পোস্টগুলি

নভেম্বর, ২০১৬ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

ডাক

মনে কর অংশুময়, সারা রাত্রিপাত তোমাকে অন্ধ করে রেখেছিল ধীর সন্ত যেন, পরিমোক্ষের আশায় এ জীবনের বন-ঝড়, বিটপীর সমস্ত দীর্ঘনিঃশ্বাস তুমি শুষে নিয়েছিলে। মনে কর সোনা ভাই, সেই সব গুপ্ত নাম- প্রসক্তির বেদন-কবিতা শুক্লা যামিনীর ছিন্ন-কাশ আলো সেই মহানীল আকাশের ডাক, আয়... আয়...আয়

পত্রালিকা - ৯

১। বিনিময়ে কিছু ফিরিয়ে দেবার কথা বলিনি আমি। ঐসব বিকেলের খেলা সাঙ্গ হলে, পলাশনম্র আগুন অরণ্যে-- যেখানে হাওয়ার নাচে শিমুল, সংগীতে নৈঃসঙ্গ্যে দূরের কথা বলে উড়ে যায়; ঐসব বিকেলের সমস্ত সংগ্রহ আমি তার করতলে দিয়েছিলাম ২। নীল ফ্রক দিন থেকে তারামালা রাত বাঁশি বলে জানো যাকে সে তো রুদ্ধবাক অর্জুন-চোখ থেকে যে চোখ হারায় সে চোখ পালিয়ে কাঁদে ঘোর মমতায় ৩। এই অক্ষরে, এই কথা মিছিলে-- তুমি আমায় দেখতে চেয়েছিলে ৪। জোনাকিতে পুড়িয়েছ দু'চোখ তোমার, আমার আলোতে ঘুম আসে না ৫। পড়ে আছে লগ্নহীন কিছু উৎসব পড়ে আছে অগ্নিশুদ্ধ করতল ছায়ার প্রচ্ছদে একটি নীলপাগড়ি নক্ষত্রস্রোতে উড়ে যাচ্ছে আনন্দ থেকে ক্রমশ দূরে, বহুদূরে... ৬। নিয়ে চল সেখানে, যেখানে রহস্য লুকিয়ে থাকে স্থির চেরাপুঞ্জির সবুজ ঘূর্ণিতে অথবা প্রাচীন দীঘির জলে জলে যেখানে খেলা করে তুলনার মতো আলো; শুকতারা কথা বল শোনাও যত অশ্রুত পদাবলী, বিরহের লীলা গহন বন ফুরিয়ে গেলেও আমার হাতে রয়েছে তেরোটি সৌভাগ্যের তাস ৭। হে মেঘানুরাগী জল চয়নের হাওয়া, তুমি দেখ শ্যামশ্রী নদীতে শুধু কিছু শীতকাঁপন তুলে মুছে গেছে যত বৃষ্টিপাত- থমথমে লীন।...

জাতক

জীবন, আলো আর ছায়ার মাঝে একটি রেখা তার আর আমার মাঝে শুধু আমি আছি; কেউ আমাকে নিয়ে নাও, শুধু সে রয়ে যাক নয়তো আকশে মেঘের অংশ হয়ে সে আসুক বৃষ্টিপাত হোক, আকাশ আর মাটির যোগাযোগ হোক আমি তো দেখি আঁধারে বৃক্ষদের স্বপ্নকাজ সেখানে তার মত পাখি আড়ালে লুকিয়ে যায় তিমিরধারার মাঝে শিরীষের রাতে ডাক দেয় ঘন-চোখ, মাধবী-মনীষা ডাক দেয় বুনো নদী সাঁতরে যাবো ঐ পার, মনে রেখো ডুবোপাথর মৃত্যুবোধের বুকে ছড়াব ভ্রূণবীজ করপুটে অগ্নি ধরেছি অন্ধ পদাতিক স্টীমারের বিষণ্ন ডাকে কড়িখেলা মনে পড়ে সন্ধ্যার আঁচল কালো কৃষ্ণকথার মন্দিরে হেরে যাওয়া কড়িখেলা- আমার স্নেহের জাতক