পোস্টগুলি

নভেম্বর, ২০১৪ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

অনুলেখা

১] বরং আমি ঘুমিয়ে থাকি স্নান দৃশ্যের ভেতর-- এই শীতে ২] হরফে হরফে নিঃসঙ্গতা লিখে গেলে মনে হয় আকাশ নক্ষত্রের কথা বলে, এক জীবন সমান দূর; কারো মৃত্যুর কথা বলে। ৩] শব্দ, তুমি প্রার্থনা হয়ে ওঠো কবিতার মন্দিরে হয়ে ওঠো ওংকার ৪] 'পাশে আছি' না জানালে কেউ ভালোবাসে? নূপুরেও আসে প্রাণ যদি নাচ নেমে আসে ৫] নিঃসঙ্গতার সাথে চুপ করে থাকে ঘুম তার কাছে ঘুরে ঘুরে আসে এক মাতৃহীন হরিণ ৬] একটি সেকেলে ভাবনা শহরতলীর ডাকঘরের বারান্দায় বসে আছে ৭] রুমঝুম হাওয়াকে বলে দিয়েছি আসছে ছুটি ৮] অ্যালবাম থেকে উড়ে গেছে রুপালী দোয়েল... ৯] মায়ার চুমুটি হোল কাজলের দাগ ১০] শব্দ না উইডস! পাঠকের চোখ লাল। কবি তুমি যা তা... ১১] হে অগ্নিময় শুদ্ধ দিন, হে হরিদ্রা মুখ, এই হরীতকী বনে মোহন আলোর পাখি ইষ্টিকুটুম- দিনতারাটি আমার। ডাকো। আমি চুমুকে চুমুকে পান করি সেই ডাক। ১২] জানি তোমার সাধ পূরণের কেউ নেই কোত্থাও অনন্তে বেঁধে দিয়েছি লক্ষণ-রেখা নির্ভয়ে খুঁজে নিও সোনার হরিণ ১৩] হায়রে হাওয়া, উচ্ছল হওয়া যেত তবু- দেখ এই শান্ত শ্রাবণে তার চুলে মৃত্যুর মত ঘুম ১৪] গ্রাস কর গহন বৃষ্টি ঝরার...

দ্বীপান্তরে

মৌটুসির ঠোঁট থেকে প্রার্থনা করে এনে দিয়েছি পদ্যহরফ। হে আইসিস, এসো, অলৌকিক পলির বুকে উৎসারিত হোক শত অংকুর। আমি কারো বুকের কাছে গান, অনুতাপের হিম। মৃত্যুনীল আকাশের দুই বাহু ছাড়িয়ে আমি এসে গেছি দেবদারু বন, ধ্রুপদী মুদ্রার পথ। এখন যত শব্দ সব পাখি, আর বৃক্ষ কবিতা শরীর। ক্যারিবিয়ান সমুদ্রের ছড়িয়ে দেয়া দীর্ঘশ্বাসের মত ঢেউ আর রক্তক্রন্দন কাটিয়ে এসে রোচনার সিঁথি থেকে ছিটকে উঠেছে দিন। এখন চাই দ্বীপান্তর। নিঃসঙ্গ দু’জনার- একান্ত। আমরা জেনে নেই এই ক্ষণে ধূপরহস্য, চিনে নেই আরশিনগর। আমরা দেখে নেই মেঘ-তারা তারা-মেঘ রাত হেমন্ত অথবা বৃষ্টিচুর ভোরঅন্ধকার। আমরা বৃক্ষবাসী পাখি। আর কেউ নেই এই চরাচর। হরিতকি শিখরের কাঁচা সবুজ আমাদের শরীর। এখন তারায় তারায় জেগে আছে কবিতার অনুভব। কানে বাজে মৌহারী বাঁশী। আমরা এই বনগহনে সবকথা বলে দিয়ে-- গান।

দেখা

ঘুম পাড়ানোর কোলে স্মৃতিগ্রাস। কাতরকন্ঠ- ভেসে যাই, ভেসে যাই। চুপিসাড়ে বিদ্ধ কোরে পৃথিবীর সমস্ত সকাল-সন্ধ্যাকাল, তুমি এসো প্রতিক্ষীত, বাজাও মায়া সাইরেন। আমি আকাশে আকাশে দেখতে চাই মুখরিতা তারা। জানি আঁধারেই আছে স্বপ্নের ঝিমিকি। আমি জানি সমস্ত নীরবতা নিয়ে রাত্রিই মহান। দেখা মানে- অরণ্যে অচেনা ফুল। ঐখানে ফুটে থাকে প্রেমের গোপন প্রণালী, রঙিন কুয়াশার মিথ। অশরীরীর ছায়াবাজি, মায়ার পিছের পুষ্পমুখ তন্দ্রার মত নেমে আসে। জলপাই বনে নেমে আসে নিঃসঙ্গ ক্রন্দন- মদের চেয়ে তীব্র। আমি চিনি ঐ আঙ্গিনার মধুর ঘ্রাণ, পল্লবীর নীরব নাচ,  ঝুলন রঙিন আঁখিপাতা। এই রাত- সে আয়নার মত আমার।