দেখা মানে অরণ্যে অচেনা ফুল - ৪
১
কেন আমায় অরণ্য চেনালে
রাত্রি করে আসে...
চেনা পথের স্বস্তি কেটে গেলে
মোহের মতো অরণ্য দেখালে
ধ্রুবতারা নিঃস্ব করে হাসে
রাত্রি করে আসে শুধু রাত্রি করে আসে
২
বুকের পাঁজর অতো নরোম নয়, কীভাবে নেবে যশোদার শিশুর হাসি, পড়ে থাকা জীবনের ঘুম!
৩
মন পোড়ে আর রঙিন পাখি ওড়ে, সন্ধ্যা দিয়ে বাঁধিয়ে রাখি ঘরে।
৪
ফাগুনে শ্রাবণ থাকে, থাকে অন্তমিলে
ফাগুনে প্রকৃতি শুধু চোখ মুছে ফেলে
৫
যদি শুধু হাসি হও
তুমি তত তুমি নও
৬
যেইখানে ছোঁয়া ঘর করে
মেলায় একটি লোক হুইল চেয়ারে
৭
তৃণ মরে যায় পাখির বাসা হবে বলে
৮
মেলানকলি
*
ডে-কেয়ারের চাকরীটা চলে গেল নিঃসন্তান মা'র
৯
অন্ধকে পায়নি চাঁদ, তাই সে রাতে এসেছে
১০
তন্ময়তা তোমার কী আছে পরিচয়
ধ্যান সে তো প্রেম, মৃত্যু পরিণয়
১১
রাত্রি কখনো বোবা
কখনো বা পুরনো বন্ধুর দল
১২
অন্ধ তবু 'নেচে ওঠো', বলি
নূপুর হতে সোনার মতো জ্বলি
১৩
আদুরে বেড়াল ছানা
আমাদের ঘরে থাকে পিতৃমাতৃহীন,
মৃত্যু একা থাক।
১৪
রাত্রি ও পুত্রের মাঝে
দেয়ালে মায়ের ছবি আছে
১৫
নত সন্ধ্যা নেই তবু বুকে শঙ্খ ঘোষ
আমার চারিদিকে মানুষ মানুষ
১৬
কার বাছুর হারিয়ে গেল, যুবক মিছেই পলাশ আনে
দুঃখ হলে ছোট্ট গ্রামে সবাই জানে সবাই জানে
১৭
রবি নাথ
*
সঙ্গীতে যে ধরেছে আকাশ
মৃত্যুতে তাঁর এতো অবিশ্বাস
১৮
জানে না জানাকে
মৃত মায়ের হাত শিশু ধরে রাখে
১৯
পৃথিবীর সব অন্ধ হোল তারা, রাত করেছে এমন আয়োজন
আমরা যেন দেখি নিমেষহারা অন্ধত্বের আলোরা কেমন
২০
মৃত শিউলি কুড়িয়ে চল, জীবিত আমাকে তোলো না
২১
এ পৃথিবীর তাবত নির্মাণ
একটি কুঁড়ির ফুটে ওঠা দেখে মুখ লুকোচ্ছে
ওটাই কবিতা
২২
জানলা খুলে ভোরের কুয়াশাকে
দেখ তুমি সবাই যখন ঘুম
আমি বলি নালিশ জানাও কাকে
মরমিরা আবছায়া প্রসূন
২৩
লেটার বক্স অথবা লাল একটা একটা পোস্টবক্স
কেন হারিয়ে যাচ্ছে
রক্ত কেন মৈত্রীর মতো লাল
চায়ের কাপে ঝগড়া সবসময় ভালো না
আর চিৎকার এঁকো না,
প্রীতি নিও
তুমি তো শোক দেখেছো !
২৪
মৌমাছির মতো বিস্মরণ দাও, মৌচাক গড়ি
২৫
মানুষ একলা হয়, হয় রে অনাথ
মানুষের ভুল হয়, মানুষেরই হয় অপরাধ
২৬
আমিও চলেছি পথে মেঘটানা পথ, অসতর্ক গানের কথারা কানে-
আমার সোনা বন্ধু রে ভুলে গিয়ে কার কাছে যাবো, আদিমতমা?
