পত্রালিকা - ১৪
১. তোমাদের ঋতুতে শুধু শিহরণ শুধু স্পন্দন সারাবেলা ধরে ঝরে প্রাচীন উইলো ভোর পূর্ব সূর্যের ভ্রূণ থেকে ভেসে আসে পিতার অমৃত গান তোমাদের শিশুদের ডাক নাম- হাসি, মেয়েদের চোখ সব অমর ইশারা ... এইসব দেখি আর রক্তজবার ছায়ার নিচে রক্তজবার মতো আমি ঘুমোই। চোখ বুজলেই তালার আর্তনাদ অকাল মৃতের সুপ্ত হাড় পিয়ানোর বুক ভেঙে পর্দা নামে শাদা পর্দা কালো পর্দা বেন্ডেল চার্চ থেকে এখন এই সন্ধেবেলা ভেসে আসে যুগ যুগ আগেকার ঝিম ধরা ভেসপারস মনোহীনতার শোকগন্ধ নিতে নিতে মনে হয় পৃথিবীর সকল অভিজ্ঞতা নিয়ে পড়ে আছে যে অন্ধকার পাথর তার ওপর অনুপম বসে থাকা ভালো বলা ভালো- 'তোমাদের কিছুদিন ভালো লেগেছিল।' ২. শূন্য বাঁশিতে ফুঁ দিলে - হৃদয় দীঘি একা হলে আয়না, হৃদয়কে দেখা যায় না ৩. (অকাল প্রয়াত প্রখ্যাত লোকসংগীত শিল্পী দোহার ব্যান্ডের কালিকাপ্রসাদ ভট্টাচার্য স্মরণে) * মাতাও মাতাও গান ধরো জোরে আমাদের স্পন্দন নিয়ে যেতে যতই বাজুক অন্তিম পিতলঘন্টা উড়ুক কালো পতাকার মতো ইঙ্গিতময় রাত্রি এইসব নৈশ-ক্লাশ ছুটি হয়ে গেলে ছুটে চলে যাবো রাঙামাটি পিয়ালপাহাড়ে কে বলেছে যাদের স্মৃতি আছে তাদের প্রকৃত ধ্যান নেই...