝুম রঙে আর রেখায় পুনর্বার মুঠোবন্দী হোক স্বর্ণলতার বিস্তার পানকৌড়ি জীবনে নামুক অতলের ডুব দিন যায় দিন আসে ইশানের আলোমেঘে জীবন আকাশে হাসে ড্যাবোনির হেক্টর আর তার পেতলের ঢাল; স্বর্ণলতাটি হাসে অনিশার রঙে হাসে হিমলোকে বারুদের কাল

এক সন্ধ্যায় – পতেঙ্গায়

শিশিরের মত সব মুহূর্তকণায় জমে আছে নিশান্তের কথা, অনাহিতা এইখানে ব্রাত্যজন, আদিরূপ দীঘল কবিতা তুমি দিলে রাত জোনাক সঙ্কুল আর্য্য পুরুষে দিলে হিমলোকের সূর্যপান তার নীলকুঠুরির হেরেমে প্রজ্জ্বলিত হোল রঙিন কাঁচের দীপ, ল্যাটিনার হাসি তাকে দান করলে গারুদার বীতশোক চোখ প্রখর; সেমেট্রির গ্রানাইটে দিলে পুষ্পবীজ তার গোপন টানে লাগালে বারোয়ারি গম্ভীরার সুর রক্ত-ঘাম শরীরে মেখে দিলে ময়না পাখনার মোম ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কত সহস্রবার কবিতার মৃত্যু হোল জন্মতারা ঢেকে গেল সৌরধুলোয় গোখরো মোজাইকে হারিয়ে গেল পরাগসংকেত তাঁতশালায় পড়ে রইল শুন্য ববিন - এইসব নিশ্চুপে, নিশ্বাসে-প্রশ্বাসে দীর্ঘতায় ঠান্ডা চায়ের কাপ… এই সবকিছু লেখা থাক মোহন মৃদঙ্গ লয় সন্ধ্যাসংহিতায় লেখা থাক অর্জুন শরতের গান শিশিরের মত সব মুহূর্তকণায় জমে আছে ফিরতি সংকেত আমাদের তৃতীয় জগৎ খুলে যায় রঙে আর রেখায় স্পষ্ট সাংকেতিক পতেঙ্গার নিথর লোনাজলে সাঁতরে আসে অলৌকিক মারমেইড টাইটেনিয়ার হাসি, আইস ক্রিস্টালে পড়ে থাকে সাত পাঁইট মহুয়া আঁধার

সেদিন বিকেলে

দুপুরের রুদ্র আলোক স্নান করে এসেছিল সেদিন হৃদয়হরণ অজানা অবাক এক ইচ্ছে ভুলানো বিকেল তার রোদছায়া খাম খুলতেই বেরিয়ে এলো গোপনতার গুঞ্জ্ন, শিশুপাতার মৃদু সবুজরঙ অক্ষরে হারমোনিকার সারগাম… তখন প্রসন্নতা সুজনি চাদরে জড়িয়ে নিয়ে স্ট্রিং ছেঁড়া গিটারের সুরছুট শোক ভুলেছিল নীল রবিন ভোরবাগানের লিরিকে লেখা পোষ মানানোর ছল আর ইচ্ছেধারী হরিণের সব কথা অনুবাদ করে দিয়েছিল নয়ন ভুলানো আলো করে আসা দিনান্তের হাসি আকাশে রুপোর টিন্ট গাঢ় হয়ে এলে অনুপুঙ্খ পড়ে ফেলা যায় শান্তির স্লোক মখমল রোদ গায়ে মেখে চুপচাপ উষ্ণতায় ভুলে যাওয়া যায় পাথর মূর্তির হিম…

উজানধলের গান

জীবন নিসার করে পতঙ্গ উড়ে যায় অসহায় ফেরোমোন ডাক শাল সেগুনের বন গৈরিক পাহাড়ের মনুমেন্ট মার্বেলে জ্যোৎস্নায় ভেসে যায় আঁধার জারিত শীৎকার সূর্যোচ্ছ্বাসের মত যৌবনের আশায় সুমঙ্গলা শ্রীমঙ্গলের সবুজ মৈথুনে পড়ে থাকে কুয়াশার স্বেদ উপ্ত মাটিতে জাগে স্ফূরণের শৈশব - সেইসব ভুলে গিয়ে এই পৃথিবী জাগিয়েছে ক্ষত অবিরত হৃদয়ের নির্দেশ ভুলে মানুষের নষ্ট ইতিহাস বেদনা জাগিয়েছে রাত্রিচিহ্ন প্রিয়তার সবকিছু ভুলে গেছে তেজাবের দিন খামখেয়াল, ফকীরির পথ ভুলেছে সকলে কে বলেছে কখন কবে এই ভাবে ব্যাথা দিলে এই পৃথিবীর ব্যাথা লাগে উজানধলে, শ্রীমঙ্গলে ভাটার আগুন জ্বলে এইসব প্ররোচনা – কবেকার কথা নদীকে সংগে নিয়ে মিলিয়েছে বজরার দোল; চাঁদ পুরনো লাগা ব্যাথা কার হলুদের হাত প্রার্থনা হয়ে গ্যাছে অনাথ পাখির সিঁথিপথে রাত্রিরশ্মি বন সাফারি তাবুতে জোনাক ঘুমিয়ে গ্যাছে আলো দিতে দিতে তবু এই আমার আকাশে ফিরে পাবে বিস্মৃত সন্ধ্যা ইথারে মিলিয়ে যাওয়া মরমের গান নামহারা ছলোছলো ধুন – উজানধলের গান এই আঙ্গিনার পাশে আমারি রুহানি আকাশে