পোস্টগুলি

সেপ্টেম্বর, ২০১৬ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

প্ত্রালিকা - ৭

১} ছড়াকাটা * ধীরে ধীরে ভেসে আসে রাগ বারোয়ারি সাগরমেখলা যে সবুজের বাড়ি মৌ মৌ গুঞ্জন রোদ বালুচরী হৃদয় দেউল তার মায়া ছড়াছড়ি দেখা হবে আরশিতে আলোক - আঁধারি সিঁদুরে রঙিনে হবে রেণু ওড়াউড়ি তার কাছে পাখি হব মরে যাবো ভারি ভ্রুরেখা ধনুক যার রূপের প্রহরী ২} অনেক যুদ্ধ করেছি এ জীবনে , মঞ্জীরে শুনেছি কত রক্ত কথা কয় ... জিতেছি বহুবার তবু আনন্দ কোথায় , কোন কলিরকাননে ? একবার কানামাছি খেলতে গিয়ে হেরে গিয়েছিলাম এক শিশুর সাথে । শিশুর কাছে পরাজয়ের এমন আনন্দ আর কোথাও পাইনি । ৩} এমন বিভোর আগে হই নি কখনও , সবাই দেখলো ফলবতী ঋতু - আঙুর শিল্পীর প্রেম । বেজে গেলো মগ্ন ভায়োলিন । আমি যেন হঠাৎ ঢুকে গেলাম রাতে চোখ ধাঁধানো ভেনাস জুয়েলার্স । শুনলে না গোপন করতালি , এমন নাচলে তুমি যেন সামনে কেউ নেই ! ৪} যদি পারতাম ছুঁড়ে দিতাম এই পোখরাজ বিহ্বল সব রাতের শুক্তির বুকে জমা মণিদীপিকা যদি পারতাম মুছে দিতাম সব আক্রান্ত ঘুম কিন্তু আমি তা পারি নি হে প্রাত্যহিকপ্রয়াণ কবিত...

পত্রালিকা- ৬

১} আজ অনেক দিন পর হাতে বেলফুল নিয়ে বিকেল আমার কাছে এলো। শিশুর মত জড়িয়ে ধরে বললো- এমন হরিৎ ছুটির দিন, সবাইকে ডাকো, চল মাঠে চল। অথবা পিয়াইনের তীর থেকে তার তীব্র স্রোতে ছুঁড়ে মারো সকল রোদন। জলে ডুবে গেলে সূর্য শিশুর কারুকাজ আমরা আবার ফিরে যাবো যার যার নিজস্ব ক্ষয়ে। তার আগে আয় বন্ধু, খেলা করি, দোয়েল পাখায় উড়িয়ে দেই সেইসব প্রক্সির দিন... বন্ধু আমায় নিবি না? ২} ঘুমের সাজে দেখবো পদ্য, তোকে আর কিছুতে দেখবো না- পাখিরা তো সাজে না! ৩} তোমাকে পাঠাতে চাই ঝরাপাতা সন্ধ্যার শ্লোক ভেসে আসে আর আমি মনে মনে ভাবি জোনাকির মানে দীর্ঘ অনিদ্রায় চোখে জমেছে দেখ স্নেহ আর চেনা নাম রৌদ্রের কাকাতুয়া দেখা চোখও বোঝে শীত বৃক্ষের যাপন তোমাকে শোনাতে চাই সেই হিম সুরধারা ৪} কারো বুকের পাখি কারো মন সুনসান একলা লাগার মায়া, বন বাউলের গান কোনো দহনের দান- এক মৃদু ডাকনাম ৫} চোখের মদির থেকে জন্ম নিয়েছিল ঘুড়ির সাত রং তারপর জ্যোৎস্নার সড়কে হেঁটে ঘরে ফিরেছি, শূন্য ঘরে। আমার একান্ত দরজার কোণে ডাকবাক্সের অভিমান সুদীর্ঘ রাতে ঝরে পড়ে, গান গায়- সায়োনারা...সায়োনারা ৬} তুমি চুপ বসে থাকো আধোবোজা চোখ করে ...

অনুবাদঃ ইনসমনিয়াক

ইনসমনিয়াক ======== মূলঃ Insomniac by Sylvia Plath রাত্রিটি একটি কার্বন পেপার যেন কৃষ্ণনীল, অজস্র তারা তার বুকে আলো নিয়ে আসে - যেন আকাশে আকাশে একের পর এক ঘুলঘুলি আর সবকিছুর পশ্চাতে রয়েছে মৃত্যুর মত এক হাড়শাদা আলো। এইসব তারাদের চোখের নিচে, জ্যোৎস্না হাসির মাঝে একটি মরু বালিসে সে নিদ্রাহীন তার সূক্ষ্ম ক্ষুদ্র যন্ত্রণার বালি কণাগুলো সে ছড়িয়ে দিচ্ছে সর্বত্র। বারবার কণা কণা অজস্র সে পুরাতন ছবি ঝিরি বৃষ্টি দিনে শৈশব কৈশোরের স্বপ্নজড়ানো সব লজ্জা নিয়ে আসে সব অভিবাবক তাদের ছায়া অনুসরণ, কখনো তাদের মুখ অশ্রু সজল কখনো তাদের মুখে হাসি, একটা কীটদষ্ট গোলাপ বাগান যা তাকে কাঁদিয়েছিল – সব... পাথর স্তুপের মত তার কপাল স্মৃতিরা একে অপরকে সজোরে সরিয়ে দিয়ে সাজঘরে যেতে চায় যেন সব হারানো ছবির ফিল্ম স্টার। এইসব লাল, বেগুনী, নীল ট্যাবলেটে কিচ্ছু হয় না তার এই দীর্ঘ বিষণ্ন সন্ধ্যা কীভাবে প্রজ্বলিত করবে তারা ! ঐসব মধুগ্রহরা যারা তাকে দিয়েছিল সন্ন্যাস; মৃত্যু ক্ষণিক, ঐ মধু নেশাগ্রস্ত করেছিল একটা বিস্মরণ প্রবণ শিশুর জাগরণ এখন এই পিল গুলো অকেজো, ঐ সেকেলে দেব-দেবীর মত তাদের পপি ঘুমঘু...