২৭
'মানুষের সবকিছু ভুলে পাখি হয়ে যাও'
বৃক্ষ কেটো না
২৮
আঁধারের ভাষা ঈশ্বর শোনেন। আকাশের তারারা তার শ্রুতলিখন।
২৯
নীরব সন্ধ্যা সে ভেতর সুমন
চোখের কথারা তার শান্তিনিকেতন
৩০
এমন নৈকট্য আমাদের
বৃক্ষ পুড়ে যায় নিরুপায় কাঁদে তার ছায়া
৩১
একটা লাল পার্কার পেন
আর্চিস কার্ড
ক্যাডবেরি
ধূসর শালের ভেতর থেকে বেরিয়ে আসে
৩২
স্মৃতি আছে যার সে-ই ছবি আঁকে
ঘুমন্ত শিশুর হাত মায়ের আঁচলে
অরণ্যের শিমুল দূরে উড়ে যায়
হাওয়া তার কিছু পায় টের প্রজ্ঞা লাবণী
শ্মশান সর্বত্র আছে, সুন্দর সর্বত্র আছে
স্মৃতি আছে যার সে-ই জানে
স্ফুলিঙ্গ ধরার কিছু নয়
৩৩
তোমাকে কেউ চেনে না ব্যালেরিনা
তবু তোমার বিরহ নাচে
ড্যান্সফ্লোরে পড়ে আছে শত ভেজা চোখের কাহিনী
৩৪
আলোর চঞ্চলতা রাতে তারার হাসি
দেখে স্তব্ধতা পর্বত হয়ে আছে
৩৫
যখন বুঝবে ভীষণ ঘুম আসে
কারো মুখ নয় তার মতো
যখন বুঝবে বৃক্ষের বৃদ্ধি থেমে আছে
শীত মানে সারাদিন সূর্যাস্ত
বুঝবে, সমস্ত অভিমান শেষ হয়ে গেছে
বুঝবে, তুমি আর ভালোবাসছো না
৩৬
তোমার ছায়াকে মাটি ধরে রাখে, এরপর বৃষ্টিতে ঘাস হয়ে যায়
৩৭
যে মহানির্জনতা আমাকে দিয়েছো
এই দানের সুখ কেমন?
৩৮
জীবন জটিল এত নানা কাজ কত আয়োজন
বিহন তোমার প্রেমে আরো দিন-রাত প্রয়োজন
৩৯
সূর্যাস্ত হল, হেডস্যার
চলুন যাই এ বেলা
পথেরও বয়স হল
শুধু স্তব্ধ ছেলেবেলা
কেন আমায় অরণ্য চেনালে
রাত্রি করে আসে...
চেনা পথের স্বস্তি কেটে গেলে
মোহের মতো অরণ্য দেখালে
ধ্রুবতারা নিঃস্ব করে হাসে
রাত্রি করে আসে শুধু রাত্রি করে আসে
২
বুকের পাঁজর অতো নরোম নয়, কীভাবে নেবে যশোদার শিশুর হাসি, পড়ে থাকা জীবনের ঘুম!
৩
মন পোড়ে আর রঙিন পাখি ওড়ে, সন্ধ্যা দিয়ে বাঁধিয়ে রাখি ঘরে।
৪
ফাগুনে শ্রাবণ থাকে, থাকে অন্তমিলে
ফাগুনে প্রকৃতি শুধু চোখ মুছে ফেলে
৫
যদি শুধু হাসি হও
তুমি তত তুমি নও
৬
যেইখানে ছোঁয়া ঘর করে
মেলায় একটি লোক হুইল চেয়ারে
৭
তৃণ মরে যায় পাখির বাসা হবে বলে
৮
মেলানকলি
*
ডে-কেয়ারের চাকরীটা চলে গেল নিঃসন্তান মা'র
৯
অন্ধকে পায়নি চাঁদ, তাই সে রাতে এসেছে
১০
তন্ময়তা তোমার কী আছে পরিচয়
ধ্যান সে তো প্রেম, মৃত্যু পরিণয়
১১
রাত্রি কখনো বোবা
কখনো বা পুরনো বন্ধুর দল
১২
অন্ধ তবু 'নেচে ওঠো', বলি
নূপুর হতে সোনার মতো জ্বলি
১৩
আদুরে বেড়াল ছানা
আমাদের ঘরে থাকে পিতৃমাতৃহীন,
মৃত্যু একা থাক।
১৪
রাত্রি ও পুত্রের মাঝে
দেয়ালে মায়ের ছবি আছে
১৫
নত সন্ধ্যা নেই তবু বুকে শঙ্খ ঘোষ
আমার চারিদিকে মানুষ মানুষ
১৬
