কথা কিছু কিছু...
১.
আর আমাকে কিছু বলতে হবে কেন? প্রার্থিত
আকাশ ছেড়েছি আমি দলছুট পাখি, পেয়েছি আড়ালের
বর্ণপরিচয়। জ্যোৎস্নার উপচে ওঠা আলোর অনুগামী বলেই হারিয়ে গিয়েছি। আর আমাকে কিছু বলতে হবে কেন, বন্ধুমণি!
২.
পুষ্প আরতির অপেক্ষায় নীল প্রজাপতি
জানালায় চোখ মেলা
বাদলের সুর খেলা, মিতালী পড়তে জানে
তোমার চোখ। আমারও অপেক্ষা একটা
পুষ্প আরতি
নীল প্রজাপতি
মোহন বাতায়ন
জানালায় চোখ মেলা
বাদলের সুর খেলা, মিতালী পড়তে জানে
তোমার চোখ। আমারও অপেক্ষা একটা
পুষ্প আরতি
নীল প্রজাপতি
মোহন বাতায়ন
৩.
ডুবতে চেয়েছি অথচ সে সময় ছিল ভুল সন্ধ্যার আলো,
ধু ধু বালুচর
৪.
যন্ত্রণার চেয়ে তীব্র বিঁধে আছে প্রীতি
তারার মত অন্ধকার
হরিণীর মত ব্যর্থ ছুট
জীবনের যত ক্ষতি...
তারার মত অন্ধকার
হরিণীর মত ব্যর্থ ছুট
জীবনের যত ক্ষতি...
৫.
খিলখিল তারাটির সাথে এ চোখের আলো বিনিময়ে এলো
অঝোর শ্রাবণ
৬.
দেখা মানে অরণ্যে অচেনা ফুল
জানা মানে ছুঁয়ে ছুঁয়ে... দূর
আর স্মৃতি মানে গহীনগন্ধ তার
জানা মানে ছুঁয়ে ছুঁয়ে... দূর
আর স্মৃতি মানে গহীনগন্ধ তার
৭.
মায়া আর অভিমান ফুল হয়ে ফুটেছে, আর
কে কাজল মেখে রাত্রির মত চেনা !
৮.
দূরে থেকে অন্তরে দেখেছিরে যারে, রাতের কিনারে
চোখের দেখায় তারে যন্ত্রনা বাড়ে
দূরে থেকে অন্তরে দেখেছিরে যারে, রাতের কিনারে
চোখের দেখায় তারে যন্ত্রনা বাড়ে
৯.
হারিয়ে গেছে বাড়ি ফেরার পথ
বিদায় বিদায় বলে
বাউল হয়েছে সন্ধ্যারা
...আমরা
বিদায় বিদায় বলে
বাউল হয়েছে সন্ধ্যারা
...আমরা
১০.
আমার বেদনার রক্তজবা ফুটে আছে গহন রাত্রির
বাড়ি। আমি কী করে তারে ছুঁই! বরং আমি
একটা শাদা তুলোট কাগজ হয়ে
মাতৃহীন শিশুটির হাতে রয়ে যাই। সে আঁকুক- তার
মা-এর মুখ।
১১.
অন্ধকারের গন্ধ আছে, লুকিয়ে
রাখে;
তন্দ্রার খোঁপা খুলে দিলে
ছড়িয়ে পড়ে নিশিফুল ...
অবাক সাঁতার
তন্দ্রার খোঁপা খুলে দিলে
ছড়িয়ে পড়ে নিশিফুল ...
অবাক সাঁতার
১২.
একটা হরিণ থেকে ছলকে উঠলো- চঞ্চল
জড়িয়ে ধরলো প্রিয়মেধার ঘুঙুর
একটা হরিণ থেকে ছলকে উঠলো- চঞ্চল
জড়িয়ে ধরলো প্রিয়মেধার ঘুঙুর
১৩.
শ্রাবণ অতিথি এনেছো বৃষ্টি বাসর
তোমায় আদর
তোমায় আদর
১৪.
স্রোতের ইচ্ছে থাকে
মোহনা
আমি চলছি
আজন্ম,
জলধারার মত নয়-
টেনে নিচ্ছে কেউ যেন।
ইচ্ছে নেই যাবার
তবুও
তবুও এই দীর্ঘ ঘুম নিয়ে যাচ্ছে আমায় চলে যাওয়ার দিকে
আমি চলছি
আজন্ম,
জলধারার মত নয়-
টেনে নিচ্ছে কেউ যেন।
ইচ্ছে নেই যাবার
তবুও
তবুও এই দীর্ঘ ঘুম নিয়ে যাচ্ছে আমায় চলে যাওয়ার দিকে
১৫.
আসন্ন রোদের কথা ভাব, ভেবে
চুপ করে হেসে যেও
আমি সেই ছবি নিয়ে হেঁটে যাব দূরে—
কীর্তনখোলার পারে।
ভাসিয়ে দেব মুক্তার সঞ্চয়
আমার আজন্ম বরষায়...
আমি সেই ছবি নিয়ে হেঁটে যাব দূরে—
কীর্তনখোলার পারে।
ভাসিয়ে দেব মুক্তার সঞ্চয়
আমার আজন্ম বরষায়...
১৬.
চোখের কাজল থেকে মুছে গেলে রূপটান
সে তোমারই চোখ-
তেমনই খঞ্জর
সে তোমারই চোখ-
তেমনই খঞ্জর
১৭.
রং খেলেছে পুষ্পিতা বন
শুকপাখিটা ঐ
আমি আছি তোমার মাঝে
তোমার তুমি কৈ
শুকপাখিটা ঐ
আমি আছি তোমার মাঝে
তোমার তুমি কৈ
১৮.
সমস্ত না-বলা কথাই সুবর্ণ ক্রন্দন
১৯.
হৈমন্তী সময়
ঝিলমিল রোদ লেগে আজ সেই অন্ধ রাজার দেশ মহেন্দ্রপুরী
রাজকন্যার নাম, নিমীলা
যমুনার প্রতনু জল তার স্নানে নূপুর নূপুর
ধূম্রাক্ষীর গূঢ়মায়া, প্রেক্ষণে মাৎসর্য
ভীনদেশী রাজপুত্র বলল- ‘এই তো আমি’। ‘কী চাও’?
নিমীলা বলল – ‘চোখ’।
ঝিলমিল রোদ লেগে আজ সেই অন্ধ রাজার দেশ মহেন্দ্রপুরী
রাজকন্যার নাম, নিমীলা
যমুনার প্রতনু জল তার স্নানে নূপুর নূপুর
ধূম্রাক্ষীর গূঢ়মায়া, প্রেক্ষণে মাৎসর্য
ভীনদেশী রাজপুত্র বলল- ‘এই তো আমি’। ‘কী চাও’?
নিমীলা বলল – ‘চোখ’।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন