ছোট কথা
১
তুমি কি নদীর কেউ, সারেং-এর গান
অষ্টপ্রহর ঢেউ, না ফেরা ডিঙির অভিমান
২
ঘুম থেকে স্বপ্নদের বাদ দিলে থাকে প্রকৃত ঘুম
৩
আলো আমায় চায়নি বলে
রাত্রি আমায় ফিরতে বলে
৪
শোপিস থেকে ঠিকরে বেরোচ্ছে ঝলমল, ভঙ্গুর জীবনের কাহিনী
৫
সন্ধ্যা রায় তুমি সীমিত সময়
অনেক দিনের মতো নয়
অনেক রাতের মতো নয়
৬
ছায়া যদি ছাপ রেখে যেত
সবাই চিনে নিতো নাচের স্কুল
৭
তোমার বাড়ির পাশে গাছ হয়ে বাড়ছি, কোনো এক বিকেলে ছাদ ধরবো বলে
৮
পারফিউম থেকে সন্ধ্যা বাদ দিলে থাকে শূন্য হোটেলের লবি
৯
যতক্ষণ পূর্ণ থাকে কালো, মধ্য রাতের মতো
মানুষ আবার লিখলে চিঠি অনেক কবিতা হোত
১০
উপহার
*
'যাই'-বলে সন্ধ্যা চলে যায়...
নেশার পানীয় ঘুরে
চোখে আর দুই চোখে বসে।
'যাই'- বলে নদী চলে যায়
অবয়ব তবু তার থাকে;
উপহার দিয়েছিলে নির্লিপ্ত ঘড়ি
'যাই'- বলে বার্ধক্য দিয়ে যায়।
১১
যার স্বজন গেছে তাকে নিভৃতে জিজ্ঞেস কোর
মৃত্যুই স্তব্ধতা নয়
বেঁচে থাকাই স্তব্ধতার শেষ কথা
১২
সঞ্চয়হীন আমার এই নীল তাঁবুতেই ঘর
রঙের বাটি ঢালতে কেন চাও
অশ্রুর চেয়ে দামী হলে ফিরে যাও
১৩
পাথর হয়ে পড়ে আছি, ক্ষয়ের কথা ভোল
ঝর্না আমার বুকের ভেতর ছলকে ঝলোমলো
১৪
খাট
*
আমরা সবাই বৃক্ষের লাশের ওপর শুয়ে থাকি
১৫
কে ডেকেছে আমাদের এত সুমধুর
দু'জন আমরা তবু
দু'জনেরই ডাকনাম- দূর
১৬
গোপনবাসীর কান্নাকথা চিহ্ন রেখে যায়
বৃষ্টি যখন লুকিয়ে কাঁদে শিশির হয়ে যায়
১৭
আমাদের কারুর নেই শিশুর ছোট হাত
কীভাবে ধরে থাকি
১৮
অন্ধকারে যত নিভে যাই
সূতো ছিড়ে গড়ায় পলাশ
পাহাড়েই বাড়ি ছিল জানি
অন্ধ বালিকা নাম- 'আলো'
অন্ধকারে লেগেছিলো ভালো
পাহাড়ে মালার মতো আলো
১৯
যাইনি তার কাছে, দূর থেকে কতটুকু চিনি
মন্দিরের চূড়ায় চাঁদ অমর একাকিনী
২০
ফরগেটফুল রিভার
*
অথবা শুদ্ধ স্নান, সোনালি ধানের জল
অনন্ত যাতায়াত
কালো মেয়ের আত্মহনন
এ বাড়িতে জলের দাগ, তুমি
২১
মেঘ হয়ে আছো বলে শিকড় হয়েছি
২২
বাতাসে অকটেন গন্ধ
ভিখিরি সন্তান-কে আঁকড়ে ধরে বলে- দাও
২৩
তুমি যদি গান গাও, আলো বুনি অন্ধকার বুনি
তুমি যদি গান গাও পোড়োবাড়ি মায়া লাগে জানি
২৪
এক মরুতে দু'জনেই তৃষ্ণা নিয়ে ঘুরে
বলেছিলাম,- 'আঘাত দিও'
তোমার ঠোঁটে যেন আমার অশ্রু ঝরে পড়ে
২৫
একটি শ্যামল গাছ ভাবো নিজেকে,
আয়নায় উন্মুক্ত
বৃক্ষ ফুলে অনুরক্ত
২৬
একেবারে শূন্য হাতে আসিনি, মমতার আঙুল এনেছি দেখ, কররেখায় আমাদের আয়ু...
২৭
মুক্তি চেয়েছি দু'হাত ছড়িয়ে
পাখির পাখার মতো করে
দূরে, মনুষ্য থেকে দূরে।
মানুষ ফাঁদ পেতে পাখি ধরে
মানুষ পাখির ব্যবসা করে।
২৮
প্রদীপ নিয়ে নিরন্তরে এই যে চলা
রাত্রিমতির বন্ধ দুয়ার, জানলা খোলা
২৯
ফুলের ক্ষয়ে ফলছে যারা
নিঃস্ব কবির পদ্য তারা
৩০
মনের মাঝে একটি স্টেশন আছে- কান্না হাসি ভিড় করেছে সবে
স্টেশন থেকে বাড়ি অনেক দূরে, তাই কি তোমার আসতে দেরি হবে
৩১
মানুষ এমনি তো ভেতরে ভেতরে
আয়নায় সিঁদুর-ছাপ, অশ্রু ঝরে পড়ে।
৩২
জীবনকে মানুষ বাসতো ভালো তবু মৃত্যুই কেন ঈশ্বর অভিমুখী !