কার বাছুর হারিয়ে গেল, যুবক মিছেই পলাশ আনে
দুঃখ হলে ছোট্ট গ্রামে সবাই জানে সবাই জানে
১৭
রবি নাথ
*
সঙ্গীতে যে ধরেছে আকাশ
মৃত্যুতে তাঁর এতো অবিশ্বাস
১৮
জানে না জানাকে
মৃত মায়ের হাত শিশু ধরে রাখে
১৯
পৃথিবীর সব অন্ধ হোল তারা, রাত করেছে এমন আয়োজন
আমরা যেন দেখি নিমেষহারা অন্ধত্বের আলোরা কেমন
২০
মৃত শিউলি কুড়িয়ে চল, জীবিত আমাকে তোলো না
২১
এ পৃথিবীর তাবত নির্মাণ
একটি কুঁড়ির ফুটে ওঠা দেখে মুখ লুকোচ্ছে
ওটাই কবিতা
২২
জানলা খুলে ভোরের কুয়াশাকে
দেখ তুমি সবাই যখন ঘুম
আমি বলি নালিশ জানাও কাকে
মরমিরা আবছায়া প্রসূন
২৩
লেটার বক্স অথবা লাল একটা একটা পোস্টবক্স
কেন হারিয়ে যাচ্ছে
রক্ত কেন মৈত্রীর মতো লাল
চায়ের কাপে ঝগড়া সবসময় ভালো না
আর চিৎকার এঁকো না,
প্রীতি নিও
তুমি তো শোক দেখেছো !
২৪
মৌমাছির মতো বিস্মরণ দাও, মৌচাক গড়ি
২৫
মানুষ একলা হয়, হয় রে অনাথ
মানুষের ভুল হয়, মানুষেরই হয় অপরাধ
২৬
আমিও চলেছি পথে মেঘটানা পথ, অসতর্ক গানের কথারা কানে-
আমার সোনা বন্ধু রে ভুলে গিয়ে কার কাছে যাবো, আদিমতমা?
২৭
'মানুষের সবকিছু ভুলে পাখি হয়ে যাও'
বৃক্ষ কেটো না
২৮
আঁধারের ভাষা ঈশ্বর শোনেন। আকাশের তারারা তার শ্রুতলিখন।
২৯
নীরব সন্ধ্যা সে ভেতর সুমন
চোখের কথারা তার শান্তিনিকেতন
৩০
এমন নৈকট্য আমাদের
বৃক্ষ পুড়ে যায় নিরুপায় কাঁদে তার ছায়া
৩১
একটা লাল পার্কার পেন
আর্চিস কার্ড
ক্যাডবেরি
ধূসর শালের ভেতর থেকে বেরিয়ে আসে
৩২
স্মৃতি আছে যার সে-ই ছবি আঁকে
ঘুমন্ত শিশুর হাত মায়ের আঁচলে
অরণ্যের শিমুল দূরে উড়ে যায়
হাওয়া তার কিছু পায় টের প্রজ্ঞা লাবণী
শ্মশান সর্বত্র আছে, সুন্দর সর্বত্র আছে
স্মৃতি আছে যার সে-ই জানে
স্ফুলিঙ্গ ধরার কিছু নয়
৩৩
তোমাকে কেউ চেনে না ব্যালেরিনা
তবু তোমার বিরহ নাচে
ড্যান্সফ্লোরে পড়ে আছে শত ভেজা চোখের কাহিনী
৩৪
আলোর চঞ্চলতা রাতে তারার হাসি
দেখে স্তব্ধতা পর্বত হয়ে আছে
৩৫
যখন বুঝবে ভীষণ ঘুম আসে
কারো মুখ নয় তার মতো
যখন বুঝবে বৃক্ষের বৃদ্ধি থেমে আছে
শীত মানে সারাদিন সূর্যাস্ত
বুঝবে, সমস্ত অভিমান শেষ হয়ে গেছে
বুঝবে, তুমি আর ভালোবাসছো না
৩৬
তোমার ছায়াকে মাটি ধরে রাখে, এরপর বৃষ্টিতে ঘাস হয়ে যায়
৩৭
যে মহানির্জনতা আমাকে দিয়েছো
এই দানের সুখ কেমন?
৩৮
জীবন জটিল এত নানা কাজ কত আয়োজন
বিহন তোমার প্রেমে আরো দিন-রাত প্রয়োজন
৩৯
সূর্যাস্ত হল, হেডস্যার
চলুন যাই এ বেলা
পথেরও বয়স হল
শুধু স্তব্ধ ছেলেবেলা
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন