পোস্টগুলি

অক্টোবর, ২০১৬ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

শোন মাল্যবান

মন বড় পর্যটন প্রিয় অসম্ভব আদরে ভাঙা রক্তিম বোতাম নিয়ে সে ঘুরে বেড়ায় মানুষ অবধি যদি পায় দেবার মতো তারা, যদি কাউকে বলা যায় কৃষ্ণ গোপনতা, বলে দেয়... . সাথে আরও বলে - কেউ নেই তাই একাকীত্ব নেই প্লাবন যেমন মুড়ে রাখে শোকে অথচ কন্ঠে তার শস্যের ডাক, ভোরের দ্যুতি আর সন্ধ্যা তেমন সন্তরণময় . আর তোমার তো মাল্যবান মনের মহল কাজলে তন্ময় গায়ে হলুদের উজ্জ্বল মেয়েরা চলে গেছে বলে, বন্ধ হয়েছে বলে সমস্ত কলরোল তুমি স্তব্ধ হয়ে আছো . জেনো প্রীতিও কিন্তু মূক তবু পুষ্প, ঝরাপুষ্পরই পুনরুক্তি

পত্রালিকা - ৮

১. আমার মুগ্ধতা নিয়ে যাও জ্যোতির্ময়, নিয়ে যাও হৃদয়ের লোকসঙ্গীত শ্রাবণের মতো চারু মাস নিয়ে যাও। আমি কোথায় থাকি দেখে যাও সরল বাছুর কোলে করে ... ২. এই তো ভালো আছি এই দেহে অন্তর পুষেছি যে কারো বকুল কি ব্যথা দেয় তারে কেন ছিঁড়ে মালা কর ৩. গোধূলি দেখিনি আমি চুল ছেড়ে দিয়ে নৌকায় শ্যামা ধীরে ধীরে দুলছে... হঠাৎ এমনই অন্ধকার ৪. শেষ কথা বলে কোন কথা নেই বিসর্জন হলেও দেখ কেউ কেউ কপালে বিন্দু করে রাখে রক্তের ফোঁটা এরপর শরৎ আসে কি না আসে, চক্ষুর পথে পথে অবেলার ঢাকিরা আসে উড়ে যা দোয়েল বলে কেউ খাঁচা খুলে দিলে সে কি উড়ে যায়? কেবিনের গোপন কথা থেকে ক্যান্টিনের গান ঘুরে-ফিরে আসে... শেষ কথা বলে কোন কথা নেই যেমন- বিদায় ৫. আমার কাছে কাঁদতে এসেও ফিরিয়ে নিলে তান ছেলেবেলার গান ৬. কালসন্ধ্যা হোল এখানে এখনও আগুনের রং কার আলোক পান করেছি জানা নেই হতে পারে বনজ্যোৎস্নায় হরিণ যার চোখে চেয়ে থাকে সমস্ত বলা যার শিব কুমারের সন্তুর সবটুকু দিয়ে তার হৃদয় নিভে গেছে কালসন্ধ্যা এলো এখানে এখনও তার রং লেগে আছে ৭. নীরব অন্ধকার পেয়েছে যাকে রূপ-সিদ্ধ কবি নিদ্রার অন্যপারে ...

আমি আর সেই বৃক্ষ

এসো আজ আনন্দবাড়ি রঙচোর অনঙ্গ পাখি নশ্বর দৃষ্টির কাছে আঁকা থাক চিত্রল ঋতু, অলক্তরেখা-- বুকের কিনারে থাক রূপান্ধ গীতাঞ্জলি স্বপ্নপ্রসূ এক ফিরতি নদীকে বলি- সব ব্যাকুলতা ফিরিয়ে আনো মাঙ্গলিক চিহ্ন রাখো, স্পর্শমণি রাখো তৃষ্ণার তীরে হৃদয়ে হৈমন্তী কার নিদাঘের শেষে শব্দের নীড়ে কার সানন্দ গান স্পর্শাতীত মুখে আহা নির্বাণ প্রেম মুক্তিস্নানে তার কাছে নম্র নিবেদন,- বলতো- ছায়া কীরকম? ধ্রুবতা? সুন্দরা, এ পৃথিবীতে কাকে বলা যায়- একা থাকা ভালো? কাউকে তো পেতে হবে যাকে বলা যায়- আমি এক নক্ষত্রসুর পড়ে আছি তুমি কণ্ঠে তুলে অমরতা পাও কাকে দেখানো যায়- সেই বৃক্ষের সমস্ত পাতার রং... অন্তিম আলোর মাঝে যে ছিল একাকী আমি আর সেই বৃক্ষ পাশাপাশি থাকি