কথা কিছু কিছু

১।

মৃত জীবনের ক্লান্তিতে হাসো
এখনো যে গান ভালোবাসো

২।

মৌন-কে ভালোবেসে দেখেছি আমি
- কথা বলে

৩।

গল্পটা তোমার হলে, শেষটাও তোমারই লিখে যেতে হবে

৪।

এ পৃথিবী যুদ্ধময়
মৃত্যুতে সমাপ্তি হয়

৫।

ফেরার পথে দেয়াল তুলে বলছ কেন আসছ না

৬।

সঙ্গীতকে শুনি বেশি, মানুষ শুনি না

৭।

জীবনে শুদ্ধি শুধু নয়, প্রেরণা দিও

৮।

বলা যায় এ কথাটা কত অনায়াসে
আমাদের মন বড় স্মৃতি ভালোবাসে

৯।

নিত্য ধারার দিনে
কাজ শেষে সন্ধ্যা স্নানে
কবিতা আসে না

১০।

আমরা অন্ধকারের জীব
ভোর আসবেই মির্জা গালিব

১১।

চল ফের অচেনা হই
দু'চোখের টানে বই নাম না জানার ব্যথা

১২।

আমাদের ইচ্ছেরা তারা ভরা রাত
ভূমি থেকে তাকালেই আকাঙ্ক্ষা বাড়ে
শেষ বর্ষাত তুমি দিও না আমারে--
ভিজে যাওয়া কান্নার অশরীরি হাত

১৩।

তবলার ধুন যেন হাসি আর ধ্যান
তবলার বোলে যেন ঈশ্বর পেলেন,
জাকির হুসেন

১৪।

এ দেশ ভুলেছে সব, কীভাবে পেলাম;
রক্তস্মৃতি, পৃথিবীরে তোমাকে দিলাম।

১৫।

কথা কত সুন্দর
নিজেদের কথা কত নিজ
হেলাল হাফিজ

১৬।

আলো তারাকে বলেছি খুঁজে দাও
অন্ধকারের স্বীকৃতি নাও
আর খুঁজে দাও বাক্‌শক্তিহীন তার মুখ

১৭।

মেহেদীকে ছাড়িয়ে যায় নখ

১৮।

আমার মন মানে না
কথা শোনে না এরকম লেখারা
সে আঁকে এরকম পাণ্ডুলিপিতে
গাছের শরীর জননী

ঐ মন মানে না
দিন...
রজনী

১৯।

খুব কম পাখি পোষ মানে, তাদের গান তোমার মত দূর থেকে শুনতে হয়

২০।

সমুন্দ ঘোড়া থেকে
ছিনিয়ে নিয়েছি গতি
সে শুধু আমার পোষ্য হয়ে থাক

যেমন আমি ঈশ্বরের

২১।

আমার ছায়ার মতো দীন, তোমার মায়ার মতো লিন
যতটুকু আলো আছে আমাদের বুকে যে বিলীন

২২।

একটাও নীল হরিণ নাই
একটাও আকাশী গন্ধরাজ?
তেমন একটাও রক্তাভ নদী নাই
এই শত কোটি বছরের
খুনী পৃথিবীতে !

২৩।

সুদূরে হারিয়ে যেয়োনাকো
দূর আদর থেকে ছোট

২৪।

মরুভূমি এক প্রাজ্ঞ বৃদ্ধ, জীবন চক্রের কূটচালকে প্রত্যাখ্যান করে সে।

২৫।

হোটেল লা মেরেডিয়ানের বুফে লাউঞ্জে দেখা
একটা স্লিভলেস রাত, সুইট--- লা ইজ লা বনিতা
স্কচ হাতে তোমার- ‘স্যরি’
সেই থেকে নাকে শ্যানেল স্মেল.........
মৃদু হুইসপার

২৬।

আকাশটা কালো কালো, তুমি মিছিলের কথা বল

২৭।

আমাদের সবার মৃত্যু হল
তোমরা কেউ কিছুই নিয়ে আসতে পারলে না
আমি তো ইচ্ছে নিয়ে এসেছি

২৮।

তাকালে প্রেম ...
পলক নামালে সম্মতি মেনো

২৯।

হৈমন্তী সেই সিডরের অন্ধকার রাতে বলেছিল, সমস্ত গ্রন্থই একবার পড়ে ফেলার পরে ঘুমিয়ে থাকে

৩০।

স্মৃতি ভোলো বলো কেনো, হে অন্ধ রাত
এ জীবনে দেখিনি তো স্মৃতিহীন চাঁদ

৩১।

মুখের ভাতের উপার্জন একটি প্রমত্ত আদিমতা

৩২।

সাজেক থেকে ফিরছো তুমি ট্রেনে,
দুহাত বাড়িয়ে দিলে হঠাৎ -
তারপর চিৎকার করে বললে-
মা কে দেখে এলাম

৩৩।

যদি দূর রবিনাথ এ হৃদয়ে না হোতো পঠিত
তবে কীভাবে এ গুনগুন- সুন্দর বটে তব অঙ্গদ খানি তারায় তারায় খচিত

৩৪।

এই পৃথিবীর নাটুকে সংসার থেকে যখন ছাড়া পাবে তুমি, দেখবে সুন্দরবনের জংগলপথ কতটা হরিৎ, সেখানে বাঘের হামলা আছে কিন্তু হরিণের একদৃষ্টে তাকিয়ে থাকার কোনো শেষ নেই

৩৫।

না, এমন কোনো সুখ নেই আর এই পৃথিবীতে তোমার গন্ধ নেওয়া ছাড়া

৩৬।

মাঘের আজানভোরে হেঁটে যাচ্ছে এক বাউল, তাকে ফেরানো যাবে না, সে কুয়াশার মাতৃরূপ দেখতে চায়

৩৭।

পেড়িয়ে যাচ্ছি লাল মরিচের ক্ষেত, তার গন্ধে চোখ ঝাপসা হয়ে যাচ্ছে। একটু পরেই চিতশী স্টেশন। আমার দিদা'র থেকে দূর।

৩৮।

যে ম্যাসেজে লিখেছো- নীরবতাই সন্নিকট, উত্তরে বলেছিলাম, প্রত্যাক্ষাতরাই শব্দ সাজায়

৩৯।

জীবনানন্দ কেন নাটোরের কথা বলেছিলেন, কেউ বলতে পারে না সমুদ্র কেন অতিদূর, সুদক্ষ নাবিক কেন দিশাহীন

৪০।

এত এত লোকজন, তার মাঝেও আমি চুপ— একা হচ্ছি ক্রমশ; এত এত পাখি আর বৃক্ষের মায়ায় আমি নেই ঋষিপথ, দেখি ক্রমাগত আমি বন্ধু বৎসল, এখন আর একা নই

৪১।

এ তো জীবন, আমাদের একসাথে চলা; সে তো জীবন আমাদের পাশে পাশে মৃত্যুর মত হাঁটছে

৪২।

উর্বশী নারীরা ভাস্কর্য, কৃষ্ণের বাঁশি নিয়ে বসা সেই বৃক্ষডাল থেকে যখন ভেসে আসে কবুতরের গান তখনই উর্বশীদের ধ্রুপদী নাচ

৪৩।

এই পৃথিবীর নাটুকে সংসার থেকে যখন ছাড়া পাবে তুমি, দেখবে সুন্দরবনের জংগলপথ কতটা হরিৎ, সেখানে বাঘের হামলা আছে কিন্তু হরিণের একদৃষ্টে তাকিয়ে থাকার কোনো শেষ নেই

৪৪।

দিনে আর কী কথা সুস্মিতা, রাত্রিই ব্ল্যাক সি, রাত্রিই সৃষ্টির কথা

৪৫।

ভোরের ডানা কাঁপা পাখি সব, তোমাদের দেখিয়ে দেব দিরাইয়ে আব্দুল করিমের নীড়

৪৬।

দৃষ্টিতে তার সর্ষে ফুল
চাঁদের আলো চোখ ব্যাকুল
সেই ফুলেরই আলোর রাত
মেঘ ডেকে কয়, এ আঁতাত
ভাংতে আমি পারবো না
সর্ষে রে তুই রঙ মাখা

৪৭।

একটি হিজল বন, নাম নিরালা- সেই বনে সন্ধ্যায় এলে দিয়ালা
এমন আঁধার-আলো দেখি নি যে আর, তুমি কি এসেছো বনে হতে নিরাকার?

৪৮।

বৃক্ষ যদি রচনা করে যেত তার আত্মজীবনী, তবে আমরা বুঝতে পারতাম
মৌন ধুনের কোনো তুলনা নেই

৪৯।

মানুষের মৃত্যু সত্য
তবে, যে যে আত্মারা চলে গেছে মহাকাশে
তাঁরা কি সকলেই মানুষের দুঃখকে ঈর্ষা করে?

৫০।

মন কেনো গেজিং পাহাড়ে নির্জন পামের বাগানে তুষারের শাদা ধারা চেনে না, শুধু বলে এ তো কান্নার বর্ষাত, তুমি ডেনজকা ভডকা’র বোতোল খোলো, শোনো কিশোর কুমার- ---
চলে গেছে দিন তবু আলো রয়ে গেছে

৫১।

আজ জ্যোৎস্নার তীব্র আলো সূর্য হতে চায়
তাজমহলের নীচে উদ্ধার হতে থাকে হাজার শ্রমিকের বৃদ্ধাংগুল

৫২।

এ কোনো রাত নয়
মন পাখি কথা কয়
ঘুম মৌনতা নয়
অমাদের কথা হয়

কথা হয় নদী পার
কথা কয় নিরাশার
শোনোগো বিমনা রাত
গুম খুন নিরাকার

৫৩।

জীবনের দিনে তুমি অন্ধ তালাশ
আলোতারা রাতে তুমি বাকীটা আকাশ

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

অনুবাদ - Gloomy Sunday (আত্মহত্যার গান)

অনুকবিতা

অনুবাদঃ “আফরি” –“ the most beautiful one!”