৩৩
আমার একটা অসুখ হোক
মেসবাড়িতে মা আসুক
তুমি কি নদীর কেউ, সারেং-এর গান
অষ্টপ্রহর ঢেউ, না ফেরা ডিঙির অভিমান
২
ঘুম থেকে স্বপ্নদের বাদ দিলে থাকে প্রকৃত ঘুম
৩
আলো আমায় চায়নি বলে
রাত্রি আমায় ফিরতে বলে
৪
শোপিস থেকে ঠিকরে বেরোচ্ছে ঝলমল, ভঙ্গুর জীবনের কাহিনী
৫
সন্ধ্যা রায় তুমি সীমিত সময়
অনেক দিনের মতো নয়
অনেক রাতের মতো নয়
৬
ছায়া যদি ছাপ রেখে যেত
সবাই চিনে নিতো নাচের স্কুল
৭
তোমার বাড়ির পাশে গাছ হয়ে বাড়ছি, কোনো এক বিকেলে ছাদ ধরবো বলে
৮
পারফিউম থেকে সন্ধ্যা বাদ দিলে থাকে শূন্য হোটেলের লবি
৯
যতক্ষণ পূর্ণ থাকে কালো, মধ্য রাতের মতো
মানুষ আবার লিখলে চিঠি অনেক কবিতা হোত
১০
উপহার
*
'যাই'-বলে সন্ধ্যা চলে যায়...
নেশার পানীয় ঘুরে
চোখে আর দুই চোখে বসে।
'যাই'- বলে নদী চলে যায়
অবয়ব তবু তার থাকে;
উপহার দিয়েছিলে নির্লিপ্ত ঘড়ি
'যাই'- বলে বার্ধক্য দিয়ে যায়।
১১
যার স্বজন গেছে তাকে নিভৃতে জিজ্ঞেস কোর
মৃত্যুই স্তব্ধতা নয়
বেঁচে থাকাই স্তব্ধতার শেষ কথা
১২
সঞ্চয়হীন আমার এই নীল তাঁবুতেই ঘর
রঙের বাটি ঢালতে কেন চাও
অশ্রুর চেয়ে দামী হলে ফিরে যাও
১৩
পাথর হয়ে পড়ে আছি, ক্ষয়ের কথা ভোল
ঝর্না আমার বুকের ভেতর ছলকে ঝলোমলো
১৪
খাট
*
আমরা সবাই বৃক্ষের লাশের ওপর শুয়ে থাকি
১৫
কে ডেকেছে আমাদের এত সুমধুর
দু'জন আমরা তবু
দু'জনেরই ডাকনাম- দূর
১৬
গোপনবাসীর কান্নাকথা চিহ্ন রেখে যায়
বৃষ্টি যখন লুকিয়ে কাঁদে শিশির হয়ে যায়
১৭
আমাদের কারুর নেই শিশুর ছোট হাত
কীভাবে ধরে থাকি
১৮
অন্ধকারে যত নিভে যাই
সূতো ছিড়ে গড়ায় পলাশ
পাহাড়েই বাড়ি ছিল জানি
অন্ধ বালিকা নাম- 'আলো'
অন্ধকারে লেগেছিলো ভালো
পাহাড়ে মালার মতো আলো
১৯
যাইনি তার কাছে, দূর থেকে কতটুকু চিনি
মন্দিরের চূড়ায় চাঁদ অমর একাকিনী
২০
ফরগেটফুল রিভার
*
অথবা শুদ্ধ স্নান, সোনালি ধানের জল
অনন্ত যাতায়াত
কালো মেয়ের আত্মহনন
এ বাড়িতে জলের দাগ, তুমি
২১
মেঘ হয়ে আছো বলে শিকড় হয়েছি
২২
বাতাসে অকটেন গন্ধ
ভিখিরি সন্তান-কে আঁকড়ে ধরে বলে- দাও
২৩
তুমি যদি গান গাও, আলো বুনি অন্ধকার বুনি
তুমি যদি গান গাও পোড়োবাড়ি মায়া লাগে জানি
২৪
এক মরুতে দু'জনেই তৃষ্ণা নিয়ে ঘুরে
বলেছিলাম,- 'আঘাত দিও'
তোমার ঠোঁটে যেন আমার অশ্রু ঝরে পড়ে
২৫
একটি শ্যামল গাছ ভাবো নিজেকে,
আয়নায় উন্মুক্ত
বৃক্ষ ফুলে অনুরক্ত
২৬
একেবারে শূন্য হাতে আসিনি, মমতার আঙুল এনেছি দেখ, কররেখায় আমাদের আয়ু...
২৭
মুক্তি চেয়েছি দু'হাত ছড়িয়ে
পাখির পাখার মতো করে
দূরে, মনুষ্য থেকে দূরে।
মানুষ ফাঁদ পেতে পাখি ধরে
মানুষ পাখির ব্যবসা করে।
২৮
প্রদীপ নিয়ে নিরন্তরে এই যে চলা
রাত্রিমতির বন্ধ দুয়ার, জানলা খোলা
২৯
ফুলের ক্ষয়ে ফলছে যারা
নিঃস্ব কবির পদ্য তারা
৩০
মনের মাঝে একটি স্টেশন আছে- কান্না হাসি ভিড় করেছে সবে
স্টেশন থেকে বাড়ি অনেক দূরে, তাই কি তোমার আসতে দেরি হবে
৩১
মানুষ এমনি তো ভেতরে ভেতরে
আয়নায় সিঁদুর-ছাপ, অশ্রু ঝরে পড়ে।
৩২
জীবনকে মানুষ বাসতো ভালো তবু মৃত্যুই কেন ঈশ্বর অভিমুখী !
৩৩
আমার একটা অসুখ হোক
মেসবাড়িতে মা আসুক
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন